CESE ‘র বেলাগাম বিদ্যুৎ বিলের প্রত্যাহার ও সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ….

২৪ জুলাই, ২০২০
ওয়েবডেস্কের প্রতিবেদন:

অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
সিইএসসি’র লাগামহীন বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে শুক্রবার কলকাতায় বাম ও সহযোগী দলসমূহ বিক্ষোভ দেখিয়ে ডেপুটেশন দিয়েছে সংস্থার কর্তৃপক্ষের কাছে। ওই একই দাবিতে হুগলীর শ্রীরামপুরে ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দমদমে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বাম নেতৃত্বের দাবি ছিল …

★ ২০০ ইউনিটের কম ব্যবহারকারী মানুষের জন্য আগামী ৬মাস পূর্ণাঙ্গ ছাড় দিতে হবে।

★ ২০০ থেকে ৪০০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের জন্য ১০০ ইউনিট পর্যন্ত ছাড় দিতে হবে।

★ লকডাউন পর্বে তিন মাসের ভুয়ো বিদ্যুৎ বিল অবিলম্বে প্রত্যাহার ও সংশোধন করতে হবে।

★ বিদ্যুতের ইউনিট পিছু মূল্য অবিলম্বে কমাতে হবে।

অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল বাতিল ও মাশুল ছাড়ের দাবিতে এদিন
কলকাতা জেলা বামপন্থী ও সহযোগী দল সমূহের আহ্বানে মোমিনপুর রোডের CESC দপ্তর অভিযান কর্মসূচি পালিত হয় । এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার দমদমে এবং হুগলীর শ্রীরামপুরেও বিক্ষোভ হয়েছে। কলকাতায় ১৬টি বাম ও সহযোগী দলের পক্ষ থেকে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। মোমিনপুরের সিইএসসি অফিসের সামনে আগে থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা ছিল। বাম নেতৃবৃন্দ সিইএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে দাবি জানানোর কথা বললে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। শেষপর্যন্ত তারাতলায় সিইএসসি’র অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজারের কাছে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।

বিক্ষোভসভায় কল্লোল মজুমদার বলেছেন, সিইএসসি কোটি কোটি টাকার মুনাফা করছে, তৃণমূল জমানায় তাদের মুনাফার পাহাড় বাড়ছে, অথচ করোনা মহামারীর বিপদের সময় গরিব মধ্যবিত্ত মানুষের ঘাড়ে বিপুল বিলের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। মানুষ মহামারী এবং লকডাউনের কারণে এমনিতেই চরম আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁদের পক্ষে সিইএসসি’র পাঠানো অযৌক্তিক সীমাহীন বিল দেওয়া সম্ভব নয়। অথচ রাজ্য সরকার এর কোনও সুরাহা না করে চুপ করে বসে আছে। মানুষের দাবি মেনে বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার ও লকডাউনের সময় ছাড় না দিলে আরও বড় আন্দোলন হবে। মহামারীর বিপদের দিনে আমাদের ৩ দফা দাবি সিইএসসি মেনে নিলে জনগণের প্রতি করণীয় সম্পর্কে সরকারের কাছে জনগণের দাবি আরও শক্তিশালী হবে। সরকারও তার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না।

সিপিআই(এম)’র রাজারহাট শহর(৩) এরিয়া কমিটির উদ্যোগে ভিআইপি রোডে বাগুইহাটি মোড়ে CESC’র বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। সিইএসসি’র বিরুদ্ধে দক্ষিণ দমদম পৌরাঞ্চলে সিপিআই(এম) পশ্চিম দমদম এরিয়া কমিটি মিছিল করে বিক্ষোভ দেখায়। নতুন বাজার থেকে দক্ষিণ সুভাষনগর পর্যন্ত মিছিল করে। দমদম এরিয়া কমিটির গণসংগঠন সমূহ বিক্ষোভ দেখায় সেন্ট্রাল জেল যশোর রোড মোড়ে সিইএসসি কার্যালয়ের সামনে। বিক্ষোভকারীরা সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক বচসার পরে বিক্ষোভকারীরা যশোর রোড অবরোধ করে, দীর্ঘসময় সেই অবরোধ চলে এবং রাস্তায় সংক্ষিপ্ত সভাও হয়।


এদিন CESC বিলের প্রতিবাদে বামপন্থী গণসংগঠনগুলির উদ্যোগে বিক্ষোভসভা হয়েছে শ্রীরামপুরের মাহেশ সিইএসসি অফিসের সামনে। সিআইটিইউ, ডিওয়াইএফআই, এসএফআই এবং সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির শ্রীরামপুর পূর্ব ও পশ্চিম আঞ্চলিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়। লকডাউনে বিদ্যুৎ বিল মকুব সহ বিভিন্ন দাবি ও রাজ্য সরকারের ব্যার্থতার প্রতিবাদে সিইএসসি শ্রীরামপুর মহকুমা অফিস ঘেরাও হয়। পরে বিক্ষোভসভা থেকে প্রতিনিধিরা সিইএসসি’র ডেপুটি ম্যানেজারের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন। সিইএসসি’র শ্রীরামপুর আফিসের গেটে পথসভাও হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুতের মাশুল বেড়েই চলেছে। সিইএসসি’র সঙ্গে সরকারের অশুভ আঁতাতের ফলে রাজ্যের আপামর গরিব মানুষকে কেন লুট করা হবে? কেন জনগণের মাথার ওপর চড়া হারে বিদ্যুতের মাশুল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এই অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না।

Spread the word

Leave a Reply