কনীনিকা ঘোষ
আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন….. চারদিকের এই উত্তাল তরঙ্গ কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন মাননীয়া? তরঙ্গের পর তরঙ্গ আজ আছড়ে পড়ছে, মানুষের রোষ, পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আজ শুধু রাজ্যে না, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ, দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় বিস্তৃত হয়েছে। আন্দোলন চলছে বহুস্বরে, বহুমাত্রায়। ধর্ম-বর্ণ, জাত, বয়স – কোন ভেদাভেদ এই প্রতিবাদে নেই। “তোমার স্বর আমার স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর” – স্লোগানে মিলে গিয়েছে সব ধর্ম-ভাষা-বর্ণ-লিঙ্গ-বয়স। আপনি শুনুন মাননীয়া, চেষ্টা করুন শুনতে, এ স্বর কিন্তু আপনাদের অরাজকতা, অব্যবস্থারই বিরুদ্ধে।
আসলে ২০১১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর নিয়ম-কানুন গেছে বদলে। সরকারের যখন যেমন খুশি চলায় যথেচ্ছ স্বজনপোষণের নীতিতে দুর্নীতি বাসা বেধেছে যত্রতত্র – রাজ্যবাসীর কাছে এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তাকালেই দেখা যায় সামগ্রিক শিক্ষা ক্ষেত্র দুর্নীতিতে তমসাচ্ছন্ন। শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একের পর এক নেতা মন্ত্রী চেয়ারম্যান আধিকারিক জেলে গেছে। প্রতিদিন প্রকাশিত হয়ে চলেছে, কেমন করে সাদা খাতা জমা দিয়ে অথবা নাম্বার ট্যাম্পারিং করে অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছে, আর সেখানে লেনদেন হয়েছে লক্ষ কোটি টাকা। এর আগে সারদা প্রশ্নে মানুষ দেখেছেন, বিচার-পর্ব চলছে তো চলছে, কিন্তু শাস্তি হচ্ছে না। রাজ্যবাসী দেখেছেন আকাশ ছোঁয়া বিজ্ঞাপনে নারী সুরক্ষার বড়াই। দেখেছেন, যেন দয়ার দান দিচ্ছেন (যদিও মানুষের টাকায়) এমনভাবে নানান প্রকল্পের ঘোষণা। যদিও তা কিন্তু গরিব প্রান্তিক মানুষের অবশ্য প্রাপ্য, কারণ সরকার তো মানুষের উন্নয়ন করবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অথচ এ নিয়ে প্রতিদিন অহমিকা আর প্রচার সর্বস্বতার ভাঁড়ামি মানুষ দেখছেন প্রতিদিন।
কিন্তু এর আড়ালেই এনসিআরবি রিপোর্টে উঠে আসছে এক জ্বলন্ত তথ্য – নারী ধর্ষণে পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ। তাও অনেক কেসই এ রাজ্যে জানা যায় না, অনেক FIR নেওয়া হয় না, অনেকে এখনো লজ্জায় ভয়ে পুলিশের কাছে রিপোর্টই করেনা – তাতেই এই করুণ চিত্র! তাহলে যদি সব অভিযোগ নথিভুক্ত করা হতো, তাহলে না জানি কি হতো! মানুষ দেখেছেন একের পর এক ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের ঘটনা, অথচ তার কোন বিচার নেই। সেই কবে কামদুনি থেকে শুরু হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে প্রথম থেকে আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু তৃণমূল সরকারের দলদাস পুলিশের অদক্ষতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, তাদের দায়ের করা চার্জ শীটের ফাঁকফোকর গলে খালাস পেয়ে গেল অভিযুক্তরা, বিচার পেল না কামদুনির সেই মেয়ে। এখনো দুঃসহ দুস্তর অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টেও কি