মনীষীদের নিয়ে বিজেপি আর তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা
গৌতম রায়
মধ্যবিত্ত বাঙালির বৌদ্ধিক চেতনা জগতকে আচ্ছন্ন করা এখন কেন্দ্রের শাসক বিজেপি আর রাজ্যের শাসক তৃণমূলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলার মানুষের চিন্তা চেতনার জগতকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ভেদবুদ্ধির দ্বারা আচ্ছন্ন করে রাখার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা আরএসএস এবং তাদের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি যেমন চালিয়েছে ,সেই প্রচেষ্টাকে সফল করার লক্ষ্যে , তৃণমূল নিজেদের প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
বিভাজিত বিভাষার একটা চরম মেরুকরণের লক্ষ্যে , ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক শক্তি আরএসএস- বিজেপি , আর প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার সাম্প্রতিকতম সফল প্রতিভূ তৃণমূল কংগ্রেস , এখন টেনে আনতে শুরু করেছে বাংলার মনীষীদের। বাংলার সংস্কৃতির প্রতি একটা ছদ্ম আবেগ দেখিয়ে, উনিশ - বিশ শতকের জাগরণের অগ্রপথিকদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার এখন বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেস, এই দুই দলের প্রচলিত দস্তুরে পরিণত হয়েছে।
বিজেপি উনিশ শতকের নবজাগরণের প্রতিনিধিদের উপস্থাপিত করছে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি,' সাম্প্রদায়িকতা' কে সর্ব সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে। উনিশ শতকের নবজাগরণের অগ্রদূতদের এবং ভারতের জাতীয় আন্দোলনের মূলত সশস্ত্র বিপ্লববাদী ধারার প্রতিভুদের , আরএসএস নিজেদের ধরনের সাম্প্রদায়িক বিভাজন মূলক চিন্তাচেতনার উপর নির্ভর করে তুলে ধরছে আসন্ন বিধানসভার ভোটকে মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গবাসীদের কাছে।
গোটা হিন্দু সাম্প্রদায়িক শিবির নিজেদের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে, সাংস্কৃতিক কর্মসূচির একটা আবরণের ভিতর দিয়ে ,সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে এই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে বিভাজনের রাজনীতিকে একটা ভিন্নমাত্রায় উপস্থাপিত করতে চাইছে। এই লক্ষ্যেই নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে সামাজিকতার আস্তরণে মেলে ধরতে নানা কর্মসূচি পালন করে চলেছে। সেইভাবেই তারা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা তৈরীর উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, ক্ষুদিরাম,বিনয়- বাদল- দীনেশ থেকে শুরু করে , শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা প্রমুখের সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ও একাত্ম করে দিতে চাইছে।
বহুত্ববাদী চিন্তাচেতনায় পুষ্ট ভারতকে ,হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি কোনদিন কোন অবস্থাতে স্বীকার করে না। প্রচলিত হিন্দু ধর্মে যে বহুত্ববাদের ধ্যান ধারণা আছে, অর্থাৎ; শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের আধ্যাত্বিক চেতনার একটা সম্মিলিত রূপ আছে , সেই সম্মিলিত রূপ কে কিন্তু হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি কখনো স্বীকার করে না। কোনরকম বৈচিত্রহীন বহুত্ববাদ ব্যাতীত, এককেন্দ্রিক , পরধর্ম বিদ্বেষী, পরমতঅসহিষ্ণু হিসেবে, হিন্দু ধর্মকে তুলে ধরাই হলো আরএসএস এবং তাদের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি ও তাদের বিভিন্ন ধরনের সঙ্গী-সাথীদের উপস্থাপিত হিন্দুত্বের স্বরূপ ।
সেই স্বরূপকে উপলব্ধির মধ্যে আনবার তাগিদেই তারা রবীন্দ্রনাথের চেতনাকে যেমন বিকৃত করে, তেমনিই বিকৃত করে শ্রীচৈতন্য থেকে শুরু করে শ্রীরামকৃষ্ণ , বিবেকানন্দের চেতনা ।সেইভাবেই বিকৃত করে রামমোহন , বিদ্যাসাগর প্রমূখ মনীষীদের চিন্তা-চেতনার ধারা-উপধারা কে। মীর মোশাররফ হোসেন থেকে শুরু করে বেগম রোকেয়া ,কাজী আবদুল ওদুদ, রেজাউল করিম প্রমূখ মনীষী, যাঁরা বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতিকে ধারাবাহিকভাবে সমৃদ্ধ করেছেন , তাঁদের চিন্তা চেতনার প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান শ্রদ্ধা সূচক কোনো আচরণ হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি কখনো করে না। জন্মসূত্রে হিন্দু, এমন ব্যক্তিত্বদের সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক বিন্দুতে পরিণত করে, নিজেদের সাম্প্রদায়িক কর্মসূচি কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে, বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ,রাজনৈতিক স্তরের সমস্ত ব্যক্তিত্বদের উপস্থাপিত করে তোলাই এখন হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে সব থেকে বড় সামাজিক কর্মসূচির আড়ালে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য সন্ধান যে রবীন্দ্রনাথ তাঁর গোটা জীবন ধরে করেছেন, সেই রবীন্দ্রনাথকে খণ্ড ,ক্ষুদ্র করে দেখার মানসিকতার ভেতর দিয়ে , এক অদ্ভুত সাম্প্রদায়িক জিঘাংসা গোটা বাংলা তথা বাংলার মানুষদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভয়াবহ সামাজিক প্রযুক্তি, গোটা হিন্দু সম্প্রদায়িক শিবির করে চলেছে। ধর্ম, জাতপাতের নামে কোন বিভাজনকে রবীন্দ্রনাথ ,নজরুল, বিবেকানন্দ, শ্রীরামকৃষ্ণ সারদামনি, ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, মাস্টারদা সূর্যসেন প্রমূখ প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্বরা জীবনে কোনদিন কল্পনা করেন নি। অথচ সেই বিভাজনকেই স্থায়ী করার উদ্দেশ্যে, এইসব ব্যক্তিত্বকে এখন জোরদারভাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে বিজেপি।
Politics over Pride
ত্যাগের প্রতীক গৈরিক, যেটি বিবেকানন্দের ভূষণ ছিল, সেটিকে বিজেপি , নিজেদের সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক গৈরিকীকরণের সঙ্গে এখন একাত্ম করে দেখতে চায়। আর যেভাবে গৈরিক ধ্যান-ধারণাকে ভারতের অন্যপ্রান্তে যেভাবে তারা, নিজেদের সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতির স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, সেভাবেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভেতরে তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, হিন্দুত্ববাদের প্রতীক হিসেবে তারা উপস্থাপিত করতে চায়।
সমস্ত রকমের ধর্মীয় সংকীর্ণতা, জাতপাতের সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে, মুচি, চন্ডাল মেথরের ভারতবর্ষকে যিনি আবাহন করেছিলেন, সেই স্বামী বিবেকানন্দ , আর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো ঘোরতর সাম্প্রদায়িক বিভেদ মূলক ,বিভাজন মূলক চিন্তা-চেতনার উদগাতা কে এক বন্ধনিমুক্ত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে আর এস এস- বিজেপি।রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিনয়- বাদল-দীনেশ, ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী আর শ্যামাপ্রসাদের ছবি একসঙ্গে প্রচার করে, শ্যামাপ্রসাদকে একজন মহান দেশব্রতী হিশেবে তুলে ধরে, বাঙালি আইকন হিশেবে শ্যামাপ্রসাদের গ্রহণযোগ্যতা তারা তৈরি করতে চায়।
এইভাবেই একটা সামাজিক মাৎস্যন্যায়ের ভেতর দিয়ে ,পশ্চিমবঙ্গের মানুষের চিন্তা চেতনার সমস্ত কোমল বৃত্তিকে আর এস এস, বিজেপি ধ্বংস করে দিতে চায়।শ্যামাপ্রসাদ, যিনি কেবল কোনো ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন নি, তাইই নয়, ব্রিটিশের সহযোগী হিশেবে হিন্দু- মুসলমানের বিবাদ, বিসংবাদ তৈরির অন্যতম কারিগর ছিলেন, যেসব কর্মসূচি নিয়েছিলেন, তা মুসলিম লীগের শ্রেণীস্বার্থ সুরক্ষিত করতে সবথেকে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিল, সেই শ্যামাপ্রসাদকে ক্ষুদিরাম, বিনয়- বাদল - দীনেশদের সঙ্গে তুলে ধরে, তাকেই স্বাধীনতা যোদ্ধা হিশেবে বাংলার মানুষদের কাছে তুলে ধরতে চায়।
রবীন্দ্রনাথ , তাঁর ' ভানুসিংহের পত্রাবলী' তে বলছেন;" তফাত জিনিসটা কল্পনায় যত বড়ো, প্রত্যক্ষে তত বড়ো নয়"( পত্র সংখ্যা-১২, পৃষ্ঠা-৩০) । তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপির ভিতর এই কল্পনা আর প্রত্যক্ষ তফাতের বিষয়টি যেন ঠিক সেই রকম ই। বিজেপির এই ভারতীয় মনীষীদের , স্বাধীনতাযোদ্ধাদের আসন্ন বিধানসভার ভোটের মুখে , বাংলার মানুষের কাছে তুলে ধরবার চাহিদার পাশাপাশি , যদি দেখা যায় , তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক অভিসন্ধি, সেখানেও কিন্তু আমরা দেখতে পাব, এই একই দৃশ্য।
নিজেকে মুসলমান সম্প্রদায়ের ত্রাতা হিসেবে উপস্থাপিত করতে চাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তাঁর গত ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রীর কালে , মনীষীদের পেটেন্ট পাওয়া নিয়ে বিজেপির সঙ্গে যতই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন না কেন, একটি বারের জন্য বেগম রোকেয়ার জন্ম- মৃত্যু দিন ৯ ই ডিসেম্বর কে এতোটুকু মর্যাদা দেন নি। ভারতীয় উপমহাদেশে নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া, যাঁর কর্মজীবনের প্রায় প্রায় পুরোটাই কেটেছে কলকাতা মহানগরীর বুকে, তাঁকে ঘিরে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেননি।
