তৃণমূল কংগ্রেসের শিল্প এবং জেলিংহ্যামের সেই কারখানা
নন্দীগ্রামে জেলিংহ্যামের চরে পরিত্যক্ত কারখানার জমিতে তিনি শিল্প এনে দেবেন — কথা দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। ২০০৯-র ১৪ই মার্চ নন্দীগ্রামের সভায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেছিলেন,‘‘নন্দীগ্রামকে সোনায় মুড়ে দেবো। সব আইডিয়া আমার আছে।’’ নন্দীগ্রামের সোনচূড়া লাগোয়া হলদীর ধারে জেলিংহ্যামের চর। সেখানে বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের একটি পরিত্যক্ত কারখানা ছিল। ২০০৭-র জানুয়ারির পর, নন্দীগ্রামে যখন পুলিশ-প্রশাসন ঢুকতে পারে না, তৃণমূলের দখলে সেই এলাকাগুলি, তখন পরিত্যক্ত কারখানার সব লোহা, মেশিন চুরি হয়ে গেছিল। তার কিছুটা আবার কাকদ্বীপে ট্রলারে পাচারের সময় ধরা পড়ে। মমতা ব্যানার্জি ২০০৯-এর নন্দীগ্রামের সেই সভায় বলেছিলেন রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা হবে। ২০১১-এর ৪ঠা ফেব্রুয়ারি হলদিয়াতে গিয়ে তিনটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। তখন তিনি রেলমন্ত্রী। সেদিন তিনি শামুকখালিতে দ্বিতীয় বন্দর,হলদিয়াতে রেল কোচ কারখানা এবং জেলিংহ্যামে মালগাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা হবে বলে ঘোষণা করেন। সেই প্রকল্প ২০১২-র ১৪ই মার্চ বদলে গিয়ে হয়ে যায় ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’।
কিন্তু কোনটিই হয়নি নন্দীগ্রামে। তবে সেখানকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, জেলা পরিষদেরসহ সভাপতি সেখ সুফিয়ানের বিশাল বাড়ি হয়েছে। তৃণমূলের কংগ্রেসের সব নেতা ফুলে ফেঁপে উঠেছে। হাজারও ছেলে সেখানে কাজ না পেয়ে পরিযায়ী হয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা ব্যানার্জির প্রথম জেলা সফর ঝাড়গ্রামে। ২০১১-র ১২ই জুলাই। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামের(সেখানে আগে থেকেই ছিল) সেই সভায় মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন, গোয়ালতোড়ে এক হাজার একর জমিতে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প হবে। গোয়ালতোড় পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে। গড়বেতা-২নং ব্লকই গোয়ালতোড় নামে পরিচিত। সেখানে এক হাজার একর জমিতে একটি কৃষি খামার ছিল। গত দশ বছরে সেই খামার প্রায় বন্ধ। যদিও শিল্পও হয়নি। মমতা ব্যানার্জি কোনও বিনিয়োগকে সেখানে নিয়ে যেতে পারেননি।
শালবনী, পানাগড়, রঘুনাথফুর, শিলিগুড়ি, হলদিয়া — দশ বছরের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ব্যর্থতার একেকটি নির্দশন। হলদিয়াতে গত দশ বছরে নতুন বিনিয়োগ হয়নি। কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়েছে। শ্রমিকদের প্রতি বঞ্চনা সেখানে মারাত্মক। অথচ সেখানেও একটি শিল্প সম্মেলন করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। নীট ফল শূণ্য। ‘শিল্পে সবুজ বিপ্লব’-র প্রতিশ্রুতি ছিল মমতা ব্যানার্জির, ২০১১-তে। নির্বাচনী ইশ্তেহারে। এখন শিল্পে দেশের অন্যতম পিছিয়ে পড়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ।
গত দশ বছরে মমতা ব্যানার্জি অনেকবার বিদেশ গেছেন — ‘বিনিয়োগ খুঁজতে।’ ২০১৪-র আগস্টে তিনি সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। লন্ডন গিয়েছিলেন ২০১৫-র ২৬শে জুলাই। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী জার্মানি গিয়েছিলেন। ২০১৭-তে মমতা ব্যানার্জি আবার লন্ডন, স্কটল্যান্ড গিয়েছিলেন — যথারীতি ‘বিনিয়োগের লক্ষ্যে’। ২০১৮-তে ফের ইউরোপ — জার্মানি এবং ইতালি।
