কলকাতায় রেড রোডের ধারে আম্বেদকর এর মূর্তির সামনে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ বামপন্থী দলগুলির নেতৃত্ব দুপুর দুটোর সময় , করোনা ভাইরাসের জন্য রাজ্য ও দেশ জুড়ে লক ডাউন ও আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জন সাধারণের প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদের গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মূলতঃ ৯ দফা দাবিকে সামনে রেখে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়।
১. ভয়ঙ্কর ‘আমফান’ ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত বাংলাকে অবিলম্বে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করতে হবে।
২. বিপর্যয় থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে এবং পুনর্গঠন, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে হবে।
৩. সরকারী অনুদানে দলবাজি বন্ধ করো।প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করো। অবিলম্বে জেলা ও ব্লক স্তরে সর্বদলীয় সভা করো।
৪. করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা দ্রুত বৃদ্ধি করতে হবে। চিকিৎসক ,স্বাস্থ্যকর্মী , এম্বুলেন্স ড্রাইভার, পুলিশ ও সাফাই কর্মীদের পুরো সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
করোনা ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ রাখতে হবে।
৫. অর্ডিন্যান্স করে কাজের সময় ৮ ঘন্টা থেকে ১২ঘন্টা করা চলবে না।
রাজ্যে রাজ্যে শ্রম আইন স্থগিত করে অবাধ শ্রমিক শোষণ ও অর্জিত অধিকার খর্ব করা চলবে না।
৬. রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র বেসরকারীকরণ করা চলবে না।
লক ডাউন পিরিয়ডে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে।
৭. কৃষকদের বকেয়া ঋণ মুকুব করতে হবে, এবং সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’-এ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে।
৮. পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নগদ অর্থ সাহায্য করতে হবে।
এখনো বাইরে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের সময় ও অধিকারের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনসম্মত বিশেষ বিধান চালু করতে হবে।
৯. আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে থেকে এবং করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হব।