প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে নাকি নির্বাচনে পরাস্ত করা যায় না! কর্পোরেট মিডিয়া ও ধামাধরা মুখপাত্রদের মারফত সারা দেশে এমনটাই প্রচার করার চেষ্টা চলছে। ইঁটের হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল সর্বত্র দেখা যাচ্ছে অব কি বার, ফির মোদী সরকার কিংবা অব কি বার, চারশো পার - ইত্যাদি স্লোগানে ছয়লাপ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রিন্ট কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমেও সেই প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কর্পোরেটদের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য নিয়েছে বিজেপি, এসব প্রচারে সেই পয়সাই খরচ করা হচ্ছে। কেউ ভাবতে পারেন মোদী চাইলেই কর্পোরেটরা তাতে সায় দিচ্ছে কেন? আসলে যারা যারা মোদী শাসনের সুবাদে করেকম্মে খেয়েছে, ফুলে ফেঁপে উঠেছে তারাই অমন ঢাক পেটাচ্ছে। মোদী সরকারের আসল গ্যারান্টি সেটাই।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিজেপির যে আত্মবিশ্বাসী মনোভাবের আসল ভিত্তি কি? বিরোধী পক্ষের সাংসদদের অর্থের জোরে ভাঙিয়ে নেওয়া, তাতেও কাজ না হলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে ভয় দেখানো। দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ এমন পর্যায়ে তৈরি করা যাতে জনসাধারণের মধ্যে একে অন্যের প্রতি ভরসা, বিশ্বাস ও আস্থা চলে যায়। বিগত দশ বছর ধরে ভারতের কৃষক ও শ্রমিকেরা এসবের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই লড়াই এমনই যাকে অনেক কায়দা করেও কেন্দ্রীয় সরকার উপেক্ষা করতে পারেনি।
গত দশ বছরে বিজেপি’র অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সারা ভারত কৃষক সভা (এআইকেএস) বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে ইস্যুভিত্তিক কাজের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। ২০১৫ সালে ভূমি অধিকার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তার সূত্রপাত হয়। ঐ সময় আদিবাসী, দলিত, বনকর্মী, কৃষক ও ক্ষেতমজুরদেরপ্রায় ১০০টি সংগঠন আন্দোলনে যুক্ত হয়। জমির অধিকারের পক্ষে লড়াইতে মৎসজীবী এমনকি নাগরিক সমাজেরও অনেকে লড়াইতে যুক্ত হয়েছিলেন। জমি কেড়ে নিচ্ছিল কারা? কর্পোরেটরা। ঐ আন্দোলনে কর্পোরেটরা পিছু হটতে বাধ্য হয়, কার্যত মোদী সরকার পরাজিত হয়।
২০১৭ তে গড়ে ওঠে সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ কো-অর্দিনেশন কমিটি। এদের মূল দাবি ছিল কৃষি উৎপাদন কেনার সময় উৎপাদন ব্যয়ের সাথে অন্তত ৫০ শতাংশ অর্থমূল্য যুক্ত করতে হবে, কৃষকদের ঋণ মুকুব করতে হবে। প্রায় আড়াইশোটি কৃষক সংগঠন এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যুক্ত হয়। এই প্রেক্ষিতেই মোদি সরকার নয়া কৃষি আইনের খসড়া প্রস্তুত করে। কোভিড মহামারী চলাকালীন সংসদে অর্ডিন্যান্স জারি করে ঐ সকল আইন পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কৃষকদের নাছোড়বান্দা আন্দোলনই সেইসব আইনকে অন্তত নিজের বক্তৃতায় খারিজ করতে মোদী বাধ্য হন।
