গত ২৫-২৬ মার্চ নয়া দিল্লীতে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র পলিট ব্যুরোর সভা আয়োজিত হয়। পলিট ব্যুরোর বিবৃতি নিচে দেওয়া হলঃ
বিরোধী রাজনীতির নেতৃবর্গকে নিগ্রহ করার প্রসঙ্গে
মানহানির অভিযোগ তুলে বিজেপি যে কায়দায় বিরোধী দলের নেতৃবর্গকে ফৌজদারি মামলায় জড়িয়ে তার সাংসদপদ খারিজ করেছে পলিট ব্যুরো তার তীব্র নিন্দা করছে। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করতে যে তৎপরতা দেখা গেছে তা আসলে যেকোনো সমালোচনাকেই যেন তেন প্রকারেণ রুদ্ধ করার অভীপ্সা, এমন জঘন্য কর্তৃত্বপরায়ণ আচরণে বিজেপি’র আসল চেহারাটি ফুটে ওঠে।
বিরোধী দলসমূহের নেতৃবর্গের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ কায়দায় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে যথেচ্ছ অপব্যবহার চলছে অনেকদিন থেকেই। সাংসদপদ খারিজ করার ঘটনা তারই অনুসারী। আরএসএস/বিজেপি’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিবিধ নাটকীয় অভিযোগে এফআইআর দাখিল করা রয়েছে। দিল্লীর উপ মুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়া’কে গ্রেপ্তার করে জেলে বন্দী রাখা হয়েছে, ইডি/সিবিআই’র দ্বারা বিআরএস’র নেতৃ কবিতা, লালু প্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদব সহ আরজেডি দলের বিভিন্ন ব্যক্তি ও অন্যান্যদের বারে বারে হেনস্থা করা চলছে।
আদানিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে
২০১৪ সাল থেকে ভারতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও কর্পোরেট রাজের আঁতাত শুরু হয়েছে, হিন্ডেনবুর্গের প্রতিবেদন সেই সত্যই তুলে ধরেছে। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী মোদী সরকার প্রতিষ্ঠার সময় আদানি গোষ্ঠীর মূলধন ছিল ৭.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের শেষ পর্বে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ সালে তারা বিশ্বে ধনীদের তালিকায় ৬০৯ স্থানে ছিল, গত বছর তারা দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। এমন উত্থান কার্যত উল্কাগতির সাথেই তুলনীয়।
নির্লজ্জ কায়দায় বিজেপি সরকার আদানিদের যাবতীয় অপকীর্তিকে ঢেকে রাখতে চাইছে। জনসাধারণের কষ্টে উপার্জিত সম্পত্তি জমা রাখা স্টেট ব্যংক অফ ইন্ডিয়া ও লাইফ ইন্সিওরেন্স কর্পোরেশনের মতো সংস্থা হতে এরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুঠ করেছে। এদের বিরুদ্ধে কোনোরকম তদন্ত যাতে না হয় সেটাই বিজেপি চাইছে। আদানি গোষ্ঠী ও বিজেপি- একে অন্যের মধ্যে সম্পর্ক যে অনেকটাই গভীরে সরকারের আচরণেই তা স্পষ্ট।
আদানিদের যাবতীয় অপকীর্তির তদন্তে জয়েন্ট পার্লামেন্টরি কমিটি নিযুক্ত করতে হবে- আরও একবার পলিট ব্যুরোর তরফে সেই দাবী জানানো হচ্ছে। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংসদে অচলায়তন প্রসঙ্গে
আদানিদের উল্কাগতিতে উত্থানে নিজেদের ভূমিকা অস্বীকার করতে পারছে না বিজেপি সরকার। তথ্য বলছে তারা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই আদানিদের এমন শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। দেশের সংসদে এই প্রসঙ্গে তারা কোনও আলোচনা হতে দিতে চায় না, তাই জেপিসি’র দাবীকে অগ্রাহ্য করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের হাঙ্গামার কারণে সংসদের আলোচনা বন্ধ হয়ে রয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক পরিমন্ডলের বিষয়ে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে অজুহাত করে এই কাজ চলছে। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাজেট অবধি কোনোরকম আলোচনা ব্যতীত পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে অকেজো করার বিষয়ে
সংসদে অচলায়তন তৈরি করার পাশাপাশি দেশের বিচারব্যবস্থার উপরে আঘাত হানা চলছে। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যেসব বক্তব্য রাখছেন তাতেই সেই আক্রমণকে চিহ্নিত করা যায়।
যে সকল রাজ্যে অ-বিজেপি সরকার রয়েছে সেখানেই রাজ্যপালেরা কার্যত বিজেপি’র স্বার্থরক্ষা করে চলেছেন।
সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে আক্রমণের ঘটনা বেড়ে চলেছে- পলিট ব্যুরো এই প্রসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। গো-রক্ষার নামে গুন্ডাদের হাতে মুসলমান যুবকদের এখনও খুন হতে হচ্ছে। একাধিক রাজ্যে চার্চের উপরে আক্রমণের ঘটনা সামনে আসছে, খৃষ্টান বিশেষত আদিবাসী খৃষ্টানদের উপরে হামলা চালানো জারী রয়েছে। যে সকল রাজ্যে নির্বাচন সামনে, সেখানেই ইতিহাসকে বিকৃত চেহারায় পরিবেশন করা হচ্ছে- এসবই ঘটছে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের উদ্দেশ্যে।
