Site icon CPI(M)

The language of politics – Pritha Tha

“ভাষা হল একটি সমাজের – না ভিত্তি,  না উপরিকাঠামো…..”

যোশেফ স্টালিন। 

ভাষার গুরুত্ব যদি একটি জাতির জাতিসত্তার প্রায় সমনাম হয়ে উঠতে পারে,  তবে দেখে নেওয়া যাক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমসাময়িক কালে তার অবস্থা।  কোন্দল আর তা কেন্দ্র করে নিন্দে মন্দ না, দলমত নির্বিশেষে একটি সময়ে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ভাষার প্রয়োগ প্রভাব ইত্যাদি ও তার কারণ বুঝতে চেষ্টা করা যাক।

“কথার কথা” – যে কোন মানুষের কি কি  হাল করে ছাড়ে,  তা বোঝার  অন্যতম ক্ষেত্র হল রাজনীতির ক্ষেত্র।  আমরাও ছাত্র জীবনে ক্যাম্পাসে যে জিনিসের মোহে জীবনে প্রথম ক্লাস পালিয়ে মিছিল/মিটিং যেতে শিখি তা হল – কথা।  সিনিয়রদের মোক্ষম শব্দপ্রয়োগ।  কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনের মধ্যে জট পাকানো ভাবনাগুলো চোখা চোখা শব্দে, কেতাদুরস্ত উদাহরণসহ সামনে যারা এনে দিয়েছিল তারা ছিল সেসব দিনে ফারিস্তা সদৃশ জীব। ঠিক এই – এইটাই,  এমনিভাবেই   ভাবছিলাম তো,  বলতে চাইছিলাম তো, পারছিলাম না। পালটানো   দিনের সাথে ঘষা খেতে খেতে আমরাও শিখি শব্দপ্রয়োগের কায়দা, তার গুরুত্ব,  তা নিয়ন্ত্রণ,  মাত্রাজ্ঞান। 

নব্বই-এর শতক শেষ হয়ে নতুন শতকের শুরুতেও দেখেছি রাজনৈতিক ঘটনা (বিশেষ করে উদারনীতির হৈ হৈ করে আগমন, বিশ্বায়নের তদানিন্তন প্রভাব ইত্যাদি)  তাকে কেন্দ্র করে চাপান উতর চলতই, তবে এদেশে এবং বিদেশেও (আন্তর্জাতিক স্তরে) একটা নুন্যতম ভাষাপ্রয়োগের মাপকাঠি থাকত। তাকে কোন পক্ষই তীব্রতা বোঝাতে লঙ্ঘন করত না।

বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি ভাঙা নিয়ে তালিবানকে আক্রমণ,  ইরাকে তেল খুঁজতে গিয়ে লণ্ডভণ্ড করার অপরাধে জর্জ বুশকে উদ্দেশ্য করে রাষ্ট্রপুঞ্জ নানা আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বাক্যবাণ — কিছুই কিন্তু তথাকথিত গোবিন্দদাসের পদাবলীর ভাষায় হয়নি।

গুজরাটের গনহত্যা,  গোধরা কান্ড,  তাহেলকা কান্ডতেও তুমুল বাকযুদ্ধ শুরু হয়, তীব্র কটাক্ষ সমালোচনা হয় সরকারের৷ নানা কার্টুন,  ক্যারিকেচার ছড়া,  গান হয়৷

কিন্তু ঘটনার অভিঘাত বোঝাতে অপশব্দ বা বলা ভালো “খেউড়”

করা হত না সচরাচর। 

 সাহিত্যে যদিও বহুকাল ধরেই এসব শব্দের আনাগোনা।

নষ্ট আত্মার টেলিভিশন  (ফাল্গুনী রায়, হাংরি আন্দোলন) থেকে নীলদর্পণ (দীনবন্ধু মিত্র),  দ্বিজেন্দ্রলাল রায় থেকে বিনয় মজুমদার, নবারুণ ভট্টাচার্য – এর মতো কলম প্রয়োজনে সামাজিক কথ্যভাষা (বা অকথ্যভাষা) ব্যবহার করেছেন বারবার। তা নিয়ে তর্কবিতর্ক চলেছে,  জল গড়িয়েছে বহুদূরে।  এমনকি আইন আদালত ঘুরে বটতলার হাওয়া খেয়েও বটতলার সাহিত্য কিন্তু সাহিত্য হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শব্দপ্রয়োগের কারণে স্বনামধন্য সাহিত্যিকদের লেখার বিচারে বারবার উঠে এসেছে সাহিত্যগুণের উপাদান হিসেবে সেই “স্ল্যাং” -এর প্রয়োগ বা গুরুত্ব।  সামাজিক,  অর্থনৈতিক,  রাজনৈতিক ভাবে তীব্র কোনঠাসা মানুষ নিজের অসহায়তা ঢাকতেই তো খেউড়কে আবরণ হিসেবে ব্যবহার করে।  তাদের জীবনের সহিতভাব যদি সাহিত্যে ধরা পরে তবে সেই সব শব্দবন্ধও ধরা পরবে।

