Site icon CPI(M)

Draft Resolutions (Part I): A report

১৫.০৩.২০২২

ওয়েবডেস্ক প্রতিবেদন

সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব

সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের রাজনীতি বিরোধী প্রস্তাব উত্থাপন করেন আভাষ রায়চৌধুরী।

দেশজুড়ে যখন অর্থনৈতিক বৈষম্য ক্রমশ তীব্র হচ্ছে, জনজীবনে সংকট ক্রমশ চরম আকার নিচ্ছে তখনই ধর্মীয় পরিচিতির নামে, সম্প্রদায়ের নামে দেশের মানুষকে বিভাজিত করার চেহারা নিয়ে তৎপর হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তি।

ভারতের সাধারণতান্ত্রিক কাঠামোর বদল করে হিন্দুত্বের রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে আরএসএস-বিজেপি।

সঙ্ঘের হিন্দুত্ব আসলে রাজনৈতিক হিন্দুত্ব। দেশের খমতা দখলই তাঁদের লক্ষ্য, তাই তারা ‘হিন্দু’ পরিচয়কে অন্য সব প্রশ্নের উর্ধে তুলে ধরতে চাইছে। আরএসএস’র সেই লক্ষ্যকেই কাজে পরিনত করতে সামনে রয়েছে বিজেপি। সঙ্ঘ ব্রিটিশদের সাহায্য করেছে, সাম্রাজ্যবাদী শাসকের সমীপে সাভারকার পাঁচবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। ব্রিটিশদের সাহায্যেই ভোসলে মিলিটারি স্কুল গড়ে ওঠে, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সেখান থেকেই নিয়োগ করা হত। কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের সাহায্য করতে চেয়েছিল আরএসএস। ১৯৪৭ সালে তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহন করেছিল, শেষ অবধি গান্ধীজীকে তাদের হাতে খুন হতে হয়। আরএসএস স্বাধীন ভারতেও সেই একই কর্মসূচি রুপায়নের চেস্টা করছে।

বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, সনাতন সংস্থা, অভিনব ভারত এবং এধরনের কিছু সংগঠন দেশের বুকে সরাসরি হিংসা ও সন্ত্রাসবাদী কাজে যুক্ত। এদেরই হাতে খুন হন কালবুর্গি, পানসারে, গৌরী লঙ্কেশ, এরাই সংগঠিত করেছিল গুজরাট দাঙ্গা, বাবরি মসজিদ ধ্বংস, মুজফফরনগর দাঙ্গা, মালেগাও – হায়দ্রাবাদের মক্কা মসজিদ এবং সমঝোতা এক্সপ্রেসে গণহত্যার ঘটনা। প্রাচীন ভারতের গৌরবগাথা প্রচারের নামে এরা ভারতীয় সমাজবিকাশের ধারাকেই অস্বীকার করে, হরপ্পা সভ্যতাকে আর্যদের তৈরি বলে প্রচার করে। ভারতে দীর্ঘ সময় জুড়ে দাস সমাজ ছিল – আরএসএস এই সত্য মানতে চায় না।

বিজেপি’র আমলে গণতন্ত্র ক্রমশ আক্রান্ত হচ্ছে। নির্বাচিত সংসদকেই কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সংবিধানের একটি বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদী ধারা রয়েছে। এর উপরে ভিত্তি করেই আইন ব্যাখ্যা করা হয়। সঙ্ঘ যুক্তিবাদের বিরোধী, বিচারব্যবস্থাকেও তারা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।

এই অবস্থায় কর্পোরেটরা বিজেপি-র পাশে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনী বন্ডের ৯০% টাকাই বিজেপি-র হাতে জমা হয়েছে। হিন্দুত্ববাদীদের দাপটের ফলে পালটা প্রতিক্রিয়া হিসাবে সংখ্যালঘুদের মধ্যেও মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তির তৎপরতা বাড়ছে। মনে রাখতে হবে সাম্প্রদায়িকতা সব সময়েই শ্রমজীবীদের শ্রেণি ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।