প্রমাণিত হবে? দোষীরা কি শাস্তি পাবে? তদন্ত যে পুলিশের তৈরি কেসের উপর অনেকখানি নির্ভরশীল! পায়নি বিচার মধ্যমগ্রাম। প্রতিবেশী রাজ্য বিহার থেকে আসা ট্যাক্সি চালকের মেয়েকে যখন ধর্ষিতা হতে হয়েছিল, যখন তার মরদেহটাও পুলিশ দিতে না চেয়ে পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, (না, মোদির পুলিশ না মাননীয়া মমতা ব্যানার্জিরই পুলিশ) তখন নিমতলা শ্মশানে গিয়ে আমরা মহিলা ছাত্র যুব শ্রমিক সংগঠনের সবাই মিলে অন্তত মরদেহের অধিকার মা-বাবাকে দিতে পেরেছিলাম। সেখানেও তৃণমূল সরকার, তৃণমূল দল ও তাদের পোষা গুন্ডারাই অভিযুক্ত ছিল, তাই তারও বিচার হয়নি। বিচার পায়নি বীরভূমের সেয়ানে’র সেই মেয়ে, যাকে দিনের পর দিন ধর্ষিত হতে হয়েছিল তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের কাছে, কারণ তার বাবা টাকা ধার নিয়েছিলেন। একি সেই স্বাধীনতার আগের নীলকর সাহেবদের কথা মনে করিয়ে দেয় না, যারা দিনের পর দিন এভাবেই অত্যাচার করতেন! আমরা সমাজ সভ্যতা এগোচ্ছে বলে গর্ববোধ করি, অথচ আজও “বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে”। হাসখালীর মতো নির্মম ধর্ষণকাণ্ডের পর, সত্যজিৎ রায়ের সদগতি সিনেমার দৃশ্যের মতো বাঁশের খুটে ধর্ষিতার দেহ বেঁধে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হলো আন রেজিস্টার্ড শ্মশানে – তারপরও মাননীয়ার ভিকটিম ব্লেমিং বন্ধ হয়নি। তিনি পাশে পুলিশকর্তাকে নিয়ে ধর্ষিতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘ওর কি লাভ আফেয়ার ছিল, ও কি প্রেগন্যান্ট ছিল?’ যেন কারোর লাভ আফেয়ার থাকলেই তাকে ধর্ষণ করবার অধিকার জন্মায়! পার্ক স্ট্রিটে সুজেটের ঘটনার পরও সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার এই ধর্ষণের ঘটনাকে ‘খদ্দেরের সঙ্গে দর কষাকষির সমস্যা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এসবের মাধ্যমেই এরকম ঘৃণ্যতম অপরাধের প্রতি তৃণমূলের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যায়। এত এত ঘটনার পরেও সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে। এবারও মহিলা ডাক্তারদের প্রতি আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন ওই একই সাংসদ, যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষ। অবশেষে ওই সাংসদকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে আইএমএ-র কাছে। কিন্তু ওদের ক্ষমায় আমরা ভুলতে পারিনা, ধিক্কার, শুধুই ধিক্কার ওদের প্রাপ্য।
আচ্ছা বলুন তো এ কোন রাজ্যে আমরা আছি! একি মাতঙ্গিনী, প্রীতিলতাদের রাজ্য! লজ্জায় মুখ পুড়ছে না আমাদের! কন্যাশ্রীর আকাশছোঁয়া বিজ্ঞাপন হচ্ছে আমাদের ট্যাক্সের টাকায়, অথচ দেশের মধ্যে বেড়ে যাওয়া বাল্যবিবাহের ঘটনা সর্বাধিক পশ্চিমবঙ্গে। শুধুই প্রচারের ফানুস, আর বাস্তব তার বিপরীত। একের পর এক এইরকম ঘটনায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হচ্ছিল। এবার এক সরকারি মেডিকেল কলেজে, তাঁর নিজের কর্মস্থলে এই নৃশংস ধর্ষণ-খুনের শিকার হতে হলো পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পাঠরতা তরুণী চিকিৎসককে! যিনি ছিলেন চেস্ট মেডিসিনের এর ডাক্তার, মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক করতে যে চিকিৎসক টানা ৩৬ ঘন্টা ডিউটি করেছিলেন কোন বিশ্রাম না নিয়ে, তাঁর নিজের অন্যতম নিরাপদ স্থান -সেখানেই তাঁর নিজের শ্বাস বন্ধ হয়ে গেল নৃশংস নির্যাতন ধর্ষণ খুনের ঘটনায়, জীবিত প্রাণ এক লহমায় নিষ্প্রাণ হয়ে গেল।
