কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেস বিবৃতি

১জুলাই,২০২৪

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটি ২৮-৩০ জুন নয়াদিল্লিতে বৈঠক করে নিম্নলিখিত বিবৃতি জারি করেছে:

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল

কেন্দ্রীয় কমিটি অষ্টাদশ লোকসভার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেছে এবং এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে এটি বিজেপির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ধাক্কা। ভারতের জনগণ, সংবিধান রক্ষা, আমাদের সাধারণতন্ত্রের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক চরিত্র বজায় রাখা, এবং ক্রমশ নিম্নগামী জীবন জীবিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেই এইবারে ভোটদান করেছে। তারা নিশ্চিত করেছে বিজেপি যেন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, যা তারা গত দুটি লোকসভা নির্বাচনে পেয়েছিল। বিজেপির ৪০০-এর বেশি আসন জয়ের আস্ফালনকে প্রত্যাখ্যান করে, ভারতের নির্বাচকমন্ডলী বিজেপিকে ২৪০ এ নামিয়ে দিয়েছে, যা ২০১৯-এর লোকসভার চেয়ে ৬৩ কম। সামগ্রিকভাবে, বিজেপি আগের ৯২টি আসন হারিয়েছে, তবে ২৯টি নতুন আসন জিতে তাদের মোট ক্ষতি হয়েছে ৬৩টি আসনের। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য জরুরী আসনসংখ্যার চাইতে বিজেপির ৩২টি আসন কম রয়েছে। অবশ্য বিজেপির সহযোগী দলগুলি অতিরিক্ত ৫২টি আসনে জয়ী হয়েছে। এনডিএ জোটের হাতে রয়েছে ২৯২টি আসন, যা প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার চাইতে মাত্র ২০টি বেশি।

ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলি জনগণকে জোটবদ্ধ করে ২৩৪টি আসনে জয়লাভ করেছে যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৩৮টি কম। এনডিএ জোট সবকটি নির্বাচনী ক্ষেত্র মিলিয়ে মোট প্রদত্ত ভোটের ৪২.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ইন্ডিয়া ব্লক দলসমূহের পক্ষে রয়েছে ৪০.৬ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ দুটি পক্ষের মধ্যে ভোটের পার্থক্য ২ শতাংশের চাইতেও কম-১.৯ শতাংশ। এই প্রতিকূল ফলাফল সত্ত্বেও এবং এনডিএ জোট সরকার গঠনে বাধ্য হওয়ার পরেও, বিজেপি মোদির আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস আক্রমণ শুরু করেছে। বিজেপির সামগ্রিক ভোট সামান্য ১ শতাংশের কিছু বেশি মত হ্রাস পেয়েছে এই বাস্তবের পরিপ্রেক্ষিতে, বিজেপি গত এক দশক ধরে অনুসরণ করা হিন্দুত্ববাদী চেতনাকেই একীভূত করতে চায়।

সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে আরও তীব্র করার জন্য, ফলাফল ঘোষণার পরদিন থেকেই মুসলমান সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে সিপিআই(এম) সহ বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর অপব্যবহার অব্যাহত রয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর, সিবিআই দ্বারা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পুনরায় গ্রেফতার, অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে মামলা ও তদন্ত শুরুর অনুমোদন ইত্যাদি অবিরাম অব্যাহত রয়েছে। এনএসএ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিকে পুনঃনিযুক্ত করা, ইতালিতে জি৭ নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাতের জন্য সম্মেলনের বাইরে মোদির বৈঠক করা যেখানে ভারতের জন্য কোন এজেন্ডা ছিল না; গত মন্ত্রিসভার প্রায় সব প্রাক্তন মন্ত্রীদের একই পদে নতুন মন্ত্রিসভায় পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং লোকসভার স্পিকার হিসাবে ওম বিড়লাকে পুনর্নির্বাচিত করা যিনি প্রায় ১৫০ জন সাংসদকে বহিষ্কার করেছিলেন, এইসবের মাধ্যমে একটা বিষয় স্পষ্ট যে বর্তমান সরকারেও একই ভাবে মোদির অধীন কাজকর্ম চলবে।

এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রীয় কমিটি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে ভারতীয় সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রামের সাথে সাথে ভারতীয় জনগণের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য উন্নত জীবন-জীবিকা অর্জনের সংগ্রামকে আরও তীব্র করতে হবে।এই সংগ্রাম সংসদের ভিতরে এবং বাইরে উভয় স্তরেই চলবে। সিপিআই(এম) অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দলগুলির সাথে যৌথভাবে এবং একইসাথে স্বাধীনভাবে সারা দেশে এই কাজটি করবে।

