Site icon CPI(M)

Lenin – 150: An Anamnesis

দেবাশিস চক্রবর্তী

২২ এপ্রিল

লেনিনের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী। লেনিন একাধারে দার্শনিক, বিপ্লবের রণনীতি নির্ধারক, দুর্ধর্ষ সংগঠক, সর্বহারার রাষ্ট্রের পরিচালক।

লেনিন মার্কস-এঙ্গেলসের চিন্তাসূত্রকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শ্রমিকশ্রেণীর এক পূর্ণাঙ্গ দর্শনের চেহারা দিয়ে। বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কারকে কেন্দ্র করে ভাববাদী দর্শনকে খন্ডন করেন তিনি। দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের মর্মবস্তুকে প্রতিষ্ঠিত করে লেনিন দেখালেন, মানুষের জীবনধারা থেকেই দর্শনের বিকাশ ঘটছে। শ্রমিকশ্রেণীর রাজনৈতিক দর্শনকেও তীক্ষ্ণ চেহারা দিলেন মতাদর্শগত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে। ইউরোপের শ্রমিক আন্দোলনের মধ্যে আপসপন্থী প্রবণতার বিরুদ্ধে লেনিনের সংগ্রাম বিপ্লবী আন্দোলনের নতুন পথ উন্মোচিত করে দিল। তা যেমন রাশিয়ায় শ্রমিক আন্দোলনকে সংগঠিত চেহারা দিল তেমনই দেশে দেশে শ্রমিকশ্রেণীর সংগ্রামকে সে দেশের পুঁজির মালিকদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে উদ্দীপ্ত করল। এই জন্যই বলা হয়, লেনিনবাদ হল সাম্রাজ্যবাদ ও সর্বহারা বিপ্লবের যুগের মার্কসবাদ।

সাম্রাজ্যবাদ

লেনিন নির্দিষ্ট ভাবে চিনিয়েছিলেন সাম্রাজ্যবাদকে। ‘সাম্রাজ্যবাদ: পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ স্তর’—এ লেনিন ধনতন্ত্রের সাম্রাজ্যবাদের স্তরে পৌঁছনোর পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছিলেন। উৎপাদন ও পুঁজির কেন্দ্রীভবনে তৈরি হয়েছে একচেটিয়া, ব্যাঙ্কের পুঁজি ও শিল্প পুঁজির মিশ্রণে তৈরি হয়েছে লগ্নি পুঁজি, পণ্যের রপ্তানির থেকে পৃথক পুঁজি রপ্তানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, আন্তর্জাতিক ভাবে একচেটিয়া সংস্থাগুলি নিজেদের মধ্যে কার্টেল তৈরি করেছে, বিশ্বকে ভাগ করে নিয়েছে মিজেদের মধ্যে। লেনিন এও দেখিয়েছিলেন এই ভাগাভাগির পুনর্বন্টন হবে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলবে, যুদ্ধ তাই অনিবার্য হয়ে ওঠে সাম্রাজ্যবাদের পর্বে।

লেনিনের এই বিশ্লেষণ একবিংশ শতাব্দীতে এসে একই রকম প্রাসঙ্গিক। লগ্নি পুঁজির চরিত্র জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক হয়েছে। আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজি বিশ্বজুড়ে অবাধে সঞ্চরণশীল। উৎপাদন, পরিষেবা, আর্থিক বাজারের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে এই পুঁজির দাপট নেই। নয়া উদারনীতি ও তথাকথিত বিশ্বায়ন সাম্রাজ্যবাদের এই নবরূপ। প্রকৃতি, পথিবীর সম্পদ, মানবসম্পদের অবাধ লুঠ চলছে। নজিরবিহীন মাত্রায় সম্পদের কেন্দ্রীভবন হচ্ছে। সম্পদ দখলের লক্ষ্যে যুদ্ধ ও সামরিক আধিপত্য বিস্তার অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, তার যুদ্ধসঙ্গীরা একের পর এক দেশে সামরিক সংঘাত চাপিয়ে দিয়েছে। দখলদারির চেষ্টা চলছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব স্তিমিত হয়ে থাকলেও কখনো কখনো তা প্রকট ভাবেই আবার সামনে চলে আসছে।

