Site icon CPI(M)

Defining Socialism

Socialism PP Cover

প্রভাত পট্টনায়েক

গত ২২শে নভেম্বর ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দটি অপসারণ করার জন্য একটি আবেদনের শুনানির সময়ে দেশের প্রধান বিচারপতি, দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট করেছেন।

প্রথমত, সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দটি বিশেষ কোনও গোঁড়া অর্থে ব্যবহৃত হয় না। এর অর্থ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রকে বোঝায় যা সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতাকে নিশ্চিত করে।

দ্বিতীয়ত, এই অর্থে ‘সমাজতন্ত্র’ সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ; এটা শুধু প্রস্তাবনার কেবলমাত্র একটি সংযুক্তি নয় বরং এমন এক ধারণা যা আমরা ভারতীয় সাধারণতন্ত্রকে কিভাবে গড়ে তুলতে চাই তার সারমর্মকে পরিব্যাপ্ত করে। প্রধান বিচারপতি কিন্তু ‘সমাজতন্ত্র’কে প্রাতিষ্ঠানিক চরিত্র দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। সারা বিশ্বে ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দটি উৎপাদনের উপায়গুলির (অন্তত উৎপাদনের মূল উপায়গুলির) সামাজিক মালিকানা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি মালিকানার প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে ‘সমাজতন্ত্র’-কে সংজ্ঞায়িত করে বলেছেন যে ব্যক্তিগত উদ্যোগ ‘সমাজতন্ত্র’-র সাথে অ-সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়; প্রকৃতপক্ষে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন যা সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতাকে নিশ্চিত করে।

সমাজতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক সংজ্ঞা যে উৎপাদনের উপায়ের মালিকানা সম্পর্কিত সেটা বহুলভাবে ব্যবহৃত হয় কারণ সুযোগের সমতা সহ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সামাজিক মালিকানা একটি প্রয়োজনীয় শর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। নিজের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি বলেছেন সামাজিক মালিকানার প্রতিষ্ঠান ছাড়াই এমন ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সমাজতন্ত্র শুধুমাত্র সুযোগের সমানাধিকার সহ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের সাথে সম্পর্কিত নয়। এর উদ্দেশ্য আরও সুদূরপ্রসারী, সমাজস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে খণ্ডিত অবস্থাকে (যেমনটি পুঁজিবাদে ঘটে) অতিক্রম করে একটি একীভূত সমাজব্যবস্থায় নিয়ে আসা, একটি নতুন সম্প্রদায় তৈরি করা। কিন্তু এই নতুন সম্প্রদায়কে অবশ্যই চিহ্নিত হতে হবে যে তারা সুযোগের সমতা সহ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র দ্বারা নির্মিত কি না। মোদ্দা কথা হল, উৎপাদনের উপকরণের সামাজিক মালিকানা ছাড়াও সুযোগের সমতা নিয়ে এমন একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র অর্জন করা আদৌ সম্ভব কি না।

আমরা বিশ্বাস করি যে এমনটা হতে পারে না; কিন্তু ব্যক্তি মালিকানা এবং সুযোগের সমতার মধ্যে দ্বন্দ্বের কিছু সুস্পষ্ট উদাহরণ উদ্ধৃত করা ছাড়া এ বিতর্কে আমরা ঢুকব না। বরং, সুযোগের সমতার প্রতি প্রধান বিচারপতি-র প্রতিশ্রুতি মেনে চলার জন্য এবং সুযোগের সমতার বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি সমাজ কেমন হবে তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে আমরা অনুরোধ জানাবো। এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ, বর্তমান ভারতীয় সমাজে যেভাবে একদিকে সম্পদের ক্রমবর্ধমান ঘনীভবন এবং অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং জরুরী পুষ্টির নিরিখে দারিদ্র্য বাড়ছে তাতে কেউই বলতে পারবেন না এমন ব্যবস্থা সুযোগের কিভাবে ঐ সমতা নিশ্চিত করার দিকে এগিয়ে চলেছে! কিন্তু এরপরে একটি প্রশ্ন অবশ্যই সামনে চলে আসে, সুযোগের সমতার দিকে এমন পদক্ষেপের চিহ্নসূচক বৈশিষ্টগুলি কী কী?

