মূল নিবন্ধটি পিপলস ডেমোক্র্যাসি পত্রিকার ৩০ নভেম্বর,২০২০ সংখ্যায় প্রকাশিত
লেখাঃ প্রভাত পট্টনায়েক
মোদী সরকার ভারতের শ্রমিক – কৃষক, মেহনতি জনতার উপরে যেভাবে নির্লজ্জের ন্যায় অভূতপূর্ব আক্রমন নামিয়ে এনেছে শুধুমাত্র সেসবের বিরোধিতা করার জন্যই ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘট গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদিও একথা মনে রাখতে হবে যে সরকারের তরফে চাপিয়ে দেওয়া অত্যাচারসমূহ আসলে বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী কর্মসূচিরই অনুসারী। তবু এই ধর্মঘটের গুরুত্ব এসবকিছুর থেকে আরও বিস্তৃত এবং গভীর – এই ধর্মঘট আসলে সেই যুক্তিহীন, মতান্ধ রাজনীতির বিরুদ্ধে যা নিয়ে বাস্তবে খুব বেশি কথা ইদানিং বলা হচ্ছে না। বর্তমান প্রবন্ধে সেই প্রসঙ্গেই আলোচনা করা হয়েছে।
দেশের জনমানসে রাজনীতির ঝোঁক বদলে দিতে সফল হয়েছে হিন্দুত্ববাদ – দিকে দিকে এই শক্তির উদয় হওয়ার সেটাই মূল কারন। আজ থেকে একশো বছরেরও পূর্বে ১৯১৭ সালে চম্পারনে কৃষকদের দুর্দশা চাক্ষুষ করতে গান্ধীজীর সশরীরে উপস্থিত হওয়া ব্রিটিশ ভারতে রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল – সেই ঘটনার পরে এতদিনে আরেক নতুন ধরণের মত দেশের রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে কর্তৃত্বের আসনে বসেছে। গান্ধীজীর চম্পারনে হাজির হওয়ার পর থেকে ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশবাদ বিরোধী মুক্তি সংগ্রাম ও তার পরবর্তীকালে হিন্দুত্ববাদী শক্তির ক্ষমতায় আসীন হওয়ার আগে অবধি স্বাধীন ভারতেও তার অনুসৃত পথের রাজনীতি জনজীবনের খাওয়া-পরার প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই মূল স্রোত হিসাবে বহমান থেকেছে। এধরণের রাজনীতিকেই মার্কস কিছুটা অন্যস্বরে মানুষের ব্যাবহারিক জীবনে “এই পার” বলে অভিহিত করেছিলেন। এই পর্বে রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য হিসাবে স্থির থেকেছে জনগণের বস্তুগত জীবনমানের উন্নতিসাধন এবং ভারতে যাবতীয় রাজনৈতিক শক্তিসমুহের দোলাচল সেই সম্ভাব্য উন্নতিসাধনের কল্পেই আবর্তিত হয়েছে। এই প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন অবস্থান গ্রহণ সত্বেও একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় দারিদ্র, বেরোজগারি কিংবা কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উন্নতিসাধন, উন্নয়ন, স্বাস্থ্যপরিষেবা, শিক্ষা এবং এই ধরণের বিষয়গুলিই ছিল সেই মূল রাজনৈতিক প্রশ্নের সাথে সম্পৃক্ত।
এমনকি ইন্দিরা গান্ধীর কুখ্যাত জরুরী অবস্থা যাতে জনগনে অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে তার কর্তৃত্ব অনুসরণকারী বিধিব্যাবস্থা জারী হয় তখনও পূর্বোল্লিখিত রাজনৈতিক বিষয়গুলির পরিবর্তন হয় নি। তখন তিনি নিজের বিশ দফা কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে দিয়ে জরুরী অবস্থাকে জনজীবনের যাবতীয় বাস্তব সমস্যার সমাধানে এক সর্বরোগহর দাওয়াই হিসাবে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছিলেন। বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রসঙ্গে বলা যায় বিজেপি কোনোরকম সমাধানসুত্র ঘোষণায় অপারগ, যদিও অর্থনৈতিক সমস্যাবলি সম্পর্কে নিজেদের ধামাধরা কর্পোরেট কিংবা বিদেশী প্রভুবৃন্দদের বাতলে দেওয়া কতিপয় চালাকি ব্যাতিরেকে কোনদিনই তাদের সেভাবে কিছুই বলার থাকেনা।
