কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের সেকাল-একাল : শান্তনু দে

২১ জুন ২০২১, সোমবার


‘কয়েক বছর আগেও দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক সংবলিত সংস্যাগুলি যথেষ্ট অস্পষ্ট ছিল।’ লিখছেন অশোক মিত্র, ১৯৮৪-তে মার্কসবাদী পথের নভেম্বর সংখ্যায়।

আশোক মিত্র

ব্যতিক্রমী নিজস্ব শব্দ চয়নে মিত্র লিখছেন, ‘দু’টি আলাদা সরকার— কেন্দ্রের এবং রাজ্যের— তাদের দায়িত্ব ও অধিকারের চৌহদ্দি তথা সীমারেখা, তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের সাংবিধানিক ও ব্যবহারিক দিক, সমস্ত কিছু নিয়েই সাধারণের মনে ব্যাপক বিভ্রান্তিবোধ ছিল। সংবিধানের ৩৫৬ ধারা ব্যবহার করে মাঝে মাঝে সরকারগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকার খেয়াল-খুশিমতো বিতাড়িত করে থাকেন, মাত্র এই বিশেষ ব্যাপারটি নিয়ে একটু আলোড়ন হতো মাঝে মাঝে, কিন্তু তা-ও খানিক বাদে ঝিমিয়ে পরতো। এই অবস্থার গুণগত পরিবর্তন ঘটেছে ১৯৭৭ সালের পর থেকে, এবং বাগাড়ম্বর না করেও দাবি করা চলে, অনেকটাই পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের প্রচেষ্ঠার ফলে।’

‘অবস্থার গুণগত পরিবর্তন’। স্বাভাবিক। আজ নয়, আজ থেকে ৪৫ বছর আগে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো ১৯৭৬ সালে দাবি তুলেছে, ‘আইএএস, আইপিএস প্রভৃতি সর্বভারতীয় সার্ভিসের অফিসারদের রাজ্যের কাজে নিয়োগ করেও, তাদের উপর তদারকি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কর্তৃত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত রাখার বিধি নাকচ করতে হবে।’

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় তখন সম্ভবত ক্লাস টেন। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা। অ-ঘোষিত নয়। একেবারে ঘোষিত। ইন্দিরার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এককাট্টা করে চলেছেন জয়প্রকাশ নারায়ণ। এসেছেন কলকাতায়। আজকের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গাড়ির বনেটে নেচে সেই প্রথম মিডিয়ার নজরে। জরুরি অবস্থার পক্ষে। কেন্দ্রের স্বৈরাচার নিয়ে দেশজোড়া প্রতিবাদের বিরুদ্ধে। এবং সেবছরই প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের (ইন্দিরা) সাধারণ সম্পাদক।

ইতিহাস সত্যিই বড় নির্মম!

শেষে সাতাত্তর। কেন্দ্রে একটানা তিরিশ বছরের কংগ্রেসী শাসনের অবসান। জনতা পার্টির সরকার। রাজ্যে বামফ্রন্ট। মহাকরণে জ্যোতি বসু। কিন্তু সরকারের কাছে প্রধান সমস্যা হল একদিকে জনগণের অপরিমেয় প্রত্যাশা। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের সংবিধান আরোপিত ও সংবিধান বহির্ভূত পরাক্রম। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে নাম-কা-ওয়াস্তে করে ছেড়েছে।

এমনিতেই আমাদের দেশের সংবিধানে কেবল যুক্তরাষ্ট্রিকতার চেহারাটুকু আছে। মোদ্দা ক্ষমতা কেন্দ্রেরই হাতে। সংবিধান বহির্ভূতভাবেও রাজ্যের ক্ষমতা সামান্য। আদতে এটা হল এককেন্দ্রিক ব্যবস্থা। যদিও, সংবিধানে কোথাও ‘কেন্দ্র’ কথাটা নেই।

সেকারণে, বামফ্রন্ট সরকারের বারংবার উচ্চারণ ছিল তাদের ক্ষমতার ‘সীমাবদ্ধতা’ নিয়ে। এ সরকার কোনও সব পেয়েছির আসর নয়। তাকে লড়তে হবে কেন্দ্রীয় সরকারেরও বিরুদ্ধে। শুধু নিজেদের রাজ্যের জন্যে নয়। সব রাজ্য সরকার, বিশেষত বিরোধীদের দ্বারা পরিচালিত সরকারের স্বার্থে। অথবা আরও স্পষ্ট ভাবে বলা উচিত রাজ্যের জনগণেরই স্বার্থে। তাদের বোঝাতে হবে লড়াই ছাড়া পথ নেই।

দেওয়াল লিখনে স্পষ্ট ‘রাজ্যের হাতে চাই অধিক ক্ষমতা’। জুলাইয়ের শেষে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে জ্যোতি বসু বললেন, ‘আমরা প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা চাই। ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন দলের সরকার এই ব্যবস্থার প্রতিবন্ধক হতে পারে না।’

