সম্প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যেভাবে গনমাধ্যমের উপরে আক্রমন নামিয়ে এনেছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্ল্যুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া)। বাকস্বাধীনতা ও মতামত প্রকাশ সংক্রান্ত সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার পক্ষে এই জোট দৃঢ় সমর্থন জ্ঞাপন করছে।
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন, নিউজলন্ড্রি, দৈনিক ভাস্কর, ভারত সমাচার, কাশ্মীর ওয়ালা, দ্য ওয়্যার ইত্যাদি বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাকে দমন করার উদ্দেশ্যে বিগত নয় বছরে বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাসমুহকে কাজে লাগিয়েছে। সম্প্রতি নিউজক্লিক সংস্থার সাংবাদিকদের উপরে ইচ্ছাকৃতভাবে নিপীড়ন চালানো হয়েছে। বিজেপি সরকার সংবাদসংস্থাসমুহকে পার্টিজান মুখপাত্রে রূপান্তরিত করতে চায়। নিজেদের মতাদর্শের পক্ষে প্রচার চালানোর জন্যই তাদের এমন পদক্ষেপ। বিভিন্ন পুঁজিপতিদের ব্যবহার করে, ধান্দাবাজির লক্ষ্যেই একের পর এক সংবাদসংস্থার মালিকানা তারা নিজেদের দখলে এনেছে।
ক্ষমতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সঠিক তথ্য ও সংবাদ তুলে ধরার কাজ করেন এমন যেকোনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই বিজেপি’র সরকার এবং একই মতাদর্শে পরিচালিত বিভিন্ন সংগঠন কার্যত প্রতিশোধের কৌশল অবলম্বন করছে। এই সরকারের আমলে তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০২১-এর মতো পশ্চাৎপদ নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এমন আইন গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনায় বাধা দেয়। গুরুতর বিষয়গুলির ক্ষেত্রে বিজেপি সরকার ইচ্ছাকৃত এড়িয়ে যাওয়া (অমিশন) ও দুর্নীতির ভাগবাঁটোয়ারা (কমিশন)-র পথে চলছে। সেইসব তথ্য, খবর ইত্যাদিকে গোপন রাখতেই সংবাদমাধ্যমের উপরে দমন, পীড়ন চালানো হচ্ছে। এতে তাদের পাপ আদৌ লুকিয়ে থাকছে না বরং বিশ্বের দরবারে গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ভারতের মর্যাদার অবমাননা ঘটছে।
ক্ষমতার মুখোমুখি সত্য উচ্চারণের সাহস দেখান এমনসব মিডিয়া সংস্থা ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই দমন-নিপীড়ন ও জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে। অথচ জনসাধারণের মধ্যে বিদ্বেষ ও বিভেদ সৃষ্টিকারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বেলায় এই সরকার অকেজো থাকে। দেশের স্বার্থে, জাতি ও জনসাধারণের জন্য প্রকৃত অর্থে উদ্বেগজনক এমন বিষয়সমূহেই সরকারের মনোনিবেশ করা উচিত। নিজেদের যাবতীয় ব্যর্থতা থেকে জনসাধারণের মনোযোগ বিভ্রান্ত করার জন্য গনমাধ্যমের উপরে আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।
জয় হিন্দ