সিপিআই(এম) এর নির্বাচনী ফলাফল

সিপিআই(এম) মোদি শাসনের নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামে এবং আরএসএস/বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সমবেত করতে, শ্রমজীবী জনগণকে সংগঠিত করতে ভূমিকা পালন করেছিল এবং এর ফলে ইন্ডিয়া ব্লককে শক্তিশালী করতে অবদান রেখেছিল। তবে দলের ফলাফল হতাশাজনক। সিপিআই(এম) ২০১৯ সালে ৭১টি আসলে লড়লেও এবার ৫২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এর মধ্যে পার্টি ৪টি আসন জিতেছে (তামিলনাড়ু ২; কেরালা এবং রাজস্থান ১টি করে)। বামেদের সামগ্রিকভাবে ৮ জন সাংসদ রয়েছে [সিপিআই(এম) ৪, সিপিআই ২, সিপিআই(এমএল) ২]।

কেন্দ্রীয় কমিটি গুরুতর আত্মসমীক্ষার দৃষ্টিতে আমরা যে সমস্ত রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি সেখানে পার্টির কর্মক্ষমতাকে সমালোচনামূলকভাবে মূল্যায়ন করেছে। ত্রুটি এবং দুর্বলতাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। পার্টির রাজ্য কমিটিগুলি এখন এই ত্রুটিগুলি কাটিয়ে উঠতে এবং পার্টিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজগুলি বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদ করা হচ্ছে

কেন্দ্রীয় কমিটি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ধাক্কা খাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের জীবন, জীবিকা এবং সম্পত্তির উপর ভয়াবহ হামলার তীব্র নিন্দা করছে।

ছত্তিশগড়ের রায়পুর, উত্তরপ্রদেশের আলিগড় এবং গুজরাটের চিখোদরায় হামলায় মোট পাঁচজন মুসলমান পুরুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

"গোহত্যা" বা "গরুর মাংস উদ্ধারের" অপ্রমাণিত অভিযোগের পরে, মধ্যপ্রদেশের মান্ডলায় ১১ জন মুসলমানের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, হিমাচল প্রদেশের নাহানে একজন মুসলিম ব্যক্তির দোকান ভাংচুর করা হয়েছিল এবং আরও অনেকের দোকান বলপূর্বক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এছাড়া উড়িশ্যার বালাসোরে একটা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

একদিকে গুজরাটের ভাদোদরায় একটি নিম্ন-আয়গোষ্ঠীর জন্য তৈরি হওয়া আবাসনে একজন মুসলমান মহিলাকে তার জন্য বরাদ্দ করা একটি ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয় অন্যদিকে দিল্লির সঙ্গম বিহারে হিন্দুত্ববাদী সদস্যদের দ্বারা একটি গরুর মৃতদেহ উদ্ধার এবং উস্কানিমূলক বক্তৃতা করার পরে সেখানকার বাসিন্দাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। জব্বলপুরে, হিন্দুত্ববাদী দলগুলি মুসলমানদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে একটি ভয়ঙ্কর বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল।

বিজেপির নির্বাচনী ফলাফলের পর সাম্প্রদায়িক হামলার এই ধরনের প্রাবল্য এই সত্যকে তুলে ধরে যে হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি নতুন করে প্রতিশোধ নিতে মেরুকরণের প্রচেষ্টাকে তীব্রতর করছে।

সিপিআই(এম) এর কেন্দ্রীয় কমিটি সমস্ত পার্টি ইউনিটকে বিজেপি এবং অন্যান্য সাম্প্রদায়িক দলগুলির এই ধরনের জঘন্য কৌশলগুলির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে ৷ দেশ জুড়ে পার্টি ইউনিটগুলোর অবিলম্বে এ ধরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচী সংগঠিত করা উচিত।

পরীক্ষা কেলেঙ্কারি: শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে

কেন্দ্রীয় কমিটি ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষাকে ঘিরে কেলেঙ্কারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং অন্যান্যদের যন্ত্রণা ও আশঙ্কায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

কেন্দ্রীয় কমিটি,NEP 2020 যা শিক্ষার কেন্দ্রীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ এবং সাম্প্রদায়িকীকরণের পক্ষে একটি নীতি, তার তীব্র বিরোধিতার অবস্থান পুনরায় ব্যক্ত করছে। পরীক্ষা পদ্ধতির কেন্দ্রীকরণ এই পরিকল্পনারই অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেন্দ্রীয় কমিটি দৃঢ়ভাবে মনে করে যে সিবিআই-এর কাছে তদন্ত হস্তান্তর করা ধামাচাপা দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা, যেমনটি ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন এবং অবিলম্বে তার পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় কমিটি কেন্দ্রীভূত পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল, এনটিএ ভেঙ্গে ফেলা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার কেন্দ্রীকরণের দিকে সমস্ত উদ্যোগকে বাতিলের দাবি জানায়।

নয়া ফৌজদারি আইন প্রয়োগ করা চলবে না

সিপিআই(এম) এর কেন্দ্রীয় কমিটি ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে নয়া ফৌজদারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মোদি সরকারের একগুঁয়ে মনোভাবের তীব্র বিরোধিতা করছে।

