‘বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা তোলার চেষ্টা করলে মাথা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবো’

কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সিপিআই(এম)’র সদস্য পদ লাভ করেন ১৯৬৬ সালে। পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী হওয়ার আগে দমদম আদর্শ বিদ্যামন্দিরে বছর দুয়েক শিক্ষকতা করেছিলেন। সেই সময়ে বাংলায় খাদ্য আন্দোলন, ভিয়েতনামের প্রতি সংহতি আন্দোলনসহ বহু গণআন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। ১৯৬৮ সালে তিনি গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের সম্পাদক নির্বাচিত হন। সিপিআই(এম)’র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৭১ সালে।

কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ, কাকাবাবুর স্মরণে

বাংলা তথা ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তলার অন্যতম পথিকৃৎ কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ। ১৮৮৯ সালের ৫ই অগাস্ট তারিখে তৎকালীন পূর্ববাংলায়, বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের অন্তর্গত অধুনা সন্দ্বীপ জেলায় তার জন্ম। ১৯৭৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বর তার জীবনাবসান হয়।

স্বাধীনতা সংগ্রামে কাকাবাবু ও কমিউনিস্টদের অবদান

ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন কমরেড মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ (কাকাবাবু)। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের প্রথম যুগের কারিগরদের সঙ্গে তাঁকেও পরাধীন ভারতের ব্রিটিশ সরকারের দমনমূলক আচরণ, একাধিক ষড়যন্ত্র মামলার মোকাবিলা করেই মেহনতী মানুষকে সংগঠিত ও স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন সংগঠিত করতে হয়েছে।

কাকাবাবুর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আজকের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে

আমরা কমরেড মুজফ্ফর আহ্‌মদের, অর্থাৎ কাকাবাবুর জন্মদিন পালন করি ১৯৬৩ সাল থেকে। একজন ব্যক্তিকে স্মরণ করার জন্য আমরা কাকাবাবুর জন্মদিন পালন করি না। জন্মদিন উপলক্ষ্য। লক্ষ্য হলো যে কোনও পরিস্থিতিতে, সেই পরিস্থিতির উপযোগী সংগঠন গড়ে তুলে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনায় তাঁর অবদান থেকে শিক্ষা নেওয়া।

"বিজ্ঞানসাধক" ( শ্রদ্ধায় ও স্মরণে প্রফুল্লচন্দ্র )

প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয় তার বাবার তৈরী এম ই স্কুলে,এরপরে তিনি ১৮৭২ সালে কলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন,কিন্তু রক্ত আমাশায় আক্রান্ত হবার দরুণ তিনি তার গ্রামে ফিরে আসেন ,তার বাবার লাইব্রেরীতে থাকা বই তার অবসর জীবনের সঙ্গী ছিলো |

প্রতারণা ও ভাওতাবাজির মিশেল এই ইন্টার্নশিপ

এই নতুন ইন্টার্নশিপের নাম এমপ্লয়মেন্ট লিঙ্ক ইন্সেন্টিভ বা কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত উৎসাহ ভাতা। এতে বলা হচ্ছে যে নতুন কর্মীকে প্রথম চার বছরের ইপিএফের মালিকের জমার অর্থ দেবে কেন্দ্র। এটা ইন্টার্নশিপ প্রকল্পের আওতায় হবে। এই ইপিএফ-এর টাকা শিল্প মালিকের কাছে সরসরি পৌছে দেওয়া হবে। আরো একটি প্রকল্পে, নিয়োগকারী অতিরিক্ত যে নতুন নিয়োগ করবে তাতে প্রতি কর্মী পিছু ৩ হাজার টাকা দু’বছর নিয়োগকারীকে ইন্টার্নশিপ ‘ভাতা হিসাবে দেবে কেন্দ্র। প্রতি নতুন কর্মী পিছু নিয়োগকারীর মোট ভর্তুকি মিলবে ৭২ হাজার টাকা।

"শ্রদ্ধাঞ্জলি " - শ্রদ্ধায় ও স্মরণে বীরাঙ্গনা কল্পনা দত্ত

আজ অগ্নিযুগের মহান বিপ্লবী কল্পনা দত্তের ১১২ তম জন্মদিন, কল্পনা দত্ত মাষ্টারদা সূর্য সেনের অন্যতম সহকর্মী ছিলেন, প্রথমে মাষ্টারদা সূর্য সেনের দলে নারী অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা ছিলো ,কিন্তু বাংলার নারীদের সশস্ত্র বিপ্লবী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ দেখে মাষ্টারদা সূর্য সেন এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন | তাঁর বিপ্লবী ভূমিকা দেখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তাঁকে অগ্নিকন্যা আখ্যা দিয়েছিলেন |

নতুন তিনটি ফৌজদারি আইনবিধি - ফৌজদারি আইনকে পঙ্গু করার চক্রান্ত

আদালতের সংজ্ঞার ধারা যা পূর্ববর্তী বিধিতে ন্যায় বিচারের আদালত হিসাবে অভিহিত করা হয়েছিল, এখন তাকে কেবল আদালত হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে, যদিও এর পরবর্তী অংশে আদালতের সংজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে। যদিও আইনবিধির ভিতরের অংশগুলি ইংরেজিতে রয়েছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিধিগুলির নামকরণ করা হয়েছে সংস্কৃত মিশ্রিত হিন্দিতে, যা অহিন্দিভাষী অংশের মানুষেরা তাদের ওপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে আপত্তি জানিয়েছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে মাদ্রাজ হাইকোর্টের একজন বিচারক বলেছেন যে, তাঁর আদালতে শুধুমাত্র পূর্বের ইংরেজি নামগুলিই ব্যবহার করা হবে।

২০২৪ কেন্দ্রীয় বাজেটঃ দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে অস্বীকার

রেশন ব্যবস্থা দেশে ভেঙে পড়েছে, দেশের ক্ষুধা সূচকের নিরিখে ভারতের অবস্থান মোদী রাজত্বে ক্রমশ নীচের দিকে নেমে গেছে। দেশের মানুষ ভেবেছিলেন বোধহয় এই জোট সরকার এবং মানুষের রায় দেখে রেশন ব্যবস্থায় কিছুটা বরাদ্দ বাড়বে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অমানবিক ভাবে খাদ্য এবং গণবন্টন দপ্তরের বরাদ্দ ২,২১,৯২৪.৬৪ কোটি টাকা থেকে কমে এই বছর করা হল ২,১৩,০১৯.৭৫ কোটি টাকা।

গ্রামের আয়নায় মার্কসবাদকে অভ্রান্ত প্রমাণ করা এক গান্ধীবাদী

সমালোচনায় বিদ্ধ মনের কাতরতা থেকে আবার তিনি কবিকে লিখলেন,‘‘রাইকমল সম্পর্কে আপনি আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন কিনা জানি না। কারণ আমার সমসাময়িকেরা আমার লেখাকে বলেন—স্থুল। ১৯৩৭-র ১২ই মার্চ রবীন্দ্রনাথ জবাব পাঠালেন,‘‘তোমার স্থুল দৃষ্টির অপবাদ কে দিয়েছে জানিনে কিন্তু আমার তো মনে হয় তোমার রচনায় সূক্ষ্মস্পর্শ আছে, আর তোমার কলমে বাস্তবতা সত্য হয়েই দেখা দেয় তাতে বাস্তবতার কোমরবাঁধা ভান নেই, গল্প লিখতে বসে গল্প না লেখাটাকেই যাঁরা বাহাদুরি মনে করেন, তুমি যে তাঁদের দলে নাম লেখাওনি এতে খুশি হয়েছি।’’