কাজী আবদুল ওদুদের মতো ব্যক্তিত্ব, যিনি বিভাজিত বাংলায় থাকবেন না বলেই, আত্মীয় পরিজন ছেড়ে ,কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় কলকাতা শহরে শেষ জীবন কাটালেন , তাঁকে ঘিরে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিন্তু কোন ধরনের আবেগ আমরা গত দশ বছরে একটি বারের জন্য দেখতে পাইনি। মুক্তবুদ্ধির উপাসক অধ্যাপক রেজাউল করিম। যিনি ছেচল্লিশের দাঙ্গাক্লিন্ন মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে গোটা জীবনের মতো পঙ্গুত্ব বরণ করেছিলেন।যে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন , সেই জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রাদেশিক শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সংখ্যালঘু মুসলমানদের জন্য নিজেকে বিশেষ রকমের দরদী হিসেবে তুলে ধরতে চাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু সেই রেজাউল করিমেয জন্য নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্বকালের গত ১০ বছরে একটি শব্দও ব্যবহার করেননি।
অথচ বিজেপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতায় গিয়ে। রবীন্দ্রনাথ থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ ,স্বামী বিবেকানন্দ ,বিদ্যাসাগর রামমোহন, নজরুল প্রমূখ বাংলার মনীষীদের ঘিরে একটা অদ্ভুত রকমের দড়ি টানাটানি করে চলেছেন। নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়া তে এই দড়ি টানাটানির তীব্রতা আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেসকে কত বেশি বাংলার সংস্কৃতির প্রতি আত্মনিবেদিত ,এইটা দেখানোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে দিয়ে এখন নিজেদের রাজনৈতিক তৎপরতা কে ব্যপ্ত রেখেছে বিজেপি এবং তৃণমূল। এই দুটি রাজনৈতিক দলই সার্বিক ভাবে তাদের কেন্দ্রে বা রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার সময় কালে, এই সব মনীষীদের চিন্তা চেতনার প্রতি গুরুত্ব প্রদর্শনের দিকগুলি কিন্তু অত্যন্ত সযত্নে আড়াল করে চলেছে।
রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার জন্য অমিত শাহের উৎসাহের শেষ নেই। এই কাজে তিনি কার্যত আরএসএসের শিবির ভুক্ত এক ব্যক্তিকে উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়ে বিশ্বভারতীতে বসিয়ে দিয়েছেন। ভারতের চিরন্তন বহুত্ববাদী চিন্তা-চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থানে থেকে , নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ভেতর দিয়ে, সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায় কে, ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রকারী চিন্তাচেতনার প্রসারের লক্ষ্যে, রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য শান্তিনিকেতনের মাটিকে ব্যবহার করছেন এই উপাচার্য।
আর উত্তরায়ন কমপ্লেক্সে , রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনের বাসস্থান ' 'উদয়নে' র সভাকক্ষে, স্বয়ং কবিগুরু যে আসনে বসে সভা পরিচালনা করতেন, সেই আসনে বসে , বিশ্বভারতীর যাবতীয় ধারাবাহিক মানবিক চিন্তা-চেতনাকে জলাঞ্জলি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভূমিকা পালন করে চলেছেন স্বয়ং অমিত শাহ।
রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য বিশ্বভারতীতে যাতে বিজেপির মন্ত্রী অপেক্ষা নেতা হিশেবেই নিজের পরিচয় মেলে ধরতে বেশি যত্নবান অমিত শাহের সাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা প্রচারের কাজ কোনভাবে বাধাপ্রাপ্ত না হয় ,সেইজন্য যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদে মুখর হতে পারেন বলে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আগাম খবর এসে পৌঁছেছে, সেইসব ছাত্র-ছাত্রীদের রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য বিশ্বভারতীর ভিতর গৃহবন্দী করে রেখেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ।
এই শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় , তৎকালীন ছোটলাট অ্যান্ডারসনের সফর উপলক্ষে কয়েকজন ছাত্রের উপর নজরদারির প্রস্তাব ঘিরে ভয়ঙ্কর রকমের ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথ, অ্যান্ডারসনের সফর বাতিল করার জন্য বীরভূমের জেলাশাসক কে বলেছিলেন।