সেই ঐতিহাসিক লড়াইয়ের শিক্ষা হল এই যে এমন আন্দোলনে ভারতের শ্রমজীবী জনতা জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণ এমনকি প্রাদেশিক পরিচয়েরও উর্ধে উঠে নিজেদের প্রকৃত দাবী আদায়ের লক্ষ্যে একজোট হয়েছে। অর্ডিন্যান্স জারী হওয়ার পরেই সারা ভারত কৃষক সভা ও সারা ভারত কৃষক সংগ্রাম কো-অর্ডিনেশন কমিটি রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে ঐ ঘোষনার কপি পুড়িয়ে দেয়। প্রাথমিক পর্বে কেন্দ্রীয় সরকার সেই আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। দেশজোড়া লকডাউনের সুযোগ নিয়ে সংসদ বন্ধ রেখেই নয়া তিন কৃষি বিল ও চার শ্রম কোড পাশ করানো হয়েছিল। সংসদে সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে আইন প্রণয়নের যে বন্দোবস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি, তাকেই অস্বীকার করা হয়।
কৃষক সংগঠনগুলি তখনই ‘দিল্লী চলো’র আহ্বান জানায়। সেই আহ্বানে দেশের শ্রমিক, মজদুর সহ শ্রমজীবী মানুষের অন্যান্য অংশও সাড়া দেয়। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি যৌথ মঞ্চ গড়ে সাধারণ ধর্মঘটের আয়োজন করে। এর প্রতিরোধে মোদী সরকার যাবতীয় নিপীড়ন নামিয়েছিল। কাঁদানে গ্যাস, লাঠি চার্জ, মিছিল আটকাতে রাস্তার উপরে কংক্রিটের দেওয়াল তুলে বাধা দেওয়া, লোহার কাঁটা (স্পাইক) বিছানো ব্যারিকেড পর্যন্ত ব্যবহার করে। এর পাশাপশি লাগাতার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে আন্দোলন সংগ্রামের খবর দেশের অন্যান্য অংশে না পৌঁছাতে পারে। ৩৮০ দিনের সেই লড়াইতে ৭৩৮ কি আরও বেশি কমরেড শহীদ হয়েছেন। এখনও সেই লড়াই চলছে।
মহামারীর সংক্রমণ, রাষ্ট্রের নিপীড়ন সম্পর্কে কি কৃষকরা জানতেন না? তাঁরা কি ভেবে দেখেননি এমন লড়াইতে অনেকেই প্রাণ হারাবেন? কিন্তু তাঁদের সামনে একটাই রাস্তা খোলা ছিল, হয় নিজেদের জমির অধিকার কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া অথবা শেষ অবধি সংগ্রাম করা। তারা দ্বিতীয় পথটাই বেছে নেন। নয়া কৃষি আইন প্রযোজ্য হলে দেশের জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে, কৃষকরা নিজেদের চাষের জমি থেকে উচ্ছেদ হতে বাধ্য হবেন। এমনটা তারা মেনে নিতে চাননি বলেই দেশজোড়া সংগ্রামের আহ্বান জানিয়েছিলেন। দেশের শ্রমজীবী মানুষ তাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন। সেই সাহসে ভর করেই তারা ঘোষণা করেছিলেন - এক ইঞ্চিও পিছিয়ে আসা হবে না। সেই আন্দোলন ক্রমশ এগোতে থাকে। দিল্লীর ছয়টি সীমান্তেই কৃষকদের লড়াই পোঁছে যায়। তার সাথে যুক্ত হয় গোটা দেশের সমর্থন। দিল্লীর লড়াই রূপান্তরিত হয় ভারতজোড়া আন্দোলনে। প্রথম থেকেই এই লড়াই কর্পোরেট লুটের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। অবশেষে ৫৬ ইঞ্চির ছাতিওয়ালা প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন। ২০২১ সালের ১৯ শে নভেম্বর তিনি নয়া কৃষি আইন বাতিল ঘোষণা করেন।
ঐ বছরই ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখ কৃষকরা নিজেদের লড়াই মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আন্দোলন মুলতবি রাখার আগে কৃষকরা মোদী সরকারের সামনে লিখিত দাবী সনদ পেশ করে। তাতে যেমন নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের কথা লেখা ছিল, তেমনই ছিল নয়া বিদ্যুৎ আইন খারিজ করার দাবী। বিদ্যুৎকে বেসরকারি ক্ষেত্রের হাতে তুলে দেওয়ার স্পষ্ট বিরোধিতা করা হয়েছিল ঐ সনদেই। সরকার আশ্বাস দিয়েছিল। ফসলের ন্যূনতম দাম, বিদ্যুৎ আইনের সংশোধন খারিজ, আন্দোলনরত কৃষকদের নামে রুজু হওয়া সমস্ত মামলা প্রত্যাহার, শহীদ পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত, খড় পোড়ানোর কারণে কৃষকদের উপরে চাপিয়ে শাস্তি প্রত্যাহার এসবই ছিল তাদের দাবির অন্তর্ভুক্ত।
