২৭জুন,২০২০
ওয়েবডেস্কের নিবেদন
দীর্ঘ ১১বছর পড়ে খোলা হল নন্দীগ্রামের পার্টি অফিস কমরেড সুকুমার সেনগুপ্ত ভবন।
দোতলার বাঁ দিকে এখনও কালো পোড়া দাগ। ঐ দাগ শুধু মাত্র একটা আগুনে পোড়ার দাগ নয়, ঐ দাগ, মাওবাদী তৃণমূল জোটের তান্ডবে বিধ্বস্ত , নন্দীগ্রামের বিস্তির্ণ এলাকার পৈশাচিক নৃশংসতা এবং উল্লাসের দাগ। ঐ পার্টি অফিসটা ওরা ১১ বছর আগে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। টিভিতে, সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল সেই দৃশ্য।
দৃশ্যটা, টিভিতে দেখে, অনেক পার্টির কর্মী সমর্থকরা চোখের জল আটকাতে পারেনি।
গতকাল ১১বছর পরে নন্দীগ্রাম ব্লক ওয়ান-এর কমরেড সুকুমার সেনগুপ্ত ভবন আবার খোলা হল। নতুন করে উদ্বোধন করা হল। সারাবাড়ি লাল পতাকা দিয়ে সাজিয়ে দিল সাধারণ মানুষ। মানুষের ভ্রম ভাঙছে।
পরিযায়ী শ্রমিকরা যারা ভিন রাজ্য থেকে সহায় সম্বলহীন গ্রামে ফিরেছেন। যাদের দুবেলা খাবারের জোগাড় করে দেয়নি রাজ্য ও কেন্ড সরকার। উল্টে আমফান ও লক ডাউনের জন্য সাধারণ মানুষের ত্রাণ নিয়ে, চলছে শাসক দলের চুরি ,রাহাজানি। সেই সময় রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মত নন্দীগ্রামে ও সীমিত ক্ষমতা ও সিংহ হৃদয় নিয়ে দুঃস্থ মানুষের কাছে ত্রাণ তুলে দিল সিপিআই(এম) কর্মীরা।
রাজ্য পার্টির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বলেছেন নন্দীগ্রামের মানুষ ও কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে অভিবাদন জানিয়ে বলেছেন,
“নন্দীগ্রাম !! হাঁ এটা সেই নন্দীগ্রাম। মানুষ বুঝেছে সেদিন তাদের ভুল বুঝিয়েছিল রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য। বাড়ি ফিরে এসেছেন অন্যরাজ্যে মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে লক ডাউন ঘোষণায় আটকে পড়া শ্রমিকরা দুর্গম পথে পাড়ি দিয়ে। সবাই মিলে ঝুঁকি নিয়ে, চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে লাল ঝান্ভা তুলেছেন তৃণমূল-মাওবাদী জোটের পুড়িয়ে দেয়া পার্টি অফিসে। আজকে মানুষের প্রকৃত বিপদে সেই নন্দীগ্রামে মানুষের পাশে বামপন্থীরাই। রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতা দখল করে যখন চলছে সাধারণ মানুষের চাল, ত্রিপল ইত্যাদি চুরি তখন বামপন্থীরাই নিজেদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে হাজির মানুষের কাছে। লাল সেলাম কমরেড।”
মানুষ ফিরছে, লাল ঝান্ডাকে কাঁধে তুলে নিয়ে মানুষ আবার ফিরছে।