আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক আইন পুনর্বহাল করতে হবে
ওয়েবডেস্ক প্রতিবেদন
অতিমারির সময়, যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা এক বিরাট মানবিক সংকটের আকার নেয়, ঠিক সেই সময়কালেই দয়ামায়াহীন মোদি সরকার আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক আইন [Inter State Migrant Workmen (Regulation of Employment and Conditions of Service) Act, 1979] কে অন্য একটি আইনের (Occupational Safety, Health and Working Condtions Code, 2020) সাথে জুড়ে দিয়ে তার স্বাধীন অস্তিত্ব বিলোপ করে। দুই আইনের এই সংযুক্তিকরণ শুধুমাত্র প্রশাসনিক সুবিধার্থে ঘটানো হয়নি, যেমনটা সরকার দাবি করছে, বরং এই সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক আইনের বিলুপ্তির মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের যেটুকু আইনি অধিকারসমূহ ছিল, তা কেড়ে নেওয়া হল’, কতৃপক্ষের হাতে তাদের এক প্রকার দাসত্বকেই আরো শক্তপোক্ত রূপ দেওয়ার জন্য। পূর্বতন পরিযায়ী শ্রমিক আইনের সাথে এই নতুন কোডের যদি তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয় তবে দেখা যাবে যে পূর্বতন পরিযায়ী শ্রমিক আইনের যাবতীয় গুরুত্বকে নির্মূল করে দিয়ে গোটা আইনটাকেই আদতে মুছে ফেলা হল’ এই সংযুক্তিকরণের নামে।
নতুন এই কোডে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঠিকা মজদুরের স্থান দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই “ঠিকা শ্রমিকের” সংজ্ঞা এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যার মধ্যে আন্তঃ রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের ও অন্তর্ভুক্ত করা যায়। নতুন এই কোডের এগারো নম্বর পরিচ্ছেদে “ঠিকা মজদুর এবং আন্তঃ State পরিযায়ী শ্রমিক ইত্যাদি” নামাঙ্কিত অংশে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পূর্বতন আইনে নির্দিষ্ট কিছু আইনি নিরাপত্তা সহ তাবৎ ঠিকা শ্রমিক সম্পৃক্ত যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বিলোপ করা হয়েছে। ১৯৭৯ সালে পরিযায়ী শ্রমিক আইন প্রণয়নের সময় যে সকল কারণ এবং উদ্দেশ্য দেখানো হয়েছিল, তার সবটুকুর বিপরীতে যায় বর্তমান সরকারের এই পদক্ষেপ। ১৯৭৯ সালে প্রণীত পরিযায়ী শ্রমিক আইনের “Objects and Reasons” (সংশ্লিষ্ট আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্য এবং কারণ সমূহ) অনুযায়ী ১৯৭৭ সালে এই বিষয়ের জন্য গঠিত কমিটি তার রিপোর্টে প্রস্তাব দেয় আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থে কেন্দ্রীয় স্তরে একটি নির্দিষ্ট আলাদা আইন প্রণয়ণের। কমিটি মনে করেছিল যে ঠিকা শ্রমিক আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী ঘটিয়েও এই অংশের শ্রমিকরা যে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে যে ভাবে কাজ করে, তাদের উপর ঠিকাদার/সর্দার/খাতাদারদের অত্যাচার বা দুর্ব্যবহার নিবারণ করা সম্ভব হবে না। অতএব পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের পরিস্থিতির স্বাতন্ত্র্য বিবেচনা করেই তাদের আলাদা করে নিরাপত্তা প্রদান করার বাস্তব পরিস্থিতির নিরিখে পূর্বতন পরিযায়ী শ্রমিক আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই নতুন কোডে পূর্বতন পরিযায়ী শ্রমিক আইনের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ অংশকেই বাদ দেওয়া হয়েছে।