কৃষকদের এই লড়াই সারা পৃথিবীতে শ্রমজীবীদের সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছে। নোয়াম চমস্কির মতোব্যক্তি এই আন্দোলনকে ‘আশার মশাল’ বলে চিহ্নিত করেছেন। নয়া তিন কৃষি আইন বাতিল করেও অন্যান্য দাবীর প্রসঙ্গে মোদী সরকার নিশ্চুপ ছিল। সরকারের এই নীরবতাই স্পষ্ট করে দেয় এদের বিশ্বাসঘাতকতা। পরবর্তীকালে যতবারই সরকারের সাথে আলোচনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে, নানা অজুহাতে তারা এড়িয়ে গেছে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি সম্মত যে কোনও আন্দোলনেই তাদের অনীহা। নির্ধারিত দাবীর প্রসঙ্গে কোনও আলোচনাই তারা করতে চায় না।
‘ভারত ছাড়ো আন্দোলন দিবসে’ ২০২৩ সালের ৯ আগষ্ট কৃষকদের যৌথ মঞ্চ ‘লুটেরা কর্পোরেট ভারত ছাড়ো’ স্লোগানকে সামনে রেখে আন্দোলনে নেমেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকার ঘুরপথে নয়া তিন কৃষি আইন ও চার শ্রম কোডকেই পুনরায় চালু করতে চেষ্টা করছে। শ্রমজীবী মানুষের উপরে সার্বিক আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের ২৪ অগাষ্ট সংযুক্ত কিষান মোর্চা এবং কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চ তালকোটরায় মিলিত হয়, ‘মজদুর-কিষান মহা-অধিবেশন’-এ। সেই অধিবেশন থেকেই নিম্নলিখিত দাবী পেশ করা হয়:
১) সরকারকে কৃষকদের থেকে সরাসরি ফসল কিনতে হবে এবং যাবতীয় ফসলের দামের ক্ষেত্রেই উৎপাদন খরচের সাথে ন্যূনতম ৫০% বাড়তি দামের ফর্মুলা মানতে হবে।
২) কৃষক হত্যায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে বরখাস্ত করতে হবে।
৩) দেনার দায় থেকে মুক্তি দিতে ছোট ও মাঝারি কৃষকদের যাবতীয় ঋণ মকুব করতে হবে।
৪) যে কোনও কাজের ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি হতে হবে ২৬০০০ টাকা।
৫) নয়া চার ‘শ্রম কোড’ই বাতিল করতে হবে।
৬) আইপিসি/ সিআরপিসি-তে সংশোধনের মাধ্যমে যে সকল দানবীয় বিধি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলি খারিজ করতে হবে।
৭) কাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৮) রেল ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা, বিদ্যুৎ, কয়লা, স্টিল, সড়ক, বন্দ্ বিমানবন্দর সহ অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা , ব্যাঙ্ক, বীমা ও টেলিকমের মতো রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থায় বেসরকারিকরণ করা চলবে না।
৯) শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বেসরকারিকরণ চলবে না।
১০) কাজ পেতে ঠিকার বন্দোবস্ত ও নির্দিষ্ট মেয়াদের কর্মসংস্থানকে বাতিল করতে হবে।
১১) এমএনরেগার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গ্রামাঞ্চলে ২০০ দিনের কাজের বন্দোবস্ত করতে হবে এবং ৬০০ টাকা দৈনিক মজুরি দিতে হবে।
১২) পুরানো পেনশন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। সংগঠিত ও অসংগঠিত সমস্ত কাজের ক্ষেত্রেই পেনশন ও অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
১৩) ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৪ নং ধারা বাতিল করতে হবে।
১৪) নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য যাবতীয় কাজের ক্ষেত্রেই ‘ওয়েলফেয়ার বোর্ড’ গঠন করতে হবে।
১৫) ২০১৩ সালের এলএআরআর আইনকে প্রয়োগ করে জমি কেনা, বেচা সহ যাবতীয় হস্তান্তরকে বৈধতা দিতে হবে।