যে বিশ্বে বেকারত্ব আছে বা মার্কস যাকে শ্রমের সংরক্ষিত বাহিনী বলেছেন সেখানে সুযোগের কোনও সমতা থাকতে পারে না। বেকারদের আয় কর্মরতদের তুলনায় অনেক কম (বেকার ভাতা দেওয়া হলেও) তাই বেকারদের সন্তানরা এমন বিভিন্ন ধরনের বঞ্চনার শিকার হবে যা তাদের এবং অন্যদের সন্তানদের মধ্যে সুযোগের সমতাকে অসম্ভব করে তুলবে।

বেকারত্ব থেকে উদ্ভূত অর্থনৈতিক বৈষম্য ছাড়াও, বেকারত্বের কলঙ্ক এবং বেকারদের পক্ষ থেকে স্বাভিমানের ক্ষতিও রয়েছে, যা শেষমেষ বেকারদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক মর্মান্তিক শৈশব তৈরি করে। যদি বেকারত্ব বিষয়টাই নিশ্চিহ্ন হয় (যা সুযোগের সমতার জন্য অপরিহার্য) তবেই এ ধরনের প্রভাব দূর করা যেতে পারে।

বেকারত্ব থেকে উদ্ভূত অর্থনৈতিক বঞ্চনা কাটিয়ে ওঠার একটি উপায় হল বেকাররা কর্মরতদের সমান হারে মজুরি উপার্জন করতে পারে, অর্থাৎ বেকার ভাতাকে চলতি মজুরি হারের সমান করা যায়। কিন্তু ব্যক্তিগত উদ্যোগের ভিত্তিতে পরিচালিত অর্থনীতিতে এমনটা সম্ভব নয়। বেকারত্বের অস্তিত্ব, শুধু পুঁজিবাদের অধীনে নয়, বরং যে কোনো অর্থনীতিতেই (যেখানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেসরকারি উদ্যোগ আছে) শ্রমিকদের উপর ‘নিয়ন্ত্রিতভাবে আচরণ করতে শেখানোর যন্ত্র’ হিসেবে কাজ করে। তাই বেকাররা যদি কর্মরতদের মতো একই মজুরি উপার্জন করে বা বেকার ভাতাকে মজুরির হারের সাথে এক করে দেওয়া হলে, এমন বন্দোবস্ত জাতীয় অর্থনীতিতে আদৌ গ্রহণযোগ্য হবে না, কারণ অমন ব্যবস্থা তখন সেই শৃঙ্খলাবদ্ধ করার যন্ত্রটিকেই নিষ্ক্রিয় করে দেবে। ‘যন্ত্র’ নিজের যাবতীয় শাস্তিমূলক শক্তি হারাবে। বাস্তবিক পূর্ণ কর্মসংস্থান অর্জন করলেও তেমনটাই ঘটবে।

তাই বেকারত্বের প্রশ্নে একদিকে সুযোগের সমতা এবং অন্যদিকে বেসরকারি উদ্যোগের মধ্যে সবার প্রথম দ্বন্দ্বের উদ্ভব হয়। কিন্তু প্রধান বিচারপতি তার সাথে একমত হোন বা না হোন, তাঁকে এটুকু অন্তত স্বীকার করতেই হবে যে বেকারত্বের অস্তিত্ব হল সুযোগের সমতার জন্য প্রধান অন্তরায়গুলির অন্যতম একটি।