তবে এখন সেই শব্দ অন্যক্ষেত্রে অর্থাৎ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যবহার হলে সমস্যা কোথায়! হুম, সমস্যা হচ্ছে।  কারণটা *শব্দটা ব্যবহারের পিছনে চিন্তাভাবনার লঘুতা*।  এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। 

নবারুণ ভট্টাচার্যের খুবই পরিচিত কবিতার পরিচিত উদাহরণ হল – “বোকাছেলে পুচুপুচু কোকাকোলা খায়…… ” ইত্যাদি।  ছেলে আর বাপ হিসেবে ভেবে পড়লে এর মানে ক্ষুদ্র,  স্থুলরুচির। কিন্তু যখন ছেলে মানে রাষ্ট্র,  আর পয়সা জোগানো বাপ মানে জনগন হয়ে দাঁড়ায় তখন মানে বদলায়,  গালাগালির কারণ বদলায়, কোথাও গিয়ে এটা জাস্টিফায়েড হয়ে ওঠে।  বর্তমানে গালাগাল টুকুই থাকছে,  পিছনের ভাবনাটা থাকছে না।  ফলে এটা জমিদার আলবোলা খুজে না পেয়ে চাকরকে যে চতুষ্পদের সন্তান হিসেবে ডেকে সুখ পেতেন তেমনই এক সুখ পেতে চাইছি আমরা। তাতে এক ক্লেদাক্ত অসভ্যতা ভিন্ন আর কিছু নেই।  একই শব্দ,  আমার শ্রেণীর মানুষের জন্য ব্যবহার হচ্ছে কি?  না বোধহয়। 

একদল মানুষ কর্পোরেট সেজে আমাদের লুটে নিয়ে যাচ্ছে রোজ,  আবছাভাবে বুঝছি। সরকার তাদের তাবেদার স্পষ্ট ভাবে বুঝছি। মিছিলে নামলে সামনে পুলিশকে সরকারের তাঁবেদার হিসেবে হাতের সামনে পাচ্ছি।  ফলে দীর্ঘ চুইয়ে পড়া বঞ্চনা মিছিলে মিটিং এ আরও আরও ধারালো,  নতুন জোড়াতালি দেওয়া স্মার্ট শব্দে আছড়ে পড়তে চাইছে। সোস্যাল মিডিয়া এমন শব্দকে বাহবা দিচ্ছে।  আমরা দলমত নির্বিশেষে শব্দের মোহে পরছি৷ শানিত শব্দ প্রয়োগের দিকে যতটা ভাবনা থাকছে,  যে ঘটনাকে নিয়ে প্রয়োগ হচ্ছে তার দিকে ততটা সৎ ভাবনা থাকছে না।

আগে ভালো বক্তা প্রত্যুৎপন্নমতির অধিকারী হতেন,  বক্তব্যের মধ্যে কিছু সাড়া জাগানো শব্দ থাকত। এখন কথায় কথায় “পাঞ্চলাইন” দরকার,  “পপ-আপ” ওয়ার্ড দরকার।  না হলে তিনি তেমন ভালো বক্তা না,  এভাবে নাকি আর “চলে” না।  তেনার তেমন “ভিউ” নাই, “রিচ” নাই। তিনি বাতিল।

ফলে আবারও তেমন অর্থহীন গালাগাল দেওয়া। ভাইরে, সব পেশার প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি স্ট্যান্ডআপ কমেডি আর রাজনৈতিক বক্তৃতা আলাদা বিষয়।  কমেডি স্ক্রিপ্ট আর ফিচার আলাদা বিষয়। 

তাহলে,  তার মানেই তো গম্ভীর গম্ভীর কথা! “সাধারণ মানুষ” সেসব বুঝবে না! তাই তাদের বোঝাতে এই অসাধারণ পরিকল্পনা!!! 

আসলে ঘটে এর উল্টো।  কারখানায় ওভারটাইমের পয়সা মাসের পর মাস মার গেলে যার যায় সে বুঝবে না?? কি ধরনের পুঁজি,  কি ধরনের উৎপাদন ব্যবস্থা সে বুঝবে না???   সে না ই শব্দটা জানতে পারে,  কিন্তু বিষয়টা “অসাধারণ সহজভাষ্য” দেনেওয়ালাদের থেকে অনেক বেশি বোঝে হাতে কলমে বোঝে।  সহজভাষ্যবাবু বোঝেন না আসলে,  কারণ তাকে এটা পড়ে বুঝতে হয়, হাতে কলমে না। ফলে নিজের অজ্ঞাতাকে কুলিকামিন কি আর বোঝে বলে চালানো ঢের সোজা!  যদি নাও বোঝে তবে তুই আছিস কি করতে??? জোক্স ক্রাক করতে??? 

