ভারতে কাজের নিরাপত্তা এবং বিজেপি সরকার – ১ম পর্ব
ওয়েবডেস্ক প্রতিবেদন
প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা বাতিল করতে চায় সরকার
মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে জঘন্য কায়দায় কর্পোরেট এবং মুনাফাজীবীদের স্বার্থরক্ষা করে চলেছে। গোটা দেশের জনগণের স্বার্থের বদলে কর্পোরেট, মুনাফাখোর গোষ্ঠীর সুবিধা যুগিয়ে দেওয়াই আজকের ভারতে আর্থিক সংস্কার। সংস্কারের পথে যেমন নয়া কৃষি আইন জারী করা হয়েছে তেমনই বাতিল করা হয়েছে বহু সংগ্রামে অর্জিত এবং প্রচলিত শ্রম আইনসমূহ। পাঁচরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের শাসনকালে মানুষ বিপর্যস্ত – এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় আইনসমূহের পরিবর্তনের ফলে গোটা দেশসহ আমাদের রাজ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজের সুযোগ ধ্বংস হতে চলেছে। আগামী ১৫, ১৬ মার্চ ব্যাংক ইউনিয়নগুলি ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়েছে, ১৭ এবং ১৮ মার্চ জীবনবীমা এবং সাধারণ বীমা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পালিত হবে ধর্মঘট। শ্রমিকদের নিরাপত্তা, অধিকার, কাজের নিরাপত্তা, কাজের সুযোগ সবকিছুতেই কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারই ব্যর্থ। গতবছর মার্চ মাসে লকডাউন ঘোষণা করে একদিকে সারাদেশে শ্রমজীবী মানুষদের ভয়ানক দুর্দশায় ঠেলে দেয় কেন্দ্রের মোদী সরকার। অন্য রাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে, মাথার উপরে ছাদ হারিয়ে, খাবারের অভাবে পীড়িত, চিকিৎসার সুযোগ না পাওয়া অসংখ্য মানুষের কোন দায়িত্ব রাজ্যের তৃণমূল সরকারও নেয়নি। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবীরা তো বটেই, কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া চার শ্রম কোডের ধাক্কায় সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীরাও গভীর সংকটে। লাগামছাড়া বেসরকারিকরণ, রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিক্রি এবং জাতীয় সম্পদের বেনজির লুট – এই হল আজকের ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ভূমিকা। ব্যাংক, বীমাসহ সমস্ত সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে এই সংকটের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, গত বছরের ২৬ নভেম্বর দেশজূড়ে ঐতিহাসিক ধর্মঘট পালিত হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই সিপিআই(এম) রাজ্য ওয়েবসাইটে পাঁচটি পর্বে প্রকাশিত হবে কেন্দ্রীয় শ্রম কোড সংক্রান্ত জরুরী তথ্য যাতে পার্টি কর্মী, সমর্থক সকলেই কাজের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংকটের চিত্রটি মানুষের কাছে স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারেন।