আসলে তারা চিরকালই দেশের রাজনীতির মূল ইস্যুগুলিকে বদলে দিতে চেয়েছে, জনমানসে রাজনীতির প্রধান বিষয়গুলিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছে। মন্দির নির্মাণ, মসজিদ ধ্বংস, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ কোন ঘটনায় জড়িয়ে থাকলেই তাতে সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রের হদিশ খোঁজা, সর্বত্র ঘৃণার প্রচার করে যাওয়া এবং মানুষে মানুষে বিভেদ প্রতিষ্ঠা করতে সংগঠিত যুক্তিহীন, মতান্ধ রাজনীতির চর্চার দ্বারা তারা সর্বদাই চেয়েছে দেশের রাজনৈতিক মৌলিক প্রশ্নগুলিকে পাল্টে দিতে। যুক্তিহীন, মতান্ধতার এই প্রচার এবং প্রসারকার্যে একান্তভাবেই প্রয়োজন পড়েছে ঘৃণার প্রচার করার যাতে তথ্য এবং প্রমান ছাড়াই ইতিহাস এবং পুরাণের গল্পের মধ্যেকার ফারাক মুছে দেওয়া যায়।
বর্তমানে উদার অর্থনীতি নিজের চলচ্ছক্তি হারিয়ে মুমূর্ষুদশাপ্রাপ্ত হওয়ায় কর্পোরেট – বিনিয়োগকারী আভিজাত্যের একান্তই প্রয়োজন ছিল দেশের রাজনীতিতে এমন এক যুক্তিহীন-মতান্ধ শক্তির যাকে পিছন থেকে সরাসরি সমর্থন করার ফলাফলে তাদের মুনাফা কামানো নিশ্চিত হয়। উদার অর্থনীতির পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে এযাবৎ যতসব আর্থিক যুক্তির আমদানি করা হয়েছিল তার কোনকিছু দিয়েই আর এই ব্যাবস্থাকে টিকে থাকতে সক্ষম প্রমান করা যাচ্ছে না। অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনকিছুই আর নিচের দিকে চুঁইয়ে নেমে আসছে না বলে এমন হচ্ছে তাই শুধু নয়, নিতান্ত পরোক্ষ অর্থেও আর্থিক প্রগতি বলতে যা বোঝায় তা হাল আমলে যথেষ্টই হয়েছে, কিন্তু নয়া উদারবাদী অর্থনীতির গভীর সংকটের ধাক্কায় বেরোজগারি–কর্মসংস্থানের চিত্রটি এতটাই করুণ যে সেইসব প্রগতির পরিসংখ্যান চলমান ব্যাবস্থার পক্ষে জনমানসে সাহস যোগাতে সম্পূর্ণ ব্যার্থ। এই নতুন টালমাটাল পরিস্থিতিতে লগ্নীপূঁজির পক্ষে জরুরী ছিল দেশের রাজনীতির মোড় পাল্টে দিতে সক্ষম এমন একটা শক্তির, আর তাই তারা বিজেপি’কে ক্ষমতায় বসাতে নিজেদের টাকাপয়সার ভাঁড়ার খুলে দিয়েছিল।
বিজেপি’র পক্ষে ততদিনই দেশের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব যতদিন জনমানসে তাদের প্রচারিত যুক্তিহীন-মতান্ধ রাজনীতির চর্চা টিকে থাকবে এবং কোনোরকম বিরুদ্ধ রাজনৈতিক মতবাদের মাথাচাড়া দেওয়া রুখে দেওয়া যাবে। এই পর্বে শ্রেণীসংগ্রামের রাজনীতি নানা চেহারায় নিজেকে বারে বারে লড়াইয়ের ময়দানে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইবে এবং যেদিন তা রাজনীতির মূল স্রোতে মিশে যাবে সেদিনই এই যুক্তিহীন-মতান্ধ রাজনীতির বাড়বাড়ন্ত সাঙ্গ হবে। নয়া উদারবাদী অর্থনীতির নিজস্ব সংকটের ঘাড়ে চেপে বসেছে কোভিড-১৯’এর সংকট এবং তার ফলে জনগণের দুর্দশার মাত্রা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় শ্রেণীসংগ্রামের সেই রাজনীতিকে বেশিদিন আটকে রাখা যাবে না, এই লড়াই বারে বারে ময়দানে হাজির হতে থাকবেই এবং বিজেপি’র কর্তৃত্বকারী রাজনীতিকে ভয় দেখাবে।
