আমরা কখনও কোনো বিশেষ সুবিধা পাই সেটা আমার বাবা পছন্দ করতেন না। মা’ও সেই পথ অনুসরণ করেছিলেন। চার শিশু সন্তান নিয়ে মা বিধবা হওয়ার ফলে বাবার বন্ধুরা সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। বাবার মতো স্নেহ তাঁরা দেখাতে না পারলেও বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। তবে মা তাদের সে কাজ করতে দেন নি। তিনি আমাদের বলেছিলেন- ‘সবসময় নিজের পা মাটিতে শক্ত করে রাখবে, যা নিজেরা আয় করো নি তা যেতে দাও।’ এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ছিল।
Author: Krishnayan Ghosh
জনতার মুখরিত সখ্যে
মানুষের চোখের জলে নোনতা স্বাধীনতা এলো। দেশভাগের পরে চ্ছিন্নমূল মানুষের লড়াই। তখনও কোথাও কোথাও চলছে তেভাগা সংগ্রাম। রাজ্যবাসীর খাদ্যের লড়াই, গ্রামের নিরন্ন মানুষের শহিদান, ছাত্র সাথিদের আত্মদান, স্বল্পকালীন যুক্তফন্ট আমলে জমির লড়াই, আধা ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাস – কত হত্যাকাণ্ড, কত সাথির জেল-জীবণ, কত ঘরছাড়া – তাদের পাশে কী সাংস্কৃতিক কর্মীদের আমরা দেখিনি নিজ নিজ সম্ভার নিয়ে এগিয়ে আসতে!
দেশে বেকারের সংখ্যা অতিক্রম করল পাঁচ কোটি !
শ্রমশক্তিকে সংজ্ঞায়িত করা হয় যারা কাজ করে এবং সেই সাথে যাদের কাজ নেই কিন্তু কাজ করতে ইচ্ছুক এমন জনসমষ্টির যোগফল হিসাবে। শেষোক্ত অংশে যারা সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছেন এবং যারা সমীক্ষার সময় কাজ খুঁজছিলেন না কিন্তু কাজ করতে ইচ্ছুক তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সুতরাং, এটা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না যে ভারতের শ্রমশক্তি বৃদ্ধি আসলে বেকারদের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে যতটা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি দিয়ে হচ্ছে।
আয় ও সম্পদের বৈষম্য প্রসঙ্গে (পর্ব - ১)
আয় ও সম্পদের উপার্জন ও সম্পদের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বৈষম্য নয়া-উদারবাদী জমানায় নাটকীয় কায়দায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সত্যটুকু স্বীকার করতে কোথাও কোনও বিতর্ক নেই। প্রখ্যাত অর্থশাস্ত্রী টমাস পিকেটি নিজস্ব লোকজনকে কাজে লাগিয়ে পরীক্ষামূলক গবেষণার মাধ্যমে সেই বৈষম্যের প্রকৃত চেহারা খুঁজে পেতে চেয়েছেন। সেই উদ্দেশ্যে সমীক্ষাও করতে গিয়ে তারা আয়কর সংক্রান্ত তথ্যের উপরেই মূলত নির্ভর করেছেন। এতেই জানা গেছে, সর্বোচ্চ আয় ও সম্পদের অধিকারী এমন ১ শতাংশের হাতে কোনও একটি দেশের মোট সম্পদের কত শতাংশ কুক্ষিগত রয়েছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সত্যানুসন্ধানে সমীক্ষার জন্য এমন পদ্ধতি আদৌ কতদূর কার্যকরী সেই নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন, কিন্তু পিকেটির সমীক্ষালব্ধ ফলাফল এতই চমকপ্রদ যে তার চোটে কেউই আর মুখ খুলছেন না।
সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে পলিট ব্যুরো'র বিবৃতি
হিমাচল প্রদেশে, কংগ্রেসের বিজয় বিজেপির জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। বিজেপি নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সমস্ত চেষ্টা করেছিল এবং রাষ্ট্রযন্ত্র প্রয়োগ করেছিল বাধাহীন ভাবে । বিজেপির অপশাসন নিয়ে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজমান ছিল।
ও জোগো বনিতো
যার বা যাদের খেলা দেখে এই শব্দবন্ধ তৈরি হ’য়েছিল, পরবর্তীতে ধারাভাষ্যে তিনিই বিশ্বজুড়ে তার দেশের এই পরিচিতি ছড়িয়ে দেন। এরান্টস ড্যু নাসিমেন্টো বা পেলেই একে খেলার মাঠে নিজস্ব শৈলীতে রচনা করেছিলেন সতীর্থদের সাথে, আর পরে একে জনপ্রিয় করেন তিনিই, ধারাভাষ্যে, লেখায়,বক্তৃতায়।
বিশ্বকাপ ২০২২ – চোখ কপালে না কি টিভি’র পর্দায়!
১৯৩০ সালে কিংবদন্তী ফুটবল প্রশাসক তৎকালীন ফিফার সভাপতি জুলে রীমে-র হাত ধরে পথ চলা শুরু হয়েছিল প্রথম ফিফা আয়োজিত দেশ ভিত্তিক আর্ন্তজাতিক ফুটবলের। পরবর্তীতে তার নামেই নামাঙ্কিত হয়েছিল ফুটবল বিশ্বকাপ। ব্রাজিল পরপর ৩বার বিশ্বকাপ জেতায় ‘জুলে রীমে কাপ’ এর স্থায়ী মালিকানা তাদের হাতে চলে যায় ১৯৭০ সালে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলের সময় কেবলমাত্র ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে এই টুর্নামেন্ট হয়নি। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আগে ২১টা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার ২২তম বিশ্ব ফুটবলের আসর বসছে কাতারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে ফিফার মোট খরচ হয়েছিল মাত্র ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যেখানে এই বছর খরচ হবে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ডাক পড়েছে ওই শোনা যায়
১৯১৫ সালের ৪ এপ্রিল বার্ন সম্মেলনে নয়টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।কিন্তু এরপরে সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল তৈরি হতে, জিমারওয়াল্ড সম্মেলন বলা হয় যেটাকে- আরও পাঁচ মাস সময় নেয়। এটাই দেখিয়েছিল আন্তর্জাতিক ধারণা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা।
পঞ্চায়েত - পঞ্চায়েতে নারী: তৃণমূলের চুলের মুঠি, বামফ্রন্টের কুলটিকরি
কৌশলে মহিলা, আর্থিক-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশকে পঞ্চায়েত পরিচালনার সংবিধানসম্মত অধিকার থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে উচ্চবর্ণ, ধনীদের পরিচালিত বিজেপি। মারাত্মক আক্রান্ত মহিলাদের অধিকার।
মেঘের ঘোমটা চিরে
চাঁদের আলোর পথে
ইরানের বিভিন্ন ছোট বড় শহরের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ সগর্বে কাঁদানে গ্যাস, লাঠি, বন্দুকের মোকাবিলা করছেন। আশ্চর্য অংশগ্রহণ পুরুষদের। এখনো অবধি ৪১ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মেরেছে ইরানের পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মীরা।