২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার পাশ করেছে কোড অন ওয়েজেস। ২০২০ সালের বাদল অধিবেশনে পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে আরও তিনটি শ্রম আইন – ক) দ্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড, খ) দ্য অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন্স কোড এবং গ) কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি। এই সবকটি শ্রম আইনের দ্বারা একদিকে মালিকপক্ষের স্বার্থরক্ষা যেমন সুনিশ্চিত করা হল তেমনই অন্যদিকে ভারতে সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীদের যাবতীয় অধিকারকেই বাতিল করা হয়েছে, খারিজ করে দেওয়া হয়েছে ২৯টি শ্রম আইন। প্রভিডেন্ট ফান্ড এমনই একটি সুবিধা যার সাহায্যে অবসর গ্রহনের পরে শ্রমিক কর্মচারীরা নিজেদের দিনগুজরান করার মতো আর্থিক সংস্থানের সুবিধা পেতেন। মোদী সরকার সেই সুযোগ তুলে দিতে বদ্ধপরিকর। পাশ করিয়ে নেওয়া নতুন চার শ্রম আইনের মধ্যে শেষ অর্থাৎ কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে দিয়ে ৯টি শ্রম আইন খারিজ করা হয়েছে। সেই আইনগুলি হল ১) এমপ্লয়িজ কম্পেন্সেশন অ্যাক্ট, ২) এমপ্লয়িজ স্টেট ইন্স্যুরেন্স অ্যাক্ট, ৩) এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যান্ড মিস্লেনিয়াস প্রভিশন্স অ্যাক্ট, ৪) এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ (কম্পালসরি নোটিফিকেশন অফ ভ্যাকেন্সি) অ্যাক্ট, ৫) মেটারনিটি বেনিফিট অ্যাক্ট, ৬) পেমেন্ট অফ গ্রাচ্যুইটি অ্যাক্ট, ৭) সিনে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ড অ্যাক্ট, ৮) বিল্ডিং অ্যান্ড আদার কন্সট্রাকশন ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার সেস অ্যাক্ট এবং ৯) আন- অর্গানাইজড ওয়ার্কার্স সোশ্যাল সিক্যুরিটি অ্যাক্ট। বাতিল হওয়া এই ৯টি বিভিন্ন আইনের নাম থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় শ্রমিক- কর্মচারীদের কল্যানে যাবতীয় আইনকেই সংস্কারের লক্ষ্য করা হয়েছে। আসলে মালিকপক্ষ চায় মুনাফার নিশ্চয়তা, সেই কাজে সবচেয়ে সহজ উপায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের শোষণ। হায়ার অ্যান্ড ফায়ার মানে যখন খুশি নিয়োগ, যখন খুশি ছাঁটাই পুঁজিবাদের খুবই পছন্দের পরিকল্পনা। উৎপাদন বাড়িয়ে নেবার সময় মর্জিমাফিক মজুরির ভিত্তিতে চুক্তিতে নিয়োগ করে পরে ইচ্ছামতো ছাঁটাই – এই হল পুঁজিবাদের মতে অবাধ বাণিজ্যের শর্ত। পুঁজিবাদ এমন শোষণের ব্যবস্থাকেই জায়েজ এবং উপযুক্ত বলে যুক্তি হাজির করে কারন এতে মুনাফা বাড়িয়ে নেবার সবচেয়ে সহজ রাস্তাটা খোলা থাকে – সেই রাস্তা হল ১) শ্রমিকদের মজুরি কমানো, ২) খুবই কম অথবা বিনা মজুরিতে শ্রমসময় বাড়িয়ে নেওয়া এবং ৩) স্থায়ী শ্রমিকের বদলে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া শ্রম আইন সেই লক্ষ্যেই কাজ করেছে। আজকের কর্পোরেটরা শোষণের ঐতিহাসিক সমস্ত চেহারাকেই ছাপিয়ে উঠে নতুন নজীর তৈরি করেছে – লকডাউনের ধাক্কায় সারা দেশে কাজ হারানো মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৭.৭ মিলিয়ন অথচ সেই সময়েই দেশের কর্পোরেটগোষ্ঠীর মুনাফা বেড়েছে! শোষণের এই ব্যবস্থাকেই পাকা চেহারা দিতে প্রচলিত শ্রম অধিকারগুলি কেড়ে নেওয়া প্রয়োজন, তাই নয়া শ্রম আইন প্রণয়ন হয়েছে।
