Santanu Dey
সবার চোখে ইউরোপের দিকে। ইতালির দিকে।ইরান চলে গিয়েছে আড়ালে।অথচ, তেহেরানকে লড়তে হচ্ছে একইসঙ্গে করোনা আর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উভয়ের বিরুদ্ধে।ইরানই একমাত্র দেশ, যাকে এ ধরনের কঠিন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ব্যাঙ্ক ও অর্থ লেনদেনের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে কিনতে পারছে না চিকিৎসার জন্য জরুরি সরঞ্জাম। করোনাভাইরাসকে যুদ্ধের একটি সমরাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ।তেহেরানের ভাষায়: ‘মেডিক্যাল সন্ত্রাসবাদ’!
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে ভয়াবহ মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইরানে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৩,০৪৯। মারা গিয়েছেন ১,৮১২ জন। ইতালি, চীনের পরে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।বিপরীতে, ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কঠোর থেকে কঠোরতর করা হয়েছে। কে বলবে, মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। কর্পোরেট মিডিয়া উদাসীন। দুনিয়া নির্বিকার।বিশ্ববাজার থেকে অন্যান্য পণ্যের মতোই ওষুধ আর চিকিৎসা সরঞ্জামও কিনতে পারছে না তেহেরান। ফলে মহামারির রূপ নেওয়া কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে পারছে না দেশটি। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে ইরান আইএমএফের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ৫০০ কোট ডলার ঋণ চেয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চারদশক ধরে তেহেরানের কোনও সম্পর্ক নেই। মাদ্রিদে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ইরানই একমাত্র দেশ যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজার থেকে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনতে পারছে না। যা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে ব্যাহত করছে। ‘ইরানের বিরুদ্ধে চলমান চাপকে আরও কঠোর করতে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবকে তারা ব্যবহার করছে সুযোগ হিসেবে।’