১২ জানুয়ারী ২০২৩
১৮৯৪ সালের নভেম্বরে শিকাগো থেকে দেওয়ান হরিদাস বিহারীদাস দেশাইকে একটি চিঠিতে বিবেকানন্দ লিখছেন – “কোথায় ইতিহাসের কোন যুগে ধনী ও অভিজাত সম্প্রদায়, পুরোহিত ও ধর্মধ্বজিগণ দীনদুঃখীদের জন্য চিন্তা করিয়াছে? অথচ ইহাদের নিষ্পেষণ করাতেই তাহাদের ক্ষমতার প্রাণশক্তি। … দরিদ্রগণের মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা এত বেশী কেন? একথা বলা মূর্খতা যে তরবারির সাহায্যে তাহাদিগকে ধর্মান্তরগ্রহণে বাধ্য করা হইয়াছিল। … বস্তুত জমিদার ও পুরোহিতবর্গের হস্ত হইতে নিষ্কৃতিলাভের জন্যই উহারা ধর্মান্তর গ্রহণ করিয়াছিল । আর সেইজন্য বাংলাদেশ, যেখানে জমিদারের বিশেষ সংখ্যাধিক্য, সেখানে কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে হিন্দু অপেক্ষা মুসলমানেরই সংখ্যা বেশী।”
নাম না বলে দিলে যে কেউ ভাবতেন ভারতবর্ষের আদি সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে এমন গভীর ও বাস্তব বিশ্লেষণ নিশ্চয়ই কোনও মার্কসবাদী পন্ডিতের। অথচ এই বিবেকানন্দই যথেষ্ট গর্বিত ছিলেন তাঁর ‘হিন্দু’ পরিচয় নিয়ে। ধার্মিক বিবেকানন্দ একেক সময়ে এমন কথা বলেছেন যা মহিলাদের পক্ষে এ যুগে সে যুগে যে কোনও সময়েই যথেষ্ট অবমাননাকর। প্রগতির গতির বিপরীতে চলতে প্রভাবিত করে এমন অনেক মন্তব্য বা কাজই তিনি করেছেন। ধর্মপ্রচারক হিসেবেই যে তাঁর দুনিয়াজোড়া ব্যপ্তি তা নিয়েও কোনও সংশয় নেই। কিন্তু শুধু এসব দিয়ে মাপলে তাকে চেনা জানা অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। প্রথমেই মনে রাখা দরকার, বিবেকানন্দ মানেই স্ববিরোধীতা। জীবনের প্রথমে যা বলেছেন শেষে এসে বলেছেন প্রায় তার বিপরীত। অল্প সময়ের ব্যবধানেও এমন অনেক স্ববিরোধ দেখা যায়। বিবেকানন্দের কিছু কথার দিকে তাকালে যেমন নিশ্চিত হয়ে যেতে ইচ্ছে করে যে তিনি ছিলেন চরম ব্রাহ্মণ্যবাদী। কারণ পরিস্কারভাবে তিনি লিখেছেন, “ভারতে ব্রাহ্মণই মনুষ্যত্বের চরম আদর্শ।” আবার সেই তিনিই উপরের চিঠির অংশটিই শুধু লেখেননি, ভারতবর্ষে ‘শুদ্র জাগরণ’ এর স্বপ্নও সেই সময়ে কার্যত একাই দেখেছিলেন। যদিও, তিনি একা নন, তাঁর সমসাময়িক উনিশ শতকের বহু গুরুত্বপূর্ণ মানুষের ক্ষেত্রেই এটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য। ইতিহাসবিদদের অনেকেরই মতে আস্ত উনিশ শতকই হল ‘Era Of Confusion’।
