২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই(এম)-র প্রচার পুস্তিকা প্রকাশিত হল

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে তিনটি পুস্তিকা প্রকাশিত হল। পুস্তিকাগুলির পিডিএফ ভার্সন এই প্রতিবেদনের শেষে ডাউনলোড লিংক সহ দেওয়া রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখলেন বৃন্দা কারাত

ধর্ষিতার সম্মতি নিরপেক্ষভাবে এধরনের সওয়াল – জবাব ধর্ষকদের জন্য একটি বার্তা দেবে যে অপরাধের পরে বিবাহ করতে সম্মত হলেই কারাবাসের সাজা থেকে বেঁচে যাওয়া যায়। আমাদের সমাজে এখনও কিছু পশ্চাদপদ চিন্তাভাবনা রয়ে গেছে যার ফলে ধর্ষণের শিকার হওয়া মহিলা “বাজে মেয়ে” হিসাবে প্রতিপন্ন হয় এবং ধর্ষকের সাথে বিবাহের ফলে সে সমাজে তার হৃত সম্মান ফিরে পাবে বলে ধারণা করা হয়। এধরনের মানসিকতাকে কোনভাবেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে সমর্থন যোগানো উচিত নয়।

BJP in Tripura

ত্রিপুরার ডবল ইঞ্জিন সরকারঃ বেহাল কর্মসংস্থান

আসলে ডবল ইঞ্জিন নয়, জনগণের উন্নয়নে প্রয়োজন হয় যথার্থ বিকল্প নীতির। বিজেপি’র নীতি একটাই দেশকে কর্পোরেট গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী, জয় প্রকাশ নাড্ডা, অমিত শাহ কিংবা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব যাই দাবী করুন না কেন জনগণ এদের উপরে আর ভরসা করবেন না।

ব্রিগেড সমাবেশের সাফল্য কামনা করে বার্তাঃ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্নভাবে খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি বহু মানুষ সমাবেশে আসবেন এবং অনেকে এসে গেছেন। বড় সমাবেশ হবে।

CITU On Brigade

ঐতিহাসিক ব্রিগেড হতে চলেছে - সিআইটিইউ নেতৃত্বের দৃপ্ত আহ্বান

অন্যান্য দক্ষিনপন্থী শক্তির মতো আমরা ভোটের দিকে তাকিয়ে মানুষের লড়াইয়ের সাথী হই না, জীবন জীবিকা রক্ষার লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের রাজনীতি। সারা দেশের সাথে আমাদের রাজ্যেও গরীব মানুষ, মেহনতি মানুষ সেই রাজনীতির ভরসা বুকে বেঁধেই লড়াই করছেন।

madan ghosh

ইতিহাসের শিক্ষার নতুন নজীর সৃষ্টি করবে এবারের ব্রিগেড

কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা রাজ্য সরকার দুই ক্ষেত্রেই গোড়ার কথাটা একই – এরা গরীব, নিপীড়িত, ভুখা পেটে থাকা মানুষের সরকার নয়। সারা দেশ সহ আমাদের রাজ্যেও দুর্দশাগ্রস্থ মানুষই সংখ্যায় বেশি, তারা একজোট হতে চাইছেন। সেই জোট যে কোনও জনবিরোধী কার্যক্রম রুখে দিতে সক্ষম – ইতিহাসের শিক্ষা তাই।

Corporate -Hindutwa Alliance

কৃষকেরা জনকল্যাণকারী রাষ্ট্রের পুনর্নির্মাণ করছেন

হিন্দু, মুসলমান, শিখ সম্প্রদায়ের কৃষকেরা একে অন্যের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে তুলে ধরেছেন। কর্পোরেটদের হাতে দেশের কৃষিক্ষেত্রকে তুলে দেবার বিরোধিতা করে আসলে তারা আমাদের দেশকে কর্পোরেটদের সাথে একাকার করে দেখাবার যে রাজনীতি, তারই বিরোধিতা করছেন। গণবণ্টন ব্যাবস্থা চালু রাখার পক্ষে দাঁড়িয়ে আসলে তারা রাষ্ট্রকে দেশের জনগণের কল্যানে নিজের পূর্বঘোষিত ভূমিকার পুনঃস্মরণ করাচ্ছেন। রাষ্ট্রের যে ধারণাকে আজ মোদী সরকার ধ্বংস করে দিতে চাইছে কৃষকেরা আসলে সেই জনকল্যানকারী রাষ্ট্রের ধারনাকেই পুনর্নির্মাণ করছেন।

Dr. pabitro sarkar

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সার্থকতা

আমাদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে যে জীবন সংকটের সম্মুখীন হতে হয় তাতে লড়াইয়ের রসদ বাংলাটা ভাল করে জানলে, কম পড়ে না। বরং আমি মনে করি মাতৃভাষায় পাঠ্যক্রমের পুরোটা শেখানোর পাশপাশি ইংরেজিটাও ভালভাবেই শেখান চলতে পারে – তাতে কোনও সমস্যা নেই। আজ প্রযুক্তি যে সুবিধা দিচ্ছে, ব্রিটিশ ভারতে শিক্ষার্থীরা সেই সুবিধা পান নি, তাদের জন্য কোনও হাতে গরম ইংরেজিময় পরিবেশ ছিল না। নীরদ চৌধুরীর মতো মানুষ বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেও অসাধারণ ইংরেজী রচনা করেছেন – এমনটা করা যায়। যে কোনও সরকারের সেই চেষ্টাই করা উচিত।