১৯৩০ সালে ঢাকায় তাঁর জন্ম হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর, লখনৌ থেকে সংগীত বিশারদ ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। টানা ৪০ বছর সিটি কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি সেখানে অধ্যক্ষার দায়িত্ত্বও সামলেছেন।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ভ্রাতুস্পুত্র ডা. শিশিরকুমার বসুর (প্রয়াত) সাথে তাঁর বিবাহ হয়।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন কৃষ্ণা বসু। সংসদে বিদেশ মন্ত্রকের চেয়াপার্শন হন, নেতাজী রিসার্চ ব্যুরোর ও চেয়াপার্শন ছিলেন তিনি। তাঁর লেখা অজস্র প্রবন্ধ রয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির কয়েকটি হল "ইতিহাসের সন্ধানে", "এমিলি এন্ড সুভাষ" এবং "প্রসঙ্গ সুভাষচন্দ্র"।
২০০৮ সালে প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনী "অ্যান আউটসাইডার ইন পলিটিক্স" বইতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি লেখেন ".... গুজরাট দাঙ্গা আমার সামনে.... কিন্তু আমার দলে আমি একা ছিলাম... এই প্রশ্নে মমতার দ্বিচারিতায় আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ওকে সবাই ধর্মনিরপেক্ষ এবং মুসলিম-দরদি বলেই জানত।... ততদিনে সবাই বুঝে গিয়েছেন মমতার নিজের মত কী।... আমাকে সরকারের পক্ষে ভোট দেবার জন্য দলের পক্ষ থেকে হুইপ দেওয়া হয়... এখন মনে হয় ২০০২ সালে হুইপ অমান্য করে সাংসদ পদ ছেড়ে আসাই আমার উচিত ছিল"।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বাম্ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এদিনই দুপুরে এলগিন রোডের নাতাজী ভবনে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন সিপিআই(এম) নেতা শ্রীদীপ ভট্টাচার্য এবং সুখেন্দু পাণিগ্রাহী।
কেওড়াতলা শ্মশানে গান স্যালুটের মাধ্যমে তাকে সম্মান জানানোর পরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
শেয়ার করুন