১০৮ টি পৌরসভার নির্বাচন
পশ্চিমবঙ্গের পৌরবাসীদের প্রতি
বামফ্রন্টের আবেদন
বন্ধুগণ,
রাজ্যের ১০৮ টি পৌরসভার নির্বাচন হবে আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারী। এর আগে কলকাতা সহ ৫ টি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়েছে গত ১৯ শে ডিসেম্বর ও ১২ ই ফেব্রুয়ারী।
কেন এতদিন হয়নি নির্বাচন?
এই সব কটি নির্বাচনই হয়েছে আদালতের হস্তক্ষেপে। ২০১৮ সাল থেকে ক্রমশ মেয়াদ শেষ হ’তে শুরু করে এই কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলির। কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তৃণমূল সরকার একটিরও নির্বাচন করার উদ্যোগ নেয়নি বিগত ৪বছরে। কেন ? রাজ্য সরকারের ব্যর্থতায় ২০১৮ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া হাওড়া কর্পোরেশন এবং বালি পৌরসভার নির্বাচন এখনও অনিশ্চিত।
বিকল্প পথ
রাজ্যে ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার গঠন করেই নতুন পঞ্চায়েত ও পৌরসভা সংক্রান্ত আইন সংশোধন ক’রে নিয়মিত ও বাধ্যতামূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল। সংবিধান সংশোধনের আগেই মহিলা, তপশিলী জাতি এবং আদিবাসীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করেছিল। যা সেই সময় ভারতের কোথাও ছিলনা।
তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জ্যোতি বসু – ১৯৭৭ সালে শপথ নিয়েই বলেছিলেন শুধু মহাকরণ থেকে সরকার চলবে না। তিনি বলেছিলেন পঞ্চায়েত পৌরসভা ইত্যাদি নির্বাচিত সংস্থার ৬০ হাজারেরও বেশি জনপ্রতিনিধিরাই আমাদের সরকার চালাবেন। এটাই হ’ল মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকার পরিচালনা করা।
পরবর্তীতে শুধু কাউন্সিলর বা পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের হাতেই সব ক্ষমতা নয়, শহরে ‘ওয়ার্ড কমিটি’ ও গ্রামে ‘গ্রাম সংসদ’ তৈরি করে বিরোধী দল সহ সব অংশের মানুষের মতামতের ভিত্তিতেই পৌরসভা ও পঞ্চায়েত পরিচালনা করার বাধ্যতামূলক আইনও তৈরি করে বামফ্রন্ট সরকার। এই নজির ভারতের কোথাও সেই সময়ে ছিল না। এমনকি নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনাতেও জনগণকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট সরকার উদাহরণ তৈরী করেছিল।
বামফ্রন্ট, সরকার পরিচালনা করেছিল ৩৪ বছর। সেইসময়ে পৌরসভা বা কর্পোরেশন বা গ্রামের পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও নির্বাচন হয়নি, এমন একটা উদাহরণও দেখাতে পারবেন না কেউ।
গণতন্ত্র, বিরোধী দল ও ভোট লুট
বামফ্রন্ট সরকারের সময় অনেক কর্পোরেশন, পৌরসভা বা পঞ্চায়েত পরিচালনা করেছে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল। কিন্তু বিরোধী দল জিতেছে বলে কোনও বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ এমনকি বিরোধী দলগুলিও তুলতে পারে নি। বিরোধীরা জিতে যেতে পারে, তাই নির্বাচন বন্ধ করে রাখা বা পুলিশ-প্রশাসন-দুস্কৃতিদের ব্যবহার করে অবাধ ভোট লুটের ব্যবস্থাও করেনি বামফ্রন্ট, যা তৃণমূলের আমলে প্রতিটি নির্বাচনে ঘটে চলেছে।
বামফ্রন্ট সরকার পৌরসভা নির্বাচনে দেশের মধ্যে প্রথম ১৮ বছর বয়সে ভোটাধিকার দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে এসে সব মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকারই কেড়ে নিচ্ছে। এমন কি এই সরকার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত ৪ টি কর্পোরেশনের নির্বাচনেও ১৮ বছরের নতুন ভোটারদের ভোটদানের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