কর্ণাটকে মুসলমানদের ওবিসি সংরক্ষণের সুযোগকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন নির্দেশিকা জারী করা হয়েছে। সারা রাজ্য জূড়েই মুসলমান সম্প্রদায়ের উপরে নানভাবে হেনস্থার ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রমাবনমন প্রসঙ্গে
সংসদে কোনও আলোচনা ছাড়াই যেভাবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটকে পাশ করিয়ে নেওয়া হল তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে পলিট ব্যুরো। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনমন, কর্মসংস্থান, জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি একটি বিষয়েও এই বাজেটে কোনও সমাধান নেই। অথচ ধনীদের আরও বেশি কর ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করে এই বাজেট সরকারী ব্যয় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি অক্সফ্যামের প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতে সর্বোচ্চ ধনীদের ১ শতাংশের হাতে শেষ দু বছরে উৎপাদিত মোট সম্পদের ৪০.৫ শতাংশ কুক্ষিগত হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এমন বাজেট সংকট আরও বাড়িয়ে তুলবে।
এলপিজি’র সিলিন্ডারের দাম আবারও বেড়েছে। এর ফলে জনসাধারণের উপরে খরচের বোঝা আরও বাড়বে। বেকারি ও ক্ষুধার সমস্যা জনিত অসাম্য যখন দেশে ক্রমশ ভয়ানক চেহারা নিচ্ছে তখনই এমন দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না।
এমএনরেগা’র বন্দোবস্তকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে
কেন্দ্রীয় সরকার এমএনরেগার কাজে তদারকির অজুহাতে ন্যাশনাল মোবাইল মনিটরিং অ্যাপ চালু করেছে। পলিট ব্যুরো দাবী জানাচ্ছে অবিলম্বে এই ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। অ্যাপটিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকার কারণে বহু মানুষ কাজ শেষে উপযুক্ত পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গ্রামে মহিলারাই মূলত এমএনরেগার কাজে যুক্ত থাকেন, এই অ্যাপটিকে বাধ্যতামূলক করার ফলে তারা ঋণ নিয়ে স্মার্টফোন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। দীর্ঘদিন যাবত এমএনরেগার কাজে মজুরি বকেয়া পড়ে রয়েছে, এবারের বাজেটে এমএনরেগায় বরাদ্দ অবধি কমিয়ে দেওয়া হল- এই অবস্থা কার্যত এমএনরেগার বন্দোবস্তকে ধ্বংস করারই তুল্য।
সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে
গনমাধ্যমে নিজেদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে নিজেদের অপরাজেয় বলে তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি। এমন তথ্য একেবারেই বাস্তবোচিত নয়। গুজরাটে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখলেও হিমাচল প্রদেশ এবং দিল্লীতে পুরসভার নির্বাচনে তারা পরাজিত হয়েছে। গত পনেরো বছর ধরে তারা দিল্লী পুরসভায় জয়ী হয়েছিল।
সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব ভারতে ১৮০টি বিধানসভা আসনে (ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়) নির্বাচন শেষ হয়েছে। বিজেপি মাত্র ৪৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। ত্রিপুরায় তাদের এমএলএ’র সংখ্যা ছিল ৪৬, হয়েছে ৩২। নাগাল্যান্ডে তার অনেক কম ভোট পেয়ে ১২টি আসন সহ দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে। মেঘালয়ে তারা মাত্র দুটি আসনে জয়ী হয়েছে, বাদবাকি ৫৮টি আসনে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ত্রিপুরায় তাদের ভোট ৩৮.৯৭ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ১৮.৮১ ও মেঘালয়ে মাত্র ৯.৩৩ শতাংশ। যদিও তিনটি রাজ্যেই তারা আঞ্চলিক দলের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সরকারে আসীন হয়েছে।
পুনার কসবা আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। আসনটিতে গত দুদশক যাবত বিজেপি জয়ী হয়েছিল, এইবার তারা আসনটিতে কংগ্রেসের (এমভিএ জোটপ্রার্থী) কাছে পরাজিত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে সাগরদিঘি আসনে উপনির্বাচন হয়। ২০১১ সাল থেকে আসনটিতে তৃনমূল কংগ্রেস জয়ী হলেও এইবার কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে পঞ্চাশ হাজারের অল্প কিছু বেশি ভোটে বিজেপি’কে পরাজিত করে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জয়ী হয়। এবারের নির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর তুলনায় ২৩০০০’র এরও বেশি ভোটে পিছিয়ে গিয়ে বিজেপি এই আসনে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে।
ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে
ত্রিপুরায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির উপরে বিগত পাঁচ বছর যাবত লাগাতার সন্ত্রাস, আক্রমণ, হামলা চলেছে। তাদের প্রচার করতেও দেওয়া হয়নি। এমনই এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় নির্বাচন হয়েছে। পলিট ব্যুরো ইতিমধ্যে এই নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রাথমিক পর্যালোচনা প্রকাশ করেছে। সন্ত্রাস ও ব্যপক হামলার বাধা পেরিয়ে যারা নির্বাচনে বিরোধীদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদের সকলকে পলিট ব্যুরো অভিনন্দিত করেছে।
ত্রিপুরার নির্বাচনে বিজেপি নিজেদের প্রত্যাশামত ফল পায়নি। তাই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই তারা বিরোধীদের উপরে আক্রমণ হামলা চালাতে শুরু করেছে। এই সমস্ত আক্রমণে সিপিআই(এম)’ই প্রধান লক্ষ্য। পলিট ব্যুরো এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। সন্ত্রাসের বাতাবরন সৃষ্টি করা, হুমকি দেওয়া, ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, সম্পত্তি ধ্বংস করে দেওয়া এমনকি গরীব জনসাধারণের জীবনজীবিকার উপকরণ যেমন রিকশা ও অন্যান্য তিন চাকার যান চেঙ্গে দেওয়ার পাশাপাশি ফসল (বিশেষত রবার চাষ) পুড়িয়ে দেওয়া, পুকুরে বিষ দেওয়ার মতো ইতিমধ্যেই হাজারেরও বেশি ঘটনা সামনে এসেছে।
সিপিআই(এম), সিপিআই ও কংগ্রেসের তরফে সাতজন সাংসদদের একটি যৌথ প্রতিনিধি দল ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের পরিস্থিতি বিচারে উপস্থিত হলে আরএসএস-বিজেপি’র তরফে তাদের উপরে হামলা চলে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত ছিল, তাদের সামনেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপি সরকারের আমলে ত্রিপুরার চিত্র এই ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
কেরালায় এলডিএফ সরকারকে উৎখাত করার অপচেষ্টা
কেরালায় এলডিএফ সরকারকে উৎখাত করতে সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ব্যক্তিগত কুৎসামূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এমন জঘন্য অপচেষ্টায় ব্যস্ত কেরালার ইউডিএফ জোটের নেতৃত্বে রয়েছে কংগ্রেস, বিজেপি’ও তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে। রাজ্যের জনসাধারণ যথাবিহিত উপায়ে এহেন আচরণের জবাব দেবেন।
জনসাধারণের আন্দোলন-সংগ্রাম বৃদ্ধি পাচ্ছে
অধিকার রক্ষার ক্রমবর্ধমান লড়াইতে দেশের জনসাধারণের বিভিন্ন অংশ প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতির দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে পলিট ব্যুরো।
২০শে মার্চ দিল্লীর রামলীলা ময়দানে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত আয়োজিত হয়েছে। এই সমাবেশ থেকে কৃষিব্যবস্থায় কর্পোরেট কর্তৃত্ব কায়েমের বিরুদ্ধে দেশজোড়া প্রতিবাদ সংগঠিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১২ই মার্চ মহারাষ্ট্র কিষাণ সভার ডাকে তৃতীয় বারে জন্য নাসিক থেকে মুম্বই অবধি লং মার্চ পালিত হয়েছে। বিশাল মিছিল করে কৃষকরা মুম্বই পৌঁছানর আগেই মহারাষ্ট্রের শিন্ডে-বিজেপি সরকার লং মার্চের দাবিসমুহ মেনে নেয়। এইসব দাবিসমুহের মধ্যে প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দর হিসাবে ভর্তুকি সহ ৩৫০ টাকার নির্ধারণ ও ৮৮০০০ কৃষকের ঋণ মুকুবের বিষয় দুটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎকর্মীরা ব্যাপক ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। একাধিক কর্মচারী ইউনিয়নের সমবেত আহ্বানে সংগঠিত ধর্মঘটের ফলে রাজ্যের বিজেপি সরকার শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবী মেনে নিতে বাধ্য করিয়েছেন। রাজ্য সরকারী কর্মচারী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীবৃন্দ সহ বিভিন্ন প্রকল্প শ্রমিকরা একজোট হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের অধিকার আদায়ে ধর্মঘটের সংগ্রামে অবিচল রয়েছেন।
আগামী ৫ই এপ্রিল সংসদের উদ্দেশ্যে মজদুর-কিষাণ মার্চ ঘোষিত হয়েছে। পলিট ব্যুরো আরও একবার এই মার্চের প্রতি নিজেদের সংহতি জানাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির সভা
আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল নয়া দিল্লীতে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হবে।