২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ,রবিবার পরিচিতি সত্তা নির্ভর রাজনীতি ভারতে তথা আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ক্রমাগত প্রভাব বৃদ্ধি করে চলেছে। শাসক শ্রেণীর

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ,রবিবার পরিচিতি সত্তা নির্ভর রাজনীতি ভারতে তথা আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ক্রমাগত প্রভাব বৃদ্ধি করে চলেছে। শাসক শ্রেণীর
লড়াই কৃষকরা একা লড়ছেন বললেই সবটা বলা হয় না – বলতে হবে আজকের দিনে পুঁজি বনাম শ্রমের যে মূল লড়াই জারী রয়েছে তারই একটা ফ্রন্টে ভারতের কৃষকরা লড়াই শুরু করেছেন। জীবন বাজি রেখে কৃষকদের লড়াই-আন্দোলন শুধুই নিজেদের স্বার্থে না, গোটা দেশের জনগণের খাদ্য সুরক্ষার স্বার্থেও। সেই জন্যেই তারা দেশের জনসাধারনকে নিজেদের লড়াইতে পাশে থাকার আহবান জানিয়েছেন – ২৭শে সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটে গোটা দেশের মানুষ সেই লড়াইতে যুক্ত হবেন, জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করার দাবীতে তাদের লড়াইয়ের সাথে জুড়বে সারা দেশের মানুষের শক্তি। লেখা হবে নতুন ইতিহাস।
সংগ্রামরত কৃষকদের সাথে আলাপআলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে মোদী সরকার এখনও অস্বীকার করছে। মোদি সরকারের এহেন আচরনের নিন্দা করার পাশাপাশি বামদলগুলি দাবি জানাচ্ছে কৃষি আইনগুলিকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, এমএসপি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে, ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইন প্রকল্প এবং শ্রম কোড বাতিল করতে হবে।
কৃষকদের উপর ভয়াবহ বর্বরতায় জড়িত যাদের ক্যামেরায় দেখা গেছে সেইসব পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। গুয়াহাটি হাইকোর্টের একজন সিটিং জজের অধীনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। উচ্ছেদ কর্মসূচি এখনই বন্ধ করতে হবে, নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আসামে বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িক, বিদ্বেষী রাজনীতির স্বরুপ উন্মোচন করতে এবং তাকে প্রতিরোধ করতে সেই রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমুহের লড়াইকে সমর্থন জানাচ্ছে পলিট ব্যুরো।
মহামারী মোকাবিলায় প্রোটোকল এবং নির্দেশিকা সবই কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়েছে। কোভিড আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ দেবার মূল দায়িত্ব তাই কেন্দ্ররই বহন করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই মামলায় চূড়ান্ত রায় দেয়নি। এই দায় বহনে কেন্দ্রের প্রাথমিক দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণও যথার্থরুপে বৃদ্ধি করতে হবে।
উত্তর গোলার্ধের ধনীদেশগুলো সহ নানা দেশের রাষ্ট্রনায়কেরা এখনও বলার মতো কিছু করেনি। এই ব্যবস্থা কতদূর করবে তা নিয়ে সংশয়ের মেঘ তামাম বিশ্বের আকাশ ছেয়েছে। কিন্তু আমাদের জন্য আর Planet B নেই। বিশ্বজুড়ে মানুষের জোট নতুন সমীকরণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুক ব্যবস্থার উচ্ছেদে। তাহলেই কেবল তাহলেই বাঁচবে বিশ্ব বাঁচবে হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অধঃস্তন সহযোগী হয়ে উঠতে বর্তমানে যে কায়দায় নয়া-উদারবাদী সংস্কার চলছে তার ভিত্তি লুকিয়ে রয়েছে কর্পোরেটদের সাথে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির আঁতাতের ভিতরে। সংবিধানের সংজ্ঞা অনুযায়ী এক ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র থেকে আরএসএস’র পরিকল্পনামতো ভারতকে এক অসহিষ্ণু, কর্তৃত্বকারী ফ্যাসিবাদী দেশে বদলে ফেলার পরিকল্পনাই হল ‘হিন্দুত্ব রাষ্ট্র’।