মুখ্যমন্ত্রী করোনা ভাইরাসকে পাশবালিশ করে ঘুমাতে বলার পর করোনা সংক্রমণ রাজ্যে জেট প্লেনের গতিতে বেড়ে চলেছে। শুধু কলকাতা বা তার আশপাশের জেলাগুলোই নয় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতেও সংক্রমণ ব্যাপকহারে বাড়ছে। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সরকার যখন উদাসীন তখন এই অতিমারির মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন করে তুলতে পথে নামলো সিপিআই(এম) সহ বামপন্থী ও সহযোগী দলসমূহ। ১৮-১৯ জুলাই রাজ্যের সর্বত্র কোথাও পোস্টারিং, লিফলেট বিলি, রিক্সা-অটো-টোটোতে মাইক প্রচার, কোথাও মাস্ক বা স্যানিটাইসার বিলির মধ্যদিয়ে, কোথাও আবার বামপন্থী কর্মীরা স্প্রে করে জীবাণুমুক্তের কাজ করার মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়। বিভিন্ন জেলায় বামপন্থী ছাত্র-যুব-মহিলা-শ্রমিক-কৃষক-শিক্ষক সংগঠন গুলির সাথে সাথে বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরাও এই সচেতনতা প্রচার অভিযানে সামিল হন। দক্ষিণবঙ্গের সাথে সাথে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতেও এই কঠিন সময়ে সংকীর্ণ রাজনীতির বদলে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের মতো করোনা মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন করার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বামপন্থীরা।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান কয়েকদিন আগেই ১৬ দলের নেতৃত্ব আলোচনার মাধ্যমে এই কর্মসূচী গ্রহণ করেন। এই কর্মসূচীর পরে জুলাই মাসের শেষে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচীও নেওয়া হবে।8