২০ জুন ,২০২১(রবিবার) কলকাতা

২০ জুন ,২০২১(রবিবার) কলকাতা
হাইকোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে “ বিরোধি স্বর চেপে রাখার উদ্বেগে রাষ্ট্রের তরফে সংবিধান স্বীকৃত বিরুদ্ধতার অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদী কাজের মধ্যেকার ব্যবধানকে অস্পস্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এম্মন কাজকে সমর্থন যোগানো হলে তা গনতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”
বামদলগুলির পক্ষে সমস্ত রাজ্য ইউনিটগুলির উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানো হচ্ছে যাতে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং বাধ্যবাধকতা মেনে এবং নিজেদের রাজ্যের নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বিচার করেই উপরোক্ত বিষয়গুলিতে একপক্ষকাল ব্যাপি যথোপযুক্ত প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন।
সিপিআই(এম) দাবী জানাচ্ছে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য ২৫ শতাংশ ভ্যাকসিনের সংরক্ষন নীতি বর্জন করুক। দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা সমস্ত প্রতিষেধক কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিক এবং রাজ্যগুলির সাথে যথাযথ আলোচনা পূর্বক তাদের মধ্যে সেই ভ্যাকসিনের বণ্টন করা হোক।
সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভার প্রেস বিবৃতি:
সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভা ২৯ শে মে ২০১২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিমান বসু। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই সভা হয়েছে। সভায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যালোচনা হয়েছে। মোট 46 জন রাজ্য কমিটি সদস্য আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। জেলাগুলির তরফে প্রাথমিক পর্যালোচনা পেশ করা হয়েছে। স্থির হয়েছে, বুথ ও শাখা স্তর পর্যন্ত এবং সমস্ত অংশের মানুষের মতামত নিয়েই এই পর্যালোচনা চূড়ান্ত করা হবে। বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন উদ্যমে কর্মসূচি নিয়ে জনগণের জীবন-জীবিকার প্রশ্নে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
অ্যাপের সুরক্ষাবিধিকে দুর্বল করে দিয়ে জনগনের ব্যাক্তিগত মেসেজের তথ্যকে সরকারের পক্ষে নজরদারি চালানোর লক্ষ্যে সহজলভ্য করে দেওয়ার আইন এক ভয়ানক এবং পশ্চাদপদ মানসিকতার পরিচয় দেয়। নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করে এহেন আইন আসলে এক শক্তিশালী পুলিশি রাষ্ট্রের অভিমুখে এগোনোর পথে চলা। সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো এমন সকল আইন অবিলম্বে খারিজ করার দাবী জানাচ্ছে।
সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্য মিশ্রের বিবৃতি বুধবার রাজ্যর উপকূলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়বে বলে আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা
নিজেদের একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখনই সমস্যার সমাধা করতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার সাথে আলোচনায় বসা।
এখন করােনা মহামারি মােকাবিলাই প্রধান কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা দেশের জনগণকে এক ভয়ংকর বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। বিজেপি-র মনে রাখা উচিত সদ্য রাজ্যের মানুষ যে তাঁদের সরকারে চায় না, স্পষ্টভাবে সেই রায় দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীরও মনে রাখা উচিত যে এই রায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়। দুর্নীতির সঙ্গে আপােষ করে, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-র মতাে ভয়ংকর শক্তিকে যে মােকাবিলা করা যায় না এই শিক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসেরও গ্রহণ করা উচিত।
২০২০ সালে লকডাউনের নিষ্ঠুর ও মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা সকলের হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের জন্য আবার লকডাউনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে আর্থিক ও চিকিৎসাগত সহায়তা দানের ঘোষণারও প্রয়োজন ছিল। কর্মহীনতা, জীবিকা ও কর্মস্থান থেকে ছাঁটাই এখন মারাত্মক অবস্থায়; আরও শোচনীয় অবস্থার দিকে তা যাচ্ছে। এ সময়ে কর্মচ্যুত ও কর্মহীনদের মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং দৈনিক পাঁচ কেজি করে চাল-গম দেবার অত্যন্ত জরুরি দাবি পূরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও এ জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার দাবি জানাতে হবে।