Site icon CPI(M)

November Revolution: A New Tourniquet Of The History Of Mankind

নভেম্বর বিপ্লব – মানব ইতিহাসের এক নতুন মোড়

মানব ইতিহাসের ধারায় নভেম্বর বিপ্লব এক সম্পূর্ণ ঘটনা। রুশ দেশে এই বিপ্লব সম্পন্ন হলেও নভেম্বর বিপ্লবের আন্তর্জাতিক তাৎপর্য রয়েছে। এই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে (তৎকালীন রুশ ক্যালেন্ডার অনুসারে অক্টোবর বিপ্লব)। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ের আগেও বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। ফরাসি বিপ্লব, আমেরিকান বিপ্লবের কথা তো আমরা জানি। নভেম্বর বিপ্লব এই জন্য অনন্য, কারন নভেম্বর বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে শোষণ ব্যাবস্থার অবসান ঘটান হল। ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি (বর্তমান ক্যালেন্ডার অনুসারে মার্চ) বিপ্লব ঐ রুশ দেশেই সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু সেই বিপ্লব ছিল বুর্জোয়া বিপ্লব। সোশ্যালিস্ট রেভোলিউশনারিরা ও মেনশেভিকরা ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে মাঝপথে থামিয়ে দেয়। কেরেনস্কি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। রুশ দেশে দ্বৈত ক্ষমতা গড়ে ওঠে। কারন শ্রমিক – কৃষকদের সোভিয়েত ততদিনে সংগঠিতরুপে গড়ে উঠেছিল। কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিক পার্টি (রুশ দেশের কমিউনিস্ট পার্টি) সঠিকভাবে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের সীমাবদ্ধতা ও অসম্পুর্নতাকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হলেন। ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের সময়ে কমরেড লেনিন নির্বাসিত হয়ে বিদেশে ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি বলশেভিকদের কাছে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে চিঠি লিখলেন। ‘দূর থেকে চিঠি’ (Letters from far)-র মাধ্যমে বলশেভিকদের কর্তব্য তুলে ধরলেন। এপ্রিলের শুরুতে দেশে ফিরে এলেন। বুর্জোয়া বিপ্লবের থেকে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের দিকে কিভাবে অগ্রসর হতে হবে তাকে তিনি ‘এপ্রিল থিসিসের’ মাধ্যমে উপস্থিত করলেন। রণক্লান্ত রুশি শ্রমিক, কৃষক ও জনগন বলশেভিকদের বিপ্লবী আহ্বানের পাশে এসে দাঁড়ালেন। স্মরণে রাখা প্রয়োজন, সেই সময়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। যে যুদ্ধে রুশ ছিল একটা পক্ষ। নভেম্বর বিপ্লবের ঠিক পুর্ব মুহূর্তে কমরেড লেনিনের আহ্বান ছিল, আর কালক্ষেপ নয়, চূড়ান্ত আঘাত হানার উপযুক্ত সময় উপস্থিত। অযথা কালক্ষেপ বিপ্লবকে ব্যার্থ করে দেবে। সঠিক সময়ে অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে রুশ শ্রমিকশ্রেণী ক্ষমতা দখল করল। বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হল।

সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

শিশু সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার ভয়ংকর চক্রান্ত চলেছে। প্রতিবিপ্লবীরা শ্বেতরক্ষী হিসাবে সংগঠিত হল এবং বিপ্লবকে ধ্ব্বংস করার লক্ষ্যে আক্রমন চালালো। ব্রিটেন, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, পোল্যান্ড, গ্রিস, ইতালি সহ বারোটি দেশ প্রত্যক্ষভাবে এই প্রতিবিপ্লবী শক্তিকে সমস্ত ধরণের মদত দিয়েছিল। জার সহ সমস্ত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি, ক্ষমতাচ্যুত পুঁজিপতিরা, গোঁড়া চার্চ এই প্রতিবিপ্লবীদের সাহায্য করেছিল। বলশেভিকরা রুশ শ্রমিক, কৃষক ও সেনাবাহিনীর এক বিরাট সংখ্যক সেনানী ও জনগণের সাহায্যে এই সমস্ত অপপ্রয়োগ করে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছিল। বিপ্লবের পর একটি পশ্চাদপদ পুঁজিবাদী দেশে সমাজতন্ত্র গড়ে তোলার কঠিন সংগ্রাম পরিচালনা করতে হয়েছিল। কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে কমিউনিস্ট পার্টি ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে সেই কাজে ব্রতী হতে হয়েছিল। নয়া অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। একটি পশ্চাদপদ দেশ মাত্র দেড় দশকের মধ্যে একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছিল। বিজ্ঞান – প্রযুক্তি, শিল্প – কৃষি – সামরিক শক্তি সমস্ত দিকেই একটি শক্তিশালী দেশ হিসাবেই সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন গড়ে উঠল। শক্তিশালী সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষেই সম্ভব হলো হিটলার ও ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করা। ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটল ফ্যাসিস্ত হিটলার বাহিনীর পরাজয়ের ফলে। সমগ্র দুনিয়ার মানব সভ্যতাকে রক্ষা করার এই কঠিন সংগ্রামে প্রায় পৌনে দুই কোটি রুশি মৃত্যুবরণ করেছিল। চরম ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে সোভিয়েত ইয়নিয়নকে রক্ষা করা সম্ভব হলো। পরাস্ত হলো ফ্যাসিবাদ। বিশ্বজূড়ে সাম্রাজ্যবাদ কোণঠাসা হলো। দুর্বল হল উপনিবেশবাদ। ভারত সহ বহু দেশ পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত হলো। এই পর্যায়ে চীন, ভিয়েতনাম, উত্তর কোরিয়ায় সমাজতন্ত্র গড়ে উঠল। রুশ দেশের মতো উপরোক্ত দেশগুলিতে সমাজতন্ত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শিবির থেকে চরম বাধা বারে বারে তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত বাধাকে মোকাবিলা করেই সমাজতন্ত্রকে শক্তিশালী করার সংগ্রাম এই দেশগুলি পরিচালনা করেছে।  

