ধারাবাহিক প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলো – বামদলগুলির সম্মিলিত আহ্বান
তারিখ – রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১
বামদলগুলির সম্মিলিত আহ্বান
১৬ থেকে ৩০ শে জুন অবধি সারা ভারত প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন
পেট্রোলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্রমাগত ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে আরও বেশি সংকট নেমে এসেছে। মোদী সরকার কোভিড মহামারীর সময়ে মানুষের পাশে থাকার পরিবর্তে গত ২রা মে, ২০২১ তারিখে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে পেট্রোলের প্রায় ২১ গুণ মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এর প্রভাবে শেষ এগারো বছরে খোলাবাজারের দামের সূচক সর্বোচ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে, একইসাথে দেশে এক ভয়াবহ নির্ঝর মুদ্রাস্ফিতি আসন্ন।
গত এপ্রিল মাসেই খাদ্যপণ্যে প্রায় ৫ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। আবশ্যকীয় পণ্যে ১০.১৬ শতাংশ এবং সমস্ত উৎপাদিত পণ্যে ৯.০১ শতাংশ হারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এর পরে এই সমস্ত পণ্য খোলাবাজারে পৌঁছেছে, সাধারণ ক্রেতাদের সেইসব আরও বেশি দামে খরিদ করতে হয়েছে।
এক অভূতপূর্ব গভীর আর্থিক মন্দা, শ্বাসরোধকারী বেকারত্ম, ক্রমক্ষয়িষ্ণু ক্রয়ক্ষমতা এবং ক্রমবর্ধিষ্ণু ক্ষুধার আঘাতে যখন দেশের অর্থনীতি সংকটে জর্জরিত সেই সময়েই এমন ঘটছে।
বোঝাই যায়, রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদতেই এমন বিবেকহীন কালোবাজারি এবং মজুতদারি চলছে। সমস্ত পণ্যে এবং বিশেষ করে জীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রে যেকোনোরকম কালোবাজারি রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত মোদী সরকারের।
আয়কর দেন না এমন সকল পরিবারের হাতে আগামী ছয় মাসের জন্য প্রতি মাসে নগদ ৭৫০০ টাকা তুলে দিতে হবে সরকারকে।
ইতিপূর্বে ঘোষিত দেওয়ালি অবধি প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যান অন্ন যোজনার অন্তর্গত ৫ কেজি খাদ্যশস্যের বন্দোবস্ত বাস্তবিক প্রয়োজনের একেবারেই অপর্যাপ্ত। প্রতিটি গরীব পরিবারকে মাথাপিছু ১০ কেজি খাদ্যশস্য, ভোজ্য তেল, চিনি, মশলা, চা বিনামুল্যে সরবরাহ করতে হবে।
বামদলগুলির পক্ষে সমস্ত রাজ্য ইউনিটগুলির উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানো হচ্ছে যাতে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং বাধ্যবাধকতা মেনে এবং নিজেদের রাজ্যের নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বিচার করেই উপরোক্ত বিষয়গুলিতে একপক্ষকাল ব্যাপি যথোপযুক্ত প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন।
সাক্ষর
সীতারাম ইয়েচুরি, সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই(এম)
ডি. রাজা, সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই
দেবব্রত বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক, সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লক
মনোজ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক, আরএসপি
দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই(এম-এল) – লিবারেশন