বিনিয়োগ কিছুই আসেনি।
রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের শিল্পায়নের উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কাজের সুযোগ সৃষ্টি। ২০০৮-র ১০ই জুলাই বিধানসভায় বিরোধীদের(মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের) উত্থাপন করা একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি বলেছিলেন, ‘‘টাটা না বিড়লা, কে কারখানা করছেন বড় কথা নয়। কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে তাই বড়ো কথা। সিঙ্গুরে ৬০০০ কর্মসংস্থানই মূল কথা। আমরা ১২ হাজার হাতে কাজ চাই।’’ ২০০৮-রই ১৭ই আগস্ট শিলিগুড়িতে বস্তিবাসীদের হাতে নতুন বাড়ির চাবি তুলে দিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন,‘‘শুধু বড়লোকদের জন্য ঝাঁ চকচকে পরিকাঠামো উন্নয়নে আমরা বিশ্বাস করি না।...কর্মসংস্থানের জন্য শুধু চাষের উপর নির্ভর না করে কলকারাখানা আমাদের করতেই হবে। কিন্তু কৃষকের অমতে, জোর করে তাঁদের চাষের জমি কেড়ে নিয়ে কারখানা আমরা করব না।’’ তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে ভুল বোঝালো এই প্রসঙ্গে।
কৃষি বনাম শিল্প — এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে। যদিও বামফ্রন্টের স্পষ্ট বোঝাপড়া ছিল কৃষির সাফল্যে ভিত্তি করে শিল্প। শিল্পের প্রয়োজন কর্মসংস্থানের জন্য।
২০১১-তে রাজ্যে মোট কৃষিযোগ্য জমির পরিমাণ ১ কোটি ৩৫ লক্ষ একর। রাজ্য সরকারের যাবতীয় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রূপায়িত করতে হলে বড় জোর লাগতো ১ লক্ষ একর জমি — অর্থাৎ, ১ শতাংশ জমি। অধিগ্রহণের সময়ে উর্বর জমি যথাসাধ্য বাদ দিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বামফ্রন্ট সরকার। বাস্তবে শিল্পায়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য জমি অধিগ্রহণের ফলে রাজ্যে খাদ্য নিরাপত্তার বিপদের ন্যূনতম সম্ভাবনা ছিল না। তবু জমির প্রশ্নটিকেই বিভ্রান্ত করার প্রধান মাধ্যম করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বামফ্রন্টের বিশ্লেষণ অনুসারে ঘনীভূত কাজের সঙ্কটের প্রশ্নটিকে অগ্রাহ্য করতে পারেননি মমতা ব্যানার্জি। সেই সূত্রেই শিল্পের প্রসঙ্গকেও তিনি ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের ইশ্তেহারে উল্লেখ করতে বাধ্য হন। যদিও যা বলেছিলেন তার বিন্দুসম কিছুই করতে পারেননি।
যদিও ২০১১-র সেই নির্বাচনী ইশ্তেহারের ২০ নম্বর পাতায় মমতা ব্যানার্জি লিখেছিলেন — ‘‘প্রকৃত শিল্পায়নে জোর দেওয়া হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি মহকুমায় অন্তত দশটি করে বড়, মাঝারি শিল্প গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। মূলত শ্রমনিবিড় শিল্প হবে। প্রয়োজনে পিপিপি মডেলে হবে। বেকারদের মুখে হাসি ফোটাতে তৃণমূল কংগ্রেস অঙ্গীকারবদ্ধ। কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দিয়ে শিল্পকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’’ শিল্পেও ‘সবুজ বিপ্লব’ ঘটানোর ঘোষনা ছিল সেই পুস্তিকায়।