আমাদের রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি নানা রূপে রুপায়ন করা হচ্ছে। তৃণমূল সরকারের আমলে সেই বিষাক্ত প্রবণতা মাথা তুলেছে। আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিজেপি মন্ত্রীসভায় ছিলেন, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৬-এ বিজেপি’র সাথে নির্বাচনী আঁতাত করেছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি আরএসএস’কে ‘দেশপ্রেমিক’ বলেন, তখন গুজরাট দাঙ্গা হয়ে গেছে।

সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের রাজনীতিকে রুখতে পারে জীবনজীবিকার ভিত্তিতে শ্রেনির লড়াই। তারই সাথে যুক্ত করতে হবে সামাজিক বৈষম্যে বিরোধী লড়াই এবং মতাদর্শগত সংগ্রাম। রাজনৈতিক পরিসরে গণতান্ত্রিক শক্তির ব্যাপকতম সমাবেশ গড়ে তোলাও লড়াইয়ের আবশ্যিক অঙ্গ। কমিউনিস্টদেরই সাম্নের সারিতে দানড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ২৬তম সম্মেলন বিভাজনের বিরুদ্ধে মেহনতী মানুষের ঐক্য গঠনের সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করার শপথ গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তাবে সমর্থন জানান পলাশ দাস।

মহিলাদের অধিকার রক্ষা সহ বিকল্পের জন্য সংগ্রাম গড়ে তোলার প্রস্তাব

মহিলাদের অধিকার রক্ষা ও বিকল্প সংগ্রাম গড়ে তুলতে খসড়া প্রস্তাব পেশ করেন সুমিত দে।

ভারতীয় সমাজ তথা দেশে যে আর্থসামাজিক কাঠামো তাতে অন্যান্য অনুন্নত দেশের সাথে পার্থক্য এই যে এখানে প্রাচীন ধর্মীয় অনুশাসনকে ভিত্তি করে এবং পবিত্র-অপবিত্র, শুচি-অশুচির ধারণাকে কেন্দ্র করে যে কাঠামো এবং সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তাতে শ্রেণীবৈষম্যের সাথেই যুক্ত আছে জাতি বর্ণ বৈষম্য এবং আজ সমাজ দেশে নামে অনেক আধুনিক হলেও শ্রেণি জাতি-বর্ণ পরস্পর মিলেমিশে আছে আর সেখানেই ভারতীয় ধর্মশাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী সব নারীর অবস্থান হল শুদ্র ও পশুদের সাথে একাসনে। লকডাউনে সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছে মহিলারা। আজিম প্রেমজির সংস্থা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো রিপোর্ট অনুযায়ী এই সময় দেশে নারী পাচারের পরিসংখ্যানে পূর্ব ভারতের অবস্থা খুবই খারাপ – পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা উদ্বেগজনক। পাচার হয়ে যাওয়া শিশু ও মহিলাদের প্রায় ৬৩শতাংশকেই দেহ ব্যবসার কাজে যুক্ত করা হচ্ছে।

সংবিধানে নারী পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা আছে। ৩৯/ডি ধারায় সমান কাজে সমান মজুরি দেওয়ার কথা, ১০(৩) ধারায় নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ারও উল্লেখ আছে, অথচ বাস্তবিকভাবে এগুলো শুধু লিখিতই থাকছে কোন কাজে আসছে না।

নারী নির্যাতন, নারী প্রতিহিংসার ঘটনা বাড়ছে প্রতিদিন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতি ১৫ মিনিটে একজন করে মহিলা ধর্ষিতা হচ্ছেন, মেয়েদের প্রতি সংগঠিত অপরাধের মাত্রা বেড়েছে ৭ শতাংশ। মানব উন্নয়নের সূচক এর ক্ষেত্রেও মহিলারা মাথা নিচের দিকে রয়েছেন।

‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ কিংবা উজালা প্রকল্পগুলিতে কোন বরাদ্দই করেনি সরকার। অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্প স্মার্ট হয়েছে কিনা কেউ জানে না, এতেও বরাদ্দ বাড়ে নি।

