মুখ্যমন্ত্রী প্রথমদিকে জনগণনার অংশ হিসাবে এনপিআর কে দাবি করেছিলেন, এবং অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদনও করেন। পরবর্তী সময়ে বামপন্থীরা প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হলে তিনি জনসভায় বলতে থাকেন পশ্চিমবঙ্গে এনপিআর হতে দেবেন না।
যদিও তাঁর দলের পরিচালিত পৌরসভাগুলি এনপিআর করার জন্য নোটিস দিয়েছিল। বর্তমানে আগামী ১ এপ্রিল ২০, থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এনপিআর’এ নাম নথিভূক্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। ওইদিন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর নাম নথিভূক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এনপিআর, এনআরসি, সিএএ নিয়ে বিতর্কের ফয়সালা হওয়ার আগেই করোনা ভাইরাস নিয়ে আশঙ্কার মাঝে চুপচাপ রাজ্য সরকারও কি এনপিআর তৈরির কাজে শামিল হয়ে যাবে? করোনা ভাইরাসের আশঙ্কার মতোই এই আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে নাগরিকদের মনে। যাবতীয় উদ্বেগের অবসানের জন্য সূর্য মিশ্র তাই মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন।
এই প্রসঙ্গে কেরালা সরকারের অবস্থানের উদাহরণ এনে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে কেরালা কেবল জনগণনার পক্ষে কাজ করবে, এনপিআর নিয়ে নয়। ইতিমধ্যে দেশের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্যসমূহের সরকারগুলি এখন এনপিআর না করার পক্ষে অবস্থান স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার এনপিআর নিয়ে কী ভূমিকা পালন করবে তা পরিষ্কার নয়। তাই আমরা সরকারি বিবৃতি দাবি করছি।
শেয়ার করুন