সারা পৃথিবীতেই দক্ষিণপন্থার আক্রমণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের ঐতিহ্য রক্ষা করা বামপন্থীদের জন্য অন্যতম কর্তব্য। মনে রাখতেই হবে দক্ষিণপন্থী রাজনীতি সর্বদা মানুষের স্মৃতিকে দুর্বল করে দিতে চায় – তাকে রিক্ত করতে চায়। ঠিক যেমন স্মার্ট ফোন থেকে মেমোরি মুছে ফেলা যায়।
গত দশ বছর ধরে এটাই এরাজ্যের চিত্র। বামপন্থীদের উপর লাগাতার আক্রমণ হয়েছে। এখন শুধু বামপন্থীদের উপরই নয়, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ব্যক্তিও আক্রান্ত হচ্ছেন। আজ নির্বাচনী মিছিলে পুলিশি হামলা হয়েছে, ১১জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মোদি সরকারকে এখন অবশ্যই QUAD-এর মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি কৌশলগত সামরিক জোটে যোগদানের বিপদগুলো উপলব্ধি করতে হবে যা হুমকি এবং চাপের জন্য সমস্ত দরজাগুলো খুলেছিল। ভারত সরকারকে এই সংকটে ভারতের সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে এবং এই ধরনের মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করা চলবে না।
নির্দিষ্ট কয়েকটি রাজ্যে পুলিশ অহেতুক ধর্মঘট বিরোধী বাড়তি সক্রিয়তা দেখিয়েছে, সিপিআই(এম) এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। শ্রমিকদের উপরে নিপীড়ন নামিয়ে আনার বদলে রাজ্য সরকারগুলির উচিত তাদের দাবীগুলির সম্পর্কে মনোযোগী হওয়া। আগামিদিনে শ্রমিকস্বার্থ বিরোধী নীতি প্রণয়নের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ধর্মঘটকে হুঁশিয়ারি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
২৩ তম পার্টি কংগ্রেসের খসড়া রাজনৈতিক সাংগঠনিক প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে গৃহীত হয়েছে। আগামী ৬-১০ এপ্রিল কেরালার কান্নুরে পার্টির ২৩ তম কংগ্রেস আয়োজিত হবে।
নিজামের সামন্তবাদী শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কম বয়সেই যুক্ত হয়েছিলেন মাল্লু স্বরাজ্যম। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সাল অবধি তেলেঙ্গানায় সশস্ত্র সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। অস্ত্র চালনায় দক্ষতা অর্জন করে অন্য মহিলাদেরও সংগ্রামে অংশগ্রহন করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় বৈষম্য বিহীন শিক্ষার সর্বজনীন অধিকারের বিরুদ্ধে একটি আঘাত, যা আইন ও ভারতের সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই রায় প্রশ্নের ঊর্দ্ধে নয়। কর্ণাটক সরকারের যে ঘোষিত ত্রুটিপূর্ণ আদেশ ছিল তা বহাল রেখে কার্যত শ্রেণীকক্ষে হিজাব ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হল, এর অবিলম্বে প্রভাব হবে কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুসলমান তরুণীদের বহিষ্কার করা।
। এর আগেও বিজেপি বারে বারে সিপিআই(এম)-র বিরুদ্ধে এই ধরনের সন্ত্রাস সংগঠিত করেছে, পার্টি ও পার্টি কর্মীদের সন্ত্রস্থ করতে প্রতিবারের মতোই তারা আবারও ব্যর্থ হবে।
কর্তৃত্ববাদী শাসনের অভিমুখে ক্রমবর্ধমান হিন্দুত্ব-কর্পোরেট শাসনের প্রতিরোধে আগামী দিনে বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে দ্বিগুন উৎসাহে ভর করে এগোতে হবে, নতুন রণকৌশলে বিবর্তিত হতে হবে।
কারচুপির মাত্রা এতটাই তীব্র যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি অবধি পরিস্থিতি কমিশনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে স্বীকার করেছেন। ব্যাপক হিংসা এবং ভয় দেখানোর সাথেই পোলিং এজেন্ট এবং প্রার্থীদের যেরকম নির্দয়ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা গণমাধ্যমগুলিতে ব্যাপকভাবে ফুটে উঠেছে। একথা স্পষ্ট হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে এবং যখন রাজ্য পুলিশ সম্পূর্ণরুপে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, সেই অবস্থায় কোনও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।