সেবছরই দেশহিতৈষীর শারদ সংখ্যায় ‘কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক প্রসঙ্গে’ নিবন্ধ। অনিল বিশ্বাস লিখছেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হলো ভারতীয় সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিশ্চিত করা। ভারতের বর্তমান সংবিধানে যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বলবৎ রয়েছে, তা খুবই সীমিত। প্রকৃত ক্ষমতা রয়েছে কেন্দ্রের হাতে।’

৪২ তম সংবিধান সংশোধনী বাতিলের দাবি জানিয়ে রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতা চেয়ে তার আগেই ১৯৭৬ সালে পলিট ব্যুরো যে সাতটি সুনির্দিষ্ট দাবি জানিয়েছে, তার একনম্বরে, ‘রাষ্ট্রপতির হাতে জরুরি অবস্থা জারি এবং রাজ্য সরকারগুলির পতন ঘটাবার যে ক্ষমতা রয়েছে, তা বাতিল করতে হবে।’ (জুলাই, ১৯৫৯: প্রথম শিকার কেরালা, নির্বাচিত ইএমএস সরকারকে অপসারন।) দু’নম্বরে, ‘রাজ্যপালরা যাতে রাজ্য বিধানসভা দ্বারা নির্বাচিত হতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে।’

পরে ২০০৮ সালে, ‘কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের পুনর্বিন্যাসের’ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি দায়বদ্ধ দল ও সংগঠনগুলির কাছে সিপিআই(এম) যে নোট বিলি করে, তাতে বলে: রাজ্যগুলির জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে নিযুক্ত রাজ্যপাল রাখা কালের বিচারে বেমানান, যা একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে মোটেই মানানসই নয়। রাজ্যপালের পদ যদি রাখতেই হয়, তবে সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সারকারিয়া কমিশনে উল্লেখিত মাপকাঠি ধরে তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতির তরফে একজনের নিয়োগ হওয়া উচিত।


কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের সূত্রায়নের মুখ্য স্থপতি ছিলেন জ্যোতি বসু। ১৯৭৭, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের গণতান্ত্রিক পুনর্বিন্যাসের দাবিতে ১৫-দফা স্মারকলিপি গ্রহন করে বামফ্রন্ট সরকার। ওই বছরই নভেম্বরে বসু বলেন, ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য— এদেশে বাস্তব এক ধারণা। জাতির তাৎপর্যপূর্ণ সংহতির যে কোনও প্রচেষ্টার সময় এটা মনে রাখতে হবে। গত তিরিশ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে উপর থেকে ঐক্য চাপিয়ে দিলে ঐক্যনাশী ঝোঁকই প্রকাশ পায়। তার বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না।’

আটের দশকের গোড়ায় কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের অসহিষ্ণু মনোভাবের বিরুদ্ধে দেশের অকংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীদের জড়ো করেন বসু। জন্ম হয় কনক্লেভ-রাজনীতির। অক্টোবর, ১৯৮৩। প্রথমে শ্রীনগরে কনক্লেভ। উপস্থিত জ্যোতি বসু, ফারুক আবদুল্লা, এন টি রামা রাও, আই কে গুজরাল, চন্দ্রশেখর, চিত্ত বসু, জগজীবন রাম, শারদ পাওয়ার, হেমবতী নন্দন বহুগুনা, প্রকাশ সিং বাদল, সুরজিত সিং বার্নালাসহ সতেরোটি রাজনৈতিক দলের ৫৯ জন শীর্ষ নেতৃত্ব। শেষে কনক্লেভ কলকাতায়। শ্রীনগরে কনক্লেভে যে বিষয়গুলিকে চিহ্নিত করা হয়, তার মধ্যে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে প্রধান ইস্যুগুলি ছিল: ৩৫৬ ধারার অপব্যবহার, রাজ্যের সম্মতি ছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো, রাজ্যপালের ভূমিকা। তাঁদের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয় জম্মু কাশ্মীরের ক্ষেত্রে। পরের বছর জুলাইয়ের গোড়ায় জম্মু কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লার সরকারকে খারিজ করা হলে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী রামকৃষ্ণ হেগড়ে দিল্লিতে কর্ণাটক ভবনে অকংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকেন। বৈঠক থেকে কাশ্মীরে কেন্দ্রের তরফে গণতন্ত্র হত্যার তীব্র নিন্দা করা হয়। সংহতি জানিয়ে পরদিন এক প্রতিনিধিদল যায় শ্রীনগরে। ফারুকের দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের দপ্তরের সামনে হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। ১২ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উপস্থিতিতে জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকে একযোগে সরব হন জ্যোতি বসু, এন টি রামা রাও, রামকৃষ্ণ হেগড়ে এবং নৃপেন চক্রবর্তী। এবং ওয়াকআউট করেন।