প্রভিডেন্ট ফান্ড আসলে কি? সরকারী বয়ান বলছে “EPFO is one of the World’s largest Social Security Organisations in terms of clientele and the volume of financial transactions undertaken. At present it maintains 19.34 crore accounts (Annual Report 2016-17) pertaining to its members.” – মানে, এই ব্যবস্থা চালু থাকলে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীরা নিজেদের ভরনপোষণের কাজে কিছুটা সমর্থ থাকবেন, কিন্তু তাহলে যে অবসরপ্রাপ্তদের চুক্তিভিত্তিতে কাজে পুনর্বহাল করা যাবেনা! নতুন নিয়োগ করতে হবে! একদিকে নতুন নিয়োগ না করে আরেকদিকে প্রভিডেন্ট ফান্ড বন্ধ করে অবসরপ্রাপ্তদের কাজে অর্ধেক কিংবা আরও কম মাইনেতে খাটিয়ে নিতেই এই ব্যাবস্থা। শ্রমের বাজারে বেকারবাহিনীর চাপ এর ফলে আরও বৃদ্ধি পায়, ফলে ঘুরপথে কম মাইনেতে চুক্তিভিত্তিক কাজে নিযুক্ত হতে জনগণ, শিক্ষিত যুবসমাজ বাধ্য হয়ে পড়ে। এতে ফায়দা দুভাবে নিশ্চিত হয়, এক – নতুন নিয়োগ না করে মজুরি খাতে খরচকে ব্যাপক হারে কমানো গেল আর দুই – প্রভিডেন্ট ফান্ডের খরচ বন্ধ করে বাড়তি মুনাফা। শোষণের জোয়াল চাপিয়ে দিতে এই ব্যাবস্থার পক্ষে সওয়াল করা কেতাবি পন্ডিতরা যতই উন্নয়নের গল্প ফেরি করুন না কেন কর্পোরেটরাজকে হাল আমলে যেভাবে ধান্দার পুঁজিবাদ (Crony Capitalism) বলা হচ্ছে তা একশভাগ সঠিক।
দেখে নেওয়া যাক এই EPFO কীভাবে কাজ করে? Employees’ Provident Funds & Miscellaneous Provisions Act, 1952 নামে এই সংক্রান্ত আইন এতদিন কার্যকর ছিল, শ্রমিক – কর্মচারী তার বুনিয়াদী বেতনের (Basic Salary) ১২ শতাংশ, মালিকের পক্ষে একই খাতে ১০ কিংবা ১২ শতাংশ হারে প্রতি মাসে অর্থ জমা হত নির্দিষ্ট ব্যাক্তির প্রভিডেন্ট ফান্ড তহবিলে। জমা অর্থে শ্রমিক – কর্মচারী ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ পেতেন। প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যান্ড মিসলেনিয়স প্রভিশন্স অ্যাক্ট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের (The Central Board of Trustees, EPF) সুপারিশ ছিল ঐ আইনের পরিসর আরও বাড়ানোর। আগে কোন সংস্থায় ন্যুনতম ২০ জন কর্মরত হলে তবেই ইপিএফ(EPF)-এর সুবিধার সুযোগ ছিল, অছি পরিষদ বলে আরও বেশী শ্রমিক – কর্মচারীদের এই আইনের সুবিধা দিতে আইন পরিবর্তন করে কর্মরত শ্রমিক – কর্মচারীর ন্যুনতম সংখ্যা ১০ করা হোক। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই সুপারিশ খারিজ করে দিয়েছে। আসলে লকডাউনে অনেক ছোট, মাঝারি কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, লকডাউনের বিধি শিথিল হবার পরে একসাথে ২০ জন কর্মরত নন এমন ছোট সংস্থগুলিতে অনেকেই কোনমতে নিজেদের পেটের সংস্থানটুকু জূটিয়ে নিচ্ছেন। এমন প্রচুর সংস্থায় কাজ করা মানুষের ভবিষ্যতের দায় নিতে চায় না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, তাই আইনের পরিসর বাড়ানোর দাবী থাকা স্বত্বেও তা মানা হল না। বহু শ্রমিক – কর্মচারীরা এই সুযোগের বাইরে রয়ে গেলেন। নতুন আইনে প্রভিডেন্ট ফান্ডে দেয় অর্থের পরিমান ১২ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে, অর্থাৎ মালিকের দায় আরও কমিয়ে দেওয়া হল। নয়া আইনের 16(1) ধারা অনুযায়ী সরকার নিজের প্রয়োজনমতো ইপিএফ’এর দেয় অর্থের পরিমান আরও কমাতে পারবে, 15(I)(E) ধারায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় অছি পরিষদ (The Central Board of Trustees, EPF)কে সুপারিশকারী সংস্থায় পরিণত করা হল যাতে, ভবিষ্যতে সরকার নিজের ইচ্ছামতো