বামফ্রন্ট সরকার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার চূড়ান্ত অধিকার ও ক্ষমতা দিয়েছিল। তৃণমূলের সরকারের সময় একজন নির্বাচন কমিশনারকে সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের কাছে বিচার চাইতে যেতে হ’য়েছিল। আর একজন কমিশনারকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। বর্তমানে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সরকারের আজ্ঞাবাহকে পরিনত করা হয়েছে।
পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্র হত্যার উৎসব চলছে
আজ সশস্ত্র দুষ্কৃতিদের দাপাদাপি চলছে এই রাজ্যের গণতন্ত্রের বধ্যভূমিতে। গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষের সবচাইতে বড় হাতিয়ার নির্বাচিত হওয়ার ও ভোট দেওয়ার অধিকার। সেই অধিকার আজ সশস্ত্র তৃণমূলী বাহিনী কেড়ে নিচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন, সাধারণ প্রশাসন ও পুলিশের একাংশ এই কাজে ওদের সহযোগী অথবা নীরব। নিজের ভোট নিজে দিতে পারাটাই আজ এরাজ্যের মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে রাখতে হবে ইতিমধ্যে কয়েকটি পৌরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে বাধা এবং প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে ৪টি পৌরসভার জোর করে দখল নিয়েছে। বামফ্রন্ট সব অংশের মানুষের প্রতি আবেদন জানাচ্ছে - আপনারা সবাই ভোট দিন, নিজের ভোট নিজেই দিন। আপনাদের পাশে বামফ্রন্টের কর্মীরা থাকবে।
উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি
যে কোনও শহরের উন্নয়ন মানে যেমন একদিকে রাস্তাঘাট- নিকাশী-পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, অন্যদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাও পৌর উন্নয়নের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বামফ্রন্ট সরকার পৌরসভার কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা রাখার জন্য মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন গঠন করেছিল। সব শূন্য পদ পূরণ করার কাজ সারা বছর ধরেই করতো, যাতে কর্মীর অভাবে পৌরসভার কাজ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে রাজ্যের ৭ টি কর্পোরেশন ও ১১৯ টি পৌরসভার মোট ৭৯হাজার ৩৯৭ টি পদের মধ্যে মাত্র ৩৭হাজার ৮৩টি পদে কর্মী নিযুক্ত আছেন। বর্তমানে পৌরসভাগুলোতে শূণ্যপদের সংখ্যা ৪২হাজার ৩১৪টি। অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি পদ খালি। এই হিসেব ২০২০ সালের জুলাই মাসের। যদিওবা কিছু নিয়োগ হয়েছে তার সবটাই চুক্তিভিত্তিক। এরপর আরও অনেক পৌরকর্মী অবসর নিয়েছেন। প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে পৌর পরিষেবা কতটা দেওয়া সম্ভব তা অবশ্যই অনুমান করা যায়। বামফ্রন্ট বোর্ড গঠন করলে শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগের জন্য সচেষ্ট হবে।