প্রতি মহকুমাতে দশটি করে শিল্প হলে, ইতোমধ্যে ৫২০টি শিল্পের মাথা তোলার কথা। কিন্তু মহকুমা তো অনেক দূরের কথা, তেইশটি জেলাতে একটি করেও শিল্প হয়নি। ২০১৫ থেকে ২০১৯ — রাজ্যে পাঁচটি ‘বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলন’ করেছেন মমতা ব্যানার্জির সরকার। কয়েক শো কোটি টাকা খরচ হয়েছে সরকারী কোষাগারের এইগুলি করতে গিয়ে। প্রতিটি শিল্প সম্মেলনের শেষে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কত টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এলো — তা সবিস্তারে, গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের সেই তথ্য জানাচ্ছে, পাঁচটি সম্মেলনে মোট ১২,৩২, ৮৫৭ কোটি ১০ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব রাজ্যে এসেছে এই পাঁচ বছরে। কিন্তু বাস্তব কী? একই রাজ্য সরকারের মারফত কেন্দ্রেীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানাচ্ছে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ — এই পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের লিখিত প্রস্তাব এসেছে ৩৭,৫০৪ কোটি টাকার। মমতা ব্যানার্জির ঘোষণার তা ৩.০৪২শতাংশ।
এটি মস্করা? না। মানুষকে ঠকানো। মনে রাখতে হবে ‘প্রস্তাব’ মানেই শিল্প নয়। ধাপে ধাপে সেই প্রস্তাব মাঠে শিল্পে পরিণত হয়। পাঁচ বছরে যে ৩৭,৫০৪ কোটি টাকার মাত্র প্রস্তাব এসেছে রাজ্যে, তার খুবই সামান্য অংশ বাস্তবে রূপ পেয়েছে।
রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন নিগমের তথ্য জানাচ্ছে, শুধু ২০০৭-এ রাজ্যে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছিল ৬৩,৯৬১ কোটি টাকা। তখন সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে প্রবল অশান্তি চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানার সম্ভাবনা ধ্বংসের পরেও পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। ২০০৮-এ রাজ্যে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছিল ৯৫০০০ কোটি টাকা। ‘উৎপাদন শুরু হয়েছে। মানুষ কাজ পেয়েছেন।’ জানিয়ে ফরম ‘বি’ পূরণ করতে হয় শিল্পপতিদের। ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে ১০ কোটির বেশি, পরিষেবা ক্ষেত্রে ৫ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ থাকলে এই ফরম পূরণের বিধি অনেকদিনের। তার ভিত্তিতে বিস্তর প্রচার, বিজ্ঞাপনের পরে কোন রাজ্যে কটি শিল্প হলো এবং তাতে কতজনের কাজ হলো, তা বোঝা যায়।
এবারে, ২০১৯-এও তা বোঝা গিয়েছে। একটি গোটা বছরে পশ্চিমবঙ্গে ১টি কারখানার দরজা খুলেছে। কাজ পেয়েছেন ১১৫জন। ওই ১টি শিল্পে বিনিয়োগ হয়েছিল ১৪ কোটি টাকা। ২০১৯-২০-র পরিসংখ্যান। ওই এক বছরে রাজ্যে বড় শিল্পে কাজ হারানো মানুষ তার অনেকগুণ বেশি। শিল্পে বিনিয়োগ, উৎপাদন শুরু, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত এই বার্ষিক রিপোর্ট করোনা, লকডাউনে ল্যাজেগোবরে হওয়া কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে আগে পাঠাতে পারেনি। কারণ ওই আর্থিক বছর শেষ হওয়ার সময়েই করোনার দাপট শুরু হয়। অন্যান্যবার এই সংক্রান্ত বছরের হিসাব জুনেই পৌঁছে যায় রাজ্যের সরকারগুলির কাছে। এবার সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ হয়েছে। রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের এক অফিসারের কথায়,‘‘শুধু রাজ্যের হাল দেখলে হবে না। গুজরাটও দেখুন।’’ ঠিকই বলেছেন তিনি।
