ওয়েবডেস্ক প্রতিবেদন:
সিই এস সি র বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নোট
সমগ্র কলকাতা, হাওড়া, উত্তর 24 পরগনা এবং দক্ষিণ 24 পরগনার কিয়দংশ নিয়ে 567 বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব সি ইএসসির
দেশের অন্য অনেক রাজ্যগুলির তুলনায় এ রাজ্যে বিদ্যুতের দাম বেশি। সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের দাম যেসব প্রতিষ্ঠানে তার মধ্যে সিইএসসি অন্যতম। রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দামের তুলনামূলক একটি তালিকা শেষে যুক্ত করা হলো এই তালিকায় লক্ষ্য করা যাবে অন্য রাজ্যে তুলনায় এ রাজ্যে পরিস্থিতি কেমন।
তৃণমূল শাসনে সি ই এস সি তে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি --
2010 2011 সালে 4 টাকা 73 পয়সা
(2011 সালের এপ্রিল পর্যন্ত 200 ইউনিট এর উপর বামফ্রন্ট ভর্তুকি দিয়েছিল)
2011 2012 সালে 5 টাকা 88 পয়সা
2012 2013 সালে 6 টাকা 3 পয়সা
2013 2014 সালে 6 টাকা 10 পয়সা (88 MVCA যুক্ত হয়েছিল)
2014 2015 সালে 6 টাকা 97 পয়সা
2015 2016 সালে 6 টাকা 99 পয়সা
2016 2017 সালে 7 টাকা 2 পয়সা (27 জানুয়ারি 2018 থেকে MVCA বাবদ 29 পয়সা প্রতি ইউনিটের বৃদ্ধি পেয়েছে)
2017 - 18, 2018-19, 2019-20 সালে বিদ্যুতের দাম বাড়েনি কেবল 27 জানুয়ারি 2018 থেকে MVCA বাবদ 29 পয়সা প্রতি ইউনিট এ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তার আগে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এভাবে ঘটেনি। বরং কখনো কমেছে। যখন বেড়েছে সেই বাড়ার পরিমাণ কম।
2003 2004 সালে 4 টাকা 15 পয়সা
2004 2005 সালে 4 টাকা 03 পয়সা
2005 2006 সালে 3 টাকা 81 পয়সা
2006 2007 সালে 3 টাকা 74 পয়সা
2007 2008 সালে 3 টাকা 86 পয়সা
2008 2009 সালে 3টাকা 91 পয়সা
2009 2010 সালে 4 টাকা 56 পয়সা
গত 10 বছরে সিইএস সি এর মুনাফা বেড়েছে উচ্চহারে।
2010 সালে 433 কোটি টাকা
2011 সালে 488 কোটি টাকা
2012 সালে 554 কোটি টাকা
2013 সালে 618 কোটি টাকা
2016 সালে 845 কোটি টাকা
2017 সালে 863 কোটি টাকা
2018 সালে 937 কোটি টাকা
2019 সালে 918 কোটি টাকা
দেখে নেওয়া যাক MVCA কি?
MVCA হল মান্থলি ভেরিয়েবল কস্ট এডজাস্টমেন্ট
বিদ্যুতের চড়া মূল্য বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে এস ই আর সি 'র নতুন একটি নির্দেশ। 2011 সালের মে মাসে নির্দেশ দেওয়া হল কয়লা বা তেলের দাম বাড়লে এবং রিয়েল ইত্যাদি পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ঘটলে বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানগুলি সঙ্গে সঙ্গে সেই অনুযায়ী দাম বাড়িয়ে নিতে পারবে। এই পদ্ধতির নাম মান্থলি ভ্যারিয়েবল কষ্ট এডজাস্টমেন্ট। ইলেকট্রিক বিলে সংক্ষেপে MVCA লেখা থাকে। MVCA'র দাম সকলের ক্ষেত্রে সমান। এর কোন পারস্পরিক ভর্তুকি নেই। এর ফলে কম ব্যবহার করে গ্রাহকরা বা স্কুল কলেজ, ক্ষেত-খামার, হাসপাতাল ইত্যাদি সামাজিক ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি করে। 2011 সালের মে মাস থেকে এমবিসি এ দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকীকরণ - NDA সরকারের প্রথম পদক্ষেপ
বিদ্যুৎ ক্ষেত্র কে বেসরকারি শিল্পপতিদের কাছে আকর্ষণীয় করতে হলে সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে দিতে হবে। এই ভাবনাটা প্রথম এল হাজার 1998 সালে বিজেপি জোট সরকারের মাথায়। বিদ্যুৎ নীতির ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটিয়ে তারা একটি সংস্থা করলেন বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন নামে, একে সংক্ষেপে SERC বলা হয়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি যখন বিজেপি জোট সরকারের সহযোগী মন্ত্রী। তিনিও পূর্ণ সমর্থন জানালেন এই ব্যবস্থাকে। কেন্দ্রে একটি বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন থাকবে আর রাজ্যে গঠিত রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। এখন থেকে মাশুল নির্ধারণের একচেটিয়া ক্ষমতা থাকবে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের হাতে এবং এই সংস্থাকে বিচার বিভাগীয় সংস্থার মর্যাদা দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ ক্ষেত্র থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করে দেওয়া হলো।