৪২ থেকে ৪৫ হাজার যুবক-যুবতীর কাজের সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল পৌরসভাগুলিতে নিয়োগ বন্ধ করে। বেশিরভাগ পৌরসভাই চলছে চুক্তি ভিত্তিক অস্থায়ী শ্রমিক বা কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করে। ফলে শ্রমিক কর্মচারীদের কাজেরও নিরাপত্তাও নেই আর মজুরীও পাচ্ছে মূল বেতনের ১/৩ ভাগ। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রাপ্য অর্থ ও পেনশনও দিতে পারছে না তৃণমূল সরকার ও তাদের পরিচালিত অনেকগুলো পৌরসভা। বামফ্রন্ট বোর্ড গঠন করলে সব কর্মীদের কাজের নিরাপত্তা ও অবসরকালীন সুবিধা দেবে।
বামফ্রন্ট পরিচালিত পৌরসভাগুলির সময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই বেশিরভাগ পৌরসভায়। যেগুলো আছে, সেখানে হয় চূড়ান্ত দলবাজি বা দুর্নীতি চলছে। বামফ্রন্টের সময়ে তৈরি প্রকল্প, বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের শেষে ঋণদানের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল ক’রে তোলার কাজ কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। তারা ব্যস্ত নিজেদের আখের গোছাতেই। বামফ্রন্ট বোর্ড গঠন করলে আবার দলবাজি ও দুর্নীতি মুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তুলবে ও বেকারদের জন্য স্ব নিযুক্তি প্রকল্প চালু করবে।
বামফ্রন্টের আমলে শহরের বস্তিগুলো ও বস্তিবাসীদের উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হ’ত। বস্তি উচ্ছেদ নয়, বস্তি উন্নয়নের মাধ্যমেই নগরোন্নয়ন – এই ছিল বামফ্রন্টের নীতি। গরীব শ্রমজীবী মানুষের জন্য পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলেছিল বামফ্রন্ট পরিচালিত পৌর বোর্ডগুলো। অনেক মাতৃ সদন গড়ে উঠেছিল মায়েদের প্রসব ও সদ্যোজাত সন্তানদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য। বহু পৌরসভায় তৃণমূল এসে হয় এগুলো প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে বা বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছে। ফলে শহরের গরীব শ্রমজীবী মানুষের চিকিৎসার কাজ চরমভাবে অবহেলিত হচ্ছে। কোভিড টিকা নিয়ে পর্যন্ত চূড়ান্ত দলবাজি ও জালিয়াতি করেছে তৃণমূল। এদের ফিরে আসা রুখতেই হবে। বামফ্রন্ট বোর্ড মাতৃ সদন গুলিতে দরিদ্র মানুষের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। বস্তিগুলির উন্নয়নের জন্য পৃথকভাবে অর্থ বরাদ্দ করবে।
দুর্নীতিই তৃণমূলের নীতি
বিগত ১১ বছরে শাসক দলের পৌর প্রতিনিধি বা পৌর পিতাদের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ। কন্ট্রাক্টরদের থেকে এদের বেশিরভাগ কাটমানি খাচ্ছে বা কাউন্সিলর- চেয়ারম্যানদের বড় অংশই বেনামে নিজেরাই কন্ট্রাক্টরি করছে। অবাধ চুরি, দুর্নীতিই হ’লো তৃণমূল দলের নীতি। মানুষের করের টাকার অবাধ এই লুট চলতে দেওয়া যায় না।
বেআইনি পুকুর-জলাভূমি ভরাট, অবাধে গাছ কেটে, খেলার মাঠ, পার্ক দখল করে প্রোমোটারদের রাজত্ব কায়েম করেছে তৃণমূল। নিজেরাই নামে-বেনামে প্রোমোটারী করছে। বে আইনি নির্মাণ চলছে অবাধে। শহরগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস ক’রে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। এসব অন্যায় কাজের বিনিময়ে শাসক দলের নেতারা বিপুল বে আইনি অর্থ রোজগার করছে। এই দুর্নীতির অবসান ঘটাতেই হবে। বামফ্রন্ট বোর্ড গঠন করলে পৌরসভাগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করবে। বেআইনি পুকুর ভরাট, গাছ কাটা বন্ধ করবে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করতে সচেষ্ট থাকবে।
মানুষের পাশে কারা?
