‘কলকন্ঠস্বরে উদার মঙ্গলমন্ত্রে’ – নতুন বার্তা
জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী রয়েছেন। প্রচার চলছে ৭টি বিধানসভা ক্ষেত্র জুড়েই। তাতে জলপাইগুড়ি জেলা, কোচবিহার জেলা এবং দার্জিলিং জেলার শুভবোধের মানুষ চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেমেছেন। প্রধাণত দক্ষিণপন্থী চরম উগ্র ফ্যাসিস্ট শক্তি আরএসএস-এর বিরুদ্ধে এবং তাদেরই পরিকল্পনায় জন্ম নেওয়া পশ্চিমবাংলার শাসক দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচার তীব্রতা পাচ্ছে। আসলে বামফ্রন্ট প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে বটে। প্রার্থী কিন্তু বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী সমস্ত শুভবোধ সম্পন্ন মানুষের সমর্থনে এগিয়ে চলেছেন। বামফ্রন্ট, জাতীয় কংগ্রেস এমনকি বামফ্রন্টের বাইরে থাকা বামমনস্করাও আর্শীবাদের সংকেত দিয়েছেন। প্রার্থী সমৃদ্ধ হচ্ছেন। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী দেবরাজ বর্মন উল্লেখিত দুটি রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে ব্যাপক মানুষের সমর্থন নিয়ে সামনের দিকে এগচ্ছেন। পেশায় শিক্ষক উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। স্বভাবে নম্র- ভদ্র, গ্রহণযোগ্য সাধারণের মধ্যে। তরুন প্রজন্মের প্রার্থী কাকে বলে নজর দিলেই বোঝা যাবে, এই কেন্দ্রে। দেবরাজ – ৩৬ বছর বয়সে লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই-এ। নয়া উদারনীতির জামানায় শাসকদের সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি ব্যর্থতায় পৌঁছে গেছে। প্রতারণা করা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে। দুই শাসক মিলে ১০টি বছর ভোটার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। বিনিময়ে অসত্যের জারিজুরি উপহার। দৈনন্দিনতায় মানুষ যা বোঝার তা বুঝছেন। মানুষের ক্ষোভের পারদ মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, তার কিছু কিছু ইঙ্গিত প্রার্থী দেবরাজের নির্বাচনী প্রচারে, প্রতিফলিত হচ্ছে। মানুষ যে বারবার একইভাবে প্রতারণার শিকার হতে চান না, তা এবারের অনেকটাই বোঝা যাচ্ছে। পাল্লা ভারী হচ্ছে বাম-কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে।
একসাথে নির্বাচনী প্রচার মঞ্চে নির্বাচন ক্ষেত্রের মানুষের রোজকার জীবনে সমস্যা হিসাবে উঠে আসা সমস্ত বিষয়গুলোই নির্বাচনী পর্বে গুরুত্ব পাচ্ছে। সবই মানুষের দাবি। সবই সাধারণ মানুষের জীবনের দাবি। যা কোন রাজনৈতিক দলই অস্বীকার করতে পারে না। তবে এটা ঠিক, ওদের কর্পোরেট মিডিয়ার দুরন্ত ব্যবহারের জমানায়, এমনতরো দাবিগুলো চাপা দিতে ওরা লড়ে যাচ্ছে। দেশ, দেশের মানুষ, দারিদ্র, কৃষক-শ্রমিক, বেকার যুবক যুবতীর যন্ত্রণা, সামাজিক নিরাপত্তা, ইত্যাদি আক্রান্ত। আক্রান্ত জীবন জীবিকার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টিই। আড়াল করছে ধর্মের নামে। ‘এই ভারতের মহা-মানবের সাগর তীরে ভারতীয়ত্ব রক্ষার সংগ্রাম চলছে। নির্বাচনী সংগ্রামে এসবের ছায়াপাত ঘটছে।
রাজনীতি মানেই মানুষ। মানুষের জন্যই সংগ্রাম। রাজনীতি মানে বিপরীত নীতির সাথে লড়াই। লড়াই জনগণের জন্য। আর জনগণইহচ্ছে আসল শক্তি।