এদিকে চাপের মুখে ১৯৮৩-তে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্যে সারকারিয়া কমিশন গঠন করতে বাধ্য হন ইন্দিরা গান্ধী। সেই কমিশন রিপোর্ট পেশ করতে পাঁচ বছর সময় নিয়ে নিলেও অধিকাংশ মৌলিক ইস্যুর সমাধানে ব্যর্থ হয়।

আমাদের সংবিধানের প্রথম ধারাতেই বলা হয়েছে, ভারত হলো রাজ্যসমূহের ইউনিয়ন। ইন্ডিয়া ইজ এ ইউনিয়ন অব স্টেটস। রাজ্যগুলিকে বাদ দিলে ভারতীয় ইউনিয়নের কোনও অস্তিত্বই নেই। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক হলো যার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

১৯৯১, নয়া উদারনীতির সূচনার পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক স্ট্র্যাটেজি দেখেছে পরিকল্পিত উন্নয়ন থেকে বাজারমুখী উন্নয়ন। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এনেছে নতুন চ্যালেঞ্জ।

আর এখন, নব্য ফ্যাসিবাদী ও হিন্দু আধিপত্যবাদীরা কেন্দ্রের ক্ষমতায়। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বদলে, তার উপরে নামিয়ে আনা হচ্ছে নতুন করে আক্রমণ। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে একটা কেন্দ্রীভূত সরকারি ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে পুরোদমে। যেখানে প্রতিটি ক্ষমতা, প্রতিটি কর্তৃত্ব থাকবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর হাতে।

এখন এমন একটি দিনও নেই, যেদিন আক্রান্ত হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। কোনও দিন কেন্দ্র একতরফাভাবে টিকা নীতি ঘোষণা করছে তো, কোনও দিন পাঞ্জাব সরকার দেখছে কৃষি বিলের বিরোধিতার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের জন্য বরাদ্দ গ্রামীন উন্নয়ন তহবিলের অর্থ। মহামারি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী দু-দু’বার বৈঠক করেছেন ১৯ টি রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে। যেমন বিরোধী থাকাকালীন মমতা ব্যানার্জি চাইতেন ‘পিএম-টু-ডিএম’ মডেল। একইভাবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বৈঠক করেছেন শিক্ষাসচিবদের সঙ্গে।

স্পষ্টতই কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের লঙ্ঘন। দেখা যাচ্ছে রাজ্যপাল, লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। এবছর মার্চে গ্রহন করা হয়েছে ‘দ্য গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অব দিল্লি (সংশোধনী) আইন’। যাতে বেপরোয়াভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে রাজ্যের ক্ষমতা। লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘রাজ্যের সরকার’ বলে।

আর এগুলি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা, বা অবক্ষয় নয়। এগুলি হলো সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর ধারাবাহিক আক্রমণ। স্বৈরাচারী কেন্দ্রিকতায় পদদলিত হচ্ছে রাজ্যের অধিকার। মহামারির পর এই আক্রমণের তীব্রতা আরও বাড়ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং মহামারি রোগ আইনকে।

মোদীর দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও রাজ্যের উপর আক্রমণের শুরু ৩৭০ ধারা বাতিল এবং জম্মু কাশ্মীরকে ভেঙে দেওয়ার মধ্যে। আর এখন এই আক্রমণ চলছে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সমস্ত ক্ষেত্রে। মূলত তিনটি ক্ষেত্রে: যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সাংবিধানিক নীতিতে, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কোষাগারীয় দিকগুলিতে এবং কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের রাজনৈতিক বুনিয়াদে।

নানাভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে রাজ্যগুলিকে। খর্ব করা হচ্ছে রাজ্যের অধিকার। আর গড়ে তোলা হচ্ছে একটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত ব্যবস্থা। একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্রকে আরএসএসের পরিকল্পিত ‘হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে’ পরিনত করতে যা ওদের কাছে খুবই জরুরি। সেদিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাও বড় ধরণের আক্রমণের মুখে।

রাজ্যের বিষয়ে কেন্দ্রের অনধিকার প্রবেশ দেখা গিয়েছে তিনটি কৃষি আইনে। যেখানে কৃষি ও কৃষি বিপণন রাজ্যের বিষয়। জিএসটি থেকে রাজ্যগুলির বকেয়া পাওনা রয়েছে দু’বছর ধরে। জগদীপ ধনখড়ের মতো রাজ্যপালরা যেন কেন্দ্রের শাসকদলের ফাইফরমাশ খাটার লোক হিসেবে কাজ করছেন! সঙ্ঘের লোকেরা কাজ করছেন রাজ্যপাল হিসেবে, রাজ্যপালের সাংবিধানিক ভূমিকা সম্পর্কে যাঁরা প্রায় নিরক্ষর, আগ্রহ বেশি হিন্দুত্বের অ্যাজেন্ডায়।

সেকারণে, আজকের লড়াই নিছক ‘খেলা’ নয়। মেকি ‘দাদা-দিদি’র লড়াইও নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি ও রাজ্যের অধিকারের জন্য আজকের লড়াই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।




শেয়ার করুন

উত্তর দিন