লেনিন বলেছিলেন, এই ব্যবস্থার মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে এই ব্যবস্থার ভাঙনের উপাদান। একই সঙ্গে তাই সাম্রাজ্যবাদের পর্ব সর্বহারা বিপ্লবেরও পর্ব। নভেম্বর বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে সেই পর্বের শুরু হয়েছে। বিংশ শতাব্দী বিপ্লবের বিজয় দেখেছে, পরাজয়ও দেখেছে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত আছে।

নতুন ধরনের পার্টি

লেনিন দেখিয়েছিলেন শ্রমিকশ্রেণীর নিজস্ব রাজনৈতিক পার্টি গড়ে তোলা ছাড়া রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের কোনো বিকল্প পথ নেই। এই পার্টি হবে ‘নতুন ধরনের’ পার্টি। পার্টির থাকবে নির্দিষ্ট কর্মসূচি, সংগঠিত কর্মধারা, বিপ্লবী শৃঙ্খলা, পার্টির অভ্যন্তরীণ পরিচালনার নীতি হবে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা। রাশিয়াতে রুশ সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক লেবার পার্টি, পরে যা অভিহিত হবে ‘বলশেভিক’ পার্টি হিসাবে, তার মধ্যে দিয়ে এই নতুন পার্টির রূপ পরিস্ফুট হয়েছিল। কমিউনিস্ট পার্টি হবে শ্রমিক শ্রেণীর অগ্রণী বাহিনী, শ্রেণী সচেতন সংগঠিত বাহিনী, অন্য সমস্ত সংগঠনের ঊর্ধ্বে সর্বোচ্চ শ্রেণী সংগঠন। রুশ বিপ্লব যে সফল হতে পেরেছিল তার অন্যতম মূল কারণ ছিল এমন একটি পার্টির অস্তিত্ব।

জন রিডের মতোই রুশ বিপ্লবকে স্বচক্ষে দেখেছিলেন আরেক মার্কিন সাংবাদিক অ্যালবার্ট রিস উইলিয়ামস। তিনি লিখছেন, ‘বিপ্লবীরা বিপ্লব তৈরি করেননি, সফল করেছিলেন। তাঁরা এমন বাহিনী তৈরি করেছিলেন যারা বস্তুনিষ্ঠ ভাবে দেখতে পায়, কর্মসূচী আছে, তা প্রয়োগের লড়াকু মেজাজ রয়েছে।’ পার্টি ছাড়া বিপ্লব মধ্যপথে ধ্বংস হয়ে যেত।

শ্রমিককৃষক ঐক্য

প্যারি কমিউন শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে না পারার অন্যতম কারণ ছিল কৃষক সমাজের বড় অংশকে সাথে রাখতে পারেনি শ্রমিক শ্রেণী। লেনিন রাশিয়ার সমাজব্যবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখালেন কৃষক প্রশ্ন অত্যন্ত জরুরী প্রশ্ন। বিপ্লবী তৎপরতায় বিশেষ করে ছোট কৃষক ও গ্রামীণ সর্বহারাকে সংগঠিত করার দায়িত্ব নেয় বলশেভিকরা। তার ফলে বিপ্লব দুরন্ত গতি লাভ করে। রুশ বিপ্লব সফল হবার পরে প্রথম ঘোষণাতেই ছিল জমির বন্টনের ডিক্রি। লেনিনের এই শিক্ষা আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনকে নতুন দিশা দেখিয়েছে। ভারতেও কমিউনিস্টদের কর্মসূচিতে কৃষক প্রশ্নকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রশ্ন হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। ভূমি বিপ্লবই এদেশে বৈপ্লবিক রূপান্তরের অক্ষরেখা হিসাবে কাজ করবে। জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবের জন্য যে মোর্চা গড়ে তুলতে হবে তার প্রধান শক্তি হচ্ছে শ্রমিক-কৃষক ঐক্য।