প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন এবং ডিপোজিট নির্ভর বীমা প্রকল্পগুলিকে পুনর্গঠন (ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পগুলিকে ডিফাইন্ড কন্টিবিউশন স্কিমে রুপান্তর করার প্রস্তাব সরকার করেছে) করতে পারে। নয়া আইনের 20(2) ধারায় বলা আছে সরকার চাইলে যে কোন সংস্থাকে EPF সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধার আইনের বাইরে পাঠাতে পারবে। কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের 1(5) ধারায় উল্লেখ রয়েছে মালিকপক্ষ যদি অধিকাংশ শ্রমিক – কর্মচারীদের সাথে যৌথভাবে EPF প্রকল্পের সুবিধা না নিতে চায় তবে সেই সংস্থাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। যেখানে সারা দেশে আরও বেশী সংস্থাকে এই আইনের আওতায় আনার প্রয়োজন ছিল সেখানে নয়া আইনের সাহায্যে ছোট, বড় সুযোগসন্ধানি (ধান্দাবাজ) সংস্থাগুলিকে লাগামহীন মুনাফার রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হল। ছোট, বড় বহু সংস্থাগুলি খুব সহজেই নিজেদের শ্রমিক – কর্মচারীদের চাপ দিয়ে, অথবা ভুয়ো তথ্য সরবরাহ করে EPF প্রকল্পের বাইরে চলে যেতে পারবে, এতে মজুরি এবং শ্রমিককল্যান খাতে মালিকদের খরচ কম হবে, মুনাফা বাড়বে।
শ্রমিক – কর্মচারীদের পেনশন সংক্রান্ত ১৯৫৫ সালের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম আইন রয়েছে। বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে পেনশন সংক্রান্ত সেই আইন ছোট বড় সকল সংস্থার ক্ষেত্রে তখনই প্রযোজ্য হবে যদি সংস্থাটি EPF প্রকল্পের আওতায় থাকে। বোঝাই যাচ্ছে, EPF-এর আওতার বাইরে চলে যাওয়া বহু সংস্থার শ্রমিক – কর্মচারী আগামিদিনে পেনশন স্কিমের সুযোগ হারাবেন। অর্থাৎ এক বিরাট সংখ্যায় আমাদের দেশের মানুষ অবসর গ্রহনের পরেও বেকার বাহিনী হিসাবে কাজ খুঁজতে বাধ্য হবেন।
বুর্জোয়া অর্থনীতিতে পন্ডিত এমন কেউ যুক্তি হাজির করতেই পারেন, লকডাউন পরবর্তী সময়ে ছোট বড় সংস্থাগুলি বাড়তি মুনাফা করতে চাইলে তা এমন কি অন্যায়! তারা সম্ভবত “নিচের দিকে চুঁইয়ে পড়া সম্পদ” তত্ত্বের (Trickle Down Economy) উল্লেখ করবেন। যদিও তাদের মনে রাখা উচিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, EPF সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য জমা করে শ্রমিক কল্যান খাতে খরচ কমিয়ে এবং এমনই আরও অনেক দুর্নীতিকে সম্বল করে ছোট বড় সংস্থাগুলি যে বাড়তি মুনাফার ব্যাবস্থা করে তা দেশের বা জনগণের কোনও কাজেই লাগেনা, কারন সেই বিপুল মুনাফা আয়ব্যায়ের খাতায় লেখা থাকে না, ফলে বাড়টি মুনাফায় একটি পয়সাও বাড়তি কর দিতে হয় না – গোটাটাই চলে যায় ব্যাক্তিগত মালিকানার পকেটে, এতে যেমন এইসব সংস্থায় কর্মরত শ্রমিক – কর্মচারীদের কোনও সুবিধা নেই, উল্টে শোষণ বাড়ে – আবার অন্যদিকে দেশের রাজস্বখাতেও কোনও বাড়তি সংস্থান হয় না। ফলে আর্থিক ক্ষতির প্রভাব অবশ্যই সার্বিক, যদিও মুনাফা কামানোর পথে উৎপাদন করতে বা যোগান (পণ্য বা পরিষেবা) দিতে শ্রমের ভূমিকা এখনও সামাজিক! মুনাফার খোঁজে নির্লজ্জ পুঁজিবাদের চরিত্র বর্ণনা করতে ঠিক মার্কস যেমনটা বলেছিলেন। সেই লেখার ধাক্কায় পুঁজিবাদ তাই আজও কমিউনিজমের ভূত দেখছে বৈকি!
ওয়েবডেস্কের পক্ষেঃ সৌভিক ঘোষ