"ঘরের ছেলে ঘরে ফেরাও,সব মানুষকে রেশন দাও" এই দাবির পক্ষে সি আই টি ইউ' র আহ্বানে সোচ্চার হয়ে সারা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হলো শ্রমিকসহ যুব, ছাত্র ,মহিলা সহ বাম গণসংগঠন গুলি। শ্রম আইন সংশোধন করে, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরনে মোদী সরকারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এদিন প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। বিজ্ঞাপন নির্ভর রাজ্য সরকারকে বিজ্ঞাপনের বাইরে এসে শ্রমজীবী অসহায় মানুষের জন্যু আশু করনীয় বিষয় গুলি পালনের দাবিতে এদিন একাধিক কারখানার সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সি আই টি ইউ সহ বামপন্থী গণসংগঠনের কর্মীরা।
আজকের কর্মসূচিতে, সি আই টি ইউ' র মূল দাবি ছিল:
১) কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অনিহা কাটিয়ে আমাদের রাজ্যের সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকে সরকারি খরচে ঘরে ফেরাতে হবে।
২)রাজ্যে ফেরার পর তাঁদের মেডিকেল চেক আপ করানো এবং প্রয়োজন হলে আইসোলেশান করানো না হলে হোম কোয়ারেনণ্টাইন এর ব্যাবস্থা করতে হবে।
৩) লকডাউনের সময় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শ্রমিকদের মাসিক ৫০০০টাকা আর রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক যারা এখনো ফিরতে পারেনি তাদের মাসিক ৭৫০০ টাকা ভাতা দিতে হবে।
সামাজিক সুরক্ষায় আওতায় এনে শ্রমজীবী মানুষের সংকটের জীবনকে মোকাবিলা করার দাবিতে এদিন রাসবিহারী মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সি আই টি ইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সম্পাদক অনাদি সাহু, সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য্ সম্পাদিকা কনিনীকা ঘোষ বোস,এস এফ আই রাজ্যো সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য সহ বাম গনসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজকের কর্মসূচিতে,উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত ডি এম অফিসে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর দাবিতে ডেপুটেশন দিতেগিয়ে গ্রেফতার হন কমরেড গার্গী চ্যাটার্জি, কমরেড পলাশ দাস, কমরেড আহমেদ খান ও অন্যান্য নেতৃত্ব।
এদিনের অবস্থান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সি আই টি ইউ নেতৃত্বের বক্তব্য ছিল, করোনা আবহে,লক ডাউন পরিস্থিতির জেরে গরীব, মধ্যবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের জীবন গভীর সংকটে।এই সংকট মোকাবিলায় যা করনীয় তা না করে রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার একযোগে ঘৃন্য রাজনীতির আবহ তৈরি করছে দেশ ও রাজ্য জুড়ে।এই পরিস্থিতিতে মানুষের দাবি নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন সি আই টি ইউ সহ বামপন্থী গণসংগঠনের কর্মীরা।
এর পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর দাবিতে মামলা করেছে সি আই টি ইউ' র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেনে কাটা পড়ছে। ট্রাক চাপা পড়ছে তবুও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের টনক নড়ছে না। বর্তমানে আমাদের রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্যে আটকে আছে। আমাদের রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে রাজ্যের সরকারের তীব্র অনিহা। তাই বাধ্য হয়েই মামলা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চে । প্রায় পাঁচ লক্ষ ষাট হাজার (৫,৬০,০০০) পরিযায়ী শ্রমিক এর নাম ঠিকানা সহ হাইকোর্টের জমা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট সেই মামলা গ্রহণ করেছে। আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে।
শেয়ার করুন