এই দেশ বহু সাধু সন্ন্যাসীর জন্ম দিয়েছে। তারা প্রায় প্রত্যেকেই জীবন সমাজ থেকে আড়ালে এক উন্নাসিক জীবন যাপন করেছেন। বিবেকানন্দ সেখানেও ব্যতিক্রম। তিনি গোটা ভারত ঘুরেছেন। নিজের পরিব্রাজক পরিচয় নিয়ে যথেষ্ট গর্বিত ছিলেন। হেঁটেছেন, দেখেছেন, বুঝেছেন। সমাজে অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য তার হৃদয় কেঁদেছে। তাঁর বিভিন্ন লেখায়, বক্তৃতায় এক ‘নতুন ভারত’ এর উদয়ের আকাঙ্খা শোনা যায়। যে ভারত উঠে আসবে অন্ধকার থেকেই কিন্তু নিয়ে যাবে আলোর দিকে। তিনি বলছেন, “নূতন ভারত বেরুক কারখানা থেকে, হাট থেকে, বাজার থেকে, ঝোপ-জঙ্গল-পাহাড়-পর্বত থেকে।” কিংবা, “নূতন ভারত বেরুক, চাষার কুটির ভেদ করে, জেলে, মালো, মেথরের ঝুপড়ির মধ্য থেকে।” – অর্থাৎ প্রান্তিক মানুষের আঁতুরঘর থেকে। ভারতের ইতিহাসকে তিনি ব্যখ্যা করেছেন ‘শ্রেণী শাসনের ইতিহাস’ হিসেবে। যদিও তাঁর এই শ্রেণী, মার্কসবাদীদের শ্রেণীর সাথে তফাতেই থাকে। মূলত জাতিভেদের দৃষ্টিকোণ থেকেই তিনি বলেছেন। তবুও, বৈশ্য শাসনের সময়কালকে ব্যখ্যা করতে গিয়ে তিনি যেভাবে তাকে ‘রক্ত পিপাসু ক্ষমতা’ বলে ব্যক্ত করেছেন তার সাথে মার্কসের পুঁজিকে দেখার বিশেষ দুরত্ব নেই। বিবেকানন্দের চিন্তা ভাবনার মূল আঁধারটি আধ্মাত্বিক এ বিষয়ে কোনও সংশয় নেই কিন্তু শুধুমাত্র এই কারণে আজকের ভারত যেখানে ধর্ম এবং ধার্মিকের উন্মাদনা একেবারেই আলাদা দুটো বিষয় সেখানে বামপন্থী প্রগতিশীলদের আরও একবার ভেবে দেখা উচিৎ তাকে দূরে ঠেলে দেওয়া ঠিক হবে কিনা। কারণ ঈশ্বর, ধর্ম ইত্যাদি খোলসের মাঝে বিবেকানন্দ আদতে মানবসেবাকেই জীবনের কেন্দ্রে ধারণ করতে চেয়েছিলেন। ‘জীবে প্রেম’ ই যে আসলে ঈশ্বর প্রেম – এত সহজে এর আগে এ দেশকে আর কেই বা বুঝিয়েছেন! রবীন্দ্রনাথ ভেবেছিলেন ‘জীবনদেবতা’কে। বিবেকানন্দের এই ভগবানকে আমরা ‘মানবদেবতা’ বলতেই পারি! আজকের ‘হিন্দু’বীরেরা রীতিমতো চমকে যেতে পারে যদি শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে তাঁর বক্তৃতার দিকে তাকাই। গোটা বিশ্বের ধর্মপ্রচারকদের সামনে তিনি বলছেন, “যে ধর্ম চিরকাল জগৎকে পরমতসহিষ্ণুতা ও সর্বাধিক মত স্বীকার করার শিক্ষা দিয়া আসিয়াছে, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। যে জাতি সকল জাতি ও ধর্মের নিপিড়ীত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়ে এসেছে আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া গৌরবান্বিত।” আরও বলেছেন, “সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে। ইহারা পৃথিবীকে হিংসায় পূর্ণ করিয়াছে, বরাবার ইহাকে নরশোণিতে সিক্ত করিয়াছে, সভ্যতা ধ্বংস করিয়াছে এবং সমগ্র জাতিকে হতাশায় মগ্ন করিয়াছে। এই-সকল ভীষণ পিশাচগুলি যদি না থাকিত, তাহা হইলে মানবসমাজ আজ পূর্বাপেক্ষা অনেক উন্নত হইত।” – আখলাকের খুনীরা, এনআরসি’র প্রবক্তারা এই বিবেকানন্দকে পড়েছেন কি? তারা কি বিবেকানন্দকেও ধর্মবিরোধী বলে দাগিয়ে দিতেন?