বিশ্বজুড়ে কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষ নাজেহাল। অর্থনীতি বিপর্যস্ত। মানুষের কাজ নেই, থাকলেও মজুরি কমেছে।
কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় পৌরসভাগুলোর কি ভূমিকা ছিল? কোথাও এদের খুঁজে পাওয়া গেছে কোভিড আক্রান্তদের সহযোগিতায়? বেসরকারি এম্বুলেন্সের ভাড়া আকাশছোঁয়া, অথচ পৌরসভার এম্বুলেন্স বহু জায়গায় নিশ্চল হ’য়ে পড়ে ছিল। অক্সিজেন নেই, অথচ পৌর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর কোনো সদর্থক ভূমিকা ছিলনা।
অন্যদিকে বামপন্থীরা পৌরসভা, লোকসভা বা বিধানসভায় নেই, কিন্তু আক্রান্ত মানুষের পাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়েছে রেড ভলান্টিয়াররা রাজ্য জুড়েই। যতটুকু সাধ্য ছিল তাই নিয়েই রাত-বিরেতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে এরা পৌঁছে গিয়েছিলেন কোভিড আক্রান্ত মানুষের কাছে। অ্যাম্বুলেন্সের বা অন্য যানের ব্যবস্থা করে নিজেরাই রোগিদের পৌঁছে দিয়েছেন হাসপাতালে।
লকডাউনের জন্য বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বা আক্রান্ত মানুষের বাড়িতে খাবার-ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে রেড ভলান্টিয়ার বাহিনী সীমিত সাধ্য নিয়েই। কাজ নেই। ‘দিন আনি দিন খাই’ গরিব মানুষের জন্য মাসের পর মাস শ্রমজীবী ক্যান্টিন-বাজার চালিয়েছে বামপন্থী রেড ভলান্টিয়ার বাহিনী। এই সময়েই দুর্গত প্রবাসী শ্রমিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে বামপন্থী কর্মীরা। বামপন্থী কর্মীরা পরিবহনসহ অন্যান্য পরিষেবার কাজেও যুক্ত থেকেছে। এই সময়কালে প্রাণের ভয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক শাসক দলের সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলরদের অনেকেই নিজেদের বাড়ির দরজায় খিল আটকে লুকিয়ে ছিলেন। এরা করবেন উন্নয়ন?
নতুন করে শহর গড়তে হবে
তৃণমূলের লুট-দুর্নীতি-পরিবেশ ধ্বংস করার থেকে মুক্ত করতেই হবে রাজ্যের পৌরসভাগুলোকে। সিন্ডিকেট রাজ-তোলাবাজদের হাতে ছেড়ে রাখা যায় না রাজ্যের এতগুলো শহরকে।
কে করবে মুক্ত? অনেকেই ভেবেছিলেন বিজেপি তৃণমূলী রাহুর হাত থেকে মুক্ত করবে রাজ্যের মানুষকে। কিন্তু কে যে কখন বিজেপি আর কখন তৃণমূল, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সেটাই বুঝতে পারা যাচ্ছে না।
যারা তৃণমূল দলে অক্সিজেনের অভাবে বিজেপি দলে গেলেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তারাই আবার বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে না পারায়, দলে দলে এখন অক্সিজেনের সন্ধানে তৃণমূল দলের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। এরা তৃণমূল দলের নেতাও হয়ে যাচ্ছেন। এদের নীতি নৈতিকতা কিছু নেই। যারা অর্থের বিনিময়ে নিজেদের বিক্রি করে দেয়, তারা করবে মানুষের জন্য উন্নয়ন? একথা আর রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস করছে না এখন, কর্পোরেট সংবাদমাধ্যমের প্রবল প্রচার সত্ত্বেও।
বিকল্প বামফ্রন্টই
এত অবাধ ভোট লুটের পরেও তাই বামফ্রন্টের ভোট বেড়েছে সব শহরেই আর কর্পোরেট সংবাদধ্যমের হাওয়ায় ফোলা বিজেপি বেলুন চুপসে গেছে। লড়াই – সংগ্রাম – আন্দোলনে জনগণের সাথে একমাত্র বামফ্রন্ট।
বামফ্রন্টই এই রাজ্যে প্রকৃত বিকল্প - লড়াইয়ে,চিন্তায়, স্বচ্ছতায়,কাজে।
তাই সর্বত্র বামফ্রন্ট মনোনীত ও সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করার আবেদন জানাচ্ছে রাজ্য বামফ্রন্ট। একইসঙ্গে যেখানে বামফ্রন্টের প্রার্থী নেই, সেখানে বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাস্ত করতে, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তির প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আবেদন জানাচ্ছে রাজ্য বামফ্রন্ট।