Site icon CPI(M)

Scientific Advice Ignored by the Govt

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া সংখ্যাগুলোকে যোগ করলে ভারতে এখন অবধি আক্রান্ত হয়েছে ৭৮০০৩ জন। কিভাবে এই সংখ্যা পাওয়া যায় ? বর্তমানে এ্যাক্টিভ বা সক্রিয় ৪৯২১৯ + সুস্থ হওয়া ২৬২৩৪ + মৃত ২৫৪৯ + অন্যত্র স্থানান্তরিত ১ = ৭৮০০৩। লকডাউনের ৫১ দিন অতিক্রান্ত । কেস ডাবলিং রেট মানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লাগছে বর্তমানে ১১দিন। অন্তত এই পরিসংখ্যানের হিসাবে সারা বিশ্বের ২০টা সবথেকে আক্রান্ত দেশের মধ্যে ভারত ও রাশিয়ার অবস্থা বর্তমানে সব থেকে শোচনীয় । গোটা বিশ্বে কেস ডাবলিং রেট এখন ২৬ দিন সেখানে ভারতে ১১-১২ দিনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে । অথচ বিশ্বের সর্ববৃহত ও অন্যতম কঠোর এই ভারতীয় লকডাউনের ক্ষেত্রে দাবি করা হয়েছিল যে – ১. ফ্ল্যাটেনিং দ্য কার্ভ বা সূচকের ঊর্দ্ধমুখী যাত্রা ঠেকানো হবে
২. কেস ডাবলিং রেট নিয়ন্ত্রনে থাকবে
৩. স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ব্যাপকহারে বিস্তৃত করা হবে
৪. দৈনিক কোভিড টেস্টের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি করা হবে
বাস্তবে এর কোনটাই হল না। উল্টে কোটি কোটি মানুষের হয়রানি বাড়ল। কর্মহীনতা বাড়ল । স্রেফ বাড়ি ফেরার তাগিদে কয়েকশো মানুষের প্রাণহানি ঘটল। এতকিছুর পরে হঠাৎ করে সরকার বাহাদুরের মনে হল যে মানুষকে করোনা নিয়েই চলতে হবে তাই অর্থনীতির চাকাকে চালানোর জন্য লকডাউন ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে। ৪ ঘন্টার নোটিশে লকডাউন থেকে এই ধাপে ধাপে লকডাউন তোলা অবধি গোটা সময়টা শুধুমাত্র মানুষের হয়রানি আর সরকারের অপদার্থতার সাক্ষী হয়ে রইল।

” Carry out house-to-house surveillance in each district to actively identify people showing symptoms of Covid-19. Quarantine those detected with symptoms as quickly as possible without awaiting test results. If after 14 days of establishing such quarantine and active surveillance in a district, Covid-19 cases decline by at least 40% and medical infrastructure is ready to deal with future cases, only then relax the lockdown. ” আইসিএমআর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই বলেছিল ঘরে ঘরে গিয়ে সমীক্ষা করে কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা যে কোনো ব্যক্তিকে আগে কোয়ারান্টাইন করতে হবে আর তার জন্য কোভিড টেস্ট অবধি অপেক্ষা করা চলবে না । ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইন পর্বের সাথে যুক্ত করতে হবে সঠিক নজরদারির ব্যবস্থা। এর পরে যদি কোন জেলায় দেখা যায় যে এ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে গেছে ও এই সময়কালে ভবিষ্যত সংক্রমণ মোকাবিলার মত চিকিৎসা পরিকাঠামোও প্রস্তুত কেবলমাত্র তখনই লকডাউন লঘু করা উচিত।

বিজ্ঞানীরা বারবার করে বলেছিল যে এটাই এখনো অবধি জানা একমাত্রা উপায় করোনাকে নিয়ন্ত্রন করার । এই পদ্ধতি অনুসরণ না করলে ভবিষ্যতে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়বে ও দেশ জুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গাণিতিক মডেলের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে যে জুন-জুলাই মাস নাগাদ ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

Image Courtesy : https://www.article-14.com/

Spread the word