‘নেমিং অব সোসালিজম’ ছিল এক্সিবিট নং পি ৩৬০। এক্সিবিট নং পি ৩৬২-তে ছিল — ‘লেনিনিজম।’
মামলায় এমন ‘এক্সিবিট’ থাকে। তা মূলত কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণের জন্য পেশ করা তথ্য প্রমাণকে বোঝায়।
ভগৎ সিং, বটুকেশ্বর দত্ত, রাজগুরুসহ হিন্দুস্তান সোসালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের দোষী সাব্যস্ত করতে গিয়ে যে তথ্য প্রমাণ হাজির করা হয়েছিল আদালতের সামনে, সেই তালিকায় ওই বইগুলি ছিল। পেশ করা ‘এক্সিবিট’গুলির তালিকায় আরও অনেক বই, পত্রিকা ছিল। যেমন — বিপ্লবীদের জীবনী, ‘অ্যান অ্যাকাউন্ট অব কাবুল রেভেলিউশনারি পার্টি(এক্সিবিট নং পি ১৯),‘হোয়াট ডু উই ওয়ান্ট বাই এমএন রায়’-র একটি পান্ডুলিপি(এক্সিবিট নং পি ২১)।
ভগৎ সিংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল একাধিক। তার মধ্যে প্রধান ‘অপরাধ’ ছিল — রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পথ সম্পর্কে কী ভেবেছিলেন ভগৎ সিং ও তাঁর সাথীরা? এই প্রশ্নের একটি উত্তর দিতে পারে ‘লাহোর ষড়যন্ত মামলায়’ সাম্রাজ্যবাদী শাসন যন্ত্রের পেশ করা তথ্য প্রমাণগুলি। আবার আর একটি দিকও আছে। ১৯২৯-র একটি মামলায় ওই বইগুলিকে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধর অভিযোগ প্রমাণের নথী হিসাবে ব্রিটিশদের হাজির করাও বেশ চমকপ্রদ।
১৯১৭-তে সোভিয়েত বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছে। ১৯২০-তে এই দেশে কমিউনিস্ট পার্টির অঙ্কুর দেখা দিয়েছে। কাবুল থেকে বাংলা, মহারাষ্ট্র থেকে উত্তরদ্রদেশ — কমিউনিস্টদের নানা ধরনের তৎপরতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসের মধ্যে ‘পূর্ণ স্বরাজের’ দাবি মুখর হচ্ছে কমিউনিস্টদের তত্বাবধানে। ১৯২৯-র ১৯ শে মার্চ মাঝরাতে মীরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অনেক কমিউনিস্ট নেতাকে গ্রেপ্তার শুরু। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ সেই কমিউনিস্ট-নিকেশের লক্ষ্যে পরিচালিত মামলা শুরুর বিশ দিনের মাথায় ১৯২৯-র ৮এপ্রিল সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলির মধ্যে বোমা ছোঁড়েন ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত। কাউকে আঘাত করার জন্য নয়। ব্যবস্থাকে তীব্র বার্তা পাঠানোর জন্য। সেখানেই গ্রেপ্তার হন দু’জন।
মীরাট ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত, কমিউনিস্ট নেতা মুজফ্ফর আহ্মেদের স্মৃতিচারণায় জানা যায় ওই বছরের ২৩ মার্চ তাঁদের মীরাট জেলে আনা হয়। সেখানেই তাঁরা সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলিতে বোমা ছোঁড়ার কথা জানতে পারেন। মুজফ্ফর আহ্মেদ লিখছেন,‘‘দু’জন যুবকই গ্রেপ্তার হলেন। তাঁদের ছবি যখন কাগজে বের হল, তখন দেখলাম যে তাঁরা আমার পূর্ব পরিচিত লোক। প্রথম ব্যক্তি ছিলেন ভগৎ সিং, আর দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন বটুকেশ্বর দত্ত।…বোমা ফেলার সময় তাঁরা ‘‘down down with imperialism”, ‘’up up with revolution” ধ্বণি দিতে দিতে দুটি বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন।’’