বিবেকানন্দের সময়কাল ছিল কলকাতায় নবজাগরণের কাল। ডিরোজিও মধুসূদনরা যে ইউরোপীয় সংস্কৃতিকে পাথেয় করে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি ছিলেন তার থেকে শত হস্তের দুরত্বে। সেকারণে, সময়ের নিরিখে প্রগতির সংজ্ঞায় বিবেকানন্দ আসেননি কখনই। পরে মার্কসবাদীরাও ভাবেননি সেভাবে। অথচ, যে সময়ে ভারতে কেউ সেভাবে প্রকাশ্যে সবহারা এবং তাদের ক্ষমতায়নের কথা বলছেন না সেই সময়েই ‘বর্তমান ভারত’ বইতে বিবেকানন্দ লিখছেন, ”সোশ্যালিজম এর মত মতগুলি আসন্ন সমাজ বিপ্লবের অগ্রদূত।” মার্কসবাদীরা যেভাবে সমাজতন্ত্রকে দেখেন তার সাথে বিবেকানন্দের কোনও পরিচয় ছিল না। মার্কস লেনিন এবং তাদের লেখাপড়া ভাবনার সাথে সাক্ষাতেরও কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু তিনি সেই সময়েই ভারতের দৃষ্টিকোণে ভেবেছিলেন এবং প্রচারক হয়ে উঠেছিলেন ‘শূদ্র বিপ্লব’ এর। আজকের ভাষায় সাবঅলটার্ন রেভ্যুলেশন। নবজাগরণ পরবর্তী সময়ে এক দল আগুনখোর যেভাবে সমাজের চিরায়ত কাঠামোয় আঘাত করেছিলেন তাদের পশ্চিমী লেখাপড়ার তরোয়াল দিয়ে, বিপ্রতীপে বিবেকানন্দ প্রাচ্যের মূল্যবোধ ও সনাতনী কুঠার হাতে লড়েছেন জাতপাত, কুসংস্কার এর মত ব্যাধির বিরুদ্ধে। সেই উর্বর মাটির উপর দাঁড়িয়ে এ দেশে বা বাংলায় পরবর্তীতে ফলেছে শ্রেণী সংগ্রাম। কমিউনিস্ট নেতা ইএমএস নাম্বুদ্রীপাদ যে কারণে কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আলোচনা সভায় তাকে উনিশ শতকের নবজাগরণের অন্যতম নেতা হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। বিবেকানন্দ বলেছেন, “ভারতবর্ষের প্রকৃত শাসনক্ষমতা জনসাধারণের হাতে ছিল না । যারা ক্ষুধিত বঞ্চিত, যারা নিচুরতলার মানুষ, মার-খাওয়া মানুষ, যারা ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্তভাবে সংগ্রাম করছে, তারা কোনো সময়ে এমনভাবে দানা বাঁধতে পারেনি, যাতে ক্ষমতাটা তাদের হাতে আসতে পারে । পারস্পরিক স্বার্থের খাতিরে ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয়েরা একত্র হয়েছে । কিন্তু গণশোষণের বন্যার গতিটি কোনো সময়ে স্তিমিত হয়নি, বরং ক্ষুরধার হয়েছে।” তাঁর ব্যখ্যা অনুযায়ী ভারতে যখন যে দখল করতে এসেছে মার খেয়েছে নীচুতলার মানুষ। অর্থাৎ তাঁর ভাষায় শূদ্ররা। এই সমস্তকে কেবলই আধ্মাত্বিক বলে দাগিয়ে দিলে বোধহয় অন্যায় হবে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাপক হীরেন মুখার্জির মত। তিনি বিবেকানন্দকে ব্যখ্যা করছেন এভাবে – ‘Vivekananda knew as Marx did, that men can not make history as they please, but in building the future they have to use bricks left by the past. it is totally unfair to lebel Vivekananda’s work as only religious nationalism.”