নভেম্বর বিপ্লব যে শিক্ষাগুলি উপস্থিত করল

বিপ্লবের ইতিহাসে সম্পুর্ন নতুন নজীর উপস্থিত করল নভেম্বর বিপ্লব। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যে সাম্রাজ্যাবাদী দ্বন্দ্বের তীব্র রুপ প্রত্যক্ষ করা গেল, সেই পরিস্থিতিতে সৃষ্ট বিপ্লবী লড়াইটিকে শ্রমিক শ্রেণীর বিপ্লবী সংগ্রামের স্বার্থে ব্যাবহার করতে সফল হলো। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের বাসলে কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত ছিল, সেই যুদ্ধ সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ। পরদেশ দখল ও লুন্ঠনের লক্ষ্যে যুদ্ধ। এই যুদ্ধে মেহনতি মানুষের কোনও স্বার্থ নেই। সমগ্র বিশ্বের দেশে দেশে বিপ্লবী শ্রমিক শ্রেনীর দায়িত্ব হলো এই যুদ্ধকে বিপ্লবী সংগ্রামে পর্যবসিত করা। কমরেড লেনিন ও রুশ কমিউনিস্টরা এই রণকৌশল সফল করেই নভেম্বর বিপ্লব সফল করলেন।

নভেম্বর বিপ্লব কৃষক সমাজের ঐতিহাসিক ভূমিকার বিষয়টি সামনে নিয়ে এলো। নভেম্বর বিপ্লবে শ্রমিকদের পাশে কৃষকরাএসে দাঁড়ানোয় প্রতিক্রিয়ার সমস্ত বাধাকে অপসারিত করে বিপ্লব সফল হলো। পরবর্তী সমস্ত বিপ্লবী সংগ্রামে কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিষয়টি বড় বেশি করে সামনে এলো। নভেম্বর বিপ্লব শিল্পোন্নত দেশগুলির পরিবর্তে কৃষিপ্রধান ও উপনিবেশগুলীতে বিপ্লবী সংগ্রামের কেন্দ্র স্থানান্তরিত করল।

সমাজতন্ত্রের বিস্বয়কর সাফল্য চমকিত করল বিশ্বকে

বিপ্লবের সময়ের একটি পশ্চাদপদ পুঁজিবাদী দেশ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে সর্বহারার রাষ্ট্রব্যাবস্থা কায়েম করে শ্রমজীবী জনগণকে সামিল করে পরিকল্পিত অর্থনীতির মধ্যে দিয়ে নজিরবিহীন উন্নয়নের নজীর স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কাজ এগুলি সমস্ত মানুষের মৌলিক অধিকারে রূপান্তরিত হলো। কোন পুঁজিবাদী দেশে তা সম্ভব হয়নি। সমস্ত মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, নারি-পুরুষের সমানাধিকার সম্ভব করল সমাজতন্ত্র। বিপ্লব পূর্ব রুশদেশকে জাতির কারাগার বলে বর্ণনা করা হত। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত জাতিগুলির স্বেচ্ছামূলক ইয়নিয়ন হিসাবে গড়ে উঠল। সমস্ত জাতির সমানাধিকার সুনিশ্চিত হলো। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ, রঁম্যা  রঁলা, হেনরি বারবুস, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন প্রমুখ মনিষীরা সোভিয়েত পরিদর্শনে গিয়ে চমকিত হলেন। শিল্প, কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি (মহাকাশ বিজ্ঞান, জৈব বিজ্ঞান সহ)-তে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করল সোভিয়েত ইউনিয়ন। পারমানবিক শক্তিধর রাশিয়া ছিল বিশ্বজাতির প্রহরী। মেহনতি মানুষের স্বার্থে স্মরণীয় পদক্ষেপগুলি এই দেশেই প্রথম বাস্তবায়িত হয়েছিল।

