মানুষের অদম্য জেদ লড়াইয়ের সামনে পিছু হটতে বাধ্য হল উন্নয়ন। হাওড়ার পাঁচলা ব্লক অফিসে গত ৮ জুলাই ছিল দুর্নীতির প্রতিবাদে বামফ্রন্টের আহ্বানে ব্লক অফিস অভিযান। পাঁচলা, চড়া পাঁচলা,শুভরআড়া ও জলাবিশ্বনাথপুর এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে পাঁচলা ব্লক। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের অন্যাচারে প্রার্থী দিতে পারেনি বামফ্রন্ট। সমিতিতে প্রার্থী দেওয়া গেলেও সেখানে চলেছে দেদার ছাপ্পা। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ও চলেছে প্রবল সন্ত্রাস।
মানুষের ক্ষোভ ,যন্ত্রনা দিনে দিনে বাড়ছিল। আমফান ঝড়ের পরবর্তী সময়ে ,ত্রাণ না পাওয়া অভুক্ত মানুষদের চোখের সামনে যখন তৃণমূলের দুর্নীতি , মানুষের হকের টাকা লুটের ছবি সামনে আসতে থাকে তখন মানুষ আর ভয়ে নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি। ক্ষোভের আগুন নিয়ে লাল ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতির সামনে রুখে দাঁড়ায় মানুষ।
চড়া পাড়া এলাকায় তৃণমূল নেতা শেখ জহুর আলমের পরিবারের ১০ জনের নাম আছে ক্ষতিগ্রস্ত দের নামের তালিকায় টাকা পাওয়ার জন্য। তার বিরুদ্ধে পোস্টার পরেছে গ্রামে। একই ঘটনা চড়া পাঁচলার পঞ্চায়েত প্রধান হেমন্ত রায় এর ক্ষেত্রেও। এদিকে ত্রাণের টাকা ভাগাভাগিতে তৃণমূলের নেতারা নিজেরাই কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে। পাঁচলার তৃণমূলের প্রধান নিজেই জেলাশাসক কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, আমফান ক্ষতিগ্রস্ত আশি শতাংশ টাকাই লুট হয়েছে। তালিকায় আসল ক্ষতিগ্রস্ত দের নাম নেই।
তৃণমূলের দুর্নীতি যত সামনে আসছে, ততই কণ্ঠ রুদ্ধ মানুষের মুখের প্রতিবাদের ভাষা ফুটছে। এই সময়কালে পাঁচলা ব্লক এলাকায় গণ বিক্ষোভে ফেটে পরে মানুষ, ঝাটা জুতো নিয়ে গ্রামের মহিলারাও পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। চারটি গ্রামপঞ্চায়েতে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখায়। মানুষের প্রতিবাদের সামনে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে দলদাস পুলিশ সহ এক সময়ে এলাকা কাঁপানো তৃণমূলী নেতারা।
পাঁচলা থানা এলাকার সিপিআই(এম) নেতা নবীন ঘোষ বলেন , মানুষ জাগছে। সন্ত্রাস কে উপেক্ষা করেই মানুষকে জড়ো করছে লাল পার্টি, মানুষের দাবি আদায়ের লড়াই চলবেই।