আদত সত্যি হল সংগ্রামী।

আদত সত্যি হল সংগ্রামী।
পৃথিবীর সমস্ত বিপ্লবী দেশগুলিকে যে সকল ব্যক্তিত্ব অনুপ্রাণিত করতে পেরেছেন, কমরেড মাও সে তুঙ তাঁদের অন্যতম।
সময় তখন রাত দেড়টার কাছাকাছি,শ্যামবাজারে ছাত্র-যুব-মহিলাদের অবস্থানের চতুর্থ দিন অতিক্রান্ত হয়ে পঞ্চম দিনে পদার্পণ করেছে। ”তিলোত্তমার জন্য ইলা মিত্র নাইট স্কুল”-এ তখন বেশ কিছু খুদে পেন্সিল দিয়ে আঁকিবুঁকি কাটছে কাগজে।তারই মাঝে প্রতিবাদী স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে তিলোত্তমা চত্তর। ক্যানভাসে রং তুলির টানে প্রতিবদী চিত্ররা গর্জে উঠছে প্রতিবাদে।
অতীতের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে এবং দ্রুত সকল অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।
কসাইরা মাংস ওজন করার আগে হাতের রক্ত ধুয়ে নেন।
ধিক্কার, শুধুই ধিক্কার ওদের প্রাপ্য।
‘আমরা এখনও কোনো ব্যবস্থা নিই নি। রাজ্য সরকারের কিন্তু ক্ষমতা আছে ব্যবস্থা নেওয়ার। এফআইআর করলে ওদের ভবিষ্যত নষ্ট হবে। পাসপোর্ট,ভিসা পাবে না। কেরিয়ার নষ্ট হবে।’ বাছা বাছা শব্দে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের শীতল হুমকি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিলোত্তমার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ২৪ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিচারের গতিবিধি আজও দিশাহীন। বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াই অপরাধ তাদের।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্থান-পতনের কারণ হিসাবে বেশীরভাগ বিশ্লেষণই শেখ হাসিনার সরকারের উচ্ছৃঙ্খলতা এবং কর্তৃত্ববাদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে! এই ধরণের বিশ্লেষণগুলি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনকে উপেক্ষা করে বা সাধারণভাবে অবমূল্যায়ন করে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিষ্ঠুরতার ইহাই পূর্ণ চিত্র নহে। এই নিষ্ঠুরতা সম্যক উপলব্ধি করিতে হইলে আরও কয়েকটি দিক স্মরণ রাখিতে হইবে।
সুদীর্ঘ এগার বৎসর কাল যে মিথ্যাচার চালাইয়া আসিয়াছেন তাহার ক্লেদাক্ত ইতিহাস মানুষের ভুলিবার কোন উপায় নাই।