কেন তোকে মাচায় তুলে, হাতে মাইক গুঁজে দাঁড় করিয়ে, নীচ থেকে তেলচিটে গামছাখানা কোমড়ে বেধে হা করে দাঁড়িয়ে আছে ওরা?  অনুপ্রেরণার পাঁচালি বা রামকথা শোনার জন্য!

আচ্ছা, উৎপাদন,  পুঁজি,  মুনাফা নিয়ে শ্রমিকরা এত বোঝে!  বটে!  তাহলে ভোট দেয় না কেন! 

কারণ এই জোক বলায় তামাশা করায় মননিবেশ করতে গিয়ে ওদের জীবনের সমস্যাগুলো নিয়ে সচেতন করতে ভুলে যাচ্ছি না তো!   ভৌগোলিক নৈকট্য মেনে ঘটে চলা অন্যায় অবিচারের ধারাবিবরণীই তো শেষ কথা না।  কথা হল এগুলো কেন হচ্ছে বুঝে তা নিয়ে শ্রেণীসচেতনতা গড়ে তোলার কাজ।  হচ্ছে কি?

 সিরিয়াল সিনেমার অভিনেতারা(মাপ করবেন,কেউ এখনো রাজনৈতিক বা দক্ষিণপন্থী রাজনীতিরও নেতা হয়ে ওঠেননি, একজনও না)   এক্ষেত্রে খুবই উজ্জ্বল ভূমিকায় রাজনৈতিক মঞ্চে। এরপর “রাজনীতি মানে কি মারদাঙ্গা করা!তাহলে আমি রাজনীতি বুঝি না কিন্তু দাঙ্গাজি বা তস্করদি কে ভালো লাগে” ইত্যাদির মতো মন্তব্য  পূর্ণবয়স্ক বিধায়ক/সাংসদ সেজে মাসমাইনে  গোনা মানুষদের অকাল শৈশবের পরিচয় দেয়। নেফ্রোলজিটা আসলে পড়া নেই কিন্তু ডায়ালেসিস করতে ভালো লাগে আর কি!!! …

ফলত, রাজনীতির ভাষা কিন্তু এখন আর কোন নেতা কোন বিপক্ষকে কি৷ গাল পেরেছে তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকছে না।

শুধু মুখের ভাষা না,  এখন আবারও সমাজ মাধ্যম আমাদের সামনে এনে দিয়েছে বডি ল্যাংগুয়েজ বা শরীরি ভাষা।  ভেক ধরলে ভিক্ষা মিলবে – নীতি (বা দুর্নীতি) এখানেও।  পাহাড়ের গুহায় বা সমুদ্র সৈকতে বা যোগা ডে তে ভারতের নয়া কল্কী অবতারের নতুন নতুন সাজ ও নতুন নতুন শরীরি ভাষা দেখা গেছে। তেনার সাকরেদ শাহজীর অযোধ্যা মামলার রায়ে দাঙ্গাবাজদের মুক্তির খবরের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চশমার কাচের ওপর দিয়ে ঠাণ্ডা ক্রুর দৃষ্টি ভারতবাসীকে অনেক ‘না বলা বাণী’ বলতে চাইল বই কি! বাজেট পেশ হওয়ার পর নির্মলা সীতারামনের ব্যবহারিক ভাষাও রাষ্ট্রের দেউলিয়া কাঠিন্যের পরিচয় দিল নতুন করে।

আবার একপক্ষের একধরনের  বডি ল্যাংগুয়েজ মুহুর্তে পালটে অন্যরকম করে দিতে পারে অন্যপক্ষ৷

সম্প্রতি এমনই ডোন্ট কেয়ার অভিব্যক্তি নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক আলোচনাসভার ডায়াসে বক্তব্য রাখতে যান মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন পররাষ্ট্রসচিব , ডেমোক্রেটিক পার্টির  নিউইয়র্কের আইনসভার প্রাক্তন সিনেট হিলারি ক্লিনটন।  বলাই বাহুল্য সময়টা প্যালেস্টাইন গনহত্যার পর। দর্শক আসন থেকে তার নাম করে চিৎকার ধিক্কার গালাগালি শুরু হয়, যুদ্ধ থামানোর দাবী নিয়ে।  শাসকসুলভ স্মার্টনেস মুহুর্তে খসে পরে, প্রথমে আক্রমণাত্মক ও পরে প্রতিবাদের তেজ দেখে এক অসহায় চেহারা বেড়িয়ে আসে। 

