ওয়েবডেস্ক প্রতিবেদন
এবারে পার্টির সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, অর্থনীতিবিদ জয়তী ঘোষ , তথ্যচিত্র নির্মাতা রাহুল রায়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপূর্বানন্দ, সমাজতত্ত্ববিদ যোগেন্দ্র যাদব। দিল্লি দাঙ্গার চার্জশীটে এনাদের নাম।
সুশান্তের মৃত্যুর জবাবাদিবি ! হয়ে গেছে । জিডিপি মাইনাস ২৪ পার্সেন্ট ! ফেব্রুয়ারি তে , জানুয়ারিতে কেউ দায়িত্ব নেয় নি সরকার থেকে । তারপরে করোনা ও লকডাউন।কিন্তু করোনা নিয়ে যখন ভাবার ছিল সরকার ভাবেনি । রোজ নিত্যনতুন বিশ্বরেকর্ড করছে করোনাতে ভারত।ব্যর্থতা ঢাকার অযুহাত দরকার ছিল । CAA-NPR-NRC নিয়ে আন্দোলন ও তারপরে কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুরদের উস্কানিমূলক ভাষণ ও কার্য্যকলাপের ফলে দিল্লি জুড়ে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে মূল দোষীদের আড়াল করতে তাই শিক্ষাবিদ থেকে সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদকের নাম জুড়ে দেওয়া হল চার্জশীটে।ধৃত তিনজন পড়ুয়ার বয়ানের ভিত্তিতেই নাকি এই অতিরিক্ত চার্জশীট। নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠন ‘পিঞ্জরা তোড়’ এর উদ্যোক্তা দেবাঙ্গনা কলিতা ও নাতাশা নারওয়াল যারা জেএনইউ এর ছাত্রী ও জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রী গুলফিসা ফাতিমার বয়ানের ভিত্তিতেই নাকি নাম জুড়েছে অমিত শাহের হাতের পুতুল দিল্লি পুলিশ। পিঞ্জরা তোড় দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, কলিতা এবং নারওয়ালকে মে মাসের শেষ সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এবং জুলাইয়ের শেষদিকে ফাতিমাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।তিনজনকেই UAPA আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করে এখন পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অদ্ভুতভাবে দুটো সম্পূর্ণ এক ‘disclosure statement’ দিয়ে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে কলিতা ও নারওয়াল নাকি স্বীকার করেছে যে তারা দিল্লি দাঙ্গায় যুক্ত ছিল শুধু তাই নয় অধ্যাপক ঘোষ, অপূর্বানন্দ,রাহুল রায় এরা নাকি সিএএ বিরোধী কার্যকলাপ চালাতে এদের পরামর্শদাতার কাজ করেছিলেন তার ফলে দাঙ্গা হলেও নাকি এনাদের আপত্তি ছিল না। আরো আশ্চর্যের বিষয় হল এই ‘disclosure statement’ দুটিতে ভাষা ও এক এমনকি বানানভুলগুলোও অবিকল- যেমন দুটোর ক্ষেত্রেই ‘message’ হয়ে গেছে ‘massage’ , কলিতা ও নারওয়ালকে ‘উদ্ধৃত’ করে পুলিশ বলেছে তারা ঘোষ, অপূর্বানন্দ এবং রায়ের নির্দেশে ডিসেম্বর মাসে দরিয়াগঞ্জ বিক্ষোভ এবং সিএএর বিরুদ্ধে জাফরাফাদ চাকা জ্যাম (রোড ব্লক) আয়োজন করে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তে।এছাড়াও জানুয়ারি মাসে কিছু বিক্ষোভ কর্মসূচী বা সিএএ বিরোধী লাগাতার অবস্থানগুলোর জন্যই দিল্লির দাঙ্গা হয়েছে এইটা প্রমাণ করতে পুলিশ মরিয়া।
এই অভিযোগকে আরো জোরদার করতে জামিয়ার পড়ুয়া ফাতিমার একটা ‘বয়ান’ এর ভিত্তিতে সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা ও কর্মীদের নাম ও পুলিশ এই চার্জশীটে জুড়ে দিয়েছে।
ভীমা কোড়েগাঁও ঘটনার মতই এইক্ষেত্রেও কেন্দ্র তার দমনমূলক,সাম্প্রদায়িক,একপেশে মনোভাবই প্রকাশ করছে এটা দিনের আলোর মত স্পষ্ট না হলে কপিল মিশ্র , অনুরাগ ঠাকুর রা এখন জেলের ভেতরে থাকত।