শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, টিইউসিসি, ইউটিইউসি, এআইসিসিটিইউ, এআইইউটিইউসি’র ডাকে এদিন একজোট হয়ে রাস্তায় নামেন হকাররা ,দেশের হকার আইন রাজ্যে চালু করার দাবিতে ও বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ করে রুজি কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদেও মঙ্গলবার পৌরমন্ত্রীকে স্মারকলিপি জমা দিতে যান হকাররা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে জমায়েত করে লাল ঝান্ডা হাতে মিছিলে শামিল হন তাঁরা। পথেই বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ওপর মিছিলের গতিরোধ করে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখান থেকেই মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশ্যে মহাকরণে যান নেতৃবৃন্দ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন অসিতাঙ্গ গাঙ্গুলি, অশনি সাহা, সুধন্য নস্কর, অশোক সেনগুপ্ত, তপন মুখার্জি, হেমন্ত চক্রবর্তী, গোপাল দাস প্রমুখ। হকারদের দাবি, কেন্দ্রীয় হকার আইন এই রাজ্যে অবিলম্বে চালু করতে হবে।
২০১৫ সালের মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করতে হবে। উপযুক্ত পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ চলবে না। হকারদের ওপর সব রকম জুলুম ও তোলাবাজি বন্ধ করতে হবে। লাইসেন্স, পরিচিতিপত্র, সামাজিক সুবিধা দিতে হবে হকারদের। এই দাবিগুলি নিয়েই শুক্রবার মহাকরণ অভিযানের ডাক দেয় হকার যৌথ মঞ্চ। অতি সম্প্রতি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গড়িয়া-গঙ্গাজোয়ারা রাস্তার সম্প্রসারণের কারণে হকারদের উচ্ছেদের নোটিস জারি করা হয়েছে। অথচ কোনও পুনর্বাসন প্রকল্প নেই।এদিন এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন নেতৃবৃন্দ। গত ৫ বছর ধরে শুধু প্রতিশ্রুতিই মিলেছে, পূরণ হয়নি কোনও দাবি দাওয়া। ২০১৫ সালের ১৩ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া যাবতীয় প্রতিশ্রুতির কোনও আদেশনামা প্রকাশিত হয়নি সরকারিভাবে। ফের একবার পৌর নির্বাচন সামনে চলে এসেছে। নেতৃবৃন্দের বক্তব্য, গত ৫ বছরে হকারদের জন্য সরকার কী করেছে তার হিসাব চাই। পশ্চিমবঙ্গ স্ট্রিট হকার্স ফেডারেশন, অল বেঙ্গল হকার্স ইউনিয়ন, বেঙ্গল হকার্স অ্যাসোসিয়েশন, সংযুক্ত হকার ইউনিয়ন, কলকাতা স্ট্রিট হকার্স ফেডারেশন, শিয়ালদা অঞ্চল হকার্স ইউনিয়ন একযোগে দাবিগুলি তুলে ধরে সোচ্চার হয়েছে। এই দাবির সঙ্গে সহমত হয়েছে আইএনটিইউসি অনুমোদিত জয় হিন্দ কলকাতা হকার্স ইউনিয়ন। সংগঠনগুলির বক্তব্য, অন্যান্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় হকার আইন ২০১৪ প্রযোজ্য হলেও এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী তা করেননি। উপরন্তু পুলিশ দিয়ে হকার নির্যাতন করতেই বেশি উদ্যোগী। এর বিরুদ্ধে আরো বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে হকারদের রুজি রোজগার বজায় রাখতে।