স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু – প্রকৃত সত্য প্রকাশিত হোক
তারিখঃ সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র পলিট ব্যুরো নিম্নলিখিত বিবৃতি জারী করেছেঃ
মৃত্যুর প্রকৃত সত্য প্রকাশিত হোকঃ ঘটনার জন্য দায়ী সকলের শাস্তি হতে হবে
ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র পলিট ব্যুরো গভীর শোকপ্রকাশ করছে।
৮৪ বছর বয়সী জেস্যুইট পাদ্রী মানুষটি ছিলেন এমনই একজন মানবাধিকার কর্মী যিনি ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকাসমুহের আদিবাসীদের অধিকার এবং জীবনসংগ্রামের লড়াইকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। গত অক্টোবরে ভীমা কোরেগাঁও মামলায় মিথ্যা অভিযোগে দানবীয় আইন ইউ এ পি এ অনুযায়ী গ্রেফতার করে তাকে জেলে ঢোকানো হয়।
তিনি পার্কিনসন্সে আক্রান্ত ছিলেন, এছাড়া বিবিধ শারীরিক সমস্যা থাকা সত্বেও তাকে চিকিৎসার সুযোগ পেতে দেওয়া হয় নি। এক্ষেত্রে সবার মনে রাখা উচিত তার জন্য সামান্য পানীয় জলের পাত্র এবং পাইপটুকুর দাবীতে মানবাধিকার ও প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলি প্রচার শুরু করলে তবে তাকে সেগুলি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
তালোজা জেলে কোভিড আক্রান্তদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে যাওয়া সত্বেও তাকে অবহেলার সাথে সেই জেলেই রেখে দেওয়া হয়, পরে অনেকে এর বিরুদ্ধে আপীল করলে তাকে সেখান থেকে সরানোর বন্দোবস্ত করা হয়। বারে বারে তিনি জামিনের আবেদন জানানো সত্বেও সেই আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। শেষ অবধি বোম্বে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে তাকে জেল থেকে কোভিড সংক্রামিত এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু বিচারাধীন অবস্থায় তাকে মৃত্যুর হাত থেকে সুরক্ষা দিতে অনেকটাই বিলম্ব হয়ে যায়।
জেলের মধ্যে ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়া সত্বেও যারা বারে বারে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে তার জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছেন তাদের সবাইকেই এই মৃত্যুর জন্য জবাবদিহি করতেই হবে। ভীমা কোরেগাঁও মামলাসহ দেশদ্রোহিতার অভিযোগে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ইউ এ পি এ’র মতো দানবীয় আইনে গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেক রাজনৈতিক বন্দীকেই মুক্তি দিতে হবে।
দেশের সংবিধানে বর্ণীত জনগণের মৌলিক অধিকারগুলি রক্ষা করতে দেশের জনগণ এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন, সিপিআই(এম)-র পলিট ব্যুরো এই আহ্বান জানাচ্ছে।