এই ধর্ষণ-খু্নের ঘটনা এত দিন ধরে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মুখ যেন খুলে দিল। যা থেকে আজ ক্রমাগত বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, অসন্তোষের আগুনের লাভা ভলকে ভলকে উদগীরণ হচ্ছে, যাকে থামানো সহজ নয়। মাননীয়া যদি মনে করেন একদিন পাল্টা মিছিল করে অথবা ধর্ণায় বসে এ প্রতিবাদ বিক্ষোভের লাভাস্রোতকে থামিয়ে দেবেন, তা হবে না, কিছুতেই হবে না। লাখো লাখো মানুষ আজ প্রতিবাদে নেমেছেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাঁদের মত করে প্রতিবাদ করছেন। এক প্রতিবাদের ঢেউ আজ নতুন প্রতিবাদ তৈরি করছে। প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষ পথে নামছেন ।
আমরা প্রথম দিন থেকেই ছিলাম এই প্রতিবাদে, এই লড়াইতে। ৯ অগাস্ট যেদিন আমাদের প্রিয় কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষযাত্রার মিছিল চলছিল, সেই শোক-ভারকে বুকে চেপেই আমাদের ছাত্র যুবরা খবর পেয়েই দৌড়ে গিয়েছিল আর জি করে। নিজেরা পুলিশের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েও শববাহী গাড়ি আটকাতে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পুলিশ আর তৃণমূলী মাস্তান বাহিনী ছিনিয়ে নিয়ে সে দেহ পুড়িয়ে দেয় তাড়াহুড়ো করে এবং প্রথম থেকেই তদন্তকে বিপথে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। প্রথমে বাবা-মাকে হাসপাতাল থেকে বলা হয় আত্মহত্যা, পরে আবার তারা বয়ান পাল্টায়। এই রহস্য, প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদে, লড়াইয়ে নেমে প্রতিজ্ঞা করি – এর শেষ দেখেই ছাড়া হবে। চিকিৎসকরা এই ঘটনার সাথে সাথেই নামেন প্রতিবাদে। এর মাঝখানেই বারে বারে বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য আমরা ভেসে আসতে দেখেছি, আর দেখেছি আরজিকর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ যার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ, তার পদত্যাগের চার ঘন্টার মধ্যে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে যোগদানের ব্যবস্থা হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বদান্যতায়। অবশ্য ছাত্র বিক্ষোভে এই গুণধর ব্যাক্তিটি সেখানে যোগ দিতে পারেননি।
১২ আগস্ট থেকে কলকাতায় এসএফআই, ডিওয়াইএফআই ও পরের দিন থেকে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি আর জি কর এর সামনের অবস্থান যুক্ত হয়, আমাদের লাগাতার অবস্থান চলতে থাকে। ১৩ আগস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এবং আরজিকর সংক্রান্ত বিষয়ে সব দুর্নীতি আমরা তুলে ধরি। তারপরেও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় ঘর সারানোর অছিলায় সেমিনার রুম ভাঙ্গার পদক্ষেপ হয়, আমরা ঘিরে ধরে তাকে আটকাই। আর এরপর মানুষকে আর আটকানো যায় না, চলতে থাকে আন্দোলনের প্রবাহ। ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে অসংখ্য জায়গায় ‘রাতের দখল নাও মেয়েরা’ বলে শুরু হয় প্রতিবাদ, আমরাও থাকি রাতের রাস্তায়, আর জি কর এর উল্টো দিকে। এরই মাঝে পুলিশের সামনেই কিছু দুষ্কৃতী আর জি কর ভাঙচুর করে, সেও তো তথ্য প্রমান লোপাটেরই চেষ্টায়। শুধু থার্ড ফ্লোরকে তিন তলা বলে ভুল করেছিল দুষ্কৃতীরা, আর তাই ভাঙতে পারেনি সেমিনার রুম – এটাই জনরব। এসব অভিযোগ, দুর্নীতির বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন রাজ্যের মানুষ। মানুষ ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে নামে। প্রতিদিন নামতে থাকেন আরো আরো মানুষ। আন্দোলন জন্ম দেয় স্লোগানের। “তোমার স্বর আমার স্বর আরজিকর আর জি কর”। চিৎকার করে নাগরিক সমাজ বলে “একটি কন্ঠ করলে রোধ, লক্ষ কন্ঠে প্রতিরোধ।” স্কুলের বাচ্চা থেকে লাঠি হাতে বৃদ্ধা – কেউ বাদ নেই। এই গণস্রোত বাড়ছে প্রতিদিন। সিবিআই এর দায়িত্বে আজ তদন্ত। এ প্রশ্নে মানুষের অভিজ্ঞতা ভালো না, সারদা নারদ বালি-কয়লা-গরু পাচার থেকে শিক্ষা দুর্নীতি – তদন্ত চলছে তো চলছেই। কিন্তু আজ মানুষ আর মানবে না। তাইতো স্লোগান উঠছে “যাচ্ছে দিন যাচ্ছে ক্ষণ, বিচার আর কতক্ষণ”। বলছে, “তিলোত্তমা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই”। না, রাজপথ আজ না ছাড়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছে মানুষ।
নিরাপত্তা যখন প্রশ্নচিহ্নে, তখন সবাই দাবি করছে সুরক্ষার, দাবি করছে নিরাপত্তার। ইতিমধ্যেই IMA তাদের সমীক্ষায় জানিয়েছে, যা তারা ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩৩৮৫ জন চিকিৎসকের মধ্যে করেছিল, তাতে ৩৫% চিকিৎসক রাতে ডিউটির সময় নিরাপত্তার অভাবের কথা বলেছেন। বলেছেন রাতে বিশ্রাম কক্ষ নেই, থাকলেও অনেক সময় তা লক করা থাকে। তাই চাই সকলের নিরাপত্তা, কিন্তু সেই নিরাপত্তা দেবার অছিলায় যদি কেন্দ্রের মনুবাদী সরকারের মতো রাজ্য সরকারও জারি করে ফতোয়া – রাতে মেয়েদের কাজ করা যাবে না অথবা দলবেঁধে কাজ করতে হবে, তাহলে লড়াই তো হবেই। যখন একেই মেয়েদের কর্মসংস্থান অনেক কম, তখন এর নামে আরও কাজের সুযোগ কমিয়ে দিতে চায় সরকার। এই মনুবাদী ফতোয়ার বিরুদ্ধেও লড়তেই হবে। আর লড়তে হবে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির যারা উৎস সেই মাথাদের ধরার জন্য। তাই এ লড়াই চলবেই। জাগতে হবে অনেক আরো অনেক রাত। জাগছি আমরাও, আর জাগছে মানুষ, তাই তৈরি হচ্ছে একের পর এক আন্দোলনের তরঙ্গ। গণআন্দোলনের এই তরঙ্গ কে রুধবে, সাধ্য কার! এ লড়াই চলবে। লড়াই চলবে আর জি কর এর পরে ঘটা নির্যাতন ধর্ষণের বিরুদ্ধেও। লড়বো আমরা, লড়বো জান কবুল। লড়বো না-ইনসাফির বিরুদ্ধে ইনসাফ চাইতে, লড়বো শেষ তক। আপনিও আসুন শামিল হোন আন্দোলনের তরঙ্গে, এই জনপ্লাবনে। আমরা সবাই, মানে ছাত্র-যুব-মহিলা আবারও শ্যামবাজারের রাস্তা দখল করে বসেছি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থাকবো এখানেই – আপনারাও সবাই এই লড়াইয়ে আসুন। আন্দোলনের আগুনেই জ্বালিয়ে দিতে হবে রাজ্যে বিগত ১৩ বছরের পুঞ্জিভুত সব অপরাধ।
বুধবার, ৪ আগস্ত-২০২৪, গনশক্তি পত্রিকায় প্রকাশিত