এসব নিয়ে কিষানের ফসলের দামনিয়ে, শ্রমিকের ঘামের দাম নিয়ে বিস্তর কথাবার্তা হচ্ছে, হবেও। যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে, দীর্ঘ সংগ্রামের ইস্যুগুলো সামনে উঠে এসেছে। যতো সামনে আসছে ততই ওরা দেবদেবীর মন্দিরে কীর্তনের আসরে, ধর্ম সভায় ভিড়ে যাচ্ছে। সেই ‘ক্ষেত্রেও’ দুই শাসকের প্রতিযোগিতা যেন অফুরন্ত। নিউ জলপাইগুড়ি বা নিউ কোচবিহার থেকে বা নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে কলকাতায় যাওয়া-আসার ট্রেনগুলো এনজেপি হয়ে হলদিবাড়ি স্টেশন দিয়ে বাংলা দেশের ভিতর দিয়ে শিয়ালদহ বা হাওড়ায় পৌঁছাবে না? তাতে সময় এবং ট্রেন ভাড়া প্রায় ৫০% কমে যাবার সুযোগ আছে। মানুষ সময়ের দাম বুঝলেও শাসক ‘সাহেব বিবিরা’ এসবে কান দিতে নারাজ। জলপাইগুড়ি থেকে নির্বাচিত সাংসদ খগেন দাশগুপ্ত, সুবোধ সেন, মানিক সান্যাল, অধ্যাপক জিতেন দাস, মিনতি সেন, মহেন্দ্র রায়’রা এই ক্ষেত্রে জনগণের দাবি সংসদে উত্থাপন করেছেন। বর্তমান সময়ে দেশের সরকার এবং দুই শাসক দল কেন এমন সম্ভবনাকে কাজে লাগাচ্ছে না, বোঝা মুস্কিল। আসলে মানুষের দাবি ‘সভ্যতার-সমস্যা’ নিয়ে ওরা ভাবিত নয়। ওদের জনপ্রতিনিধিরা অচল পয়সা।
সড়ক পথে যোগাযোগে কলকাতার সাথে উত্তরপূর্ব ভারতের গুণগত পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে – ‘তেঁতুলিয়া করিডর’ চালু হলে। তথাপি বিষয়টি উপেক্ষিত। চ্যাংরাবন্ধার বা ফুলবাড়িতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত মহল্লায় পরিকাঠামো উন্নয়নে কোন মাথা ব্যথা নেই। মানুষ ক্ষুব্ধ। দুর্নীতি, দুস্কৃতির অপ-শক্তির হাতে মানুষের কোন কল্যাণ সম্ভব যে নয়, সে কথা মানুষ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারছেন সে সব বিষয়ে মুখ খুলে দিয়েছেন। সীমান্ত বন্দরে পরিকাঠামোর উন্নয়ন জরুরী। এনজিপি-তে রেলের শিল্পটিল্প কোথায় গেল? তৎকালীন রেলমন্ত্রী বাংলার দিদিমনি – নীরব কেন? জবাব দিতে হবে। মানুষ জবাবের প্রতীক্ষায়। বিলিওনীয়ার রাজত্ব চলছে। চাষের জমি, চা-বাগানের জমি কর্পোরেটের হাতে উৎসর্গ করার কাজ চালাচ্ছে! উদ্বিগ্ন মানুষ। ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদে শামিল। জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি জাতীয় সড়কের দু’পাশ বরাবর চাষের জমিগুলো ব্যাপারীদের হাতে বন্দী। না হচ্ছে চাষবাস, না হচ্ছে জমির প্রকৃত সদ্ব্যবহার – প্রশাসন বোবাকালার ভূমিকায় অভিনয়ে মগ্ন। সরকার পাশ কাটাতে নয়া নয়া কৌশলে মানুষকে বোকা বানাতে খেলে যাচ্ছে। সেই খেলা মানুষ টের পেয়ে গেছেন। যা বোঝা যাচ্ছে মানুষের বক্তব্য থেকে।
মালবাজার মহকুমা শহরে ক্রান্তির মানুষকে রোজই যেতে হয় অনেকটা ঘুর পথে। তাতে আর্থিক ক্ষতি যেমন তেমনি সময়ও চলে যায়। তাই চেল নদীতে ব্রীজের দাবি, সরকার মন্ত্রীরা নেতা-মন্ত্রীরা চুপচাপ। মানুষের প্রতিদিনের এমন সমস্যা ওদের হাতে অর্থহীন। এখানে আবার ইডি, সিবিআই ওদের নেতাদের জন্য ঘোরাফেরা করে, কিন্তু চেলা নদীর সেতুর জন্য, জনপদের লক্ষ লক্ষ মানুষের যোগাযোগের প্রয়োজনে কোন দপ্তরের লালবাতি, নীলবাতির আনাগোনা চোখে পড়ে না। হিমালয়ের পাদদেশের ভূখন্ডের ঝোরা-নদীগুলোর ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেই। আছে নদী-জঙ্গল-মাটি-খনি লুটের রমরমা। মানুষ খারাপ কথাই বলেন। বলেন পারসেনটেজ-টারসেনটেজ নাকি কোথায় কোথায় পাঠাতে হয়। নেতা-আমলাটামলাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ‘লুট পড়েছে লুটের বাহার। লুটে নেরে তোরা।’