মহিলাদের অবস্থান এবং তাদের উপর ধারাবাহিক বৈষম্য এই দুয়ের বিরুদ্ধে শোষিত শ্রেণির মহিলাদের লড়াই চালাতে হচ্ছে। ভারতের মহিলা জনসংখ্যার বেশিরভাগই হলেন এই নিপীড়িত শ্রেণির নারীরা।

‘মহিলাদের মধ্যে পার্টির কাজের পূর্ণ তাৎপর্য উপলব্ধি করার প্রশ্নে কোনো রকম দুর্বলতা এর অর্থ হলো গণতান্ত্রিক বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানকে হারিয়ে ফেলা’ – সিপিআই(এম)-র পার্টি কর্মসূচিতে উল্লেখ রয়েছে।

নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থানের দাবিতে লড়াই, পণপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই, নারী পাচারের বিরুদ্ধে অথবা আর নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইকে যুক্ত থাকতে হবে প্রতিদিন। এই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একদিকে যুক্ত করতে হবে অনেক বেশি মহিলাদের, অন্যদিকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করতে হবে বিকল্প। বামফ্রন্ট সরকারই প্রথম মহিলাদের ক্ষমতার প্রশ্নে এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ প্রণয়ন করে, দেশের সংসদে ও বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সংগ্রামকে তীব্র করে বিকল্পের সম্ভাবনা উপস্থিত করে এগোতে হবে মূল লক্ষ্য অর্জনের পথে, নারী মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে। ২৬ তম রাজ্য সম্মেলন সেই আহ্বান জানাচ্ছে।

এই খসড়া প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন রেখা গোস্বামী।

স্বাধীন ও বহুত্ববাদী মিডিয়ার সমর্থনে প্রস্তাব

গনমাধ্যমের আধুনিক পরিসর, তার চরিত্র সম্পর্কিত খসড়া প্রস্তাব পেশ করেন শমীক লাহিড়ী।

রাজ্য ২৬তম সম্মেলন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার অব্যাহতভাবে কাঠামোর সমর্থনে আরও শক্তিশালী জনমত গঠনের লক্ষ্যে সর্বস্তরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে আহ্বান জানাচ্ছে। আধুনিক জনসমাজে নাগরিকদের বাক স্বাধীনতা, তথ্য ও জ্ঞাপন এর স্বাধীনতা, সর্বোপরি মানবাধিকারের সুরক্ষার প্রশ্নে মেডিয়া গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ভূমিকা গুরুত্ব বিশদ ব্যাখ্যা অপেক্ষা রাখে না।

প্রযুক্তির বিকাশের সূত্রেই মিডিয়া এখন বিশ্বায়িত। বিশ্বাজিত লগ্নিপুঁজির বিশ্বপ্রবাহ তথ্য ও টেলিকম প্রযুক্তির অভূতপূর্ব বিস্তার ব্যতীত কল্পনা করা যায় না।

ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, অক্যুলাস-র মত বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মালিক একজন মার্কিন শিল্পপতি মার্ক জুকেরবার্গের ফেসবুক ইনকর্পোরেশন। সম্প্রতি এদেশে আম্বানির জিও কোম্পানির মালিকানাতে তারা ভাগ বসিয়েছেন।

নয়া উদারবাদী রাষ্ট্রের যাবতীয় জনবিরোধী ভূমিকার পক্ষে জনমত বানানোর লক্ষ্যে অতি সক্রিয় আগ্রাসী ভূমিকায় মূলস্রোত কর্পোরেট মিডিয়ার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। নয়া উদারবাদী মিডিয়ার অভ্যন্তরেও নজিরবিহীনভাবে আগ্রাসন চলছে। সাংবাদিকসহ মিডিয়াকর্মীদের পেশাগত স্বাধীনতা কার্যতঃ বিপর্যস্ত।

