রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিপদে, কেন্দ্রের সাহায্যের হাত বেসরকারি টেলিকম সংস্থার দিকে

১৯ ফেব্রঃ, ২০২০

দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল। ৩১ শে জানুয়ারি কার্যত জোর করে ৭৮৫৬৯ জন কর্মচারীকে স্বেচ্ছাবসর নিতে বাধ্য করানো হয়েছে, ওই দিনের দুমাস আগে থেকে তারা কোনো বেতন পাননি। ভিআরএস প্রকল্পের নামে একদিনে বিশ্বের বৃহত্তম ছাটাই হয় ওইদিন। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ভিআরএস প্রকল্পের একটি টাকাও হাতে পাননি সেচ্ছাবসর নেয়া কর্মীরা। গত শনিবার তাদের ডিসেম্বর মাসের বেতন মেটানো হলেও এখনো জানুয়ারি মাসের বেতন তাদের প্রাপ্য। এখনো ঠিকা কর্মীদের বেতনবাকি আছে ১০ মাসের।

২৩ শে অক্টোবর সাংবাদিক সম্মেলন করে টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন বিএসএনএল, এমটিএনএল'র পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ভিআরএস প্রকল্প, বিএসএনএল পুনরুদ্ধারের জন্য ফোর জি স্পেকট্রাম দেওয়া হবে, সরকার বন্ড চালু করবে টাকার জোগানের জন্য। তার যুক্তি ছিল বি এস এন এল, এম টি এন এল এই দুই সংস্থা'র মোট আয়ের ৭৫ শতাংশ ও ৮৭ শতাংশ অর্থ কর্মী খাতে খরচ হত, অথচ এই একই সরকার, বেসরকারি টেলিকম সংস্থা ভোডাফন সরকারের কাছে বকেয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকা, এয়ারটেলের বকেয়া ৩৫ হাজার কোটি টাকা। আর এই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বকেয়া নিয়ে সরকার উচ্চবাচ্য না করে, এই দুই বেসরকারি সংস্থার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সচিব অংশু প্রকাশের কাছে সাহায্য চেয়েছেন ভোডাফোন-আইডিয়া'র চেয়ারম্যান কুমারমঙ্গলম বিড়লা। অনুরোধ একটাই , লাইসেন্স ফি বাবদ বকেয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকা ছাড় দেয়া হোক। এইপর্যন্ত মাত্র ২৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে কুমারমঙ্গলম বিড়লার ভোডাফোন, সুশীল মিত্তালের এয়ারটেল দিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।সরকার এই নিয়ে কোনো লোকসানের কথা না বলে, লোকসান দেখছে শুধুমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল কে নিয়ে। বিএসএনএল'র ১০ হাজার ঠিকা কর্মী দশ মাসের বকেয়া বেতন নিয়েও কার্যত হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে সরকার।

                                          আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্ট'কে অগ্রাহ্য করছে কেন্দ্র

বিএসএনএল'র সেচ্ছাবসর প্রকল্পেও বেআব্রু হয়েছে দালাল ইউনিয়ন তৃণমূলের আইএনটিটিইউ'র ভূমিকা, তৃণমূল প্রচার করেছে সেচ্ছাবসরের পক্ষে, সওয়াল করেছে বিজেপি সরকারের পক্ষে।
প্রশ্ন অন্য জায়গায় সেচ্ছাবসর এর পরে কি বিএসএনএল এর সঙ্কট মিটবে?? বিএসএনএল এমপ্লয়জ ইউনিয়নের বক্তব্য , চ্যালেঞ্জ নিয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে রক্ষা করতে হবে বিএসএনএল-কে। সরকারের টেলিকম নীতির দিকেও নজর রাখতে হবে। সরকারকে ফোর জি স্পেকট্রামের বন্ড অবিলম্বে দিতে হবে বিএসএনএল-কে।কোন মতেই ছাঁটাই করে আউটসোর্সি- এর কাজ করা যাবে না।


শেয়ার করুন

উত্তর দিন