পূর্বতন পরিযায়ী শ্রমিক আইন একজন মানুষকে পরিযায়ী শ্রমিককে হিসাবে কাজে নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রাথমিক স্তর থেকেই কার্যকরী হয় যেখানে বর্তমান কোড পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে কার্যকরী হয় তাও আবার পরিযায়ী শ্রমিকদের সাধারণ ঠিকা শ্রমিক হিসাবেই গণ্য করে। যে কারণে পূর্বতন আইনে “recruitment” শব্দটির সংজ্ঞা দেওয়া রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক প্রসঙ্গে যা কিনা নতুন এই কোডে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। যেই কারণে পূর্বতন পরিযায়ী শ্রমিক আইনে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত এবং তার পরে তাদের কাজে নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকের কাছে আলাদা করে আবেদন করার নিয়ম ছিল’।
পরিযায়ী শ্রমিকদের নথিভুক্তিকরণের প্রশ্নে যে সকল প্রতিষ্ঠানে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়োগ করা হবে, সে সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নথিভুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলিই তাদের নিযুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের যাবতীয় তথ্য সংকলনের দায়িত্বে। এই সকল প্রতিষ্ঠানের নথিভুক্তির দুটি দিক রয়েছেঃ ১। পরিযায়ী শ্রমিক নিযুক্ত করে এমন সকল প্রতিষ্ঠানের নথিভুক্তি এবং ২। যে সকল ঠিকাদারের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়োগ করা হবে, তাদের লাইসেন্স প্রদান। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আন্তঃ রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের আইনি মর্যাদা প্রদান করা হয়ে থাকে যার ফলে তারা কিছু পরিমাণ আইনি নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। এই নতিভুক্তিকরণ পরিযায়ী শ্রমিক অনুযায়ী নির্দিষ্ট ছিল। অতএব, প্রতিষ্ঠানের নথিভুক্তিকরণ বাদ দিয়ে সে প্রতিষ্ঠানে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিযুক্তি নিষিদ্ধ ছিল পূর্বতন আইনে। এর বিপ্রততীপে নতুন কোডে ১১ নম্বর পরিচ্ছেদের দ্বিতীয় ভাগে এই সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যারা পরিযায়ী শ্রমিক নিয়োগ করছে, তাদের নতিভুক্তিকরণের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। এর ফলে এই কোডে পরিযায়ী শ্রমিকদের মাথার উপর থেকে আইনি নিরাপত্তা সম্পূর্ণ সরিয়ে নেওয়া হল’ কারণ এই কোডের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ, যার মধ্যে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নথিভুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত, তা পরিযায়ী শ্রমিকদের ও নথিভুক্তির জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত ছিল।
“প্রতিষ্ঠান” এর সংজ্ঞা নিয়ে বিশ্লেষণ করলেও আরেক সমস্যা দেখা যাবে। ১৯৭৯ সালের পরিযায়ী শ্রমিক আইন অনুযায়ী “প্রতিষ্ঠান” শব্দের মধ্যে ১। সরকারি বা আঞ্চলিক যে কোনো শাসনব্যবস্থার দপ্তর অথবা ২। যে কোনো স্থান যেখানে শিল্প, বাণিজ্য, উৎপাদন ইত্যাদি পরিচালিত হয়, তা সব অন্তর্ভুক্ত ছিল। নতুন কোডে সরকারি বা আধা-সরকারি সকল দপ্তর কে “প্রতিষ্ঠান” শব্দের সংজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে।