কৃষক ও মজদুরদের যৌথ মঞ্চ থেকে অধিকার আদায়ের লড়াইকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়। ২০২৩ সালের ২৬-২৮ নভেম্বর সমস্ত রাজ্যে রাজভবনগুলির সামনে একদিন ও একরাত ব্যাপি অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর ও অন্যান্য যানবাহন সমেত প্যারেডের আহ্বান জানানো হয়। এই অভিযানে সারা দেশে এক লাখ পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ট্রাক্টর ও অন্যান্য যানবাহন অংশগ্রহণ করে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ গ্রামীণ ভারত বন্ধের কর্মসূচি পালিত হয়, এর সাথেই যাবতীয় শিল্প উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচার চালানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ঐ কর্মসূচির ঠিক আগেই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার অন্তর্গত একটি অংশ নিজেদের অরাজনৈতিক বলে দাবী করে নির্ধারিত তারিখের আগেই ১৩ ফেব্রুয়ারি পৃথক কর্মসূচি পালন করে। তারা আসলে সংগ্রামরত কৃষকদের ঐক্য ভাঙার কাজে বিজেপি’র সাথে হাত মিলিয়ে চলে। তাই নির্ধারিত অভিযানের ঠিক আগেই তাদের সাথে সরকারের প্রতিনিধি ও বিজেপির নেতা’রা বৈঠকে বসেছিলেন। ২০২১ সালের পর থেকে সংযুক্ত কিষান মোর্চার সাথে যে কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা বারংবার ভেস্তে দিলেও এদের সাথে সরকার অন্তত চারবার আলোচনা করেছে। ২০২০-২১ সালে দিল্লীতে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ অভিযানের প্রতিরোধে মোদী সরকার ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করে, নিপীড়নের জন্য যাবতীয় কৌশল নেয়। এসবের প্রতিবাদে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কৃষকরা অভিযান ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সারা দেশের ৫০০ টিরও বেশি জেলা থেকে কৃষকরা এই অভিযানে অংশগ্রহন করেছেন।
এই অভিযান চলার সময় পুলিশের গুলিতে শুভকরন সিংহের মৃত্যু হয়। তারই প্রতিক্রিয়ায় সংযুক্ত কিষান মোর্চা কালা দিবস পালনের আহ্বান জানায়। দেশজুড়ে কৃষিজীবীদের স্বার্থ বিরোধী অভিন্ন শত্রু একটিই পক্ষ, তার বিরুদ্ধে সকলের সংগ্রামকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে, ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামকে আরও শাণিত করতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে একটি ৬ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারি যেমন দেশজুড়ে এনডিএ’র সাংসদদের বাসগৃহের সামনে বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়, তেমনই ঐ দিনই আবুধাবিতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠককে উদ্দেশ্য করে ডব্লিউটিও ভারত ছাড়ো স্লোগানও দেওয়া হয়। আরএসএস-বিজেপি’র বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবং ভারতের কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভুত সংকটের প্রতিরোধে কৃষকদের সংগ্রামকে দেশের রাজনীতির মূল মঞ্চে টেনে আনতে সফল হয়েছে।
আগামী ১৪ই মার্চ দিল্লীতে মহা পঞ্চায়েতের আহ্বান জানানো হয়েছে। কৃষক, ক্ষেতমজুরসহ দেশের সমস্ত শ্রমজীবী মানুষের অর্জিত অধিকার সুরক্ষিত রাখতে, জীবিকা, গণতন্ত্র, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার পাশাপশি কর্পোরেট লুট বন্ধ করতে জনসাধারণের সামনে আমরা একটিই স্লোগান রাখছি- ‘মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও’।