বিদ্যুৎ আইন 2003 - 1998 সালের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আইনটি আরো ব্যাপকতা পেল 2003 এর বিদ্যুৎ আইনে। দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের স্বার্থে এই আইন প্রণীত। দেশের জনস্বার্থ বাহী বিদ্যুৎ নীতি কে জলাঞ্জলি দেওয়া হল। এই আইনের সরকারের হস্তক্ষেপ আরো রুদ্ধ করা হলো। পারস্পরিক ভর্তুকি ব্যবস্থা ধাপে-ধাপে তুলে দেবার কথা বলা হলো। রাজ্য সরকার কোন অংশকে ভর্তুকি দিতে চাইলে ভর্তুকির সম্পূর্ণ টাকা আগাম পরিশোধ করতে হবে - বলা হলো। এই আইন প্রণয়নের সময় মমতা ব্যানার্জি বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। সে সময় এই আইনের পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন তিনি ও কংগ্রেস দল। বামপন্থীরা বিরোধিতা করেছিল প্রবলভাবে।
বিদ্যুৎ আইন 2003 প্রণীত হবার পরও বামফ্রন্ট সরকার কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছে। 2010 2011 সালে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন CESC ক্ষেত্রে যে বর্ধিত দাম ঘোষণা করলেন বামফ্রন্ট সরকার গরিব মানুষের স্বার্থে তখন এগিয়ে আসে। 200 ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে বর্ধিত মূল্যের সবটাই রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিয়েছিল। বাজেটে 120 কোটি টাকা এই ভর্তুকি বাবদ ধার্য করা হয়েছিল। এছাড়াও 300 ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের সরকারি ডিউটি সবটাই মুকুব করে দেয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে 2004 সালে বামপন্থীদের সহযোগিতায় UPA সরকার গঠিত হয়েছিল। বামপন্থীদের দাবিতেই 2003 সালের বিদ্যুৎ আইনের বড় ধরনের পরিবর্তন হয়। প্রথমে 2003 সালের আইনে পারস্পরিক ভর্তুকি ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ তুলে দেবার সংস্থান ছিল। এর পরিবর্তন করে BPL ক্যাটেগরির সর্বনিম্ন ব্যবহারকারী 30 ইউনিট পর্যন্ত অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন এর দায়িত্ব কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের উপর ন্যস্ত করার আইন পরিবর্তন করে করা হয়েছে Electricity Act Amendment 2007। জনদরদী সরকার ইচ্ছা করলে এরকম অনেক কিছুই করতে পারে।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে মা মাটি সরকার যখন তৈরি হল 2011 মে মাসে সেই সরকার CESC এলাকায় বামফ্রন্ট সরকারের এই ভর্তুকি ব্যবস্থা বন্ধ করে দিল। তারপরে অথবা আর বিদ্যুতের দাম বাড়লো কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভাবলেশহীন।
স্বাধীনতার পর এই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিদ্যুতের অপরিসীম গুরুত্ব উপলব্ধি করে তৎকালীন ভারত সরকার পরাধীন ভারতের আইন Indian Electricity Act,1910 আমূল পরিবর্তন করে নতুন আইন প্রণয়ন করল Electricity (Supply) act 1948 যে আইনে বিদ্যুৎ কে সর্বজনীন ব্যবহারের সামগ্রী হিসেবে বিবেচনা করা হলো। এই আইনে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদগুলি গঠন করার ব্যবস্থা হল। বিদ্যুৎ ভারতের সংবিধানের 246 নম্বর অনুচ্ছেদের যুগ্ম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এই আইনে কল্যাণকারী রাষ্ট্র হিসেবে বিদ্যুৎকে অলাভজনক সামগ্রী হিসেবে গণ্য করা হলো শুধু তাই নয়, সমাজের সব অংশের মানুষের ব্যবহারোপযোগী করবার জন্য পারস্পরিক ভর্তুকির (Cross Subsidy) - র ব্যবস্থা রাখা হলো।
1948 সালের আইনে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের প্রত্যক্ষ ভূমিকা কে স্বীকার করা হয়েছিল। এর ফলে বিদ্যুতের মাশুল নির্ধারনে রাজ্য সরকার গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বিভিন্ন রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে কখনো পরিবর্তন করেছে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তখনও স্থগিত করেছে।
যেমন আমাদের রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই উদাহরণ বহুবার ঘটেছে এমনকি CESC'র ক্ষেত্রেও। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এর ক্ষেত্রেও ঘটেছে। বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ সরকারের অনুমোদন ছাড়া ঘটতো না। ফলে পারস্পরিক ভর্তুকি নিম্ন ব্যবহারকারীদের দিকে তাকিয়েই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হতো।
