১৭ আগস্ট, সোমবার, ২০২০
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র পলিট ব্যুরো নিম্নলিখিত বিবৃতি দিয়েছে :
সিপিআই (এম) এর পলিট ব্যুরো ,ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দ্বারা প্রকাশিত বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভূমিকার, বিশেষত তাদের ভারতীয় নীতিনির্ধারক শাখার কাজকর্মের তীব্র নিন্দা জানায়।সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে ফেসবুক নিজস্ব নির্ধারিত নীতিই অনুসরণ করছে না।
এটি ফেসবুকের তিনটি প্ল্যাটফর্ম : ফেসবুক,হোয়াটসএ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম জুড়ে তাদের কার্যকলাপের ফলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাকেই সুনিশ্চিত করে।নিউইয়র্ক টাইমসের ২০১৮ সালে প্রকাশিত স্টিঙ্গের মাধ্যমে ফেসবুকের সন্দেহজনক পদ্ধতিগুলো উন্মোচিত হয়েছিল।বর্তমান উদঘাটন বিজেপির সামাজিক মাধ্যমে বিরাট বিনিয়োগ ও কার্যকলাপ এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা জাগাতে তাদের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে।রিলায়েন্সে ফেসবুকের সাম্প্রতিক বিনিয়োগ একচেটিয়া আধিপত্যকে শক্তিশালী করে, বিশেষত যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোন কার্যকর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণকারী তদারকির অভাব স্পষ্ট। অস্বচ্ছ নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প সহ বিশাল আর্থিক সংস্থানগুলো বিজেপি-র সামাজিক মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণকে পুরোপুরি নিশ্চিত করে।
পলিট ব্যুরো ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম এবং বিজেপির মধ্যে এই নেক্সাসের বিষয়ে জরুরি এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানায়।এদের দায়বদ্ধতা স্থির করা এবং এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রচারে বাধা দেওয়ার কার্যকর পদ্ধতি নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
পলিট ব্যুরো দাবি করেছে যে এই আঁতাতের তদন্তের জন্য অবিলম্বে একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হোক। যৌথ সংসদীয় কমিটির অনুসন্ধান না আসা পর্যন্ত ফেসবুককে কোনও সরকারি বিভাগ বা সাংবিধানিক সংস্থা যেমন নির্বাচন কমিশনের সাথে কাজ করা থেকে বিরত রাখা উচিত।