ওয়েবডেস্কের প্রতিবেদন
মহামারীর কারনে লোকডাউনের পর থেকেই তৃণমূলী নেতাদের জনগণের প্রতি অন্যায় ,অবিচার দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ছিলেন একটা বড় অংশের তৃণমূলী সমর্থক। আমফান পরবর্তী সময়ে যে সকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ত্রাণ পাওয়ার কথা তাদের ত্রাণ না দিয়ে,দোতলা বাড়ি এসি লাগানো বাড়িতে সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়া, রেশনের চাল চুরি, প্রশাসনের ব্যর্থতা, নেতৃত্বের মিথ্যাচার , পাশাপাশি ক্ষমতায় না থেকেও অনেক বড় মন নিয়ে বামপন্থীরা মানুষের প্রয়োজনে প্রাণ পাত করে, পাশে দাঁড়াচ্ছে। দুটো ভিন্ন দলের ভিন্ন ছবিতেই পুনরায় আস্থা ফিরে পাচ্ছে সাধারণ জনগণ সহ , একটা বড় অংশের তৃণমূলের সমর্থক।
রাজ্যে রাজ্যে অনেক তৃণমূলের সমর্থক সিপিআই(এম) এর ওপর ভরসা করছেন। হেমতাবাদের মানুষ তৃণমূলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে,সিপিআই(এম) এ যোগদান করল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার সাথে যুক্ত। কয়েকদিন আগে এই খবর ছড়িয়ে পডতেই তৃণমূল দল ছাড়ার হিডিক পডে যায়। পঞ্চায়েতের সরকারি টাকা শুধু চুরি করছে না, তৃণমূল নেতাদের অনুপ্রেরণায় পঞ্চায়েতটাকে লাটে তুলে দিচ্ছে, পঞ্চায়েতকে দিয়ে তৃণমূল নিচুতলা থেকে কালিঘাটে ভাইপোর কাছে অবৈধ টাকা যাচ্ছে, অভিযোগ করলেন বীতশ্রদ্ধ তৃণমূলের কর্মীরা।
পঞ্চায়েতে চুরি ডাকাতি রুখতে সিপিআই (এম) পতাকা হাতে দীর্ঘ পথের মিছিলে দলছাড়া শতাধিক তৃণমূলের কর্মীরা। এই ঘটনার সাক্ষী থাকলো হেমতাবাদ। তৃণমূলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হেমতাবাদের শতাধিক মানুষের হাতে লাল পতাকা তুলে দিলেন পার্টির জেলা সম্পাদক অপুর্ব পাল। মিছিল শুরু হয় বাসস্ট্যান্ড থেকে। বিষ্ণুপুর রোড থানা পাড়া হয়ে পঞ্চায়েত অফিসে এসে মিছিল শেষ হয়।
বৃহস্পতিবার সিপিআই (এম) হেমতাবাদ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে ব্লকে হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কোভিড - ১৯ পরিস্থিতিতে জনজীবন স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেককে প্রয়োজন অনুযায়ী রেশন সামগ্রী প্রদান করতেই হবে, সরকারি উদ্যোগে উৎপাদন খরচের দ্বিগুন দাম দিয়ে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে উৎপাদিত ফসল কিনতে হবে। খেতে না পাওয়া মানুষের কাছ থেকে বিদ্যুতের বিল মকুব করতে হবে, ১০০ দিনের কাজকে ২০০ দিনে করার দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই (এম) জেলা সম্পাদক অপুর্ব পাল, হেমতাবাদ এরিয়া কমিটির নেতা ওয়াজেদ হোসেন সরকার, ও কার্তিক দাস। ১৩ দফা গুরুত্বপূর্ণ দাবি তোলা হয় সভায়। দাবি গুলি উত্থাপন করেন হেমতাবাদ এরিয়া কমিটির সদস্য স্বপন ঘোষ। মুল দাবি গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক ন্যূনতম একটি স্থানে জেসিআই কে অস্থায়ী পাট ক্রয় কেন্দ্র খুলতে হবে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম দিতে হবে। লকডাউনের সময়কালে আয়কর বিহীন সব মানুষকে ৭.৫০০ টাকা অনুদান দিতে হবে। এই দাবি ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসনিক স্তরেও তোলা হবে বলে জানিয়েছেন নেতৃত্বরা।
তথ্যসূত্র: গণশক্তি পত্রিকা
শেয়ার করুন