ধিক্কার, শুধুই ধিক্কার ওদের প্রাপ্য।

ধিক্কার, শুধুই ধিক্কার ওদের প্রাপ্য।
‘আমরা এখনও কোনো ব্যবস্থা নিই নি। রাজ্য সরকারের কিন্তু ক্ষমতা আছে ব্যবস্থা নেওয়ার। এফআইআর করলে ওদের ভবিষ্যত নষ্ট হবে। পাসপোর্ট,ভিসা পাবে না। কেরিয়ার নষ্ট হবে।’ বাছা বাছা শব্দে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের শীতল হুমকি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিলোত্তমার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ২৪ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিচারের গতিবিধি আজও দিশাহীন। বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াই অপরাধ তাদের।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্থান-পতনের কারণ হিসাবে বেশীরভাগ বিশ্লেষণই শেখ হাসিনার সরকারের উচ্ছৃঙ্খলতা এবং কর্তৃত্ববাদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে! এই ধরণের বিশ্লেষণগুলি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনকে উপেক্ষা করে বা সাধারণভাবে অবমূল্যায়ন করে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিষ্ঠুরতার ইহাই পূর্ণ চিত্র নহে। এই নিষ্ঠুরতা সম্যক উপলব্ধি করিতে হইলে আরও কয়েকটি দিক স্মরণ রাখিতে হইবে।
সুদীর্ঘ এগার বৎসর কাল যে মিথ্যাচার চালাইয়া আসিয়াছেন তাহার ক্লেদাক্ত ইতিহাস মানুষের ভুলিবার কোন উপায় নাই।
১৯৫৯ সালের ৩১ আগস্ট শহীদ মিনার ময়দানে তিন লক্ষাধিক মানুষ জমায়েত হয়েছিল খাদ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেনের অপসারণ এবং খাদ্যের দাবিতে। পুলিশ মিছিলের ওপর গুলি চালায়। এই খাদ্য আন্দোলনে ৮০ জন শহীদ হন, নিখোঁজ হন অন্তত ২০০ মানুষ।
ড্যুরিং’কে অপদার্থ প্রমাণ করতে নেপোলিয়নের উদাহরণটি কতদূর কার্যকর?
কোন সত্যি কথা বলার মত, প্রথমেই আমরা সমস্যায় পড়ি তা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে। যেমন, সমগ্র বিশ্বের চোখের সামনে একের পর এক দেশে সভ্য জাতিগুলি বর্বরতন্ত্রের খপ্পরে গিয়ে পড়ছে। এর পাশাপাশি, সকলেই জানে এই দেশগুলিতে বর্বরতা বিরোধী মানুষের বিরুদ্ধে ভয়াবহ পদ্ধতিতে চালানো হচ্ছে এক অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ, যা যে কোনও মুহূর্তে একটি বিদেশী যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়ে আমাদের মহাদেশকেই একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিতে পারে। এই বক্তব্য একটি সত্যি কথা, কিন্তু এ’ছাড়াও তো আরও অনেক সত্যি কথা রয়েছে। যেমন আরামকেদারায় গদি আঁটা থাকে বা বৃষ্টি উপর থেকে নিচে ঝরে। অনেক কবি এই দ্বিতীয় ধরণের সত্যি কথা লিখতেই পছন্দ করেন। ডুবন্ত জাহাজের এক চিত্রশিল্পীর মত তাঁরা চোখ কান বুজে জাহাজের দেওয়ালে নিস্তরঙ্গ জীবনের ‘সত্য’ চিত্র আঁকতেই বেশি আগ্রহী। প্রথম সত্যি কথাটা নিয়ে আমাদের যে ঝঞ্ঝাট, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে তাঁরা নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটান না এবং দ্বিতীয় প্রকার সত্যি কথাগুলির মধ্যে থেকে তাঁরা বিবেক পরিষ্কার রাখেন।
রসায়ন হল পরিমাণগত পরিবর্তন হতে বস্তুর গুণগত পরিবর্তনের বিজ্ঞান।
নাগরিক স্বাধীনতা রয়েছে এমন দেশে কর্মরত লেখকদেরও এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।’