অর্থাৎ ভগৎ সিং, বটুকেশ্বর দত্তরা দেশের কমিউনিস্টদের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলেছিলেন।
মামলা চলাকালীনই নিজেদের ভাবনা চিন্তা, মতাদর্শগত অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ভগৎ সিং। ইতিহাসের কাছে, ভবিষ্যতের জন্য মামলা চলাকালীন আদালতে তাঁর নিজেকে পেশ করার প্রক্রিয়াই বলে দিয়েছিল — ভগৎ সিং, হিন্দুস্তান সোসালিস্ট রেভিলিউশনারি অ্যাসেসিয়েশনের সদস্যরা মার্কসবাদ, লেনিনবাদে অনুপ্রাণিত ছিলেন।
মামলায় ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের কথা ছিল,‘‘বিপ্লব বলতে আমরা বুঝি — বর্তমান যে অবিচারের ব্যবস্থা চালু আছে — তার পরিবর্তন। উৎপাদক অথবা শ্রমিকরা, সমাজের সব থেকে প্রয়োজনিয় উপাদান হলেও, শোষকরা তাদের শ্রমকে শোষণ করছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। যে কৃষক ফসল ফলায় সে তার পরিবার নিয়ে অভুক্ত থাকে। যে তন্তুবায় বস্ত্র তৈরি করে বিশ্বাবাজারে তা সরবরাহ করে, সে নিজে বা তার সন্তানের গায়ে বস্ত্র তুলে দিতে পারে না। যে রাজমিস্ত্রী, সূত্রধঁ এবং কর্মকাররা বিরাট প্রাসাদ তৈরি করে, তারা বস্তিতে বাস করে সমাজের অচ্ছুৎ হয়ে। পুঁজিপতি ও শোষকরা হলো সমাজের পরগাছা, তারা তাদের মর্জিমাফিক কোটি কোটি মানুষকে লুঠ করে।’’
দু’জনেরই যুক্তি ছিল,‘এক আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন’ এবং ‘যাঁরা তা উপলব্ধি করেছেন, তাঁদের কর্তব্য হলো সমাজতন্ত্রের ভিত্তিতে সমাজকে গড়ে তোলা।’ এজন্য দরকার —‘শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্ব গড়ে তোলা।’
কোনও বিপ্লবীর অবস্থানকে বিচার করতে গেলে সময়কে বিচার করা জরুরি।
ভগৎ সিংয়ের কারাবাস কালে লেখা ডায়েরি জানাচ্ছে, তিনি মার্কসাবাদী দর্শনের নানা বই পড়েছিলেন। আকৃষ্ট হয়েছিলেন। দেশ কেমন হতে হবে বলে তাঁর স্বপ্ন ছিল? তা স্পষ্ট বোঝা যায় ‘তরুণ রাজনৈতিক কর্মীদের প্রতি বিপ্লবী কর্মী ও সংগঠন গড়ে তোলা প্রসঙ্গে’ আলোচনায়। ভগৎ সিং লিখছেন — ‘‘আমরা চাই সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। এরই অবিচ্ছেদ্য প্রাথমিক কাজ হল রাজনৈতিক বিপ্লব সফল করা, তাই-ই আমরা করতে চাই। রাজনৈতিক বিপ্লব মানে শুধুমাত্র ব্রিটিশের হাত থেকে ভারতীয়দের হাতে রাষ্ট্র(অর্থাৎ ক্ষমতা) হস্তান্তর বোঝায় না। আমাদের মত সুনির্দিষ্ট বিপ্লবী লক্ষ্য আছে এমন ভারতীয়দের হাতে অর্থাৎ জনগনের সমর্থনের ভিত্তিতে বিপ্লবী দলের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা আসা চাই।’’
কেমন হবে সেই রাষ্ট্র? ভগৎ সিংয়ের কথায়,‘‘তারপর সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে গোটা সমাজকে পুনর্গঠিত করারব পথে সংগঠিতভাবে আমাদের এগোতে হবে। বিপ্লবের এই সঠিক ধারনা যদি আপনার না থাকে তবে দয়া করে থামুন, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানটি তুলবেন না; অন্তত আমাদের কাছে ‘বিপ্লব’ শব্দটির তাৎপর্য সুমহান। এ শব্দটিকে যেমন-তেমন করে ব্যবহার করতে বা অপব্যবহার করতে দিতে পারি না।’’