তদুপরি মনে রাখা প্রয়োজন যে পূর্বতন পরিযায়ী শ্রমিক আইনের আওটায় এমন সকল প্রতিষ্ঠান এবং ঠিকাদার কে রাখা হয়েছিল যারা ৫ বা তার বেশি সংখ্যক আন্তঃ রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিককে নিযুক্ত করেছে বা করেছিল। নতুন কোডে শ্রমিকের এই সংখ্যাটিকে ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ করা হয়েছে এবং সেটুকুও শুধুমাত্র তথাকথিত “সুযোগ সুবিধা” পাওয়ার ক্ষেত্রে। বাকি সকল কাজের শর্তাবলীর জন্য এই কোডের ১১ নম্বর পরিচ্ছেদের প্রথম ভাগ কার্যকর হবে যা কিনা ৫০ বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক শ্রমিক নিযুক্তি হলে তবেই প্রযোজ্য হবে। ২০১৬ সালের অর্থনৈতিক সুমারি অনুযায়ী অকৃষি ক্ষেত্রে ১০ বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করছে, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মোট প্রতিষ্ঠানসমূহের নিরিখে মাত্র ১.৬৬%। নতুন কোডের প্রয়োগের ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা আগেকার আইনের ৫ এর চেয়ে বাড়িয়ে ন্যুনতম ১০ জন করে দেওয়ার ফলে যাবতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের এবং ঠিকাদারদের বৃহত্তর অংশই এই আইনের আওতার বাইরে রেখে দেওয়া হল’ যার ফলে পরিযায়ী শ্রমিকদের বৃহত্তর অংশই আইনি সুরক্ষাবলয়ের বাইরে চলে গেলেন এবং তাদের অবাধ শোষণের রাস্তা খুলে দেওয়া হল’।
উপরোক্ত সকল সরকার সৃষ্ট সংকটের সাথে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মত “আন্তঃ রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক” এর সংজ্ঞায় ১৮ হাজার টাকার কম মাইনের শ্রমিকদের শুধুমাত্র রাখা হয়েছে। কোনো পরিযায়ী শ্রমিক যদি ১৮০০১ টাকাও মাইনে পেয়ে থাকেন, তাহলে তাকে আর পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে দেখা হবে না এই নতুন কোডের আওতায়। অথচ ১৯৭৯ সালের পরিযায়ী শ্রমিক আইনের ভিত্তিই ছিল শ্রমিকদের পরিযান ও তৎসংশ্লিষ্ঠ নির্দিষ্ট সমস্যাসমূহ, যা কিনা সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া হল’ নতুন এই কোডে।
নতুন এই কোডে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়োগ করে এমন ঠিকাদারদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং কাজ করানোর ধরন, যা কিনা ১৯৭৯ সালের পরিযায়ী শ্রমিক আইন প্রণয়নের অন্যতম কারণ, তাকেও এড়িয়ে যাওয়া হল’ এবং এই সকল ঠিকাদারকেও সাধারণ ঠিকাদারকদের সাথে অভিন্ন হিসাবেই দেখা হচ্ছে। এই নতুন কোডে নির্দিষ্টভাবে আন্তঃ রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক নিযুক্ত করছে এমন ঠিকাদারদের আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। তদুপরি ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যায় শুধুমাত্র ৫০ বা তার বেশি সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করে, বা বিগত ১২ মাসের মধ্যে কখনো করেছে, এমন সকল প্রতিষ্টান এবং ঠিকাদারকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য করা হয়েছে।
পুর্বতন আইনে মজদুর নিয়োগকারী ঠিকাদারদের সাধারণভাবে যে লাইসেন্স পেতে হত’ তার সাথে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়োগকারী ঠিকাদারদের লাইসেন্সের পার্থক্য রাখা হয়েছিল। ১৯৭৯ সালের পরিযায়ী শ্রমিক আইন অনুযায়ী ঠিকদারদের দুটি লাইসেন্সের প্রয়োজন হত’ঃ পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের জন্য নির্বাচন করার জন্য একটি লাইসেন্স এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে নিযুক্ত করার জন্য আরেকটি। এই দুটি লাইসেন্সের জন্যই আবেদন করার সময় মূল কতৃপক্ষের (যাদের প্রতিষ্ঠানে এই পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করবেন) একটি শংসাপত্র দাখিল করার প্রয়োজন হত’ যেখানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষ এই মর্মে ঘোষণা করত’ যে তারা পরিযায়ী শ্রমিক আইন ও তার আওতায় প্রণীত যাবতীয় রুলস মেনে চলবে সেই ঠিকাদারের মারফত নিযুক্ত সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে।