২০১৯ সালে দেশে সাধারন নির্বাচনের প্রাক্কালে দিল্লি এবং তারপরে মহারাষ্ট্রে কিষাণ মার্চ চলাকালীন শ্রেণীসংগ্রামের রাজনীতি ব্যাপক চেহারায় লড়াইয়ের ময়দানে হাজির হয়। কিন্তু তখনই পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং বালাকোটে বিমান হামলার ঘটনা ঘটে যায়, যার ফলশ্রুতিতে হিন্দুত্বের রাজনীতি স্বমহিমায় পুনরায় প্রাধান্য লাভ করে এবং দ্বিতীয়বারের জন্য মোদী সরকারকে শাসনক্ষমতায় আসীন করে।
গণতান্ত্রিক অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং জনজীবনের উপরে দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত মোদী সরকার আগেরবারের চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত, সুসংহত এবং নির্মম আক্রমন নামিয়ে আনে। সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা অপসারণ, রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করা, বিভেদমূলক নাগরিকত্ব আইন প্রনয়ন, কৃষিসম্পর্কিত তিন আইন এবং একশো বছর আগে লড়াই করে পাওয়া শ্রমিকদের অধিকারসমুহকে কেড়ে নিতে আইন পাশ করা এসবই হলো সেই লক্ষ্যে সরকারী কৃতকর্মের কয়েকটি নমুনা মাত্র, যদিও এগুলি সরকারের উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দিতে যথেষ্ট। মাত্র চারঘন্টার সময়সীমায় সারা দেশে লকডাউন জারী করা হয়, এতে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক রোজগারহীন হয়ে পড়ে, তাদের আশ্রয়টুকুও চলে যায়। কাজ হারানো পরিবারগুলির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্লজ্জের ন্যায় কৃপণ মনোভাব ছাড়া আর কিছুই দেখানো হয় নি, অথচ অন্যান্য উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলিতে ঐ একই প্রসঙ্গে শ্রমিকদের অনেকবেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতেই স্পষ্ট হয় এমনকি পুঁজিবাদী ন্যায্যতার মাপকাঠিতেও মোদী সরকার কতটা অমানবিক এবং আগাগোড়া অকর্মণ্য। লকডাউনের সময়কে কাজে লাগিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নাগিরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনকারীদের ব্যাপক হারে গ্রেফতার করা শুরু হয়, অথচ এই অতিমারির কারনেই তারা নিজেদের সেই আন্দোলন মুলতবি রেখেছিলেন।
জনগণের উপরে এইসমস্ত আক্রমনের খতিয়ান এটাই স্পষ্ট করে যে মোদী সরকার আগের চাইতে অনেক বেশি তীব্রতায় রাজনৈতিক হিন্দুত্বের কর্মসূচিকেই যেনতেনপ্রকারেন রুপায়িত করতে ব্যাগ্র। এই রাজনৈতিক হিন্দুত্বের কর্মসূচি পুরোটাই ষড়যন্ত্র, দেশদ্রোহিতার কথামালায় ভরা এবং তা সর্বত্র নিরাপত্তার নামে আক্রমন চালিয়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করতে চায়। এই উদ্দেশ্যেই সরকারের কাজে একধরনের লাম্পট্যের চেহারা ফুটে ওঠে – যতবেশি সরকারের পক্ষে জনগণের দুর্দশার নিরসন করা অসম্ভব হয়ে উঠছে ততই বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়ছে বাস্তব জীবনের সমস্যাবলির থেকে জনগণের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার। এই কারনেই তার আরও বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়ছে রাজনৈতিক হিন্দুত্বের আরও বিস্তৃত কর্মসূচি প্রণয়নের। তাই দিন প্রতিদিন আরও বেশি উদ্ভট এবং মোহময় সব কল্পকাহিনীর তৈয়ারি করা চলছে। জনগণকে সমস্যার আসল কারণসমূহের থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে অতিকষ্টকল্পিত, বিকৃত সব কিংবদন্তিকে উদ্ভাবন করতে হচ্ছে।