অন্যদিকে ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত’র কথা জানেন অনেকেই। ‘যুগান্তর’ পত্রিকার এক সময়ের সম্পাদক বৃটিশ বিরোধী সশস্ত্র লড়াইতে যোগ দিয়ে জেল খেটেছেন। পরবর্তীতে সময়ের প্রবাহে একসময়ে তিনি মার্কসবাদে মনযোগ দেন। লেনিনের সাথেও তার যথেষ্ট সখ্যতা হয়েছিল। ভূপেনন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত অর্থাৎ বিবেকানন্দের সহোদর। বিবেকানন্দ জীবিত থাকাকালীনই সশস্ত্র বিপ্লবীদের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। এই সমস্ত কাজে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন সিস্টার নিবেদিতা। বিপ্লবীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানা সহযোগিতা করতেন নিবেদিতা। আর বিবেকানন্দ তাঁর ঘনিষ্ঠ কক্ষপথের একেবারে সামনের দিকে থাকা এমন দুজনের এহেন কর্মকান্ড সম্পর্কে পুরোপুরি অন্ধকারে ছিলেন তা বিশ্বাস করা যথেষ্ট কঠিন। বরং প্রচ্ছন্ন সমর্থন না থাকলে এই দুজনের পক্ষে বৃটিশের চোখ এড়িয়ে এই সমস্ত বিপ্লবী কাজে যুক্ত থাকা অসম্ভব ছিল বলেই অনেক মনে করে।
আসলে, বিবেকানন্দকে ব্যখ্যা করতে গেলে বোধহয় ইংরেজি ‘এক্সপ্লোরার’ শব্দটির শরণাপন্ন হতেই হয়। নাতিদীর্ঘ জীবনের নানা বাঁকে নানা ‘মত’, নানা ‘পথ’ তিনি হেঁটেছেন। মুহূর্তের জন্য থমকেছেনও। আবার হেঁটেছেন। ‘স্বামিজী’ হিসেবে বিবেকানন্দের মুখ্য আগ্রহের স্থান যে ছিল ধর্ম তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তবে তাঁর ধর্মের ধারণা আর আজকে রাজনীতির স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করছে যে কারবারিরা তাদের মধ্যে অসেতুসম্ভব দুরত্ব। সম্প্রদায়, বিভাজন তো নয়ই, বিবেকানন্দ ধর্মকে কখনই শুধুমাত্র মন্ত্র, বিগ্রহ, আচার উপাচার ইত্যাদির নিরিখে দেখেননি। বরং তাঁর কাছে ধর্ম ছিল ঐতিহ্য, জীবন ও নীতিবোধ। হিন্দু ধর্মের জাতপাত ও নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই গর্জে উঠেছেন তিনি। গো-রক্ষনাবেক্ষনে আগ্রহী এক দল ধার্মিককে তাঁর বকাঝকা করার কাহিনী তো ইদানিং অনেকেই জেনেছেন। দেশের আসল মা এবং তাদের সন্তানেরা যেখানে অভুক্ত সেখানে গো-মাতার ভুড়িভোজের আয়োজনে তিনি যথেষ্টই বিরক্ত হয়েছিলেন। তাহলে বিবেকানন্দ কেন সমাজ সংস্কারের অস্ত্র হিসেবে ধর্মকেই বেছে নিলেন? তাঁর সমসময়ে সেটাই স্বাভাবিক এবং সহজ। রামমোহন সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে জনমত সংগ্রহ করতে নেমে বেদ, উপনীষদ ইত্যাদি পাতার পর পাতা ‘কোট’ করেছেন। দেখিয়েছেন সনাতনী ধর্মগ্রন্থে নিদান দেওয়া রয়েছে যে, স্বামী বিয়োগের পর বিধবা মেয়েরা কি কি করতে পারবেন কি কি পারবেন না। অর্থাৎ তাদের মেরে ফেলা হবে না। অতএব, সতীদাহ প্রথাই হল প্রকৃতপক্ষে ‘ধর্মবিরোধী।’ ধর্মকে বাদ দিয়ে সে সময়ে যে কোনও কিছুই কার্যত অসম্ভব ছিল এ দেশে।
এ লেখার উদ্দেশ্য বিবেকানন্দের গেরুয়া বসনে লালের ছিটে দেওয়া নয়। তিনি যা নন তাকে তা বানানো নয়। বরং তিনি যা, যাতে আমরা সেটুকুকে এড়িয়ে না যাই সেজন্যেই এত কথা। বিবেকানন্দকে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী, সমাজবলের সেনাপতি এই সবের কোনওভাবেই পড়ব না। চিরায়ত ইতিহাস তাকে যেভাবে দেখেছে সেই দেখা খুব ভুল না। প্রথমত তিনি একজন সন্নাসী, ধর্মপ্রচারক কিন্তু অন্য সন্তদের সাথে তার তফাৎ সমাজকে দেখায়। সেখানে তিনি বরাবর হেরে যাওয়া, পিষে মরা মানুষের পক্ষে। ধর্মকে তিনি ‘নেশা’ হিসেবে দেখেননি। সংকীর্ণতা নানা সময়ে গ্রাস করেছে তাকে কিন্তু মানবসেবাই ছিল তার যাবতীয় কর্মকান্ডের প্রাথমিক প্রবণতা। মানবমুক্তিই ছিল তার চিন্তাভাবনার স্বাভাবিক প্রকৃতি। আজকের ধর্মের কারবারিরা যতই বিবেকানন্দকে ‘আমাদের লোক’ বলে পুজো করুক না কেন, জীবিত থাকলে এদের প্রতি তিনি খুব একটা প্রসন্ন হতেন এমন মনে করার কোনও কারণ ইতিহাস আমাদের দেয় না।