একই ঘটনা ঘটে ওই সভায় বক্তব্য রাখতে আসা লিন্ডা থমাস গ্রীনফিল্ডের সাথেও। এই মার্কিন কূটনীতিক জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার সুবাদে যুদ্ধে ইজরায়েলের পক্ষে মতামত দেন। জেনোসাইড ও পাহাড় প্রমাণ শিশুহত্যা নিয়ে চুপ থাকেন। এই অপরাধে সেদিন বক্তব্য রাখতে উঠতেই তার দিকে স্লোগান তেড়ে আসে – “লিন্ডা লিন্ডা রেইজ ইয়োর হ্যান্ড / ইউ কিল কিডস অন স্টোলেন ল্যান্ড”। এক্ষেত্রেও পেশাদার কূটনৈতিক হাসি দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা একেবারে ব্যর্থ হয়।  “ফ্রি ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন” ধ্বনিতে হল কেঁপে ওঠে৷

আরও নানা সাজের নানা ব্যখ্যায় গেলাম না।

অনেকে বলছে হিংসা সমাজে বাড়ছে, একাকিত্ব অসহয়তা,  মানসিক অস্থিরতা বাড়ছে বলে এত স্ল্যাং এর ছড়াছড়ি।

হতে পারে,  তবে এর সাথে বাড়ছে অগভীরতা,  অগভীরতা নিয়ে গর্ববোধ,  অন্ত:সারশূন্যতা।

অনেকক্ষেত্রেই এমন হয় বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে সেটা অনুধাবন করতে গিয়ে তাকে প্রেজেন্ট করার বক্তব্যের ভাষা হয়ে ওঠে অতিসাধারণ।  চাকচিক্যহীন। আমাদের পার্টির (আমার সরাসরি শোনার মধ্যে) অতীতে অনেক নেতৃত্বেরই এই গুণ ছিল।  সুবক্তা হিসেবে পরিচিত রামনারায়ন গোস্বামী,  নিরূপম সেনেদের তেমন পাঞ্চলাইন ছিল না।  কিন্তু বক্তব্য ছিল শানিত।  জ্যোতি বসুর বক্তৃতাও ছিল নির্মেদ। আবার সামান্য কথায় নির্ভেজাল রসিকতার স্ল্যাং-বিহীন টিকা টিপ্পনীতেও ছিল বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। অনিল বিশ্বাস, অনেক এমন উদাহরণ রেখেছেন।

উদ্দেশ্য ও বিষয়টা মুখ্য ছিল। আর চর্চাটা গভীর ছিল বলে অযথা কুকথার বান ডাকার ঘটনাও কম ছিল।

চটকদারি বক্তৃতা সম্পর্কে আরও একটা কথা মনে পড়ল – তৎকালীন রাশিয়ায় সবথেকে পারিপাট্যহীন বক্তা ছিলেন লেনিন আর সবচেয়ে জনমোহিনী  বক্তা ছিলেন ট্রটস্কি!! 

লেখায় যদিও শ্রেণীসমঝোতাকারীদের প্রতি ভীষণ কড়া ভাষায় লেনিন বারবার তীব্র আক্রমণ করেছেন। কিন্তু বক্তা ছিলেন ধীর লয়ের।  এমনও হয়েছে বক্তৃতার সময় পাঁচ ছয় ঘন্টায় দাঁড়িয়েছে বিষয় বোঝাতে গিয়ে। কারখানার গেটে ঝুলকালিমাখা ওয়ার্কারদের পড়িয়েছেন ইতিহাস,  ভূগোল!! 

সময় বদলেছে।  শ্রমের ধরন বদলেছে। শুধু শ্রমিকের প্রতি শোষকের নানা ফিকিরে শোষণের খেলা বদলায়নি।

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা পরিচালিত চ্যাটবোট,  চ্যাট জিপিটি (Chat Generative Pre-Trained Transformer)  যেকোন ন্যাচারাল হিউম্যান ল্যাংগুয়েজকে প্রসেস করতে পারে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এসবের কারণে ভাষা আরও পরিবর্তিত হবে সব ক্ষেত্রেই।  এই অ্যাপটি ব্যবহার হওয়া শুরু হওয়ার সময়ই ভাষাবিজ্ঞানী শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক নোয়াম চমস্কি বলেন – “দুনিয়ার সব ভাষার-ই একটা ইউনিভার্সাল গ্রামার বা সাধারণ সূত্র আছে”।

তাই দুনিয়ার ভাষা বদলাচ্ছে।  সাথে রাজনীতির ভাষাও।

এখন উচা-নীচা-ছোট-বড়-সমানের ভাষা উমর-উজিড়রা বলতে পারবে কিনা,  আর বললেই বা বাকিরা শুনবে কি না,  তাই দেখার।

Spread the word