হ্যাঁ, যে কথা বলছিলাম – দেবরাজ বর্মনের প্রচারে চা-বাগানের সমস্যা, নদী-নালার সমস্যা, কৃষি-কৃষকের সমস্যা, ইত্যাদি সবই উঠে আসছে। প্রচারে ছাপানো কাগজপত্রেও সেসবের উপস্থিত রয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি – ঢাকা ট্রেন চলছে। আন্তর্জাতিক রেলপথ এটা। মানুষকে ব্যতিব্যস্ত না করেই উন্নয়ন সবাই চললেও, সমস্যা মিটছে না। জলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি চলাচলের পথে ৩নং ঘুমটির রেলক্রসিং দিনভর গেট বন্ধ। সড়ক পথ স্তব্ধ। সড়ক পরিবহন গতিহীন হয়ে হয়ে যায়, ঘন্টার পর ঘন্টা । মানুষ সমাধান চায়। ওদের ব্যর্থ সাংসদদের প্রতি, দল দুটির প্রতি ক্ষোভ ব্যাপক। উপরের বিষয়গুলো নিয়ে মানুষের আন্দোলন সংগ্রামও সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু সরকার কথা বলে না। মানুষই এবার উপযুক্ত শিক্ষা দেবেন – বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের তেমনটাই প্রত্যাশা।
জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের ভৌগোলিক এলাকায় ‘অহংকার’ হচ্ছে বন্ধুত্বের সম্মিলনী। তার অবস্থান। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ।তার উপস্থিতি সেই মেলবন্ধনের প্রসঙ্গকে ভেঙ্গে দিতে আরএসএস জাতের নামে বজ্জাতিতে মেতে রয়েছে। বিভ্রান্তির বাতাস ছড়িয়ে দিতে কাজ করে চলেছে দিনরাত। বিভিন্ন ‘জনজাতি-বঞ্চনাবোধ’ বা তাদের ‘সত্তা-সংকট’ উপেক্ষিত। এই নিয়ে শাসকদের কোন রকমের ‘বিচলন’ নেই। যা আছে তা হল বিভ্রান্ত মানুষ সৃষ্টির দ্বারা শ্রেণী ভাবনাকে চাপা দিতে চায়। ঐক্যবদ্ধতার ভাবনাকে খন্ডিতকরণের দিকে প্রবাহিত করাই ওদের একমাত্র ভাবাদর্শিক কাজ। তাতে ‘সামাজিক-সুস্থতা’ কুলষিত হচ্ছে। দুর্ভোগ বাড়ছে প্রান্তিক মানুষের। বাড়ছে জীবন সংগ্রামে কন্টকিত সমস্যার আবর্জনা।
ফসলের উৎপাদন বাড়াতে, কোন এলাকার মাটিতে কোন ধরণের ফসল ভালো ফলবে তার, বিজ্ঞান সম্মত নির্দেশিকা পেতে ‘মাটি পরীক্ষা কেন্দ্র’ স্থাপনায় নেই কোন কথাবার্তা। মার খাচ্ছে কৃষক। সম্ভবনা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। ওদের হেলদোলের অভাবে। কেন এই উপেক্ষা মানুষ জানতে চায়। মানুষ কাজ চায়। মানুষ রুটি চায়। মানুষ বিভ্রান্ত হতে চায় না। বিভিন্ন এলাকার ষ্টেশন সংলগ্ন বাজারগুলোর উৎপীড়ণের ব্যবস্থা আছে নেই উন্নয়নের ব্যবস্থা। নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা ক্রেতার জন্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের ব্যবস্থা। জেলার অভ্যন্তরে গায়ে গায়ে ‘টোল গেট’ জাতীয় সড়কে। হয়রানি হতে হচ্ছে চলাচলে, আর্থিক ভাবেই। দায় কার? শাসক জনপ্রতিনিধিরা কি করেন? – মানুষ জানতে চাইছে। মানুষ এই ধরণের সমস্যা থেকে নিষ্কৃতী চায়। পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের বাল্য বিবাহ, হতাশা, মৃত্যু এখন রোজকার সমস্যা। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে বঞ্চনার অভিযোগ আছে। পরিসমাপ্তি দাবি করে আজকের সময়। চা-বাগানে আইন মোতাবেক প্রাপ্য থেকে শ্রমিক কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রশাসন নীরব। সরকারের নীতি বে-সরকারী মালিকপক্ষকে সুবিধা দিয়েই চলেছে। কেন এই বন্দোবস্ত?