বিপ্লবের সফল রূপকার

লেনিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার বুকে সংগঠিত হয় সর্বহারার সফল বিপ্লব। নভেম্বর বিপ্লব বিশ্ব ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। প্রমাণিত হয় শ্রমিকশ্রেণীর দর্শনকে বাস্তবে প্রয়োগ করা যায়। রাষ্ট্র সর্বহারার দখলে আসে। লেনিন ছিলেন এই বিপ্লবের রণনীতি ও রণকৌশল নির্ধারণের প্রধান নেতা। বিপ্লব একদিনে সম্পন্ন হয়নি। বিপ্লব প্রচেষ্টা কখনও গতি পেয়েছে, কখনও পিছিয়ে আসতে হয়েছে। ব্যর্থতার পর্ব, প্রতিক্রিয়ার দাপটের পর্ব, তথাকথিত শান্তিপূর্ণ পর্ব। একই ভাবে এগোনো যায়নি। লেনিন ১৯০৯-এ লিখেছিলেন, বিপ্লবের সময়ে (বিদ্রোহের সময়পর্বের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি) ‘‘ আমরা ‘ফরাসী বলতে’ শিখেছিলাম… এখন এই মন্দা, প্রতিক্রিয়া ও ছত্রভঙ্গ হয়ে যাবার পর্বে আমাদের ‘জার্মান বলা’ শিখতে হবে। অর্থাৎ ধীরে কাজ করতে হবে (এর কোনো বিকল্প নেই), পরিকল্পিত ভাবে কাজ করতে হবে, দৃঢ়তার সঙ্গে এক ধাপ করে এগোতে হবে, ইঞ্চি ইঞ্চি করে জিততে হবে।’’

দুই পরিস্থিতিতেই শ্রমিক শ্রেণীকে সংগঠিত করার কাজে লেনিন নেতৃত্ব দেন। রাশিয়া ছিল ইউরোপে সাম্রাজ্যবাদের দুর্বল গ্রন্থি। সেখানেই আঘাত করে জয় ছিনিয়ে নেয় শ্রমিকশ্রেণী। কখনও রুশ সংসদে অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের সংগ্রাম, চূড়ান্ত পর্বে শ্রমিক-কৃষক-সেনাদের সোভিয়েত গঠনের সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই বিপ্লব সফল হয়েছে। নিবিড় ও লাগাতার প্রচার আন্দোলনের পাশাপাশি শাসক শ্রেণীর প্রতিরোধ ভাঙতে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ নিতে হয়েছে।

সমাজতন্ত্র নির্মাণ

বিপ্লব পূর্ব রুশ দেশ ছিল পশ্চাৎপদ পুঁজিবাদী দেশ। সেই দেশে সমাজতন্ত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া ছিল কঠিন। বিপ্লবের অব্যবহিত পর বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির মদতে প্রতিবিপ্লবী শক্তিগুলি ঘিরে ফেলেছিল শিশু সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে। পরিস্থিতি অনুযায়ী লেনিনকে অনুসরণ করতে হয় নতুন অর্থনৈতিক নীতি। আবার। শিল্প থেকে কৃষিকে সম্পূর্ণ নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছিলেন লেনিন। রাশিয়া, পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শ্রমজীবীর জীবনমান, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, সামরিক শক্তি, সংস্কৃতিতে হয়ে উঠেছিল অগ্রণী দেশ।

লেনিনের মৃত্যুর ছ’বছর পরে রাশিয়ায় গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, এখানে না এলে এ জীবনের তীর্থযাত্রা অসম্পূর্ণ থাকত। রবীন্দ্রনাথ দেখেছিলেন, ‘ধনগরিমার ইতরতার সম্পূর্ণ অবসান’। সাত দশক পরে সেই সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটে। অভ্যন্তরীণ কারণ ছিল, অর্থনীতি-রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের ঘাটতি ছিল। কিন্তু ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা হিসাবে নভেম্বর বিপ্লব ও সোভিয়েতের বিরাট অবদান অনপনেয়।