অমর্ত্য সেন উল্লেখ করেছেন প্রকৃত সমস্যাগুলির সমাধান না করে মোদী সরকারের প্রয়োজন এমন সব বিকট কাজকর্ম করা যাতে জনগন সেইসব নিয়েই মেতে থাকেন। বাস্তবে সরকারকে তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু করতে হচ্ছে, যতদিন যাচ্ছে জনজীবনের বাস্তব দুর্দশার ছবি ফুটে উঠছে এবং তাকে ঢেকে রাখতে গিয়ে ক্রমাগত গল্প বানানো চলছেই – আর এসবই হচ্ছে যুক্তিহীনতা–মতান্ধতার রাজনীতি সম্পৃক্ত হিন্দুত্বের কর্মসূচি রুপায়ন করার জন্য। অপ্রকিতস্থ কল্পনার সুখময় জীবনের নামে নানা গাঁজাখুরির অধীনে জনগণকে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক হিন্দুত্বের মধ্যে নিহিত অগণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষতাহীনতার যে বীজ রয়েছে তা অনেকেই বুঝেছেন। গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অন্যান্য যেসকল সাংবিধানিক মূল্যবোধের উপরে ভিত্তি করে স্বাধীন ভারত জন্ম নিয়েছিল তার রাজনৈতিক দিশা ছিল জনগণের বাস্তব জীবনের অভিমুখে যাকে জীবনের “এই পার” বলা যায়, যে দিশায় মানুষের ইহজীবনের সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে চলতে হয়। তাই হিন্দুত্বের নেতৃবর্গ যতই প্রকাশ্যে গলা ফাটিয়ে সংবিধানের প্রতি তাদের আনুগত্য জাহির করুন না কেন, তারা বাস্তবে যে রাজনৈতিক কর্মসূচি চর্চা করছেন তাতে শেষ অবধি সাংবিধানিক মূল্যবোধগুলিকেই প্রতিরুদ্ধ করা হয়।
অত্যন্ত হাস্যকর হলেও একথা সত্য যে হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীগণের অশেষ প্রচেষ্টা সত্বেও জনজীবনের বাস্তব সমস্যাগুলি একের পরে এক প্রকট হতেই থাকছে এবং যত সেইসব প্রকাশ্যে আসছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে এই হিন্দুত্বের মতবাদ বস্তুত ক্ষয়িষ্ণু। সদ্যসমাপ্ত বিহারের নির্বাচন আরও একবার বেরোজগারি-কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে সামনে এনে দিয়েছে। আশ্চর্যের হলেও একথা স্বীকার করতেই হবে যে এনডিএ’র পক্ষ থেকে যতই আস্ফালন করা হোক না কেন বিরোধীরা খুবই ভাল ফল করেছে (এমনকি তারা এনডিএ’র তুলনায় অধিক ভোটারদের নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে)। বিহার নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে সর্বাধিক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত এটাই যে এই ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে যুক্তিহীনতার রাজনীতি, মতান্ধ রাজনীতি আর অজেয় নয়, তাকে ছুঁড়ে ফেলা যায়।
২৬ নভেম্বরের ধর্মঘট সেই ইতিবাচক রাজনীতিরই পরবর্তী ধাপের কর্মসূচি। জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রস্থলে পুনরায় যুক্তিবাদ প্রতিষ্ঠার কর্তব্য সম্পর্কে এই পদক্ষেপ এখনও অবধি এদেশে সবচেয়ে বলিষ্ঠ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। একথাও স্মরণে রাখতে হবে যেহেতু গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের পুনরুদ্ধার আসলে নির্ভর করে থাকে যুক্তিবাদী রাজনীতির সদর্থক চর্চার উপরেই, তাই ২৬ নভেম্বরের এই ধর্মঘট জনজীবনের বাস্তব সমস্যাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হলেও একইসাথে তা আমাদের গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার লক্ষ্যেও উদ্দেশ্যকৃত।
অনুবাদঃ ওয়েবডেস্কের পক্ষে সৌভিক ঘোষ