১৯৭৯ সালের পরিযায়ী শ্রমিক আইনের আওতায় সকল ঠিকাদারকদের তাদের দ্বারা নিযুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে হত’। একজন পরিযায়ী শ্রমিককে কোন রাজ্য থেকে আনা হয়েছে এবং কোন রাজ্যে তাকে কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে সেই সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য কাজে নিযুক্তির ১৫ দিনের মধ্যে প্রদান করতে হত’। এ ছাড়াও একজন পরিযায়ী শ্রমিককে পাসবুক বানিয়ে দিতে হত’ যেখানে তার ছবি থাকত’ এবং ইংরিজি/হিন্দি বা সেই পরিযায়ী শ্রমিকের মাতৃভাষায় যাবতীয় তথ্য থাকত’ সেই শ্রমিক কোন প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত, কতখানি সময়ের জন্য নিযুক্ত, তার মজুরির হার এবং মজুরি প্রদানের পদ্ধতি, কাজের প্রয়োজনে স্থানচ্যুতির জন্য আলাদা করে প্রদেয় ভাতা, কর্মনিযুক্তির সময়কালের শেষে সেই শ্রমিকের নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য ভাড়ার টাকা ইত্যাদি। এই পাসবুক ঠিকভাবে আপডেট করে তা সংস্লিষ্ট পরিযায়ী শ্রমিকের কাছেই রাখতে হত’ ঠিকাদারদের।
১৯৭৯ সালের পরিযায়ী শ্রমিক আইন অনুযায়ী একজন অন্য রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিককে আইনে নির্দিষ্ট ন্যুনতম মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া যেত না এবং সেই পরিযায়ী শ্রমিকের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অন্যান্য শ্রমিক যারা সমকাজে নিযুক্ত, তাদের তুলনায় কোনো প্রকার বৈষম্য করা যেত না মজুরি, ছুটিছাটা এবং কাজের সময়কালের ক্ষেত্রে। মজুরির টাকা নগদে দেওয়ার নিয়ম ছিল। তদুপরি পূর্বতন আইনে মুখ্য নিয়োগকারী ব্যবসায়ী বা তার প্রতিষ্ঠান দায়বদ্ধ ছিল একজন পরিযায়ী শ্রমিককে ঠিক সময়ে মজুরি, স্থানচ্যুতির ভাতা এবং তার নিজের রাজ্য থেকে কর্মক্ষেত্রে আসা যাওয়ার ভাড়া প্রদানের জন্য । নতুন এই কোডে ইচ্ছাকৃতভাবে এই সকল দায় দায়িত্বকে ঝেড়ে ফেলা হয়েছে।
অতএব, এটা স্পষ্ট যে পূর্বতন পরিযায়ী শ্রমিক আইনের আওতায় একজন পরিযায়ী শ্রমিকের কাজের প্রায় সবটুকু অংশকেই আনা হয়েছিল’, যেমন, তার কর্মনিযুক্তি, নথিভুক্তি, আসা যাওয়ার ভাড়া, কর্মক্ষেত্রে তার বাসস্থানের ব্যবস্থা, মজুরি নির্ধারণ এবং তার নিয়মিত সময়ে প্রদান, ঠিকাদারদের এবং মুখ্য নিয়োগকারী সংস্থার তার প্রতি দায়দায়িত্ব ইত্যাদি। কাজের ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের সাথে কোনো রকম সংঘাতের প্রশ্নে শিল্প বিরোধ আইন প্রযোজ্য ছিল এবং সামাজিক নিরাপত্তাসমূহের জন্য শিল্প মজুরি আইন, ইএসআই, ভবিষ্যনিধি প্রকল্প সংক্রান্ত আইনসমূহ প্রযোজ্য ছিল। এই নতুন কোডের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাবতীয় পুর্বোক্ত অধিকার হরণ করা হচ্ছে। সে কারণে কর্পোরেটদের দাসানুদাস বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের এই অমানবিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ১৯৭৯ সালের পরিযায়ী শ্রমিক আইন পুনরায় বহাল করার এবং তাকে আরো শক্তিশালী করার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে।
মূল প্রবন্ধটি ইংরেজিতে ” Restore Inter-State Migrant Workers Act” শিরোনামে পিপলস ডেমোক্র্যাসি পত্রিকায় প্রকাশিত। আর কারুমালাইয়ানের লেখা, সেই প্রবন্ধটিকেই ওয়েবডেস্কের পক্ষে অনুবাদ করা হল।