আন্তর্জাতিক লেনিন

লেনিন বলতেন, পুঁজি আন্তর্জাতিক শক্তি, তার বিরুদ্ধে সংগ্রামও হবে আন্তর্জাতিক। লেনিনের নেতৃত্ব তৈরি হয়েছিল তৃতীয় আন্তর্জাতিক বা কমিন্টার্ন। দুনিয়ার দেশগুলির শ্রমিক শ্রেণীর পার্টি, গোষ্ঠীগুলির ঐক্যের কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। আন্তর্জাতিকে উপনিবেশের দেশগুলির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে শ্রমিকশ্রেণীর ভূমিকা নির্ধারণে রণনীতি নির্ধারিত হয়েছিল। লেনিনের উপনিবেশ সংক্রান্ত থিসিস এই বিষয়ে পথপ্রদর্শক। জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম ও ধনতান্ত্রিক দেশগুলিতে শ্রমিকশ্রেণীর বিজয় অর্জনের সংগ্রামকে একসূত্রে গেঁথে কমিনটার্নের প্রথম কংগ্রেস থেকে ‘সমগ্র বিশ্বের সর্বহারার কাছে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের ইশ্‌তেহার’—এ আহ্বান জানানো হয়েছিল: আফ্রিকা ও এশিয়ার উপনিবেশের দাসত্বে থাকা মানুষ, ইউরোপে প্রলেতারীয় একনায়কত্বের পর্ব হবে তোমাদেরও মুক্তির প্রহর। বাস্তব ঠিক তেমন না হলেও রুশ বিপ্লবের বিপুল প্রভাব পড়েছিল ভারতের মতো উপনিবেশেও। ১৯১৮-তে ব্রিটিশ শাসনের প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষ্যে মন্টেগু- চেমসফোর্ড রিপোর্টে বলা হয়েছিল, রাশিয়াতে বলশেভিক বিপ্লব ভারতীয়দের রাজনৈতিক চেতনাকে অনুপ্রাণিত করেছে। ১৯১৯-এ ব্রিটিশ গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান সেস্লি কে রিপোর্টে বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার বলশেভিকবাদ বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে ভারতের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে’। ১৯২০-তে বিদেশে তৈরি হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯২১-এ জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে কমিউনিস্টরাই প্রথম পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি তোলেন।

লেনিন ভারত

লেনিন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আন্তর্জাতিকে ভারতের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে শ্রমিকশ্রেণীর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছিলেন। লেনিন বলেছিলেন, বিপ্লবী ও জাতীয়তাবাদী প্রাচ্য বিকাশমান সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শক্তি। জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের সমর্থনকারী শক্তি হিসাবেও কাজ করেও কমিউনিস্টরা বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদী শক্তির শক্তির মৌলিক সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন থাকবে। নভেম্বর বিপ্লব ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামকেও উজ্জীবিত করেছিল। ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতাদের চিন্তাধারায় প্রভাব পড়েছিল রাশিয়ায় নতুন সমাজব্যবস্থার। গান্ধীজী বলেছিলেন, ‘ এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না যে বলশেভিকদের আদর্শ অসংখ্য নরনারীর অতি বিশুদ্ধ আত্মত্যাগে সুদৃঢ় হয়েছে, এ আদর্শ রূপায়ণে সব কিছু দিয়েছেন তাঁরা, লেনিনের মতো মহাত্মাদের আত্মোৎসর্গ যে আদর্শে নিবেদিত, তা ব্যর্থ হতে পারে না।’ (ইয়ং ইন্ডিয়া, ১৫ই নভেম্বর, ১৯২৮)।  জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, ‘‘ আজ এমন কে আছেন যিনি লেনিনকে চেনেন না? এই পৃথিবীতে কোটি কোটি গরিব মানুষের কাছে লেনিন হয়ে উঠেছেন এক নক্ষত্র যিনি মুক্তির পথ আলোকিত করছেন’’।

ছবির সুত্রঃ গুগল ইমেজেস

শেয়ার করুন