গুজরাটের রেকর্ড বুক কী বলছে? কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১৯-২০-র শিল্প, বিনিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট জানাচ্ছে — ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ট্রাপ্রিনিওর মেমোরান্ডাম(আইইএম)-র ফরম বি পূরণের হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ দেশে ২২নম্বরে আছে। পিছনে ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, ৬টি রাজ্য। গুজরাট আছে ২১ নম্বরে। সেখানে ওই একটি বছরে উৎপাদন শুরু হয়েছে ২টি শিল্পে। তাতে কাজ পেয়েছেন ১৭৯ জন। গুজরাটের থেকে একটু এগিয়ে আছে যোগীর রাজ্য। উত্তরপ্রদেশে ৩টি শিল্পে উৎপাদন শুরু হয়েছে। কাজ হয়েছে ৩১৮জনের। রাজ্যে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই একে অপরের বিকল্প হিসাবে নিজেদের তুলে ধরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেস। যে হাঙ্গামার পথে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তথাকথিত বদলের পথে এগিয়েছিলেন, বিজেপি-ও সেই পথই ধরেছে। কোনও সন্দেহ নেই নরেন্দ্র মোদীর সরকারের অর্থনীতির সৌজন্যে দেশে গত পাঁচ বছর বড় শিল্পে বেশ মন্দা। কাজের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান আদৌ উৎসাহজনক নয়। তারই মধ্যে একটি তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য কেন্দ্রীয় সরকার তার রিপোর্টে উপস্থিত করেছে। ২০১৯-২০-তে দেশের অনেক রাজ্যকে বড় শিল্পে কর্মসংস্থানের নিরিখে ছাপিয়ে গিয়েছে কেরালা। সেখানে ওই আর্থিক বছরে বড় শিল্পে কাজ পেয়েছেন ৮১৭০ জন।
এই ক্ষেত্রে শিল্প বলতে দু’টি ক্ষেত্রকে বোঝায়। প্রথমত ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্র। এখানে বিনিয়োগ ১০ কোটির বেশি হলে কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প দপ্তরের আওতায় আসে। তাছাড়া হাসপাতাল সহ অন্যান্য পরিষেবা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ৫ কোটির বেশি হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের ওই মন্ত্রকের হিসাবের আওতায় আসে। উৎপাদন শুরু করার পর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ট্রাপ্রিনিওর মমোরান্ডাম (আইইএম) জমা দিতে হয় মালিককে। প্রথমে জমা দিতে হয় ফরম ‘এ’। তাতে বিনিয়োগের পরিমাণ, সম্ভাব্য কর্মসংস্থান নির্দিষ্ট হয়। তারপর আসে ফরম ‘বি’। যেখানে চূড়ান্ত হয় যাবতীয় হিসাব উৎপাদন শুরু হওয়ার পর। অনেক সময় যে শিল্পের ফরম ‘এ’ জমা দেওয়া হলো, তার ফরম ‘বি’ পূরণ করতে করতে নতুন আর্থিক বছর চলে আসে। ২০১৯-২০-তে আইইএম-র ফরম এ অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে ৬১৭৭ জনের কাজ হওয়ার কথা। তা দেশের মোট কর্মসংস্থানের মাত্র ০.৬৬%। অর্থাৎ ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে রাজ্যে যে শিল্পগুলি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তা শেষ পর্যন্ত মাথা তুলতে পারলে কাজ হতে পারে ৬১৭৭ জনের।
কাজের সম্ভাবনার নিরিখেও পশ্চিমবঙ্গ অনেকই পিছিয়ে ছিল। ২০১১-র মে-তে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়ে। তার আগে ২০১০-এ রাজ্যে আইইএম-র ফরম ‘এ’ অনুসারে কাজের সম্ভবনা তৈরি হয় ৫৮,৮৫৯জনের। তা ছিল দেশের সেই বছরের কাজের সম্ভাবনার ৪.৭৭%।
তাহলে রাজ্যে দেদার টাকা খরচ করে এতগুলি শিল্প সম্মেলনে লাভ কী হলো? বিশেষ কোনও লাভই হয়নি।
******************************
ধারাবাহিক চলবে..... আগামীকাল পর্ব -৪ বিষয় : শিল্প ও কর্মসংস্থান বিষয়ক ....
শেয়ার করুন