নভেম্বর বিপ্লবের আলোকিত পথই বিপ্লবের দিশা

৭৪ বছর ধরে মানব ইতিহাসে প্রগতির ধারায় একের পর এক নতুন নজীর স্থাপন করা সত্বেও সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয় ঘটল। বিশ্ব পুঁজিবাদ – সাম্রাজ্যবাদ ব্যাপকভাবে উল্লসিত হলো। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সহ বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলন এই বিপর্যয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে। মার্কসবাদ – লেনিনবাদ থেকে গুরুতর বিচ্যুতি ঘটেছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির। সংশোধনবাদী বিচ্যুতি, আন্তর্জাতিকতার দৃষ্টিভঙ্গি, দ্বান্দ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ এগুলি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়। সমাজতান্ত্রিক ব্যাবস্থা পরিচালনা, সমাজতান্ত্রিক নির্মাণ পরিচালনা ও কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ  গনতন্ত্র ক্রমাগত দুর্বল হওয়ার পরিনতিতে সমাজতন্ত্র অভ্যন্তর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে, প্রতিবিপ্লব সফল হয়।

বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধারায় সাফল্য – অসাফল্য দুইই রয়েছে। সাফল্য ও ব্যার্থতার সঙ্ঘাতের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতি বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান উভয়ই অগ্রসর হয়। মানব সমাজের ক্ষেত্রে সমস্ত কায়েমি স্বার্থের আসল লক্ষ্য হলো শোষণভিত্তিক ব্যাবসথাকে টিকিয়ে রাখা। তারা তো মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাবেই শোষণহীন ব্যাবস্থা কায়েমের লড়াই সাফল্য অর্জন না করতে পারে। তাই তো নভেম্বর বিপ্লবের বিরুদ্ধে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই বিপর্যয় সাময়িক ঘটনা। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই একবিংশ শতাব্দীতে সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম ক্রমান্বয়ে অগ্রসর হবে। পশ্চাদগতি নয়, অগ্রগতির ধারাতেই বিরাজ করছে মানব সমাজ।

সমাধানহীন সংকটে পুঁজিবাদ – সমাজতন্ত্রই বিকল্প

এই মুহূর্তে কোভিড অতিমারিতে সমগ্র বিশ্ব আক্রান্ত। সংক্রামিত মৃতের সংখ্যা সর্বাধিক তিনটি দেশে – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিল। ভাইরাস জনিত এই সংক্রমণ সমস্ত বিশ্ববাসির উদ্বেগের কারন। বিজ্ঞানসম্মত সতর্কতামূলক ব্যাবসথাকে অবলম্বন করেই সকলকে চলতে হচ্ছে। কোভিড অতিমারি সমগ্র বিশ্বে পুঁজিবাদী দেশগুলীতে জনস্বাস্থ্য ব্যাবস্থার চরম দুর্বলতা উৎকটভাবে প্রকাশ করে দিয়েছে। পুঁজিবাদী দেশগুলিতে জনস্বাস্থ্য ব্যাবস্থাকে মুনাফা লুঠ করার ক্ষেত্রে পরিণত করা হচ্ছে। অথচ এই কোভিড পরিস্থিতিতে চীন, ভিয়েতনাম, কিউবা, উত্তর কোরিয়া এই সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। সংক্রামিত মৃত্যুর সংখ্যা অত্যন্ত কম এই সমাজতান্ত্রিক দেশগুলিতে। সরকার সমগ্র জনস্বাথ্য ব্যাবস্থাকে রক্ষা করার লক্ষ্যে সম্পূর্ণভাবে নিয়োগ করেছে। সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদের মৌলিক পার্থক্য কোভিড মহামারী সরাসরি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

শোষণভিত্তিক পুঁজিবাদী ব্যাবস্থা যার কারজধারার মূল লক্ষ্য হলো উদ্বৃত্ত মুল্য সৃষ্টি করা ও তা আত্মসাৎ করা, তা কখনো সংকটমুক্ত হতে পারে না। সামাজিক উৎপাদন ও ব্যাক্তিগত মালিকানার দ্বন্দ্বের পরিনতিতে পুঁজিবাদী সংকট। বর্তমান সময়ে নয়া উদারনীতির কারনেই অসাম্য ও বৈষম্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ায় মন্দা ও সংকট। বর্তমান সংকট অতীতের (১৯২৯-৩৩’র সময়ে) ‘মহামন্দা’-র সাথে তুলনা করা হচ্ছে। বেকারি, অভাব, দারিদ্র, বুভুক্ষা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সংকটের অবসান পুঁজিবাদ করতে পারে না। আক্রান্ত মানুষের সংগ্রাম দেশে দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই সমস্ত সংগ্রাম সম্মিলিতভাবে পূঁজির শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে পরিণত করতে হবে। নভেম্বর বিপ্লবের শিক্ষায় উজ্জিবিত হয়ে সেই লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়ার কর্তব্য উপস্থিত হয়েছে। পুঁজিবাদের একমাত্র বিকল্প সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্রের সংগ্রামে নভেম্বর বিপ্লবই হল, উজ্জ্বল দীপশিখা।

Spread the word