সুযোগের সমতার দ্বিতীয় সুস্পষ্ট প্রয়োজনীয়তা হল উত্তরাধিকারী সম্পদের সুযোগের সম্পূর্ণ বিলুপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়া। একজন কোটিপতির ছেলে এবং একজন শ্রমিকের ছেলের কাছে সমান সুযোগ আছে বলা যায় না যদি প্রথমজন তার পিতার কোটি টাকার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়। বুর্জোয়া অর্থনীতি (যে ব্যবস্থা পুঁজিপতিদের মুনাফার জন্য দায়ী) অবধি এমন যুক্তি দেখায় যে ‘বিশেষ কিছু গুণের কারণেই পুঁজিপতিদের সম্পদ সৃষ্টি হয়’, উত্তরাধিকারের যুক্তির সামনে সে যুক্তি টেঁকে না। কারণ কেবল ‘উত্তরাধিকার’-এর সুবাদে একজনের এমন কিছু বিশেষ গুণ আছে যা অন্যদের মধ্যে নেই এমনটা প্রমাণ করা যায় না। এ কারণেই বেশিরভাগ পুঁজিবাদী দেশে উচ্চহারে উত্তরাধিকার করের বন্দোবস্ত রয়েছে। সেই হার জাপানে ৫৫ শতাংশ, উন্নত অর্থনীতির অন্যান্য দেশে প্রায় ৪০ শতাংশ। আশ্চর্য এই যে ভারতে উত্তরাধিকারে পাওয়া সম্পত্তির উপরে এমন কোনও কর নেই। আর তাই এমন ব্যবস্থায় সুযোগের সমতার কথাটি অলীক কল্পনাই রয়ে যায়।

তৃতীয় প্রয়োজনীয় শর্তটি হল, ‘উত্তরাধিকার’ নিষিদ্ধ হওয়া ছাড়াও, সম্পদের পার্থক্য হ্রাস হওয়া। সম্পদ (রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতা সহ) ক্ষমতা নিয়ে আসে এবং এমন একটি সমাজ যেখানে ক্ষমতা অসমভাবে বণ্টিত, সেখানে সকলকে সমান সুযোগ প্রদান করা হবে এমনটা বলা যায় না। তাই সম্পদকে সন্তানদের অধিকারে হস্তান্তর করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। এ ছাড়াও, পিতামাতার জীবদ্দশায় সন্তানদের জন্য একটি অযাচিত সুবিধা প্রদানের আকারে সম্পদের প্রভাবকে প্রতিরোধ করতে হবে, যার জন্য সম্পদের পার্থক্য অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। আয়ের পার্থক্যের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হলে একেও কমিয়ে আনা উচিত।

চতুর্থ সুস্পষ্ট প্রয়োজনীয়তাটি হল এই যে বংশধরদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অন্যান্য দক্ষতা অর্জনের পথে অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রভাবে কোনওরকম অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপ হতে দেওয়া উচিত নয়। এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষালাভ করার ক্ষমতাসহ অন্যায় দক্ষতা অর্জনের পরিস্থিতি সকোলের জন্য সমান হওয়া উচিত। এটা তখনই সম্ভব যদি এমন একটি সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন হয় যার মাধ্যমে সর্বোচ্চ মানের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্তটি হয় বিনামূল্যে বা সকলের সাধ্যের মধ্যে অত্যন্ত নামমাত্র মূল্যে পরিবেশিত হয়। আমাদের দেশ সহ অন্যান্য দেশে  নয়া-উদারবাদের অধীনে শিক্ষার ক্ষেত্রে যেমন বেসরকারীকরণ ঘটছে তাতে শিক্ষার পরিধি থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকেই সোজাসুজি বাদ পড়তে বাধ্য হতে হয়। এমন পরিস্থিতি সুযোগের সমতাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ছাড়া আর কিছুই দেখায় না। সাধারণ থেকে উচ্চ-মান অবধি শিক্ষাকে সাশ্রয়ী মূল্যে সম্পূর্ণরূপে সর্বজনীন করার ব্যবস্থা হওয়া উচিত। ঐ মানের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা বহাল থাকা স্বত্বেও যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যয়বহুল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি টিকে থাকবে ততক্ষণই সেসবের সঙ্গে ‘মেকি মর্যাদা’-র এক ভাবমূর্তি বজায় থাকারও সম্ভাবনা থাকে। এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মসংস্থান হতে থাকলে এগুলির প্রতি মানসিক পক্ষপাতিত্ব তৈরি হবেই, সেই মনোভাব সুযোগের সমতাকে বিনষ্টই করবে। এলে প্রতিহত করতে দরকার আইনানুগ বন্দোবস্ত যার সুবাদে ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে, কিন্তু তারা কিছুতেই সরকারী প্রতিষ্ঠানের চাইতে বেশি মাইনে নিতে পারবে না’। এক কথায় তারা শুধুমাত্র দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করতে পারবে।

