ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য, অধ্যাপক আন্দোলনের অগ্রণী নেতৃত্ব, প্রাক্তন সাংসদ, রাজ্যের প্রাক্তন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কমরেড সুদর্শন রায় চৌধুরীর জীবনাবসান হয়েছে। গতকাল, ৩১ শে জুলাই সন্ধ্যায় হুগলী জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগাক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
কমরেড সুদর্শন রায় চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৭৫।
জন্ম ১লাআগষ্ট ১৯৪৬। পিতা :পরিতোষ রায়চৌধুরী,মাতা : অপর্ণা রায়চৌধুরী। স্কুল:মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন ,কলেজ : মৌলানা আজাদ এবং প্রেসিডেন্সি কলেজ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। তিনি ছিলেন বি পি এস এফ র কলকাতা জেলার সভাপতি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও বাংলায় এম এ পাশ শেষে ১৯৭১ সালে শ্রীরামপুর কলেজে অধ্যাপনায় নিযুক্ত হন। তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক । শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দুবার (১৯৮৯ ও ১৯৯১ )সাংসদ নির্বাচিত হন সুদর্শন রায় চৌধুরী । ২০০৬ সালে জাঙ্গিপাডা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ২০১১ সাল অবধি।
সুলেখক ও সুবক্তা কম: সুদর্শন রায় চৌধুরী দুই দফায় (২০১২-১৭) সি পি আই এম হুগলী জেলা কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং আমৃত্যু ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য।
বিভিন্ন বিষয়ে অনেক মুল্যবান গ্রন্থ ও প্রবন্ধ লিখেছেন। উল্লেখযোগ্য হল ‘লাতিন আমেরিকার মুক্তি সংগ্রাম ‘ দুই খন্ডে প্রকাশিত এবং ‘বিপ্লব ও শ্রেণী সংগ্রাম’।
আজ পার্টির হুগলী জেলা কমিটি দফতর থেকে দুপুরে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় পার্টির রাজ্য দফতরে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান কমরেড বিমান বসু, পার্টির রাজ্য সম্পাদক কমরেড সূর্যকান্ত মিশ্র, পলিট ব্যুরো সদস্য কমরেড মহম্মদ সেলিম সহ পার্টির অন্যান্য নেতৃত্ব মাল্যদান করে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
কমরেড সুদর্শন রায় চৌধুরী মরণোত্তর চক্ষুদান এবং দেহদান করে গেছেন, কলকাতায় পি জি হাসপাতালে তার দেহদানের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কমরেড সুদর্শন রায় চৌধুরী অমর রহে।
কমরেড সুদর্শন রায় চৌধুরী লাল সেলাম।