যখন বিপুল সংখ্যক বিরোধী সাংসদকে সংসদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল সেই সময় ভয়াবহ এই আইনগুলি তাড়াহুড়ো করে, কোন বিতর্ক ছাড়াই, স্পষ্টভাবে স্বৈরাচারী এবং গণতন্ত্রবিরোধী পদ্ধতিতে পাস করা হয়েছে ।

যদিও সুপ্রিম কোর্ট আইপিসির ১২৪এ ধারাটি সঠিকভাবে বাতিল করেছে যা 'রাষ্ট্রদ্রোহ' সংজ্ঞায়িত করে, কিন্তু সেটাই গোপনে নতুন ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫২নং ধারা হিসাবে আনা হয়েছে এবং এর সাথে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার উল্লেখ রয়েছে যা মূল ধারা ১২৪এ- সেখানে ছিল না। যদিও এটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নির্লজ্জ লঙ্ঘন, নতুন আইনটি মানুষকে 'দেশবিরোধী' বলে অভিযুক্ত করা এবং দোষী সাব্যস্ত করা আরও সহজ করবে।

নতুন আইনে এমন অনেক বিধান রয়েছে যা পুলিশের ক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি করে যা নাগরিকদের জন্য ক্ষতিকারক। উদাহরণস্বরূপ, নতুন আইনগুলি আগের আইনে নির্ধারিত ১৫ দিনের সীমার ঊর্ধ্বে একজন অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে রাখার সুযোগ দেয়। নতুন আইনের বিধানগুলোর অর্থ হল একজন বিচারক একজন অভিযুক্তকে ৯০ দিন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি দিতে পারবেন। এমনকি কগনিজেবেল অপরাধের ক্ষেত্রে একটি এফআইআর দায়ের করা যাবে শুধুমাত্র একজন পুলিশ অফিসারের দ্বারা ১৫ দিন পর্যন্ত তদন্তের পরে। আরেকটি অত্যন্ত বিপজ্জনক দিক হল যে বর্তমান আইনে ইউএপিএ-এর অধীনে অভিযোগগুলির তদন্ত একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক দ্বারা পরিচালিত হয়, তখন নতুন ধারা ১৫২ এর অধীনে অভিযোগগুলি থানায় একজন তদন্তকারী আধিকারিক দ্বারা তদন্ত করা হবে।ইউএপিএ-এর অধীনে, সরকারকে কারুর বিরুদ্ধে তদন্ত করার অনুমোদন দিতে হত, কিন্তু নতুন ন্যায় সংহিতার অধীনে, একজন সাধারণ পুলিশ আধিকারিক যে কারুর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে তদন্ত করতে পারবে।

যদিও আইনের একটি মৌলিক নীতি হল কোনো একটি অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হতে পারে না যতক্ষণ না তাদের অপরাধ, অপরাধ হিসেবে সেইসময় গণ্য হয়ে থাকে। তবে ১ জুলাইয়ের আগে দায়ের করা এফআইআরের জন্য সেইসময়ে প্রচলিত আইনই কার্যকর হবে কিন্তু ১ জুলাইয়ের পরে দায়ের করা এফআইআরের জন্য নতুন আইন প্রযোজ্য হবে।

এর অর্থ হল যে উভয় আইনবিধি একযোগে চলবে এবং কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে বিতর্ক থাকবে। এর ফলে আপিলগুলিও খুব জটিল হয়ে উঠবে। নতুন আইনবিধিগুলিতে অনিশ্চয়তা ও অস্বচ্ছতা রয়েছে, এরফলে কোনমতেই এই নয়া আইনবিধি গ্রহণযোগ্য নয়। এটি কেবলমাত্র নিষ্পত্তি না হওয়া লক্ষাধিক ফৌজদারি মামলার বিশাল বোঝায় ‌নতুন আরো মামলা যুক্ত করবে।

বার অ্যাসোসিয়েশন, বিভিন্ন সচেতন সামাজিক সংগঠন এবং এই বিষয়ে অবগত কিছু নাগরিক, যাঁরা নতুন এই আইনগুলির প্রয়োগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সিপিআইএম এই আইনগুলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারির দাবীতে এই সংগঠনগুলির সাথে যোগ দিয়েছে। তাদের মতে, এই আইনগুলি যথেষ্ট উদ্বেগ সৃষ্টিকারী, কঠোর এবং পশ্চাদমুখী।

২৪ তম পার্টি কংগ্রেস

কেন্দ্রীয় কমিটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৪তম কংগ্রেসের জন্য সমস্ত স্তরে পার্টি সম্মেলন আয়োজনের জন্য একটি সময় সারণী অনুমোদন করেছে।


শেয়ার করুন

উত্তর দিন