মিডিয়ায় বৃহৎ একচেটিয়া পূঁজির প্রায় নিরঙ্কুশ দাপট। বাণিজ্যিক মিডিয়ার মালিকানার বড় অংশই এখন কর্পোরেট সংস্থা, অর্থলগ্নি সংস্থা বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পমালিক, ব্যবসায়ীদের হাতে। রিলায়েন্স এখন টেলিকম ও মিডিয়া সাম্রাজ্যের অধিপতি। এরাই আবার নানা স্তরে পশ্চিমী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে রয়েছে। দেশীয় মিডিয়ার দরজা দু’দশক আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে বিদেশী বহুজাতিক পূঁজির জন্য।

বৃহৎ পুঁজির নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া নয়া উদার বাদী শাসকের স্বভাব মিত্র। বিরাষ্ট্রীয়করণ ও ঢালাও বেসরকারিকরণের পক্ষে সওয়ালে তারা সোচ্চার। সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পে সরকারি বরাদ্দের কট্টর বিরোধী তারা। ধান্দার ধনতন্ত্রের পক্ষে জনমত বানানোর কৌশলে তারা সিদ্ধহস্ত। মিডিয়ার পরিসর থেকে শ্রমজীবী মানুষের জীবন যন্ত্রণা, সমস্যা, সংগ্রাম ক্রমশ বিলীন করে দেওয়া যাচ্ছে।

২০১১ পরবর্তী সময়ে সেই মিডিয়ার প্রতিষ্ঠানবিরোধীতার তথাকথিত ঐতিহ্য শাসক ভজনার নির্লজ্জ রূপে পরিণত। বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তির মূলোৎপাটনের বাসনায় মিডিয়ার একাংশ নেমেছে তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথের সাজানো তত্ত্ব ফেরি করতে। মাথা বিকিয়েছে সংঘ পরিবারের শর্তেও।

একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মূল্যায়নে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মানদণ্ডে ভারতের অবস্থান এখন ১৪২ তম।

রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইন প্রয়োগের ঘটনাও ঘটছে।

অনলাইন মিডিয়া, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে তথ্য প্রযুক্তি আইনের স্বৈরাচারী অপব্যবহারের নতুন নজির সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে প্রেস কাউন্সিল এর মত স্বাধীন প্রতিষ্ঠান নিষ্ক্রিয়, অন্যদিকে ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জারি হয়েছে সরকারি কোড অফ এথিকস। সরকার আইন জারি করতে পারলেও নীতিমালা জারি করতে পারে না – এইটুকু সবাইকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের স্বেচ্ছাচারী প্রয়োগে মোদি সরকারের থেকে পিছিয়ে থাকতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল জমানাও।

করোনা টিকার নথিতে প্রধানমন্ত্রীর ফটো ছাপা কিংবা পশ্চিমবঙ্গের শারোদৎসবকে ঘিরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রীর ফটো সাজিয়ে সরকারি অর্থে প্রোপাগান্ডার নির্লজ্জতা আমাদের অতীত দিনের সামন্তপ্রভুদের কথা মনে পড়িয়ে দেয়।

গণতান্ত্রিক অধিকার ও শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার সংগ্রামকে কর্পোরেট মিডিয়ার আক্রমণের মোকাবিলা করেই এগোতে হবে।

করদাতাদের অর্থের বিপুল অপব্যয় সরকারি প্রোপাগান্ডার মাত্রাহীন বিস্তার ঠেকাতে জোরালো জনমত গড়ে তুলতে হবে। সরকারি বিজ্ঞাপন বন্টন নিয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাত বন্ধেও বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা চাই।

তথ্য ও মিডিয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের গণতন্ত্র মঞ্চ ব্যাপকতর অংশের মানুষকে সংগঠিত করা এখন এক জরুরি রাজনৈতিক কর্তব্য। রাজ্য ২৬ তম সম্মেলন সেই আহ্বানই জানাচ্ছে।

এই খসড়া প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন অতনু সাহা।

*প্রকাশিত প্রতিবেদন পেশ হওয়া খসড়া প্রস্তাবসমূহের সারাংশ হিসাবে লেখা

Spread the word