বিপ্লবের শক্তি কারা? ভগৎ সিং লিখলেন,‘‘আপনি যদি বলেন, আপনার লক্ষ্য হল জাতীয় বিপ্লব সংগঠিত করা অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধাঁচে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, তাহলে আপনার কাছে আমি প্রশ্ন করব, কোন্ কোন্ শক্তির উপর নির্ভর করে আপনি বিপ্লবের পথে এগোতে চান? জাতীয় বিপ্লবই হোক আর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবই হোক, যে কোনও বিপ্লবের জন্যই একমাত্র নির্ভরযোগ্য শক্তি হল কৃষক এবং শ্রমিক।….যাই হোক, আমরা বিচার করছিলাম বিপ্লবের জন্য কোন্ কোন্ শক্তি নির্ভরযোগ্য। যদি কেউ বলেন তাঁরা শ্রমিক কৃষকের কাছে যাবেন এবং তাদের সক্রিয় সমর্থন সংগ্রহ করবেন, তাহলে আমি বলব এ ধরনের ভালো ভালো কথায় দেশের শ্রমিক কৃষক বোকা বনে যেতে চাইবেন না। তারা প্রশ্ন তুলবে, যে ধরনের বিপ্লবের জন্য ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান তাদের কাছে রাখা হচ্ছে, সেই বিপ্লব তাদের জন্য কী এনে দেবে? ভারত সরকারের সর্বোচ্চ গদিতে লর্ড রেডিং-ই থাকুন আর পুরুষোত্তম দাস ঠাকুরদাসই থাকুন, লর্ড আরউইনের পরিবর্তে স্যার তেজবাহাদুর সপ্রুই আসুন, তাতে দেশের শ্রমিক কৃষকের জীবনে কী পরিবর্তন আসবে! তাই শ্রমিক কৃষকের জাতীয় চেতনার কাছে নিছক আবেদন করা নিরর্থক। আপনার স্বার্থে তাকে ‘কাজে’ লাগানোর চেষ্টা করা বৃথা। আপনাকে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে তাদের বোঝাতে হবে বিপ্লবটা তারই বিপ্লব, তারই কল্যাণের জন্য বিপ্লব। এ বিপ্লব সর্বহারাদের স্বার্থে সর্বহারাদের নিজস্ব বিপ্লব।’’
ভগৎ সিংয়ের সংগ্রামী মনোভাব কৈশোর থেকেই স্পষ্ট ছিল। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ভগৎ সিং তার দাদুকে চিঠিতে লিখছেন,‘‘রেলকর্মীরা ধর্মঘটের পরিকল্পনা নিচ্ছে। আশা করা যায় ওদের ধর্মঘট সামনের সপ্তাহে শুরু হবে।’’ তখন ১৯২১-র নভেম্বর। ১৯২৪ ভগৎ সিং কানপুরে গণেশশঙ্কর বিদ্যার্থীর সাপ্তাহিক ‘প্রতাপ’ পত্রিকায় লেখালিখি শুরু করেছেন। সেই বছরই তিনি কানপুরে শচীন্দ্রনাথ সান্যাল প্রতিষ্ঠিত হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হন। পরবর্তী কালে ওই স্বাধীনতাকামী সংগঠনের নামের সঙ্গে ‘সোসালিস্ট’ কথাটি যুক্ত হয়। ১৯২৫-এ যোগাযোগ চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে। ১৯২৬-এ যোগাযোগ হয় ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টির সঙ্গে, মোহন সিং যোশের মাধ্যমে।
১৯২৮—র নভেম্বরে সাইমন কমিশন লাহোরে পৌঁছোয়। লালা লাজপৎ রায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ৩০ অক্টোবর বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিতে লাজপৎ রায় আহত হন। ১৭ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। সেই আক্রমনকে অপমান মনে করেই ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ সুপার জেপি সন্ডার্সকে গুলি করে হত্যা করেন ভগৎ সিং এবং তাঁর সাথীরা। যদিও লাজপৎ রায়ের আদর্শগত অবস্থান আর ভগৎ সিংদের অবস্থান ছিল আলাদা। লাজপৎ রায় হিন্দুত্বের