আমাদের রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির আবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রথম দাম নির্ধারণ করে 2001 সালে। তখন এরাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার। বিদ্যুৎ কমিশন পারস্পরিক ভর্তুকি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ তুলে দিতে চেয়েছিল। রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার কমিশনকে রান্না করার জন্য বারংবার অনুরোধ করে। কিন্তু কমিশন রাজ্য সরকারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে দাম নির্ধারণে পারস্পরিক ভর্তুকি ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার পথে যায়। তখন বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার হাইকোর্টে মামলা করে এবং এই ব্যবস্থা চালু রাখে, এখনো তা কিছুটা বজায় আছে।
বিদ্যুৎ (সংশোধনী) আইন 2020
1910 সালে বিদ্যুৎ আইন তৈরির পর প্রায় ৬ বার বিদ্যুৎ আইনের সংশোধন হয়েছে। বেশি ভারী সংশোধিত হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবসাদারদের স্বার্থে। দেশের বিদ্যুত্ ব্যবস্থার আমূল সংশোধন করা হলো 2003 বিদ্যুত আইনে। তাকে প্রসারিত করবার প্রস্তাব এলো 2014 এর সংশোধনীতে। দেশ জুড়ে তুমুল লড়াইয়ের ফলে তা লাগু করা সম্ভব হলো না। তখন ব্যস্ত তাদের জন্য আরও বাজার খুলে দিতে আনা হয়েছে 2020 সালের সংশোধনী যা আইনে পরিণত হলে ফলাফল আরো মারাত্মক হবে। বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্পূর্ণ বিপন্ন হতে চলেছে। বিদ্যুৎ ব্যবসায় ফ্র্যাঞ্চাইজি নামে যেকোন ব্যবসাদার ব্যবসা করতে চলে আসবে, তীব্র প্রতিযোগিতা চলবে। প্রস্তাবিত এই সংশোধনীতে রাজ্য সরকারের সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে কেন্দ্রের হাতে। বেসরকারি শিল্পপতি লাভের অংক বাড়াবার জন্য গঠন করা হয়েছে হাইকোর্টের মর্যাদা সম্পন্ন ইলেকট্রিসিটি কন্ট্রাক্ট অথরিটি। এই আইন সব বড়লোকদের স্বার্থে। 30 কোটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ নেই। কে দেবে এদের বিদ্যুৎ - সে সমাধানের সঠিক রাস্তা নেই। তারপর বিদ্যুৎ কর্মীদের মারাত্মক বিপদ ঘটবে। যত বেশি ব্যবসাদারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চালু হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে তত বেশি খরচ কমানোর প্রতিযোগিতাও চলবে। এর ফলে বিদ্যুৎ কর্মী সংকোচন করতে থাকবে দ্রুতগতিতে। চাকরির নিরাপত্তা থাকবে না। বিদ্যুতের মূল্য কোন সুরাহা ঘটবে না বরং তা বাড়তেই থাকবে। ইতিমধ্যে যেসব জায়গায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে যেমন দিল্লি মুম্বাই সেই সব জায়গায় এই ঘটনাই ঘটেছে। সারা দেশজুড়ে চলছে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। এই আইন আরও ভয়ঙ্কর - বেসরকারি শিল্পপতিদের স্বার্থে সরকারের আত্মসমর্পণ।
পারস্পরিক ভর্তুকি সম্পূর্ণ অবলুপ্ত করার কথা বলা হয়েছে এই বিলে। ফলে যারা গরিব, নিম্নবিত্ত ( গ্রাহকদের মধ্যে প্রায় 80 ভাগ) তাদের এখন থেকে অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে। অনেকের পক্ষেই বিদ্যুৎ ব্যবহার সম্ভব হবে না। বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী (শতকরা 20 ভাগ) ধনী লোকদের সুবিধা হবে, তাদের দাম অপেক্ষাকৃত কমবে। সাবসিডি যদি কোন সরকার দেয় তা সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক একাউন্টে জমা পড়বে। চাষিরা মূলত এই সুযোগ পান তার ফলে চাষ করবে ভূমিহীন চাষী আর DBT (Direct Benefit Transfer) কবে জমির মালিক। বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী দুই হাজার কুড়ি সামগ্রিকভাবে সারা দেশে মানুষের কাছে বিপদের কারণ।
বিদ্যুৎ কর্মীদের ফেডারেশন আসন্ন এই সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তীব্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিয়েছে এই সংগ্রামে বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় সহযোগিতা আজ অত্যন্ত জরুরী। বিদ্যুৎ গ্রাহক, সাধারণ মানুষ ও বিদ্যুৎ কর্মীদের যৌথ মঞ্চের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামই একমাত্র পারে এই জনবিরোধী নীতি কে পরাস্ত করতে।