অন্যান্য দক্ষিনপন্থী শক্তির মতো আমরা ভোটের দিকে তাকিয়ে মানুষের লড়াইয়ের সাথী হই না, জীবন জীবিকা রক্ষার লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের রাজনীতি। সারা দেশের সাথে আমাদের রাজ্যেও গরীব মানুষ, মেহনতি মানুষ সেই রাজনীতির ভরসা বুকে বেঁধেই লড়াই করছেন।
Category: Home Banner
Peoples Brigade: Kishan’s Vision
কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা রাজ্য সরকার দুই ক্ষেত্রেই গোড়ার কথাটা একই – এরা গরীব, নিপীড়িত, ভুখা পেটে থাকা মানুষের সরকার নয়। সারা দেশ সহ আমাদের রাজ্যেও দুর্দশাগ্রস্থ মানুষই সংখ্যায় বেশি, তারা একজোট হতে চাইছেন। সেই জোট যে কোনও জনবিরোধী কার্যক্রম রুখে দিতে সক্ষম – ইতিহাসের শিক্ষা তাই।
ছাত্ররা কেন ব্রিগেড যাবে ….
১) ওয়েবডেস্ক – ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ। কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছেলে মেয়েরা এই সমাবেশকে নিজেদের উইক এন্ডের quality
বিকল্প ও উন্নতর ভাবনা – শুদ্ধস্বত্ব গুপ্ত…
পর্ব – ৭ দমবন্ধ জেল থেকে ভিন্নস্বরের অধিকার একাত্তরে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন। তার আগে দু’বার ভেঙে দেওয়া হয়েছে যুক্তফ্রন্ট সরকার। ১৯৬৭
Reclaiming The Concept Of The Nation: The Raison D’être
হিন্দু, মুসলমান, শিখ সম্প্রদায়ের কৃষকেরা একে অন্যের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে তুলে ধরেছেন। কর্পোরেটদের হাতে দেশের কৃষিক্ষেত্রকে তুলে দেবার বিরোধিতা করে আসলে তারা আমাদের দেশকে কর্পোরেটদের সাথে একাকার করে দেখাবার যে রাজনীতি, তারই বিরোধিতা করছেন। গণবণ্টন ব্যাবস্থা চালু রাখার পক্ষে দাঁড়িয়ে আসলে তারা রাষ্ট্রকে দেশের জনগণের কল্যানে নিজের পূর্বঘোষিত ভূমিকার পুনঃস্মরণ করাচ্ছেন। রাষ্ট্রের যে ধারণাকে আজ মোদী সরকার ধ্বংস করে দিতে চাইছে কৃষকেরা আসলে সেই জনকল্যানকারী রাষ্ট্রের ধারনাকেই পুনর্নির্মাণ করছেন।
“Then fall, Caesar” – A Note On Minorities in West Bengal
পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ বোর্ডকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার।সেই সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের অর্থ কি ভাবে ইমাম , মোয়াজ্জিনদের ভাতা হিশেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে? ওয়াকফ বোর্ডের অর্থ খরচের অধিকার কি সরকারের আছে? সরকারের পক্ষ থেকে এই অর্থ খরচ কি সংবিধান মোতাবেক স্বীকৃত একটি সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকারের উপর রাজ্য সরকারের অবৈধ হস্তক্ষেপ হিশেবে বিবেচিত হবে না? এভাবে কি সংবিধান অবমাননা করে নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন?
Language, Land ,Nourishment- Subhomoy
ভাষা নিয়ে কোনো কথা উঠলে ফরাসি কথাকার আলফোঁস দোদে (১৮৪০-৯৭)-র সেই গল্পটার কথা কতবার বলেছি আপনমনে। সেই ১৮৭০-৭১ সালের কথা-
International Mother Language Day – A Note
সাতের দশকের নানা সঙ্কটকালেও জাতীয় আন্দোলনের নেতৃত্বের একটা বড়ো অংশের শারীরিক উপস্থিতি মানুষকে সঙ্কট থেকে উত্তোরিত হতে অনেকখানি সাহায্য করেছিল।মূল্যবোধের সঙ্কট সেই সময়কালের প্রেক্ষিতে তীব্র হলেও তাকে মোকাবিলার শক্তি মানুষ তার শিকড় থেকেই অর্জন করেছিল। আর বিশ্বায়নের জেরে প্রথম চেষ্টাটাই চলে মানুষকে তার শিকড় থেকে টেনে উপড়ে ফেলবার।শারীরিক এবং মানসিক -দুই ভাবেই মানুষকে উপড়ে ফেলবার যে চেষ্টা তখন শুরু হয়েছিল , সময়ের সঙগে পাল্লা দিয়ে তা আমাদের সমাজ জীবনে দুরারোগ্য কর্কট ব্যাধির মতো ধীরে ধীরে ছড়িয়েছে।ফলে নিজের সাংস্কৃতিক চেতনা, মূল্যবোধ এখন সম্পুর্ণভাবে স্বকীয়তা হারাতে বসেছে।যে রবীন্দ্রনাথের গান একদিন ছিল কথা ও সুরের মেলবন্ধনে মানবমুক্তির একটা খোলা আকাশ, সেই রবীন্দ্রনাথের গান এখন ফিউশন নির্ভর যন্ত্রের যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
“To promote the preservation and protection of all languages used by peoples of the world” – A Retrospective
আমাদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে যে জীবন সংকটের সম্মুখীন হতে হয় তাতে লড়াইয়ের রসদ বাংলাটা ভাল করে জানলে, কম পড়ে না। বরং আমি মনে করি মাতৃভাষায় পাঠ্যক্রমের পুরোটা শেখানোর পাশপাশি ইংরেজিটাও ভালভাবেই শেখান চলতে পারে – তাতে কোনও সমস্যা নেই। আজ প্রযুক্তি যে সুবিধা দিচ্ছে, ব্রিটিশ ভারতে শিক্ষার্থীরা সেই সুবিধা পান নি, তাদের জন্য কোনও হাতে গরম ইংরেজিময় পরিবেশ ছিল না। নীরদ চৌধুরীর মতো মানুষ বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেও অসাধারণ ইংরেজী রচনা করেছেন – এমনটা করা যায়। যে কোনও সরকারের সেই চেষ্টাই করা উচিত।
Kisan Movement: Exploring the Class Underpinnings
ভারত এক বিরাট দেশ, এর বিভিন্ন প্রান্তের বৈচিত্র্যময় বাস্তবতাকে আলোচনায় গুরুত্ব না দিয়ে আন্দোলন সামনের দিকে এগোতে পারবে না। নিজেদের অস্তিত্বরক্ষার আন্দোলনে অগ্রাধিকার দিয়ে উক্ত সমস্যাবলী সম্পর্কে সমাধানের লক্ষ্যে এক সুস্থিত কৃষি অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যা ভারতের সাধারণ অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসাবে কাজ করবে। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবার পথে জনগণের অন্যান্য অংশকেও এই লড়াইয়ের সাথী করে নিতে হবে, তবেই এই লড়াই এক সার্বিক গণআন্দোলন হিসাবে সার্থক হয়ে উঠবে। আজকের কৃষক আন্দোলন সেই প্রকৃত বিকল্পের দিশা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই অনেককে স্বপ্ন দেখাতে সমর্থ হয়েছে।