Site icon CPI(M)

রাজ্যের কৃষকরা পথে নামলো বাঁচার তাগিদে।

২৫ জুন, ২০২০
ওয়েবডেস্কের প্রতিবেদন


বাঁচার তাগিদে এবার পথে নামলো রাজ্যের কষকরা। সারা ভারত কিষান সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির ডাকে বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের জেলায় জেলায় পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালো রাজ্যের কৃষিজীবী মানুষেরা। পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভা, সারা ভারত কৃষক মহাসভা, অগ্রগামী কৃষক সভা, কে কে এস এস, সংযুক্ত কিষাণ সভা, সারা ভারত কৃষক সভা (বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট) সহ ২১টি কৃষক সংগঠনের যুক্ত কমিটি সারা ভারত কিষান সমন্বয় কমিটি পশ্চিমবঙ্গ এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।



সারা ভারত কৃষক সংগ্রাম কমিটির আহ্বানে যে দাবি গুলিকে সামনে রেখে,ডেপুটেশন দেওয়া হয়:

*কর্পোরেট লুন্ঠনের দলিল কৃষক বাণিজ্য অর্ডিন্যান্স বাতিল কর।

*মোট উৎপাদন খরচের দেড় গুণ দামে গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করে সরকারি উদ্যোগে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান, পাটসহ অন্যান্য ফসল কিনতে হবে ।

*সমস্ত কৃষকের সব ধরনের কৃষি ঋণ মকুব করতে হবে।

*আমফান ঘূর্ণিঝড়কে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। দ্রুত যথাযথ ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্যাকেজের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

*পিএম কৃষাণ-নিধি প্রকল্পের ৬০০০ টাকা এবং রাজ্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৫০০০ টাকা প্রতিটি কৃষককে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

*খেতমজুরসহ সব গরিবদের রেগা বছরে ২০০ দিন কাজ ও দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি দিতে হবে।

*কৃষি কাজকে রেগা প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে।

*সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতে হবে।

একদিকে মোদী সরকার চুক্তি চাষের নামে কর্পোরেটের হাতে কৃষিকে তুলে দিতে চাইছে অন্যদিকে আবার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন করছে। এর ফলে কৃষিতে ফাটকা, মজুদদারি ইত্যাদি আরও জোরদার হয়ে উঠবে এবং কৃষক তথা দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে বলে অভিযোগ তুলেছেন এই আন্দোলনকারীরা।
কারণ তাদের যুক্তি, যে পথে এগোন হচ্ছে তাতে ফসলের ন্যায্য দাম পাবে না এবং আরও বেশি করে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়বেন চাষীরা। প্রথমত লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়েছে বহু ভাগচাষী এবং ক্ষেতমজুর। তার উপর আবার আমফানের দাপটে সর্বস্বান্ত হয়েছে বহু চাষি এবং মৎস্যজীবী।
অথচ এই অবস্থায় সেইমতো ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হয়নি। আর তাই এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন, সারা ভারত কিষান সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখা ও কিষান সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অমল হালদার বক্তব্য পেশ করে বলেন,
রাজ্যজুড়ে এদিন ব্লক অফিস ও মহকুমা দপ্তরের সামনে কৃষক বিক্ষোভ হয়েছে। কৃষিজীবী জনগণ এদিন ব্যাপক সংখ্যায় অংশ নিয়েছেন। এরজন্য তাদের সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই। কৃষকদের দাবি পূরণের জন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে, আরো বৃহত্তর আন্দোলনে ডাক দেওয়া হবে।



সারাদেশে কৃষি সঙ্কটকে যে কেন্দ্র সরকার তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেনা। সেটা মোদি সরকারের আচরণেই স্পষ্ট। অন্য দিকে বাংলার সরকার ও রাজ্যের কৃষকদের নিয়ে উল্লেখ যোগ্য কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। সেই কারণে গত ৪মে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় চাইলেও, সেই বিষয়ে এখনো কোন দৃষ্টিপাত পড়েনি।



এদিন প্রায় রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সব দ কর্মসূচি পালন করা হয় ।


শেয়ার করুন