কেবল ওই এক আইনেই গ্রামের গরিবের হাতে জমি তুলে দেওয়া যায়নি। ১৯৮১ এবং ১৯৮৬-তে পাশ করতে হয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংশোধনী। জমির সংজ্ঞা বদলাতে হয়। যাতে সব জমিকে ঊর্ধ্বসীমার আওতায় আনা যায়। সীমা দিতে না পারলে বাড়তি কতটা বোঝা যাবে কি করে, কি করেই বা সরকার সেই জমিকে খাস করবে। কী করে জমি দেওয়া যাবে ভূমিহীনদের। জমির অধিকারের লড়াই কেবল আইনি বৃত্তেই সীমাবদ্ধ ছিল না। রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে বামফ্রন্ট, কৃষকসভার মতো বামপন্থী কৃষক সংগঠন অবিরত চালিয়েছে লড়াই। গ্রামাঞ্চলে বড় জমির মালিক, সীমার আওতায় পড়ে যাওয়ায় জমি হারানো জোতদার-জমিদাররা অবিরত মদত জুগিয়েছে বামফ্রন্ট সরকার বিরোধী শক্তিগুলিকে। দায়ের হয়েছে একের পর এক মামলা। লড়াই করেই রাখতে হয়েছে অধিকার।
Spread the word