ধারনার প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। ভগৎ সিং ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ। ‘কেন আমি নাস্তিক’ তাঁর বিখ্যাত রচনা। ঐতিহাসিক ইরফান হাবিবের সম্পাদনায় ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনালিজম’-এ প্রকাশিত ভগৎ সিংয়ের প্রবন্ধে স্পষ্ট — ধর্মীয় সংকীর্ণতা এবং জাত পাতের ভেদাভেদকে এক প্রবল বাধা হিসাবেই তরুণ ভগৎ সিং চিহ্নিত করেছেন।
তাঁর চিন্তার ভরকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল সমাজতন্ত্রের মতাদর্শ।
১৯৩০-র ২১ জানুয়ারি লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁরা আদালতে এসেছিলেন মাথায় লাল কাপড় জড়িয়ে। ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ারে বসতেই তাঁরা স্লোগান দিয়ে ওঠেন,‘সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব জিন্দাবাদ’,‘কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক জিন্দাবাদ’, ‘লেনিনের নাম মুছে ফেলা যায়নি, যাবে না’, ‘সাম্রাজ্যবাদ মুর্দাবাদ’। ভগৎ সিং আদালতে একটি টেলিগ্রাম পাঠ করেন। সেটি ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে তুলে দেন মস্কোতে তৃতীয় কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকে পাঠানোর জন্য। সেই বার্তায় ছিল,‘‘আজ লেনিন দিবসে যাঁরা মহান লেনিনের আদর্শকে বাস্তবায়িত করতে কোন না কোন কাজ করছেন আমরা তাঁদের হৃদয়ের অভিনন্দন জানাচ্ছি। রুশ দেশে যে বিরাট পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে, আমরা তার সাফল্য কামনা করছি। আমরা আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছি। সর্বহারার জয় হবেই। পুঁজিবাদ পরাস্ত হবে। সাম্রাজ্যবাদ মুর্দাবাদ।’’
আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিপ্লবী কর্মীরা কেমন হবেন, তার একটি রূপরেখা তিনি তৈরি করেছিলেন। সেই ধরানায় দেশের সেই সময়কার পরিবেশের একটি প্রভাব আছে, কোনও সন্দেহ নেই। তিনি ব্যবসায়ীদের, সামাজিক প্রতিষ্ঠা এবং সংসারের পিছুটান থাকা মানুষদের এই পথ থেকে দূরে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী কর্মী হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার প্রশ্নে তরুণদের উদ্দেশ্যে ভগৎ সিংয়ের আহ্বান যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। তাঁর আহ্বান ‘‘ভাব প্রবণতা ছেড়ে বাস্তবকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হোন। বিপ্লবী সংগ্রাম পরিচালনা অত্যন্ত কঠিন কাজ। নিছক একজনের ব্যক্তিগত চেষ্টায় বিপ্লব হতে পারে না, কোন একটি তারিখ নির্দিষ্ট করে দিয়ে সেই দিন বিপ্লব করাও সম্ভব নয়। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিশেষ এক পরিবেশেই আসে বিপ্লব। বিপ্লবী দলের কাজ হল বিশেষ পরিবেশে তেমন একটি বিশেষ মুহূর্তকে কাজে লাগানো। বিপ্লবের জন্য শক্তি সমাবেশ ঘটানো এবং বিপ্লবের জন, জনগনকে প্রস্তুত করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এ জন্য বিপ্লবী কর্মীদের অপরিসীম আত্মত্যাগ প্রয়োজন।’’