- প্রশ্ন আছে। শূণ্যপদে নিয়োগের দাবি তার সংগ্রাম কে না জানে? কিন্তু হচ্ছে কৈ? জনস্বাস্থ্য, নাগরিক পরিষেবা, সামাজিক-সুরক্ষা, বিভিন্ন প্রকল্প কর্মীদের পাশে না থাকা, ইলেকটোরাল বন্ডের টাকা, জতীয় সম্পদ বিক্রির টাকা, ইত্যাদি জনমনে ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠেছে।অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে করলা নদী, মালে মাল নদী, ময়নাগুড়ি শহরে জরদা নদী সহ অন্যান্য নদীগুলোর সংস্কার জরুরী হয়ে উঠেছে।পদে পদে অবহেলা রয়েছে। অরণ্য বাঁচানোর গাফিলতি দূর হোক মানুষ চায়।
সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত সপরিকল্পিত ভাবে চা বাগানের লীজ ল্যান্ডকে ফ্রী ল্যান্ড করে দিতে চেষ্টা হচ্ছে – হাজার হাজার হেক্টর জমি কর্পোরেটের হাতে তুলে দিতে চাইছে। ওরা শ্রেণী স্বার্থে, প্রতিবাদে কান দিতে চায় না। - জলপাইগুড়িতে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা উপেক্ষিত। ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটন শিল্পের বিকাশের দ্বারা সাধারণ মানুষের আর্থিক সুরাহার ব্যবস্থা সম্ভবনাময় কিন্তু উপেক্ষিত। কৃষির বিকাশে বহুমুখী হিমঘরের চাহিদা উপেক্ষিত। নদী লুটের কাহিনী উপেক্ষিত। সাংস্কৃতিক বিকাশ উপেক্ষিত। অহর্নিশ উপেক্ষার পরিবেশে জীবন কাটানো মানুষ কিছু বলতে চাইছেন। মানুষ বলবেন।শুনতে নারাজ শাসক। পরিবর্তনের ছন্দ বাম রাজনীতিতে উর্বর জমি এনে দিতে পারবে। কারণ দু’ই শাসকেরজীবন বিরোধী যাবতীয় কান্ডকারখানা মানুষের অজানা নয়।ক্ষোভের ফলে উদ্ভুত রাজনৈতিক সমীকরণ সেই দিকেই বহমান।
- স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে টানা সংগ্রাম আন্দোলন ওদের বাইনারী ভেঙ্গে দিতে সক্ষম। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া অংশকে, উন্নয়নকামী গণতান্ত্রিক মানুষ কুর্ণিশ জানাচ্ছেন। এ এক যেন পালা বদলের পালা, ছড়িয়ে পড়েছে আশাবাদ জাগ্রত করে করে। বিভাজনের শক্তিকে থমকে দিয়ে অগ্রসরমান মানুষের মেলবন্ধনের শক্তি। এ এক নতুন বাঁক অতিক্রমের বেলা এখন। ‘বন্দরের কাল হল শেষ।’
প্রাকৃতিক বিপর্যয়কেও নির্বাচনে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করবার জন্য ঝাঁপিয়ে নেমেছে দুই শাসক দল, সুপরিকল্পিতভাবে সরকারি অর্থে দেদার রাজনীতি করার ব্যবস্থা গড়ে তুলছে, - অন্যদিকে, প্রচন্ড ঔদ্ধত্বের সাথে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও বিদ্বেষ ছড়িয়ে মেরুকরণে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন চুপচাপ! দেশ ব্যাপী একদলীয় স্বৈরতন্ত্রের পথিক আরএসএস, বিজেপি বহুদলীয় গণতন্ত্রকে উপেক্ষা করছে। ওরা বিরোধী শূণ্য স্বৈরশাসন দেশে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। লক্ষ্য ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করা।
- সাধারণ মানুষই বলছেন সে গুড়ে বালি।