পঞ্চম প্রয়োজনীয়তাটি স্বাস্থ্য-পরিষেবার সাথে সম্পর্কিত। এক্ষেত্রেও একই বিবেচনা প্রযোজ্য হয়। সরকারের তত্ত্বাবধানে একটি জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার মাধ্যমে সর্বজনীন উচ্চ-মানের স্বাস্থ্যপরিষেবার বিধান থাকতে হবে, যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বা সকলের সাধ্যের মধ্যে নামমাত্র মূল্যে উপলব্ধ হবে। সুযোগের সমতার প্রসঙ্গে এও এক অপরিহার্য শর্ত।

সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার জন্য এগুলি একেবারে সুস্পষ্ট এবং এখনও ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা। এটা সত্য যে যুদ্ধোত্তর সামাজিক গণতন্ত্র যা উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলিতে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র তৈরি করেছিল এবং ‘কেইনসীয় মডেল অফ ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট’-কে ব্যবহার করে বেকারত্বকে সর্বনিম্ন (১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে ব্রিটেনে প্রায় ২ শতাংশ) নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু ঐ কেইনসীয় মডেল সুযোগের সমতা বা স্থায়ী সমানাধিকার অর্জন হিসেবে প্রমাণিত হতে পারেনি (ষাটের দশকের শেষের দিকে এবং সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে মুদ্রাস্ফীতি সংকটের কারণে ঐ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল)। এটাই তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ যে সমাজে ‘শ্রেণী বিভাগ’ বিদ্যমান সেখানে সুযোগের সমতা অর্জন একরকম অসম্ভবই বলা চলে।

মুদ্রাস্ফীতির সঙ্কট কল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থাকে গ্রাস করেছিল। উচ্চ কর্মসংস্থানের হার এবং দূরবর্তী অঞ্চলে প্রাথমিক পণ্য উৎপাদনকারীদের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ (যা পূর্বে উপনিবেশবাদের অধীনে উন্নত দেশগুলি ভোগ করত) হারানোর ফলে, এহেন উন্নয়নগুলি শ্রেণীদ্বন্দ্বকেই তীব্র করে তোলে এবং তার ফলে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। একমাত্র শ্রেণী বৈরিতাহীন (কারণ উৎপাদনের উপকরণগুলি সেখানে সামাজিক মালিকানাধীন) সমাজেই সুযোগের প্রকৃত সমতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

তবে এ মুহুর্তে আমরা এই বিষয়ে আর বিতর্ক জুড়ছি না। সুযোগের সমতা সহ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের বিধানের প্রশ্নে সুপ্রীম কোর্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুক। ঐ অভিমুখে যে কোনও ধরণের পদক্ষেপকে (সমাজতন্ত্রের দিক থেকে খাটো হলেও) সমস্ত সমাজতন্ত্রীদের স্বাগতই জানানো উচিত।

পিপলস ডেমোক্রেসী পত্রিকার ১লা ডিসেম্বর ২০২৪ সংখ্যায় প্রকাশিত

ভাষান্তরঃ অঞ্জন মুখোপাধ্যায়, সৌভিক ঘোষ

শেয়ার করুন